বৃষ্টি ভেজা রাত(সিজন 2) পর্ব-১৫+১৬

0
1810

#বৃষ্টি_ভেজা_রাত(সিজন 2)💖
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💖

#পর্বঃ__১৫_এবং_১৬

হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গভির ভুমে আচ্ছন্ন আরশি। আরশির ঠিক মাথার পাশটায় বসে আছে রিদ। তাকিয়ে আছে আরশির ঘুমন্ত চেহারার দিকে। বাম গাল টা লাল হয়ে আছে। পাঁচ আঙুলের দাগ এখনো স্পষ্ট। আরশির মায়া ভরা মুখে পাঁচ আঙুলের দাগ চোখে পরলেই যেনো অন্তরাত্বা কেপে উঠে রিদের। নিজের অজান্তেই হাতটা চলে যায় আরশির গালে আঙুলের দাগ গুলোর উপর।
গালে কারো হাতের স্পর্শ অনুভব করতেই জেগে উঠে আরশি। দোখে রিদ করুন চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। রিদকে দেখেই রাগটা এসে মাথায় ভর করলো আরশির। রিদ আরশির দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বলে উঠলো,
– খুব ব্যাথা পেয়েছিলি তাই না?
এবার মেজাজ টা বিগড়ে গেলো আরশির। ইচ্ছে করছে খাট থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে মেরে ফেলতে। ওহ্, খাট থেকে ফেললে তো আর মরবে না। মাথায় তুলে বারান্দা থেকে ছুড়ে নিচে পেলে দিতে। কিন্তু আফসোস টা রয়ে গেলো শুধু শক্তির অভাবে। নাহলে আজ ঠিকই বারান্দা থুকে ছুড়ে নিচে ফেলতো।
– সরি রে আরশি। ভেবেছিলাম তুই তখন দরজা বন্ধ করে নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলছিস। তার উপর আবার এভাবে ডাকাডাকি করার পরও দরজা খুললি না। সব মিলিয়ে নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করতে পারিনি আমি।
আরশি একটা নিশ্বাস ছেরে শান্ত গলায় বলে উঠে,
– রিদ ভাই, তোমাকে আমি এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেছি? আর সরি বলছইবা কেনো? দোষ টা তো আমারই, কাওকে একটু বেশিই ভালোবেসে ফেলা। আমি কিচ্ছু মনে করিনি রিদ ভাই, তুমি চলে যাও এখান থেকে।
– আমায় ভুল বুঝিস না আরশি। মানুষ কখনো কখনো যা দেখে তা সত্যি হয় না। সত্যিই টা আড়ালেই থেকে যায়।
– জানো ভাইয়া, তুমি ছোট থেকেই যেভাবে আমার পাশে ছিলে এভাবে কেও আমায় সাপোর্ট করে যায় নি। এমন কি নিজের ভাইও না। যখন আমার ধিরে ধিরে বুঝার বয়স হয়েছে তখন আমি সব বুঝতাম। সব অনুভব করতে পারতাম। কিছু বুঝি আর না বুঝি এটা বুঝতাম যে কেও একজন আমাকে তার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। সব সময় আমায় আগলে রাখতো। অনুভুতি গুলো মনেই ছিলো কখনো প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু যেদিন শুনি বাবা আমার বিয়ে ঠিক পরে ফেলেছে বিশ্বাস করো সেদিন যেনো চার দিকটা শুধু অন্ধকার মনে হয়েছিলো আমার কাছে। তবুও হাজারও কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে নিজেকে শক্ত করলাম। কারণ আমি চাইনি বাবাকে কষ্ট দিতে। আমি চাইনি এই নিয়ে তোমার আর রাত ভাইয়ার ২৫ বছরে বন্ধুত্ব নষ্ট হোক। আমি চাইনি আমার পরিবার অন্য একটা পরিবারের কাছে লাঞ্চিত হোক। তাই না চাইতেও সেদিন তোমার সাথে এভাবে খারাপ ব্যাবহার করেছিলাম। আমি জানতাম, তোমাকে এসব বললে তুমি সব কিছু এলোমেলো করে ফেলতে। আমি চেয়েছি তুমি চলে যাও। কারণ তোমার সামনে দিয়ে আমি অন্য কারো হয়ে যাবো এটা সহ্য হতো না আমার। মনে মনে নিজেকে এটা বুঝিয়েছিলাম যে, অনেকেরই তো ভালোবাসা টা ব্যার্থতায় ছেয়ে যায়। আমারটাও না হয় ব্যার্থই থেকে যাক। তুমি আবার ফিরে আসার পর থেকেই মনটা অভিমানে ভরে ছিলো। তুমি যেদিন চলে যাচ্ছিলে সেদিন তোমার চোখের পানি সবার সামনে প্রকাশিত হয়েছিলো। কিন্তু আমি হাসি মুখে বিদায় দিয়েছি তোমায়। কিন্তু সেদিন আমার চোখ থেকে কতোটা পানি ঝরেছে তা শুধু এই অন্ধকার রুম আর ভেজা বালিশ জানে। কিন্তু পরে যখন শুনি লোকটা ফ্রট তার পর বিয়েটা ভেঙে যায়। সেই দিন আমার অনুভুতিটা ছিলো অন্য রকম। অপেক্ষা করতে থাকি কখন তুমি আসবে। তুমি ফোন দিয়ে যখন সবার সাথে কথা বলতে তখন আমি তাকিয়ে থাকতাম ওদিকে। কখন তুমি আমার সাথে কথা বলার জন্য আমাকে খুজবে। কিন্তু তুমি আমার কথা জিগ্গেসও করতে না, ফোন কেটে দিতে। আমার নাম্বার থেকে ফোন দিতে চেয়েও বসে বসে কাদতাম। কারণ তোমাকে ফোন দিওয়ার যোগ্যতাটা আমি ধরে রাখতে পারিনি। শুধু তোমার নাম্বারটার দিকে ফোন দিবো দিবো বলে তাকিয়ে থাকতাম। হুট করেই আঙুলের চাপ পরে একদিন ফোন চলে গেলো। কিন্তু সেদিন বুঝতে পারলাম তুমি আমাকে তোমার ফোন থেকেও অনেক আগেই ব্লক করে দিয়েছো।
যেদিন তুমি ফিরে এলে সেদিন আমি তোমার দেওয়া শাড়িটাই পরে তোমার সামনে গিয়েছিলাম। যা তুমি আমার কয়েকজন বন্ধবিকে পড়তে দেখে আমার জন্য নিয়ে এসেছিলে। ভেবেছিলাম ওটা পড়ে তোমার সামনে গেলে তুমি খুশি হবে। কিন্তু সেদিন তুমি আমার দিকে ফিরেও তাকাও নি। তখন ভাবতাম তুমি হয়তো অভিমান করে আছো। আর আমাকেই তোমার অভিমান ভাঙাতে হবে। কারণ আমি তখনও বিশ্বাস করতাম আমার রিদ ভাইয়া শুধু আমাকেই ভালোবেসে ছিলো আর ভালোবাসে এবং ভালোবাসবেও। কিন্তু তুমি তোমার অভিমানটাকেই বড় করে রাখলে। অন্য কাওকে জড়িয়ে নিয়েছো নিজের সাথে। বিশ্বাস করো আজ আমার কোনো অভিযোগ নেই তোমার প্রতি। আমার ভুলের প্রশ্চিত্ব আমাকেই দিতে হবে। ভালোবাসাকে ধরে রাখতে আমি ব্যার্থ। সরি আজ তোমাকে আমি বলবো, বেহায়ার মতো এতোদিন তোমাকে বিরক্ত করেছি বলে। আমি কিছু মনে করিনি। প্লিজ তুমি চলে যাও। আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
– আমি শুধু তোকে জিগ্গেস করেছিলাম তুই আমায় ভালোবাসিস কি না। কিন্তু তুই সেদিন “না” টাকেই উত্তর হিসেবে বেছে নিলি। তুই জদি সেদিন একটিবার বলতি, তুই আমায় ভালোবাসিস তাহলে আজ সবটা অন্যরকম হতো।
– আমি আর কিছু বদলাতে চাই না রিদ ভাই। তুমি চলে যাও। তোমারও এখন কেও আছে। আর সেও তোমার কাছে এই বৃষ্টি ভেজা রাতে একান্তে সময় চায়। এমাকে একটু একা থাকতে দাও।
রিদ পকেট থেকে ফোনটা বের করে তৃনার নাম্বারে ফোন দিলো। দুই বার ফোন দিলেও সে ফোন ধরলো না। হয়তো মরার মতো ঘুমাচ্ছে এতোক্ষনে।
রিদ আবার ফোন দিতেই তৃনা ফোন ধরে ঘুম কাতর গলায় বলে উঠে,
– হ্যালো, এতো রাতে ফোন দিলি?
– দরকার ছারা তোকে কখনো ফোন দেই?
– তা দিস না, আর কখনো দিবিও না। এখন এতো রাতে কেনো ফোন দিলি তারাতারি বলে ফোন রাখ।
– আমিতো এখন ফোন দিলাম তোকে প্রেমের গল্প শুনাতে।
– এটা তোর কাছ থেকে আমি আশাও করি না। কারণ আমি জানি তুই কখনোই আমার প্রেমালাপ করতে ফোন দিবিনা। আরশি আছেনা তোর জন্য।
– বাজে বকা বন্ধ কর, বুঝতেই যখন পারছিস এখন নে আরশির সাথে কথা বলে যেই পেচটা লাগালি ওটা ছুটা।
বলেই ফোনের স্পিকার অন করে দিয় রিদ। তৃণা পুরু ব্যাপারটা খুলে বলে আরশিকে।
আরশি নিচের দিকে চেয়ে আছে। ইশ না বুঝে খারাপ ভেবে কত কথাই না বলে পেলেছিলো তাকে।
রিদ আরশির গুই গালে হাত রেখে বলে উঠে,
– এবার বিশ্বাস হলো?
আরশি মাথা নিচু ছোট্ট করে বলে উঠে,
– হুম,,,,,
– ওকে তাহলে এখন ঘুমা। গুড নাইট।
– তুমি কি এখনও আমায় আগের মতো ভালোবাসো?
আর কোনো উত্তর না দিয়েই হেটে বেরিয়ে গেলো রিদ। আরশি পেছন থেকে বলে উঠে,
– তুমি সত্যিই খুব নিষ্ঠুর রিদ ভাই।

রাত তখন ১২ টা। এখনো ঘুমায়নি রাত ও বৃষ্টি। আজ কত দিন পর কাছে পেলো একে অপরকে। বৃষ্টি তার জেলে থাকার গল্প বলছে আর রাতের টি-শার্ট ভিজিয়ে কাদছে। রাতও জড়িয়ে নিয়ে আছে বৃষ্টিকে তার বাহুডোড়ে। ১ টা বাজলো ২ টা বাজলো ৩ টা বাজলো। তাও ঘুম নেই কারো চোখে। ঘুমাতে ঘুমাতে আরো এক দের ঘন্টা পার হয়ে গেলো। কখন যে রাত পার হয়ে গেলো খেয়ালই করেনি তারা। রাতে বৃষ্টি হওয়েছিলো। কিন্তু এখন আর নেই। আজানের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠলো পুরু শহর টা। চারদিকে পাখির কোলাহল। রাত বৃষ্টিকে বলে উঠে,
– চলো ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে তার পর একেবারে ঘুমাই।
বিছানায় শ্রাবন ঘুমাচ্ছে। শ্রাবনের দুই গালে দুজনই চুমু দিয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে শ্রাবনের দুই পাশে দুজন শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে রাত ও বৃষ্টি।

বাইরের সোনালি রোদ গায়ে এসে পরতেই ঘুম ভাঙে বৃষ্টির। রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বাইরে গাছের পাতা গুলো সোনালি রোদে চিক চিক করছে।
বৃষ্টি উঠে দেখে সারে ৮টা পার হয়ে গেছে। রীতি মতো মাথায় হাত দিলো বৃষ্টি। কারণ সে কখনো এতো নেলা পর্যন্ত ঘুমায় না। বৃষ্টি উঠে রাতের দিকে তাকালো। দেখে রাত শ্রাবনের দিকে কাত হয়ে শুয়ে আছে। আর শ্রাবনের মাথাটা রাতের বাহুর মাঝে। উঠে পর্দা গুলো সরিয়ে দিতেই সোনালি রোদ গুলো রাতের মুখটা পুরুপুরি ভাবেই স্পর্শ করে যাচ্ছে। একটা হাসি দিয়ে আবার পর্দাগুলো টেনে দিলো বৃষ্টি। কারণ সারা রাত ঘুমাতে পারেনি বেচারা এখন একটু ঘুমাক। ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেলো বৃষ্টি।

রুদ্র চৌধুরি ততোক্ষনে অফিসে চলে গেলো। রাত কয়েকদিন এদিক ওদিক দৌড়া দৌড়ি করায় রুদ্র চৌধুরিই সামলালো সব। আজও রাত ঘুমাচ্ছে তাই সে ই চলে গেলো অফিসে।
প্রায় ১০ টার দিকে রাত উঠে একটু রাগারাগি করে সবার সাথে। কেনো তাকে সকাল সকাল না জাগিয়ে বাবাকে অফিসে পাঠালো?

শ্রাবনকে কোলে নিয়ে হাটছে রাত। বৃষ্টি গিয়ে রাতের কাছে দাড়ায়। দেখে শ্রাবন রাতের কোলে ঘুমাচ্ছে। শ্রাবনের মুখে হাতে চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে বৃষ্টি। রাত বৃষ্টিকে থামিয়ে বলে উঠে,
– কি করছো? আমার ছেলেটাকে কি চুমু দিয়ে মেরে ফেলার প্লেন করলে নাকি।
– হুহ্ আটা শুধু আপনার না, আমারও ছেলে। আসো বাবু। বলেই শ্রাবনকে আবার চুমু দিলো বৃষ্টি।
রাত ভ্রু কুচকে বৃষ্টিকে প্রশ্ন করে উঠে,
– আচ্ছা বলোতো গাছকে যন্ত করা দরকার নাকি সেই গাছের ফলকে।
বৃষ্টি মুখের উপরই বলে দিলো,
– অবশ্যই গাছকে, কারণ গাছ থেকে আমরা অসংখয় ফল পাই।
রাত এবার একটু দুষ্টো হাসি দিয়ে বলে উঠে,
– তোমার কথা আর কাজের কোনো মিল নেই। কারণ তুমি ফলকে আদর করে ভরিয়ে ফেলছো আর গাছের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছোনা। এটা কি মানা যায় বলো? হিসেবে তোমার গাছকেই বেশি আদর করা দরকার।
বৃষ্টি ভ্রু জুগল কুচকে তাকিয়ে আছে রাতের মুখের দিকে।

পাশ দিয়ে বৃষ্টি হেটে যেতেই রাত্রি চৌধুরি ডেকে বলে উঠে।
– বৌ মা এদিকে আসো তো।
– জ্বি মা বলুন।
– তোমার চুলের এই অবস্থা কেনো? পাখির বাসার মতো হয়ে আছে।
– আসলে মা,,,,
– বুঝছি বুঝছি, আমার সাথে আসো।
– কোথায়?
– গেলেই দেখবে।
বৃষ্টি নিচে বসে আছে আর খাটে বসে মাছায় তেল লাগিয়ে দিচ্ছে রাত্রি চৌধুরি। রাত্রি চৌধুরির মাঝেই যেনো নিজের মা কে খুজে পায় বৃষ্টি। ইশ, সবাই যদি তার শাশুড়ির মতো হতো?

বৃষ্টি রিদ বসে বসে গল্প করছে। বৃষ্টি রিদকে বলে উঠে,
– আচ্ছা গতকাল রাতের কাহিনিটা কি হলো? একজন রাগ করে দরজা বন্ধ করে ছিলো। অপর জন আরো রেগে গালটা এল চরে লাল করে দিলো। বাহ্ দেখার মতো ছিলো দৃশ্যটা।
– মজা নিচ্ছো ভাবি?
– আরে না না। আচ্ছা কি হয়েছিলো আপনার আর আরশির মাঝে।
– আর বলোনা ভাবি, ওই যে আমার একটা বন্ধবি আসলোনা ওইদিন।
– হ্যা হ্যা তৃনা।
– সে আমার সাথে দুষ্টুমি করে একটা মেসেজ দিয়েছিলো আর তা আরশি দেখে রাগে এসে ধাম রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। আমার ভয় হলো উল্টো পাল্টা কিছু করে বসেনি তো আবার।
– বাব্বাহ্ একটা মেসেজের জন্য এতো কিছু? কি অদ্ভুত প্রেম রে বাবা আপনাদের। আচ্ছা তার পর?
– তার পর আর কি, বেচারি আমার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিলো।
– আচ্ছা তারপর?
– তার পর, আমি কি আর তাকে অভিমানি করে রাখবো? তৃনাকে ফোন দিলাম,আরশির সাথে কথা বলিয়ে তাকে বিশ্বাস করালাম যে তৃনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
– আচ্ছা তারপর?
– গল্প ওখানেই শেষ।
– আচ্ছা তারপর?
– তারপর আর কি?
– আচ্ছা তারপর?
– তুমি কি আমার সাথে মজা করছো ভাবি?
– আচ্ছা তারপর?
– ধুর।
,
,
সব ঠিক ঠাক। কেটে গেলো কয়েকদিন। রাত তখন ১০ টা। রিদ গাড়ি নিয়ে এসে আরশির বাসার সামনে দাড়ায়। ফোন দিয়ে বলে নিচে আসতে। আজ আকাশটাও ফুরফুরপ। কিছুটা সময় ঘুরবে দুজন মিলে। আরশিও আপত্বি না করে নিচে চলে গেলো।
রিদ ড্রাইবিং করছে আর তার কাধে মাথা রেখে আছে আরশি। রিদ ড্রাইবিং করতে করতে বলে উঠে,
– লজ্জা করেনা? একটা অবিবাহিত ছেলের কাধে মাথা রাখতে।
– না এই ব্যাপারে আমি সম্পূর্নই নির্লজ্জ।

গাড়ি চলছে একটা নির্জন রাস্তায়। হুট করেই ব্রেক চাপায় সামনের দিকে একটু ঝুকে পরে আরশি। মাথা উঠিয়ে তাকিয়ে দেখে। সামনে অনেকগুলো ছেলে দাড়িয়ে আছে। সবার হাতেই একটা করে গান। ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে আরশির। এরা ডাকাত নয় তো? রিদের হাতটা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আরশি। একটা ছেলে আরশির হাত ধরে টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। আরশি বার বার কেদে কেটে রিদকে ডাকছে কিন্তু তার চিৎকার পৌছাচ্ছেনা রিদের কান অব্দি। একটা প্রশারিত হাসি দিয়ে, গলা থেকে হ্যাডফোনটা কানে নিয়ে গাড়ি নিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে সেখান থেকে চলে যাচ্ছে রিদ। পেছন থেকে আরশি বার বার ডাক দিচ্ছে তাকে। এক সময় রিদের গাড়িটা আরশির চোখের আড়াল হয়ে গেলো। পেছন থেকে কেও একজন একটা কাপর দিয়ে বেধে নিলো আরশির চোখ জোড়া। ভয়ে জোড়ে জোড়ে কাদতে থাকে আরশি।

To be continue……..

~~ রি-চেক করা হয়নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন💖💖

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে