ভদ্র স্যার♥রাগী বর-পর্ব ১১

0
4212

#ভদ্র স্যার♥রাগী বর-পর্ব ১১
Writer: ইশরাত জাহান সুপ্তি

আমার চোখ দিয়ে অনর্গল পানি পড়ে যাচ্ছে।এই শব্দের ভেতর কেউ আমার চিৎকারও শুনছে না।
ও আমার হাত ধরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য টান দিতেই আমাদের সামনে এসে কেউ দাঁড়াল।

আমি তাকিয়ে দেখলাম শুভ্র স্যার।স্যারকে দেখে আসিফের হাত কিছুটা আলগা হতেই আমি জোরে হাত ছাড়িয়ে ছুটে গিয়ে স্যারকে শক্ত করে তার পেছনের পান্জাবী খামছে ধরে জড়িয়ে ধরলাম।আমি প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ পর স্যার আমাকে তার থেকে ছাড়িয়ে আসিফকে ধরে বেধম মারতে লাগল।স্যার প্রচন্ড রেগে আসিফকে পাগলের মত ঘুষি দিচ্ছে।মাঝে মাঝে হুংকার দিয়ে উঠছে আর বলছে ওর হাত ধরেছিস? তোর এত সাহস!আরো যেন কিছুু বলছে কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না।আমি স্যারের এই রূপ কখনো দেখি নি।
আসিফ একবার কোনোমতে ছুটে দৌড়াতে চাইল কিন্তু তার আগেই স্যার ওকে ধরে আবার মারতে লাগল।আসিফের অবস্থা প্রচন্ড খারাপ।আর কিছুক্ষণ মারলে বোধহয় ও মরেই যাবে।
আমি এবার স্যারকে আটকিয়ে বললাম,স্যার
ছেড়ে দিন এবার ও মরে যাবে।বাঁধা পেয়ে স্যার একটু থেমে যাওয়ার সুযোগে আসিফ পালিয়ে গেছে।

স্যার এবার আমার দিকে তাকিয়ে সেই অগ্নিচোখেই চেঁচিয়ে বলতে লাগল,কমন সেন্স নেই।একা একা এখানে চলে এসেছো।বেশি সাহস দেখাও।
এমনিতেই আমি ভয়ে কাঁপছিলাম তার উপর স্যারের বকা শুনে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদঁতে লাগলাম।
স্যার আমার কান্না দেখে নরম হয়ে আমার মাথা তার বুকে টেনে নিল।আমি এবার স্যারের বুকে গিয়ে ডুকরে জোরে কেঁদে উঠলাম।

তারপর স্যার আমাকে বাসায় নিয়ে আসল।
সারা রাস্তা আমি কান্না করেছি।বাসায় এসে স্যার আমার হাত থেকে ভাঙা কাঁচের চুড়ির টুকরোগুলো বের করে ঔষধ লাগিয়ে দিতে লাগল।আমি ব্যাথায় আহ! করতে লাগলাম।সামনে তাকিয়ে দেখলাম স্যারের চোখ কেমন যেন ছলছল করছে।আমার আঘাতে যেন সেই ব্যাথা পাচ্ছে।
এরপর স্যার আমাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে দিল।তারপর লাইট অফ করে বিছানায় নিয়ে আমাকে তার বুকে টেনে নিয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল।
লাইট অফ থাকার পরেও রুম হালকা আলোকিত
হয়ে রয়েছে।আজ মনে হয় ভরা পূর্ণিমা।চাঁদের
আলো উপচে পরে রুমে ঢুকে চারদিক জ্যোৎস্নার ন্যায় আলোকিত করে রেখেছে।কেমন যেন মায়াবী মায়াবী লাগছে রুমটা।ভয় আমার এখনো কাটে নি।

স্যার আমার মাথা হালকা ঝাঁকিয়ে নরম গলায় বলল,এই সুপ্তি এত ভয় পেয়ে রয়েছো কেনো।আমি থাকতে তোমার কেউ কিছু করতে পারবে না।

জানো? প্রথম যখন কলেজে ক্লাস নিতে গিয়েছিলাম,ক্লাসে ঢুকেই দেখলাম তোমাকে।দেখলাম,একটি মিষ্টি মেয়ে ঘুমে ঢুলুঢুলু অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।চুলগুলোও হালকা এলোমেলো হয়ে খোলা ছিল তোমার।একটি বাচ্চা যখন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে কিছু বুঝতে না পেরে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে।তুমি ঠিক সেভাবেই তাকিয়ে ছিলে।একটি নিষ্পাপ বাচ্চার মত লাগছিল তোমাকে।তোমাকে দেখে আমি সেদিন অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।
তারপর প্রতিদিনই দেখতাম তুমি একনজরে বইয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকতে একবারো আমার দিকে তাকাতে না আর আমার চোখ বারবার কৌতূহলি হয়ে তোমার দিকেই চলে যেত।
তোমার সেই চাহনি ঘুরে ফিরে আমার মাথায় চলে আসত।
শুভ্র স্যারের কথাগুলো শুনে আমার সব ভয় কান্না কোথায় যেন চলে গেল।কত মিষ্টি করে সে কথা বলছে।আমি তার কথার মাঝে হারিয়ে গেলাম।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



স্যার বলতে লাগল,জানো যেদিন তুমি আমাকে প্রথম হরবর করে তোমার পছন্দের কথা বললে সেদিন আমি চরম বিষ্মিত হয়েছিলাম।তারপর যখন এক দৌড়ে আমার সামনে থেকে চলে গেলে, এক অপূর্ব অনুভূতিতে আমার মন ছেয়ে গেল।এত সুন্দর অনুভূতি আমার কখনো হয় নি।রাত দিন আমি যেন কোথাও হারিয়ে গেলাম।অকারণেই হাসতে লাগলাম।সবকিছুই খুব সুন্দর লাগতে শুরু করল।
চারদিন তুমি কলেজে আসলে না,তোমাকে দেখার জন্য আমি অস্থির হয়ে উঠলাম।তারপর ক্লাস টেস্টের বাহানায় তোমাকে কলেজে আনালাম।

প্রতিদিন তোমাকে নতুন করে ভালো লাগা শুরু হল।কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে যেখানে সব মেয়েরা গাঁদা গাঁদা মেকআপ করে এসেছিল সেখানে সবার মাঝে তুমি কতটা সিম্পল সাজে এসেছিলে।সেদিন প্রথম তোমাকে শাড়ি পড়া দেখেছিলাম।
সাধারণের ভেতর অসাধারণ লাগছিলে তুমি।সেদিন তোমাকে দেখে মন থেকে একটা গানই বেরিয়েছিল,”ভালোবাসি”।

স্যার খুব আবেগ নিয়ে কথাগুলো বলছিলো।আমি
তার বুকে মাথা রেখে চুপচাপ শুনছিলাম।স্যারের হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত শোনা যাচ্ছে।

সুপ্তি, তোমার মনে আছে আমি একবার তোমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যেতে চাইলাম কিন্তু তুমি সেখানে না গিয়ে আমাকে একটি নরমাল স্ট্রেট ফুডের শপে নিয়ে গেলে।তুমি যে কেনো রেস্টুরেন্টে যেতে চাও নি তা আমি খুব ভালো ভাবেই বুঝেছিলাম।তোমাকে দেখে সেদিন আমি শুধু মুগ্ধই হচ্ছিলাম।
যেখানে মেয়েরা তাদের পছন্দের মানুষকে নিয়ে দামী দামী রেস্টুরেন্ট যেতে চায়।খরচের ওপর খরচ করতেই থাকে।সেখানে তুমি আমাকে টেনে নিয়ে খরচ করতে দিতে না।কতটা সিম্পল তোমার মন,কত অল্পতেই খুশি হয়ে যাও।

আমি এবার মুখ ফুলিয়ে বললাম,আচ্ছা! বিয়ের প্রথম রাতেই যে আপনি আমাকে বললেন আমি আপনাকে বড়লোক দেখে বিয়ে করেছি?
স্যার মৃদু হেসে বলল,সেটা তো আমি তোমাকে রাগ করে হার্ট করার জন্য বলেছিলাম।আমি খুব ভালো করেই জানি আমার সুপ্তি এমন না।
তাই তো যখন তুমি এটা শুনে আহত চোখে আমার দিকে তাকালে,আমি তোমার চোখে চোখ রাখতে পারলাম না।
মাঠের কোনে গাছের গুঁড়িতে যখন আমরা পা ঝুলিয়ে বসে থাকতাম তখন হালকা রোদের কারণে তুমি হালকা চোখ কুঁচকে মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে সামনে তাকিয়ে হরবর করে কথা বলতে থাকতে।মাঠের খোলা বাতাসে তোমার সামনের চুল উড়তে থাকত।তোমার ওড়নার কোনা বারবার উড়ে আমার মুখে এসে পড়ত।তখন তোমাকে যে কি সুন্দর লাগত!
আমি মুগ্ধ চোখে অপলক ভাবে তোমার দিকে
তাকিয়ে থাকতাম।

তোমার আমার জন্য প্রতিদিন যত্ন নেওয়া,কিছু না পেরেও আমার জন্য প্রতিদিনই নুডুলস রান্না করে নিয়ে আসা,আমার দিকে মায়া চোখে তাকিয়ে থাকা,তোমার দুষ্টুমি গুলো….সব কিছু আমাকে তোমার প্রতি কতটা যে দূর্বল বানিয়ে দিল তা আমি নিজেও বোঝাতে পারব না।
তোমাকে ছাড়া নিজেকে শূন্য লাগতে লাগল।আমি তোমাকে ভালোবাসি সুপ্তি….অনেক অনেক অনেক ভা………

স্যারের কথাগুলো আমি আবছা আবছা শুনতে লাগলাম।মনে হচ্ছে অনেক দূর থেকে কেউ বলছে
“আমি তোমাকে ভালোবাসি”
আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।কেমন যেন সব কিছু আচ্ছন্ন লাগছে।আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি চোখ দুটো খুলে রাখার।স্যারের কথা সম্পূর্ণটা শোনার।
কিন্তু নাহ্!আমি পারলাম না।পরাজিত হয়ে গভীর
ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম স্যার রুমে নেই।
আমি তাড়াতাড়ি নামায পড়ে নিলাম।মাথাটা হালকা ভার ভার লাগছে।হয়ত ঘুমের ঔষধটা হাই ডোজের ছিল।তাই বেলকনিতে গিয়ে চেয়ারে বসলাম।বেলকনির রেলিংয়ের উপর হাত রেখে তার উপর মাথা দিয়ে আনমনে তাকিয়ে রইলাম।
সকালের শীতল হাওয়া আমাকে আলতো করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ রাতে বলা স্যারের কথাগুলো ভাসা ভাসা মনে আসতে লাগলো।
স্যার আমাকে খুব আবেগ দিয়ে কিছু কথা হয়ত বলেছিল।কিছু কিছু কথা স্পষ্ট মনে আছে।কিন্তু কিছু কথা কেমন যেন মনে হচ্ছে স্যার কি বলে ছিল নাকি স্বপ্ন দেখেছিলাম।
হয়ত ঘুমের ঔষধের কারণে আমার এমন লাগছে যে স্যার সত্যি বলেছে আসলে বলে নি আমি কল্পনা করেছি।না হলে শুধু শুধু স্যার আমাকে এত ইমোশনাল কথা কেন বলবে?নাহ্ আমি বোধহয় স্বপ্নই দেখেছি।এমন স্বপ্ন তো আগেও কত দেখতাম।
প্রথমে এই কথাগুলো মনে পড়ে যে ভালো লাগা শুরু হয়েছিল এই বিভ্রান্তিতে জড়িয়ে সেই মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল।

এর দুইদিন পর আমি ভার্সিটিতে গেলাম।ভার্সিটির
গেটে পা রাখার সাথে সাথে কোথা থেকে আসিফ এসে আমার পায়ে পরে মাফ চাইতে লাগল তাও আবার সবার সামনে।ও আপু আপু করে প্রচুর মাফ চাইছে।সবার সামনে আমার বিব্রত বোধ হতে লাগল।তাই আমি ওকে ঠিক আছে বলে চলে আসলাম।বুঝতে পারলাম শুভ্র স্যার শুধু ওকে মেরেই ক্ষান্ত হয় নি,আরও অনেক কিছু করেছে।

ক্লাস শেষে আজ তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরছিলাম রিকশা করে।পথে সামিয়ার সাথে দেখা।সামিয়াও ওর ভার্সিটি থেকেই ফিরছিলো।তারপর দুজনে মিলে রাস্তার ওপারে গিয়ে জমিয়ে ফুচকা খেতে লাগলাম।উফ! যা ভালো লাগছে না!কতদিন পর খাচ্ছি।আমি অলরেডি দেড় প্লেট খেয়ে আরেকটা ফুচকা মুখে তুলতে নিয়েছি তার আগেই সামিয়া হাত দিয়ে পেছনে ইশারা করল।আমি ফুচকা মুখের সামনে ধরেই পেছনে ঘুরতেই দেখলাম স্যার দু হাত বুকের ভেতরে গুঁজে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে সানগ্লাস চোখে  আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।সামনের চুলগুলো হালকা হালকা বাতাসে উড়ছে।একটি অ্যাশ কালারের শার্ট গায়ে সাথে ব্লাক কালারের ডোরকাটা টাইটা একটু ঢিলা করে রেখছে। ব্লেজারটা বোধহয় খুলে রেখেছে।শার্টের হাতা ফোল্ড করে রেখেছে কনুই পর্যন্ত।স্যারকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।

স্যার এবার ধীরে ধীরে আগাতে লাগল আমাদের দিকে।আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে মাত্রই কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই আমি আমার হাতের ফুচকা স্যারের মুখে ঢুকিয়ে দিলাম।স্যার মুখে ফুচকা নিয়ে কিছুই বলতে পারছে না।আমি জোরে জোরে হাসতে লাগলাম খুব।সামিয়াও হাসছে।আর স্যার তাড়াতাড়ি ফুচকা গেলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না।
ফুচকা খাওয়া শেষ হলে আমরা তিনজন তারপর বাসায় চলে আসলাম।

দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর শুভ্র স্যার সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমি জানালার পাশে বসে জানালার বাইরে হাত বাড়িয়ে নেড়ে নেড়ে বৃষ্টির পানি ছুঁচ্ছি।
একটুপর স্যার আমার হাত টেনে বলল,কি করছো?ভিজে যাচ্ছো তো!
আমি তার কথার তোয়াক্কা না করে আবার হাত বাড়িয়ে দিলাম।
স্যার আবার হাত টেনে বলল,কতক্ষণ ধরে ভিজছো,ঠান্ডা লাগল কি করবে? কথা বললে কথা শুনো না।
তার কথা শুনে আমি ভুরু কুঁচকে মুখ ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম।
হঠাৎ স্যার আমার গালে একটা কিস করে বসল।
আমি তো হতবাক হয়ে গেলাম।মুখ হা হয়ে গেল।
চোখ বড়বড় করে গালে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে স্যারের দিকে তাকালাম।স্যার মাথা চুলকাতে চুলকাতে অন্যদিকে তাকিয়ে লাজুক হাসি বলছে,
এতে আমার কোনো হাত নেই।তুমি বারবার মুখ ফুলিয়ে এত কিউট দেখাও কেনো?
বলে লাজুক হাসি দিতে দিতেই ল্যাপটপটা হাতে নিয়ে বাইরে চলে গেল।আর আমি এখনো গালে হাত দিয়ে মুখ হা করে ভাবছি,এটা কি হলো!

রাতে শুভ্র স্যার আমাকে পড়াতে বসেছে।স্যার মুখের সামনে একটি মোটা বই তুলে পড়ে পড়ে আমাকে শুনাচ্ছে।কিন্তু আমার এত ঘুম পাচ্ছে কিছুতেই চোখ খুলে রাখতে পারছি না।একসময় ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে আমি কখন যেন স্যারের কোলেই মাথা পেতে শুয়ে পড়লাম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি এখনো স্যারের কোলেই আছি।আর স্যার সেভাবেই বসা অবস্থায় খাটের সাথে হালকা হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে।
তারমানে আমি সারারাত এভাবেই ছিলাম।কিন্তু স্যার আমাকে ডাকলো না কেনো?
আমি তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম।আমার উঠে বসায় স্যার টের পেয়ে আস্তে আস্তে চোখ খুলে একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল,”গুড মর্নিং”
আমি বললাম,আপনি আমাকে ডাকলেন না কেনো?আপনার এভাবে ঘুমাতে সমস্যা হয়েছে না?
স্যার মিষ্টি হাসি দিয়েই বলল,তুমি এত সুন্দর করে ঘুমিয়ে ছিলে ডাকতে ইচ্ছে করছিল না।তাই তো আমি সারারাত তাকিয়ে……
কথাটা সম্পূর্ণ না করেই সে উঠে বাথরুমে চলে গেল।আর আমার মনে একটি ভালো লাগাও তৈরি করে গেল।

একদিন বিকাল বেলা আমার বড় আপু আর ভাবী আসল আমাকে নিতে।আমি তো সেই খুশি।সে বার স্যার আমাকে যেতে দেই নি।এবার গিয়ে তাকে জব্দ করতে পারব ভেবেই আনন্দ হচ্ছে।আমি তাড়াতাড়ি ব্যাগপত্র গুছিয়ে বের হলাম।
সামিয়ে বলল,ভাবী ভাইয়াকে বলেছো?
আসলে স্যারকে আমি এখনো বলি নি।বললে তো আর আমাকে যেতে দিবে না।
আমি মাকে মিথ্যা করে বললাম,মা আমার ফোনে চার্জ নেই।অফ হয়ে গেছে।আমি যাওয়ার পর আপনি একটু জানিয়ে দিবেন।
মা বলল,সুপ্তি তুমি যাও।আমি বলে দিব।
আমিও খুশি হয়ে চলে আসলাম।বাসায় গিয়ে পৌছাতেই……………

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে