ভালোবাসার_রং পর্ব-০৭

0
2404

#ভালোবাসার_রং (❣️You are my Lifeline ❣️)

#Part_7

#Ishita_Rahman_Sanjida_(Simran)

আনহা: সোহান তুমি,,,,
রিধি: আসলে আমি ওনাকে ইনভাইট করেছি
তোমরা আসবে আর উনি না এলে তো খারাপ দেখায়,,,,যতো হোক আনহার বয়ফ্রেন্ড বলে কথা,,,,,,
রিধি গিয়ে আকিবের পাশে দাঁড়ায়,,,, আকিবের একপাশে রিধি আর ওপর পাশে আনহা দাঁড়ানো,,,,রিধির আরেক পাশে সোহান দাঁড়ানো,,,,আনহা ক্যান্ডেল জ্বালিয়ে দেয়,,,,রিধিও কেক কাটল,,,,সবাই ওকে উইশ করে,,,রিধি কেক কেটে প্রথমে আকিব ও আনহাকে খাইয়ে দিল,,,, তারপর সোহানকে খাইয়ে দেয়,,, সাথে সাথে সোনহানের গালে ও কেক মাখিয়ে দিল,,,, তারপর ওরা দুজনে হেসে দিল,,,,এই ঘটনা আকিব আর আনহা মেনে নিতে পারলো না,,,,, কিন্তু মুখে কিছু বলল না,,,,আকিব রিধিকে ওর আঁকা ছবি আর গোলাপের তোড়া দিলো,,,,
রিধি: আকিব,,,,, তোমাকে কতবার বলেছি আমি এসব ছবি আঁকা পছন্দ করি না,,, তারপরও তুমি,,,,
আকিব: রিধি তুমি খুলে দেখই না,,, তোমার ছবি এঁকেছি আমি,,,,
আনহা: হুম রিধি,,,, খুব সুন্দর হয়েছে ছবিটা আর আকিব সত্যি খুব ভালো ছবি আঁকে,,,,

রিধি: তবুও,,, আমার সত্যি এসব কাঠ পেন্সিলের আকা ছবি ভালো লাগে না,,, আর তুমি লাল গোলাপ এনেছো কেন,,,
আকিব: কেন আবার,,,, তোমাকে দেওয়ার জন্য,,,,
রিধি: তুমি তো জানো আকিব লাল গোলাপ আমার পছন্দ না,,,, আমি হলুদ গোলাপ পছন্দ করি,,,,,
রিধির কথায় আকিবের মুখটা কালো হয়ে গেল,,,আনহার আকিবের জন্য খুব খারাপ লাগছে এতো কষ্ট করে ছেলেটা সবকিছু এ্যারেন্জ করলো আর রিধি কি না ওকে অপমান করে দিলো,,,আনহার ইচ্ছে করছে রিধিকে হলুদ গোলাপ ভর্তা করে ওকে খাইয়ে দিতে,,,এতই যখন হলুদ গোলাপের শখ নিজে কিনে আনলেই পারতো যতসব,,,আনহা তারপরও আকিবকে শান্তনা দেওয়ার জন্য বলল,,,
আনহা: আকিব ছাড়ো এসব,,,, বিয়ের পর না হয় রিধিকে তুমি অনেক হলুদ গোলাপ দিও দেখবে রিধি খুব খুশি হবে,,,

রিধি: তুমি জানো না,,,আনহা আকিব কিরকম,,, কিছুই বুঝে না,,,,আল্লাহ কবে যে বুঝবে তুমি আকিব,,,,,
রিধির কথায় আকিব প্রচন্ড রেগে যায়,,, ও রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে যায়,,,,আনহা ও ওর পিছু পিছু যায়,,,আকিব গিয়ে বাইকে বসে

আনহা: দেখ আকিব রাগ করো না প্লিজ চলো

আকিব: তুমি কি যাবে,,, না আমি একাই চলে যাবো,,,,,
আনহা: এমা না আমি যাবো,,, এক মিনিট দাঁড়াও আমার ফোনটা ফেলে এসেছি,,,

আকিব: ওকে তাড়াতাড়ি নিয়ে আসো,,,

আনহা ভেতরে যাওয়ার সময় রিধি আর সোহান ও বেরিয়ে আসে,,,রিধি গিয়ে আকিবের সাথে কথা বলতে থাকে আর আনহা নিজের ফোন আনতে যায়,,, টেবিলের উপর আনহার ফোন ছিল,,,, ফোনটা হাতে নিয়ে আসার সময় পায়ে কিছুর সাথে ধাক্কা খায়,,,আনহা তাকিয়ে দেখে গোলাপের তোড়াটা মাটিতে পড়ে আছে,,,,

আনহা: রিধি তোড়াটা এভাবে মাটিতে ফেলে দিলো,,,, আর ওর হাতেও তো আকিবের আঁকা ছবিটা দেখলাম না,,,,
আনহা কিছু একটা ভেবে ময়লার ঝুড়িতে গিয়ে উঁকি দিলো,,,, ও যা সন্দেহ করেছিল ঠিক তাই,,,, ময়লার ঝুড়িতে আকিবের আঁকা ছবিটা রিধি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে,,,, এটা দেখে রিধির উপর এক প্রকার ক্ষোভ জন্মায় আনহার,,,,রিধি তো আকিবকে ভালোবাসে তাহলে ওর সাথে এরকম ব্যবহার করছে কেন এরকম একটা মেয়ের সাথে আকিব সারাজীবন কাটাবেই বা কিভাবে,,,,,,আনহা এসব কিছু ভাবতে ভাবতে ওখান থেকে বেরিয়ে আসে,,, এসে দেখে রিধি আকিবের মন গলিয়ে ফেলেছে,,,দুজনে সুন্দর ভাবে কথা বলতেছে,,,এটাই হচ্ছে রিধির ক্ষমতা,,, যে কাউকে মিনিটের মধ্যেই পটিয়ে ফেলতে পারে আর সেখানে আকিব তো কিছুই না,,,

আনহা: এর জন্যই রিমি আপু আকিবকে গাধা বলে,,, মানুষ কে খুব সহজেই বিশ্বাস করে নেয়,,,,,,,, একটু কি কিছু বোঝে না ও,,

একা একা কথাগুলো বিড়বিড় করতে করতে আনহা আকিবের কাছে যায়,,,,
আনহা: আকিব বাড়ি যাবে না,,, সন্ধ্যা তো হয়ে এলো,,,,
রিধি: ওকে আকিব তুমি যাও আমি সোহানের
সাথে চলে যাবো,,,,সোহান চলো যাওয়া যাক

আনহা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আকিবের বাইকে বসে,,, আজকে বাড়িতে গিয়ে সোহানকে কল করে আচ্ছা করে রামধোলাই দিবে আনহা,,,






রাতে আনহা সোহানকে কল করে,,, কিন্তু সোহানের ফোন ওয়েটিং এতে আনহা আরও রেগে যায়,,,,যেভাবেই হোক আজকে সোহানকে ও ছাড়বে না,,,,,প্রায় ঘন্টাখানেক পর আনহা সোহানকে ফোনে পেল,,,ফোন ধরেই আনহা সোহানকে বকতে শুরু করল,,,,,

আনহা: কি ব্যাপার সোহান ফোন ওয়েটিং কেন,,,কোন মেয়ের সাথে কথা বলেছো,,, ওহ বুঝেছি এখন আর আমাকে ভালো লাগে না তাই না,,,,যাও যাও অন্য রমনির সাথে কথা বলো গিয়ে হুহ,,,,তা রমনিটা কে রিধি বুঝি,,, খুব তো গলাগলি ধরাধরি দুজনের মধ্যে,,, ভালো খুব ভালো,,,
সোহান: আরে আনহা তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,,,
আনহা: ভুল তো এতো দিন বুঝেছি,,,, এখন তোমার আসল চেহারা দেখতে পেলাম,,, আর কোন মেয়ে পেলে না শেষমেশ রিধি,,, ছিঃ ছিঃ ছিঃ তোমার লজ্জা করছে না,,,

সোহান: আনহা এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে,,,,রিধি আমাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছে,,,যা আকিব দিতে পারেনি,,, বুঝেছো,,, তোমাকে আমি যাতে বিয়ে করতে পারি সেজন্য রিধি একটা চাকরি আমাকে পাইয়ে দিয়েছে,,, আর তুমি রিধির নামে উল্টাপাল্টা কথা বলছো,,,,

আনহা: কি,,, তুমি চাকরি পেয়েছো,,,, (খুশি হয়ে) সরি,,, আসলে আমি ভেবেছিলাম তুমি

সোহান: তুমি তো সবসময় উল্টো কথা ভাবো

আনহা: সরি বললাম তো,,, আচ্ছা বাই,,, আকিবকে সব বলতে হবে তো,,,,

আনহা ফোন কেটে দিল,,, দৌড়ে গেল আকিবের কাছে,,,
আকিব: এতো খুশি কেন,,,
আনহা: সোহান চাকরি পেয়েছে,,,, এখন রিধিকে বলো ও যেন তাড়াতাড়ি ডিভোর্স পেপার রেডি করে,,,,
বলেই আনহা চলে গেল,,,,আনহার কথা শুনে আকিব খুশি হতে পারলো না,,,,, কিন্তু কেন আকিব খুশি হতে পারছে না সেটার কারণ ও খুঁজে পেল না,,,, একথা ‌শুনে আকিবের তো খুশি হওয়ার কথা,,, কিন্তু আকিব নিজেকে কিছুতেই খুশি করতে পারছে না,,,, ভাবনার অতল সাগরে ডুবে যায় ও,,,, ভাবতে ভাবতে রুমে চলে আসল,,,,, রুমে আসতেই আনহা ওর সামনে দাঁড়ায়,,,,
আনহা: আকিব,,, তোমার রিধিকে কিছু বলতে হবে না,,,,, আমি ওকে ফোন করে সব বলে দিয়েছি,,,,,
আকিব: ঠিক আছে,,,,
আনহা: আর একটা কথা,,,, আজকে তুমি বিছানায় ঘুমাও,,, আমি নিচে ঘুমাবো,,, কোন কথা নয়,,, ওকে,,,,

আকিব বিছানায় শুয়ে পড়ল,,, আর আনহা মাটিতে,,,,আনহা শোয়ার সাথে সাথে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেল,,,, কিন্তু আকিব সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেনি,,, কিন্তু কেন তার কারণ আকিবের অজানা,,,,ভোর ভোর আকিবের একটু ঘুম আসে,,, তখনই আকিব একটু ঘুমায়,,,,,

সকালে কে যেন আকিবের রুমের দরজা নক করছে,,, কিন্তু আনহা মরার মতো ঘুমিয়ে যাচ্ছে,,,শব্দে আকিবের ঘুম ভেঙ্গে যায়,,,
ঘুমের ঘোরে আকিব আস্তে আস্তে উঠে গিয়ে দরজা খুলল,,,, ওদিকে আনহা যে নিচে ঘুমিয়ে আছে সেদিকে ওর খেয়াল নেই,,,,, দরজা খুলে আকিব ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে দেখে রিমিকে,,,

আকিব: আপু তুমি এতো সকালে,,, তুমি তো শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলে,,,,
রিমি: হুম,,, একটু আগে আসলাম,,,বাবা মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল,,,তাই তানভীর কে নিয়ে চলে এলাম,,,,,
বলতে বলতে রিমি রুমে ঢুকলো,,,, আনহাকে মাটিতে ঘুমাতে দেখে রিমি একটা চিৎকার দিলো,,,,,

রিমি: আকিব,,,,,, বলতে বলতেই আকিবের গালে কষে একটা চড় মারলো,,,,
চড় খেয়ে আকিব হাবলার মতো গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,রিমির চিৎকারে আনহা ধড়ফড়িয়ে ওঠে,,,,রিমি জোরে জোরে ওর মাকে ডাকতে লাগলো,,,,আকিব আর আনহা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে যায়,,,,আকিবের মায়ের সাথে তানভীর ও চলে আসে,,,,
মা: কি হয়েছে রিমি এভাবে চেঁচামেচি করছিস কেন,,,,
রিমি সবকিছু বলে দেয়,,, সাথে সাথে আকিবের মা এসে আকিবের অন্য গালে চড় বসিয়ে দিল,,,,আকিব এবার বোকা বনে গেলো,,,,
রিমি: আকিব,,,, তোর সাহস তো কম নয় তুই আনহাকে মাটিতে ঘুমাতে দেস,,,,, না জানি এই রুমের মধ্যে কতরকম টর্চার করিস ওর ওপর,,,
রিমির কথা শুনে আকিব ও আনহা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়,,,,আকিব ভাবছে ও কেন আনহার উপর টর্চার করবে,,, শুধু তো মাটিতেই ঘুমিয়েছে আনহা তাও আবার আজকেই,,,বাকিদিন তো আকিবই মাটিতে ঘুমিয়েছে,,,,

মা: ছিঃ আকিব আমার ভাবতেও ঘৃণা করছে তুই এসব করিস,,,,তোর বাবা যদি এসব জানতে পারে তাহলে কি হবে জানিস,,,,

রিমি: মা তুমি বাবাকে বলেই দাও তাহলেই ওর উচিৎ শিক্ষা হবে,,,,
তানভীর: না রিমি,,,এসব বাবাকে বললে ঝামেলা বাড়বে,,,,
রিমি: ঝামেলা আর কমলো কোথায়,,, সব ঝামেলার ঘরদুয়ার হলো এই আকিব,,, তাই ওর একটা শিক্ষা হওয়া উচিত,,,,তলে তলে কতোকিছুই করে ফেলেছে,,,,এক মিনিট,, আকিব তলে তলে ডিভোর্সের ব্যবস্থা করিসনি তো,,,,,
একথা শুনে আনহা আর আকিব আরো ভয় পেয়ে যায়,,,,, দুজনের গলা শুকিয়ে গেল,,,, সামান্য কারণেই আকিবের গালে দুইটা থাপ্পড় পড়েছে আর ডিভোর্সের কথা জানতে পারলে ওকে ক্রস ফায়ার করে দিবে,,,,

রিমি: আকিবকে দিয়ে বিশ্বাস নেই,,, ও এটা করতেই পারে,,, সত্যি করে বল আকিব,,,

আকিব কিছু বলছে না,,, গালে হাত দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,,

তানভীর: রিমি মা এখান থেকে চলুন,,, ওদের একটা ব্যবস্থা আমি করতাছি,,,, আর রিমি কাজের লোক দিয়ে মাটিতে করা বিছানা তুলে নিয়ে যাও,,,,রিমি তাই করলো,,,

সবাই চলে গেলে আনহা ধপ করে ফ্লোরে বসে পড়লো,,,,আকিব দুগালে হাত দিয়ে এখনও দাড়িয়ে আছে,,,, এখন কি হবে ওরা কেউ জানে না,,,,আকিবের বোকামোর কারণেই আজকে ধরা পড়তে হলো,,,,আনহা একটু রেগে গিয়ে উঠে দাঁড়ালো,,,
আনহা: আকিব এটা তুমি কি করলে হুম,,, দরজা খোলার আগে আমাকে ডাকতে পারতে সব শেষ হয়ে গেল,,,, এবার সবাই যদি জানতে পারে যে আমরা ডিভোর্সের কথা ভাবছি তাহলে,,,, কি হবে,,,

আকিব: ???? আমি বুঝতে পারিনি যে আপু আসবে,,,,
আনহা: আচ্ছা তুমি বোঝটা কি শুনি,,, সবসময় একটা না একটা গন্ডগোল পাকিয়েই ছাড়ো,,,,রিধি ঠিকই বলেছে,,,

আকিব চুপ করে আছে বলার মতো কোন ভাষা ওর কাছে নেই,,,কিই বা বলবে,,,, ওর কারণেই তো আজ সবকিছু ধরা পড়ে গেল,,,
আকিব আর আনহাকে আজ ভার্সিটিতে যেতে দিল না রিমি আর তানভীর,,,,,

বিকেলে রিমি আর তানভীর আকিবের রুমে যায়,,,,

রিমি: আকিব,,,,এই নে,,,, (একটা খাম এগিয়ে দিয়ে,,,,)
আকিব: কি আছে এতে,,,,
রিমি: প্লেনের টিকিট,,,,
আকিব: তো এটা দিয়ে আমি কি করবো,,,
রিমি: কি করবি মানে,,,গাধা,,,বুঝোস না,,
তানভীর: রিমি আবার শুরু করলে,,,আকিব আমি বলছি,,,,এতে প্লেনের টিকিট আছে,,,
তুমি আর আনহা প্লেনে করে চট্টগ্রাম যাবে ওখান থেকে সোজা নীলাচল,,,, মানে সাজেক ভ্যালি,,,,বুঝেছো,,,,

আকিব+আনহা: কি,,,????

রিমি: আগ্যে হ্যা,,, আর ওখানে গিয়ে যদি দুজনে উল্টাপাল্টা কিছু করেছো তাহলে কিন্তু

তানভীর: আরে ওরা কিছু করতে পারবে না
রিমি: মানে,,,
তানভীর: ওরা যেই হোটেলে থাকবে সেই হোটেলের ম্যানেজার আমার খুব ভালো বন্ধু,,, আমি ওকে বলে দিয়েছি ওদের উপর যেন কড়া নজর রাখে,,,,,
রিমি: গুড,,,,এই জন্যই তোমাকে আমি এতো ভালোবাসি,,,,লাভ ইউ,,,,
তানভীর: লাভ ইউ টু,,,,,
রিমি: দেখছিস কিভাবে ভালোবাসতে হয়,,,
(আকিবের দিকে তাকিয়ে) কালকে বিকেলে ফ্লাইট সবকিছু গুছিয়ে নে,,,, তোরা,,,,,
রিমি আর তানভীর চলে যায়,,,,আকিব আর আনহা বাড়িতে থাকলে দুজনের প্রতি কোন ফিলিংস হবে না এটা তানভীর বুঝতে পারে তাই ওদের দুজনকে বেড়াতে পাঠানোর প্ল্যান করেছে,,, আর দেশের বাইরে পাঠালে ওদের ওপর নজর রাখতে পারবে না তাই সাজেক ভ্যালি ও সিলেক্ট করেছে,,,,

আর কোন উপায় না পেয়ে দুজনে সবকিছু গুছিয়ে নেয় সাজেক ভ্যালি যাওয়ার জন্য,,,,

চলবে,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে