বৃষ্টি ভেজা রাত পর্ব-০৬

0
1928

#বৃষ্টি_ভেজা_রাত💖
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💖

#পর্বঃ_৬

বৃষ্টি হটাৎ অনুভব করলো তাকে কেও ঘুমের মাঝে কোলে নিয়ে হাটছে। পিট পিট করে তাকাতেই চোখ পরে সামনে রাতের মুখের দিকে। হটাৎ এমন হওয়ায় পুরু ব্যাপারটাই যেনো স্বপ্ন মনে হচ্ছে বৃষ্টির। রাত আর তাকে কোলে তোলা, ইম্পসিবল। চোখ দুটি বুজে রইলো বৃষ্টি। এই প্রথম রাতের স্পর্শ অনুভব করছে সে। জ্বরের ঘোরেও যেনো অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে তার মাঝে। আজ রাত যেই পথেই হাটুক না কেনো, এই পথটা যেনো হয় এক অফুরন্ত পথ।

বৃষ্টিকে নিয়ে বিছানায় সুইয়ে দিলো রাত। পাতলা কম্বলটা গায়ে টেনে দিলো। মাথায় পাশে বসে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির মুখের দিকে। হতটা কপালে রেখে জ্বর চেক করছে সে।
চোখ বুজে মুহুর্তটা ভালোই উপভোগ করছে বৃষ্টি। কাত হয়ে জড়িয়ে ধরে রাতকে। মাথার পাশে বসায়, কোমর ধরে জড়িয়ে ধরার সুবিধাটা ভালোই হয়েছে তার। কিন্তু তাও আজ রাত কিছু বলছেনা। শুধু চুপ চাপ চেয়ে আছে বৃষ্টির দিকে।

আবার কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো তা খেয়ালই করেনি বৃষ্টি। কিছুক্ষন পর চোখ খুলতেই চার পাশে সবাইকে দেখতে পেলো সে। পাশে বসে ঔষধ লিখে রাতকে দিলো ডাক্তার। অপর পাশে বাবা মা আরশি সবাই বসে আছে। ডাক্তারকে এগিয়ে দিতে চলে গেলো রাত। বৃষ্টি পিট পিট করে তাকাচ্ছে সবার দিকে। সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে, যেনো এক মস্ত বড় কান্ড পাকিয়ে ফেলেছে সে।

পাখির কিচির মিচির শুনা যাচ্ছে চার দিকে। ভোরের আলো পুরুপুরি ভাবে ফুটে উঠেছে। বিছানায় কম্বল মুড়িয়ে আরাম করে শুয়ে আছে বৃষ্টি। আর রাতকে দেখলো ওয়াশরুম থেকে বৃড়িয়ে আসতে।
বৃষ্টি এইবার শিওর হলো যে গতকাল রাতের ব্যাপারটা স্বপ্ন নয় সত্যি রাত তাকে কোলে নিয়ে হেটেছে। তাহলে কি রাত আর আমি একই বিছানায় ছিলাম আজ? ভাবতেই লজ্জায় শিওরে উঠলো বৃষ্টি। রাতের দিকে তাকিয়ে দেখে একটা ট্রাউজার আর টি-শার্ট পড়ে নিচে চলে গেলো সে।
ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে সকাল ৭ টা। বাইরে সোনালি রোদ টা ধিরে ধিরে প্রখর হয়ে উঠছে। পাখিদের কিচির মিচিরের শব্দটাও কমে গিয়েছে অনেকটা। এখন শরির কিছুটা হালকা লাগছে বৃষ্টির। তবে মাথাটা এখনো কিছুটা ধরে আছে। ধিরে পায়ে বিছানা থেকে নেমে নিচে চলে গেলো সে। দেখে মা আর চৈতি মিলে নাস্তা তৈরি করে টেবিলে সাজিয়ে দিচ্ছে। তাদের দেখেই কিচেনের দিকে এগিয়ে যায় বৃষ্টি। মনে একটা অপরাধ বোধ কাজ করছে তার। বাড়ির বৌ পড়ে ঘুমুচ্ছে আর শাশুরি রান্না ঘরে।
– মা আপনি কেনো কষ্ট করছেন? চৈতিকে বললেই তো সে আমায় ডেকে দিতো। আমি পরে ঘুমুচ্ছি আর আপনি কষ্ট করছেন, ব্যাপারটা কি মানানসই বলুন?
রাতের মা রাত্রি চৌধুরি মুখে একটা হাসির রেখা টেনে বলে উঠে,
– তোমার শরির কেমন লাগছে এখন?
– এখন মোটামুটি ভালো লাগছে মা।
রাত্রি চৌধুরি বৃষ্টির কপালে হাত রেখে বলে উঠে,
– জ্বর তো দেখছি এখনো আছে। আচ্ছা তুমি কি এখনো বাচ্চাই রয়ে গেলে যে গতকাল সারা বিকেল বৃষ্টিতে ভিজলে? এখন জ্বর বাধিয়ে ফেললে। যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো। আর রাত কি ঔষধগুলো এনেছে?
– কেনো অন্য বাড়ির একটা মেয়ের কাজ আমার কেনো করতে হবে? আমি কি তার কাজের লোক নাকি? যত্বসব ফাউল কথাবার্তা।
পাশে চেয়ার টেনে বসতে বসতে কথাটা বললো রাত।
হাসি মুখটা যেনো নিমেশেই মলিন হয়ে যায় বৃষ্টির। সত্যি ই তো সে অন্য বাড়ির মেয়ে। সুজুগ বুঝে ঠিকই খোচাটা দিয়ে দিলো রাত।
মুখটা গোমড়া করে উপরে চলে যায় বৃষ্টি। ওদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে নাস্তা করতে ব্যাস্ত রাত। যেনো বৃষ্টির অভিমানটা তার চোখেই ধরা পরেনি।
পাশ থেকে রাত্রি চৌধুরি বলে উঠে,
– দিলিতো মেয়েটার মনটা খারাপ করে। আচ্ছা একটা কথা বলতো, কেনো ওর সাথে এমন করিস তুই? দোষটা কি তার, যে সব কিছু তাকেই সহ্য করতে হবে? কখনো একটু ভালো ব্যাবহার করিসনা মেয়েটার সাথে। জীবনে মানুষ কষ্ট পায়, প্রতারিত হয়, আরো কতো কিছুই হয় মানুষের জীবনে। তাই বলে তার জেদ অন্য কারো উপরই ফেলতে হবে? একটা মেয়ের নতুন বাড়িতে নতুন বৌ হয়ে এসে সব কিছু ঘুচিয়ে তুলতেও কয়েকমাস সময় লাগে। মনের মাঝে থাকে পরিবার ছেরে আশার কষ্ট। আর সেখানেও যদি তার জীবন স্বামী, শশুর বাড়ির অবহেলায় ডুবে থাকে তাহলে তার মনের অবস্থাটা কেমন তা শুধু সে নিজেই বুঝতে পারে। আর বিয়েটাতে তো তুই নিজেই সম্মতি দিয়েছিস, তাহলে কেনো এমন করছিস মেয়েটার সাথে। তুই এখন অবুজ নয়। জদি পারিস বৃষ্টির জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে দিখিস। এটুকু বলেই কিচেনের দিকে হাটা ধরে রাতের মা। রুদ্র চৌধুরিও এসে নাস্তা করছে।
খাওয়া শেষ করে একটা প্লেটে কিছু নাস্তা নিয়ে উপরে চলে যায় রাত।
বিষন্ন মনে খাটের উপর পা ঝুলিয়ে বসে আছে বৃষ্টি। রাতকে দেখে দাড়িয়ে যায় সে। হাত দুটু একটু কাচুমাচু করে সেখান থেকে সরে যেতেই পেছন থেকে হাতটা চেপে ধরলো রাত।
– আমাকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি কোনো এলিএন নই। আর অভিমানি মুখেও তোমাকে হেব্বি লাগে। এখন যাও অভিমান দুর করে ফ্রেশ হয়ে আসো।
চলে যেতে চেয়েও রাতের কথায় এবার স্তব্দ হয়ে দাড়িয়ে আছে বৃষ্টি। বৃষ্টিকে ওভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে রাত উঠে বৃষ্টির হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো ওয়াশ রুমে। বৃষ্টিকে আয়নার সামনে দার করিয়ে ব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে বৃষ্টির দিকে বাড়িয়ে দেয় রাত।
– নাও এটা, এখন কি তোমালকে আমার ব্রাশও করে দিতে হবে?
– না, আমি নিজের কাজ নিজে করতে পারবো। অন্য বাড়ির মানুষের জন্য আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা।

বৃষ্টি ফ্রেশ হয়ে বের হয় ওয়াশ রুম থেকে। হাত মুখ মুছে আয়নার সামনে বসে পরে সে। রাত হাতটা ধরে তার পাশে এনে বসায় বৃষ্টিকে,
– এখন তোমার বডি ট্রিটমেন্ট করার সময় নয়। শরিরের যত্ন নেওয়ার সময়। খেয়ে ঔষধ না খেলে সুস্থ হবে কি করে? দেখি হা করো।
রাত একে একে খাইয়ে দিলো বৃষ্টিকে। খাওয়া শেষে ঔষধ গুলোও খাইয়ে দিলো। দুটা ঔষধ বড় হওয়ায় সেগুলো ভেঙে দিলো রাত।
– আপনি না বললেন, ঔষধ আনেন নি। তহলে?
– চিন্তা করোনা, ঘর থেকে উল্টা পাল্টা ঔষধ খাওয়াচ্ছিনা তোমাকে। তুমি যখন ঘুমাচ্ছিলে তখন নিয়ে আসলাম।
রাত বৃষ্টিকে খাইয়ে উঠে আশার সময় আবার দাড়িয়ে বলে উঠে,
– শুনো, এই বাড়িটা তোমারও। যাই হোক তুমি এখন এই বাড়ির বৌ। সো ভয় নয় নিজের বাড়িতে অধিকার নিয়েই চলবে। তাছারা এই বাড়িতে আশার পর থেকে শুধু কষ্টই পেয়েছো তুমি। বাসর রাতেও তোমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করিনি আমি। রাগের বসে তোমার গায়ে হাতও তুলেছি। এই বাড়িতে তোমাকে হাতের আঘাতে না হলেও মুখের আঘাতে কষ্ট দিয়ে এসেছি দিনের পর দিন। বিশ্বাস করো আমি এসব কেনো করেছি তা আমি নিজেও জানিনা। আমি সত্যিই আমার ব্যাবহারের জন্য লজ্জিত। পারলে আমায় ক্ষমা করে দিও।
– আপনি নিজেকে এতোটা ছোট করে দেখবেন না প্লিজ। আপনার তো কোনো দোষ নেই এতে। আমার পরিবার থেকে আপনি যেই আঘাতটা পেয়েছেন তাতে,,,,,,
– স্টপ, বর্ষা তোমার পরিবারের কেও না। তোমার পরিবারের কিছু হলেও তোমার কেও না। কারন তুমিও এখন ওই বাড়ির অতিথি এই চৌধুরি বাড়ির বৌ। সো ওর নাম আমার সামনেও উচ্চারন করবেনা কখনো।
এই বলে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলো রাত। বৃষ্টির চোখের কোনে ভিজে উঠেছে, আজ তা দুঃখে নয়। রাত কি তাহলে আজ তাকে স্ত্রী হিসেবে সম্মোধন করে নিলো?
সাওয়ার নিয়ে বেড়িয়ে অফিসের জন্য রেডি হলো রাত। রুদ্র চৌধুরি আগেই অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে নাস্তা করছিলো। নিচে গিয়ে রুদ্র চৌধুরিকে বলে উঠে,
– বাবা আমি যাচ্ছি। আমি থাকতে তোমাকে আর কষ্ট করতে হবেনা। তুমি এখন থেকে রেষ্ট নিবে শুধু। আজ থেকে আমি একাই সামলাবো সব।
– তুই কি একা সব সামলাতে পারবি?
– অবশ্যই পারবো বাবা। তোমার ছেলে না আমি? তুমি এক সময় সব একা সামলিয়েছো না? আর তোমার সাথে গিয়ে গিয়ে তো আমি সব বুঝেি নিয়েছি এখন। So, no tention, you take rest.😊

বিকেলে বাইরে হাটতে বেড়িয়েছে বৃষ্টি ও আরশি। বৃষ্টি ঘুমাচ্ছিলো তখনই আরশি উঠিয়ে নিয়ে আসলো তার সাথে ঘুরতে।
ঘুরতে ঘুরতে প্রায় সন্ধা হয়ে গেলো। একটা রেষ্টুরেন্টে ঢুকে খাবার অর্ডার করলো আরশি।
এলো পাথারি সব খাবার খেয়ে চলছে আরশি। বৃষ্টি পাশে বসে ধিরে ধিরে খাচ্ছে আর আরশির দিকে তাকিয়ে হাসছে।

খাবার শেষে হেলান দিয়ে বসে আছে আরশি। বিলের কাগজ হাতে নিয়ে দেখে ৩ হাজার ৭ শত টাকা বিল। ব্যাগ চেক করে মাথায় হাত দেয় আরশি। বৃষ্টিকে নিয়ে তাড়া হুরা করে বের হতে একটা টাকাও নিয়ে আসেনি সাথে। ব্যাগে আছে শুধু কিছু খুচরা টাকা।
বিল প্লে করে তারপর যেতে হবে এখান থেকে। ফোনটা হাতে নিয়ে ওটাও বন্দ হয়ে আছে, হয়তো চার্জ শেষ। নয়তো ভাইয়া অথবা বাবাকে বলে টাকা নিয়ে নিতো। বৃষ্টিও ফোন আনেনি সাথে করে, আরশি ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসায় এতো কিছু খেয়াল ছিলোনা তার। কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধা হয়। উপায় খুজে পাচ্ছেনা আরশি। হটাৎ মাথায় একটা বুদ্ধি চাপলো তার। ফোনটা কানে ধরেই কান্না শুরু করে সে,
– ও আল্লা গো একি হয়ে গেলো গো, আমার সব শেষ হয়ে গেলো গো।
বলেই এমন ভাবে দৌড় দিলো যাতে মস্ত বড় সর্বনাস হয়ে গেছে তার। পেছন পেছন বৃষ্টিও ছুটলো তার সাথে। যেনো মস্ত বড় কিছু হারিয়ে ফেলেচে তারা।

রাস্তায় এসে হাপাতে থাকে দুজন। বৃষ্টি হাপাতে হাপাতে বলে উঠে,
– এই আরশি কার কি হয়ে বলো তো। আমি আর টেনশন নিতে পারছিনা।
বৃষ্টির কথায় অট্ট হাসিতে মেতে উঠে আরশি।
– তুমি সত্যি একটা গাধি ভাবি। এমনটা না করলে কি ওখান থেকে বেরোতে পারতাম।
– তার মানে এটা তোমার বেড়িয়ে আসার ধান্দা ছিলো?😮
– হুম😉

রাতে খাবার খেয়ে ছাদে দাড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে বৃষ্টি ও আরশি। পেছন থেকে রাত গিয়ে বুকে দু,হাত গুজে দাড়ালো।
– ভাইয়া কিছু বলবে?
– বিকেলের পর রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলি?
– একটু বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম ভাইয়া।
– তা বুঝলাম, কিন্তু আজ আবার কোন কান্ড পাকিয়ে আসলি?
– কই না তো।
– তুই বলবি নাকি আমিই বলে দিবো?.
– কোনো কান্ড পাকালেই তো বলবে তাইনা?
– তোরা কি ভেবেছিস তোদেরকে রেস্টুরেন্ট থেকে এমনি এমনি আসতে দিয়েছে।
জ্বিভে কামর দেয় আরশি। আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,
– তু তুমি জানলে কি করে।
– কারন ওরা জানে তুই আমার বোন আর বাবার একমাত্র মেয়ে। ভালোই ডস দিতে শিকেছিস দেখি।
বৃষ্টি আস্তে করে পাশ কাটিয়ে সরে যেতেই রাত তার হাতটা ধরে আবার আরশির পাশে এনে দাড় করালো,
– তুমি কোথায় যাচ্ছো?
– আমি কিছু করিনি, যা করেছে আরশি করেছে।
– যে চুরি করে আর যে পাহারা দেয় দুজনই সমান অপরাধি।

ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই। আরশিও তার রুমে চলে গেছে। বৃষ্টি গিয়ে শুয়ে পরলো সোফায়। চোখ বুজে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত সে। আচমকাই কেও এসে টেনে তোলে বৃষ্টির হাতটা ধরে। চোখ খুলে দেখে রাত।
– কিছু লাগবে আপনার?
– আজ থেকে তোমার আর সোফায় শুতে হবেনা বৃষ্টি। তুমি এই বাড়ির বৌ তাই তোমার সব কিছুতেই অধিকার আছে। বিছানায় গিয়ে সুয়ে পড়ো তুমি। আমিই আজ থেকে এখানে থাকবো।
– না না আমার কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। আপনি ঘুমান, আমি ঠিকই আছি।
– আমি কিছু জানতে চেয়েছি তোমার থেকে? এখান থেকে সরতে বলেছি সরো আজ থেকে আমি এখানেই ঘুমাবো। এতো বড় খাট খালি পরে আছে তুমি গিয়ে ওখানেই ঘুমাবে আজ থেকে।

To be continue……

~~ ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 💖

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে