বর্ষন ছোঁয়ায় মিষ্টি রোদ পর্ব-১৩+১৪

0
971

#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-১৩
রাতে দুচোখ এক হয় নি ছোঁয়ার।
কাল যে ছোঁয়া চিরতরে অন্য কারোর হয়ে যাবে।
ভেবেই কেমন চাপা কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।
সকালে,
খুব ভোরে সবাই উঠেছে আজ।
সব কাজ এক সাথে করছে সবাই।
ছোঁয়ার ভেরত যেন নেই কোন প্রতিক্রিয়া।
এ জেন এক পাথর।।
সকাল ১১ টা।
ছোঁয়াকে সাজাতে লোক এসেছে।
ছোঁয়া আজ সেজেছে যেমন টা তার মন চেয়েছিল সে বিয়েতে সাজবে।
কিন্তু না মনের মাঝে যে শুখ থাকার কথা ছিল তা নেই।
আছে এক আকাশ কষ্ট।
নেই কোন ভালোবাসা আছে শুধু শেষ বারের অপেক্ষা।
শেষ আজ সব শেষ হয়ে যাবে।
কিছুক্ষণ পরেই বর আসবে বিয়ে পড়ানো হবে।
সব কিছু সেই স্বপ্নের মতো হবে
কিন্তু থাকবে শুধু ধূসর রঙের বিষন্নতা৷
,
,
,
নিচে সোরগোলে মেতেছে সবাই।
বর এসেছে বর এসেছে,
তাহলে ছোঁয়ার বর চলে এসেছে।
ছোঁয়া শেষ বারের মতো চেষ্টা করবে,
ফোনটা হাতে তুলে নেয় বর্ষন কে ফোন করার উদ্দেশ্য নিয়ে,
কিন্তু ফোনটা ঢুকতে কেটে দেওয়া হলো।
ছোঁয়ার চোখের কোনি জমে থাকা পানিগুলো ঝুপ করে পরে গেল,
আর হয়ত আশা নেই।
কিছুক্ষণ পরে ছোঁয়া কে কিছু মেয়ে নিচে নিয়ে এলো,
কাজি বিয়ে পড়ানো শেষ হলো সামনে থাক লোকটা খুব সহজে কবুল বলে দিলো তিন বার৷
ছোঁয়া মাথা উঁচু করে লোকটার দিকে তাকায়,
ফর্সা একটা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি এর স্মার্ট সুদর্শন ছেলেকে আবিষ্কার করে ছোঁয়া।
বিয়ে করতে এসেছে লোকটা কোর্ট পরে৷
মানে তার ফ্যাশন সেন্স কতোটা।।
ছোঁয়া কিছুটা অবাক হয়ে লোকটার দিকে তাকিয়ে রয়,
এ কার সাথে বিয়ে হচ্ছে তার।
(প্রিয় পাঠক গন কি ভেবেছিলেন রোদ হবে।
নাহ রোদ না।
তবে অপেক্ষা করেন টুইস্ট আরও আছে একটু অপেক্ষা করবেন প্লিজ। দয়া করে কেউ আজেবাজে মন্তব্য করবেন না পুরো গল্পটা আগে পড়ুন)
–মা বলো কবুল।
কাজি সাহেবের কথায় ছোঁয়ার ধ্যান ফিরে,
ছোঁয়া মাথা নিচু করে ফেলে,
কি বেহায়ার মতো কাজ করছিল সে

এভাবে কেউ দেখে নাকি।
–মা বলো কবুল।
ছোঁয়া এখনো চুপচাপ বসে আছে,
ছোঁয়া কে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে ছোঁয়ার বাবা ছোঁয়ার পাশে এসে দাঁড়ায়,
–তুমি কি কবুল বলবে না আমার মরা মুখ দেখবে (আস্তে করে)
ছোঁয়ার বাবার কথা শুনে ছোঁয়া কবুল বলে দেয়,।
এই শেষ হলো বর্ষন ছোঁয়ার গল্প।
জন্ম নিলো নতুন এক অধ্যায় এর।
,
ছোঁয়ার চোখের পানি গুলো সব বাধ ভেঙে দিলো।
গড়িয়ে পরলো ঝুপ ঝুপ করে,
এই বুঝি শেষ।
আর নেই।
ছোঁয়ার বিয়েটা হয়ে গেল।
এই অচেনা আগন্তুক এর সাথে।
বউ সাজে তাকে বিদায় দিলো তার মা বাবা।
তবে এবার ছোঁয়া আর কাদে নি।
নাহ ছোঁয়া এবার কঠর হয়ে ছিল
চুপচাপ হয়ে ছিল।
কোন কথাই বলে নি।
ছোয়াকে নিয়ে অচেনা লোকটা তাদের বাসার সামনে গাড়ি থামালো
বিশাল এক বাড়ি।
এ যেন এক রাজপ্রাসাদ।
আর পাশে বসে থাকা ছেলেটা রাজপুত্র।
ছোঁয়া কে তার শ্বাশুড়ি মা খুব আদর করে ঘরে তুললো।
ছোঁয়ার সামনে মস্ত এক ঘর।
যেখানে মানুষের আনন্দের শেষ নেই।
ছোঁয়া এবং সেই অচেনা ছেলেটিকে একটা সোফায় বসানো হলো।
কিছু ছবি তোলা হচ্ছে।
হটাৎ এক জন পাশ থেকে বলে উঠলো,
–কই দেখি দেখি আমার বর্ষন এর বউ কেমন হলো দেখি।
মহিলাটার কন্ঠে হটাৎ বর্ষন নামটা শুনে কেঁপে ওঠে ছোয়া।
ছোঁয়া পাশে থাকা ছেলেটার দিকে তাকায়।
ছেলেটার লজ্জা মাখ হাসি জানান দিচ্ছে তার নামি বর্ষন।
কিন্তু এটা কি করে সম্ভব।
সেই বর্ষন আর এই বর্ষন আকাশ পাতাল তফাত।
ছোঁয়া কিছুই মিলাতে পারছে না।
–গলা শুকিয়ে গেছে পানি খাবেন মিসেস.চৌধুরী।
হটাৎ ছেলেটা ছোঁয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে কথাটা বললো।
ছোঁয়া অবান নয়নে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে,
ছেলেটার আবার সেই মাতাল করা হাসি হেঁসে একি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো,
ছোঁয়া ক্রমশ অবাক হচ্ছে।
ছেলেটা কি তাকে আগে থেকে চিনত।।
কিছুই বুঝতে পারছে ন ছোঁয়া।
বেশ কিছু নিয়ম কানুন শেষ করে ছোঁয়া কে তার বাসর ঘরে বসিয়ে দিয়ে গেল সবাই।
ছোঁয়া হাতে হাত রেখে বসে আছে।
ছোঁয়ার কাছে আজও যেন সব কিছুই ধুসার।
কি হচ্ছে তার সাথে কি হতে চলেছে কিছুর সম্পর্কে কোন বুদ্ধি ছোঁয়ার নেই।
রাত ১২ টা,
বর্ষন (ছোঁয়ার হাসবেন্ড)
ঘরে প্রবেশ করলো
দরজা বন্ধ করার শব্দ পেয়ে ছোঁয়া সামনের দিকে তাকালো।
বর্ষন ছোঁয়ার সামনে এসে ছোঁয়ার কাছে বসলো,
–আসসালামু আলাইলুম।
–ওয়া আলাইকুম সালাম।
–আমার নাম বর্ষন চৌধুরী। আপনার নামটা?
–ইসানুর তাসনিম ছোঁয়া।
–ছোঁয়া বাহ বেশ মিষ্টি নাম।
#বর্ষন_ছোঁয়া।
ছোঁয়ার বুকটা আবারো ধক করে উঠলো ছেলেটার মুখে বর্ষন ছোঁয়া কথাটা শুনে।
ছোঁয়া অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়প রইলো
–দেখুন মিসেস. চৌধুরী।
আমি আপনাকে কখনো কিছুর জন্য জোর করবো না।
আমি চাই আপনি সময় নিন।
আমাকে বুঝুন।
আমাকে মেনে নিন।
আমি জানি বিয়েটা হুট করে হয়ে গেছে

আপনি ত বিয়ের আগে আমার সাথে দেখাও করতে চান নি।
তাই আমিও আর জোর করি নি।
আজ পর্যন্ত সমস্ত সম্পর্কে আমি ১০০ তে ১০০ দায়িত্ব পালন করেছি। এবং ভালোবাসা ও দিয়েছি।
আমি আল্লাহর কাছে এই প্রর্থনা করি যে আপনার আমার সম্পর্ক টা পৃথিবীতে সব শুখি দম্পতির মতোই মধুর হোক।
বলুন আমিন,
–আমিন।
–চলুন নামাজ আদায় করে নি।
বর্ষন ছোঁয়াকে একটা শাড়ি দিলো
ছোঁয়া ওজু করে কাপড় পাল্টে বর্ষন এর সাথে নামাজ পড়ে নিলো।।
ছেলেটা বড্ড আজব।
নামাজ শেষে আল্লহর কাছে প্রর্থনা করলো করুন শুরে।
কেয়ামতের পর যদি সে বেহেস্তে যায় তবে যেন হুরের বদলে তাকে ছোঁয়াকে দেওয়া হয়।
কতো মায়া কতো মমতা নিয়ে বর্ষন দোয়া করছে আর ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে শুনছে।
নামাজ শেষ করে বর্ষন ছোঁয়াকে নিয়ে শুয়ে পরলো।
তবে তাদের মধ্যে ছিল অনেক দুরত্ব।।
চলবে

#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-১৪
ছোঁয়ার ঘুম হলো না।
এই রাতটা যেন ভিশন অদ্ভুত ছিল।
সব কিছুই কেমন গোলমেলে।
কিছুই কিছুর সাথে খাপ খায় না।
মনের মাঝে হাজার রকমের প্রশ্ন কিন্তু উত্তর নেই।
কোন উত্তর নেই।
ছোঁয়া ঠিক করেছে যে আর কিছুই সে মাথায় নিবে না।
কারন সে যে কিছুই বুঝতে পারছে না।
ছোঁয়া ফজরের নামাজ পড়ে মন শান্ত করার জন্য প্রান খুলে তার সৃষ্টিকর্তার কাছে কেঁদে প্রর্থনা করে।
সত্যি আজ বড্ড কষ্ট হচ্ছে।
ছোঁয়া সালাম ফিরিয়ে দেখে তার পাশে একটু সামনে বর্ষন নামাজে দাঁড়িয়েছে।
ছোঁয়া কিছুটা অবাক হলো।
কখন এলো উনি।। কিছুই টের পায় নি ছোঁয়া।
ছোঁয়া উঠে হেজাব খুলে জায়নামাজ টা জায়গায় রাখলো।
বর্ষন এর বারান্দায় একটা সুন্দর বেলকনি আছে,
যেখানে হাজার রকমের ফুলের সমাহার।
ছোঁয়র ও ত খুব পছন্দ ফুলের বাগান।
ওর বূড়িতেও ও ত ছিল।
ছোঁয়া হেঁটে বেলকনিতে চলে যায়।
সকালের সূর্য উঠবে উঠবে বলছে।
হালকা মিষ্টি হাওয়া সাথে অপরূপ সৌন্দর্য্যের এই দৃশ্য।
হটাৎ ছোঁয়ার ফোনট বেজে উঠলো।
ফোনের স্ক্রিনে রোদ নামটা ভেসে আসছে,
ছোঁয়া ফোনটা রিসিভ করে,
–আসসালামু আলাইলুম।
–ওয়া আলাইকুম সালাম ছোঁয়া।
–জি ভাইয়া।
–কেমন আছো?
–আলহামদুলিল্লাহ আপনি।
–আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ রেখেছে এক রকম।
–কি হয়েছে ভাইয়া আপনার কন্ঠ এমন শোনায় কেন?
–কি আর হবে বলো তুমি ত সবি জানো।
–আমি ত সবি জানি মানে বুঝলাম না।
–তোমার বান্ধবী আর বর্ষন ভাইয়ার ত বিয়ে ঠিক হয়েছে।
ছোঁয়া কথাটা শুনা মাত্র যেন আকাশ থেকে পরলো।
–মানে!
–মানে।
তুমি কি কিছুই জানো না।
–কি জানবো ভাইয়া।
–তুমি কি ভার্সিটিতে আসবা?
–ভার্সিটিতে আসব ত।
–ওকে এসো তাহলে।
–কিন্তু আপনি কিসের কথা বলছেন।
রোদ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
–নিয়তি গো বোন।
নিয়তি।
রোদ ফোন কেটে দিলো।
ছোঁয়া সেভাবে দাঁড়িয়ে রইলো।
কিছুই বুঝতে পারছে না হলো টা কি ব হচ্ছে টা কি।।
কিন্তু ছোঁয়াকে ভার্সিটি যেতে হবে।
হ্যাঁ যেতে হবে।
ছোঁয়া রুমে এসে দেখতে পেল বর্ষন ল্যাপটপ নিয়ে বসে কাজ করছে।
–একটা কথা বলব.
–হুম বলো।
–আমি কি ভার্সিটি যাবো?
–হ্যাঁ আমি অফিসে জাবার সময় ড্রপ করে দিবো।
–আচ্ছা ধন্যবাদ।
–ধন্যবাদ এর কি আছে।
(ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে)
–না কিছু না।
সকাল ৯ টা,
সকালের নাস্তা শেষ করে বর্ষন ছোঁয়াকে নিয়ে বেরিয়ে গেল।
ছোঁয়া লক্ষ্য করলো বর্ষন এর সামনে দুইটা গাড়ি আর পেছনে দুইটা গাড়ি।
কিন্তু ছোঁয়া জানে না সে কার সাথে বসে আছে।
মানে লোকটা তার স্বামী কিন্তু তার নামটা ছাড়া সে কিছুই জানে না।
ছোঁয়া কে ভার্সিটি পৌঁছে দিয়ে বর্ষন চলে এলো,
ছোঁয়া ভেরতে গিয়ে সোজা ক্যাম্পাসে চলে গেল।
গিয়ে রোদ কে ফেব করলো,
–ভাইয়া।। –
–হ্যাঁ ছোঁয়া।
–আপনি কোথায়।
–আমি আসছি। ওয়েট তুমি কোথায়।
–ক্যাম্পাসে।
–ওহ ওয়েট প্লিজ।
রোদ ফোনটা কেটে দিলো ছোঁয়া একটা কফি অর্ডার করে বসলো।
–ছোঁ
ছোঁয়ার নামের অর্ধেক উচ্চরণ শুনে ছোঁয়া পেছনে তাকালো।
কিন্তু পেছনে তাকিয়ে ছোঁয়া ভিশন অবাক হলো।
বর্ষন দাঁড়িয়ে।
বর্ষন কে দেখে ছোঁয়া চোখ সরিয়ে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসতে গেল।
কিন্তু বর্ষন ছোঁয়াকে আঁটকে নিলো,
–দাঁড়াও ছোঁয়া।
–দেখুন স্যার আমার আপনার সাথে কথা বলার মত সময় নেই।
–ছোঁয়া প্লিজ আমাকে বোঝার চেষ্টা করো।
–সরি স্যার,
এক জন শিক্ষক এর স্টুডেন্ট এর সাথে এমন কথা বলা মানায় না।
–ছোঁয়া আমি পরিস্থিতির শিকার।
–আপনি কি বেকার মিস্টার. বর্ষন?
–মানে?
–মানে আপনি কি বেকার?
–না।
–তাহলে কি করে পরিস্থিতির শিকার হলেন।
আমি কোন দুধের বাচ্চা নই।
আমাকে ক্ষমা করবেন আমি কোন কথা বলতে চাই না আপনার সাথে।
–ছোঁয়া একটু বোঝো।। –
–দেখুন আমার স্বামী আছে আর আমার স্বামীর সাথে আমি শুখি আছি।
–না তুমি শুখি নেই।
বর্ষন ছাড়া ছোঁয়া শুখি না।
–আমার স্বামীর নাম ও বর্ষন।
বর্ষনের সাথেই ছোঁয়া শুখি আছে।
–ছোঁয়া।।
–পথ ছাড়ুন স্যার।
–শিল্পপতি বর্ষন চৌধুরী কে পেয়ে তাহলে এই বর্ষন কে ভুলে গেলে।
ছোঁয়া কিছুই বলল না।
চলে এলো।
কারন সে ত জানে সে নিজে কি।
ছোঁয়া ক্লাস গুলো করে বাইরে এলো,
বর্ষন এসে ওকে নিয়ে গেল।
বাসায় পৌঁছে ছোঁয়া ফ্রেশ হয়ে বসে।
–কিছুই বুঝতে পারছে না।
গোলমাল টা হচ্ছে কোথায়।
ছোঁয়া তার শুধু খালামনি কে ফোন করে,
–হ্যাঁলো শুধু খালামনি।
–হ্যাঁ ছোঁয়া বল মা।
–খালামনি শুনলাম ভাইয়া বিয়ে ঠিক হয়েছে।
–কথা চলছে এখনো কিছু জানি না।
অনিলা বেগমের কথা শুনে ছোঁয়া কনফার্ম হলো আসলে কিছু একটা হচ্ছে যা তার অগোচরে।
আর যা সত্যি ভুল ছিল।
কিন্তু সেটা কি।। ছোঁয়া রোদকে কল করে।
কিন্তু ফোনটা তার মা তুলে,
–আসসালামু আলাইলুম
— ওয়া আলাইকুম সালাম আন্টি ভাইয়া আছে।
–মা সকালে ভার্সিটিতে গিয়ে একটা এক্সিডেন্ট করে তোমার ভাইয়া।
ও ত এখন হসপিটালে।
–কি বলেন আন্টি।।
এবার ছোঁয়ার আরও বেশি সন্দেহ হতে শুরু করে।
কি হচ্ছে চারিপাশে।
–আন্টি কোন হসপিটাল।
–সিটি মেডিকেল।
–ওহ।
আল্লাহ হাফেজ আন্টি।
ছোঁয়া ফোনটা কেটে দিলো,
–কে হসপিটালে ছোঁয়া।
পেছন থেকে হটাৎ বর্ষন এর কন্ঠ পেয়ে ছোঁয়া পেছনে তাকায়।
–আমার একটা ভাইয়া।
–ওহ সিরিয়াস।। —
–আমরা কি তাকে দেখতে যেতে পারি?
–দেখ তুমি চাইলে পারো কিন্তু আমি না।
–কেন?
বর্ষন মৃদু হাসলো।
–বুঝবা না।
আমি গেলে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না।
তুমি যাও গাড়িতে করে ফিরে এসো জলদি।
ছোঁয়ার লোকটাকে বড্ড অবাক লাগে।
কি মিষ্টি করে হাসি দিয়ে সব কথা গুলো বলে তাই না।
কিন্তু মুহুর্তে আবার বর্ষন এর কথা মনে পড়ে যায়।
বিকালে,
ছোঁয়া গাড়িতে করে হসপিটালে আসে,
— এক্সকিউজমি ম্যাম
–ইয়েস ম্যাম মে আই হেল্প উ।
–ইয়াহ রোদ চৌধুরী কোথায় আছেন।
–ওয়েট ম্যাম।
মেয়েটা দেখে বলে,
–১০২ নাম্বার কেবিনে আছে.
–আচ্ছা ধন্যবাদ।
ছোঁয়া রোদের কেবিনে যায়।
রোদের অবস্থা খারাপ।
ছোঁয়া রোদের পাশে বসে।
–ভাইয়া।
–ছোঁয়া।। —
–হ্যাঁ ভাইয়া।
কি বলতে চেয়েছিলেন।
–ছোঁয়া আমার কথা শুনলে তুমি সারা জীবন বর্ষন কে ঘৃণা করবে।
–মানে?
রোদ চোখ বন্ধ করে।
দুই ফোটা পানি গাড়িয়ে পরে চোখের কোন দিয়ে,
চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে