প্রেয়সীর_ছোঁয়া ( পর্ব ২)

0
1145

প্রেয়সীর_ছোঁয়া ( পর্ব ২)
#জামিয়া_পারভীন_তানি

“আমি সত্যিই বেঁচে আছি আদু, এমন করে বলছো যেনো চিনতেই পারছোনা! ” মুখে রহস্যের হাসি।
আদনান সত্যিকারের মাহিরা ভেবে গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
“ তাহলে তুমি মারা গেলে তখন কবর দিয়ে আসলাম কিভাবে? ”
“ ওটা তোমার হ্যালুসিনেশন ছিলো। ”
“ কি সব বলো তুমি পাগলের মতো। ”
“ তো এখন নিজেকে চিমটি কেটে দেখো আমি সত্যিই তোমার সামনে আছি কিনা! ”

আদনানের বিশ্বাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, তবুও বিশ্বাস করে নিলো মাহিরা বেঁচে আছে। মাহিরার হাত ধরে সোফায় বসালো। এরপর মাহিরা নামের মেয়েটি বললো,
“ আমাকে এতো ভালোবাসো! তাহলে মারতে চেয়েছিলে কেনো? ”
“ বিশ্বাস করো মাহিরা, আমি তোমাকে ভুলেও মারতে চাইনি। ”
“ তাহলে রেপ করে হত্যা করতে চাওনি? ”
“ না, আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি তা কি তুমি জানোন! ”
“ হ্যাঁ জানি বলেই জিজ্ঞেস করছি, কিভাবে এসব হয়ে গেলো একটু বলবে? ”

আদনান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
“ তুমি কিভাবে বেঁচে ফিরলে? ”
“ আরে বলোনা! আমাকে যখন তুমি রেপ করে হত্যা করতে গিয়েছিলে তখন তুমি প্রচুর ড্রিংকস করেছিলে, আমাকে খুন করার আগে গলা ছেড়ে দিয়ে তুমি অজ্ঞান হয়ে যাও। যখন নাইলা ছবি তুলে ইন্টারনেট এ ছাড়ে তার কিছুক্ষণ পর আমার জ্ঞান ফিরে আসে। আমি নিজেকে এই অবস্থায় দেখে রাগান্বিত হই। পরে ফেসবুকে এইসব ছবি দেখে নাইলা কেই খুন করে ফেলি। তারপর তোমার উপর প্রতিশোধ নিতে নাইলা কে আমি বলে কবর দেওয়াই। এখন দেখলাম তুমি ভালোই আছো, তাই ফিরে এলাম। ”
আদনান এসব শুনে অতিরিক্ত রেগে যায়, সে রেপের পর খুন করেছে এটা কিভাবে মেনে নিবে সে। মাহিরা নামের মেয়েটিকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বসে।
“ তোমাকে ভালোবাসি বলে যা নয় তা বলতে পারোনা! এই বিশ্বাস নিয়ে আমার কাছে থেকো না। যেদিন পুরো বিশ্বাস করতে পারবে সেদিন এসো। চলে যাও এখন আমার সামনে থেকে। ”
“ জানতাম এমন টাই হবে, বাই দ্যা ওয়ে, ভালো থেকো। ” আদনানের রুম থেকে বের হয়ে আসে আফরা। মাহিরার জমজ বোন।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



৪.
“ তোকে ফিরে আসতে নিষেধ করেছিলাম, তাও ফিরে এলি। তোকে আদনানের সাথে দেখা করতে নিষেধ করেছিলাম, তাও করলি। ওরা আমার মেয়েটাকে হত্যা করেছে, তাও শান্তি পায়নি। টাকা দিয়ে কেস ধামাচাপা দিয়েছে। তুই কি চাস ওরা তোকেও হত্যা করুক। আমার বুক পুরোপুরি খালি করে দিক! ” আফরার উদ্দেশ্যে মেহরাব চৌধুরী কথা গুলো বলেন।
আফরা হাসতে শুরু করে,
“ কি বলছো তুমি বাবা, আমার বোকা বোন টাকে ওরা মেরে ফেলেছে বলে কি আমাকে ও মরতে হবে নাকি? আমি আদনানের থেকে সব বের করেই ছাড়বো দেখো! ”
“ বাদ দে না, কি লাভ ওদের সাথে ঝামেলায় গিয়ে। ”
“ নাদিরার ঠিকানা দাও। ”
“ তুই থামবিনা তাহলে। ”
“ না, তুমি ভালো করেই জানো, আফরা হেরে যাওয়ার মেয়ে নয়। বোন হত্যার বিচার করেই ছাড়বো। ”

মেহরাব চৌধুরী বাধ্য হয়ে নাদিরার ঠিকানা দিয়ে দেয়। আফরা মুচকি হাসে, আদনান আর নাদিরা দুজন কেই শাস্তি দিবে সে। গাড়িতে উঠে, নাদিরার মেসের উদ্দেশ্যে। নিজেকে যতই শক্ত ভাবুক একটা মেয়ে এতো টাও শক্ত হয় না। এটা আফরা ভালো ভাবেই বুঝতে পারছে। আদনানের প্রতি অন্যরকম একটা টান অনুভব করছে আফরা। কোন ছেলের প্রথম স্পর্শ পেলে মেয়েরা বুঝতে পারে সেটা ভালোবাসার নাকি ধোঁকার। আদনানের ছোঁয়া তে খাটি ভালোবাসা ছিলো আফরার বারবার সেটাই মনে হচ্ছে। তাহলে কি দোষী নাদিরা একাই! তাহলে রেপ করলো কে? নাকি আদৌ রেপ হয়নি! নাকি পুরোটা নাইলার কারসাজি! কিছুই মাথায় আসছেনা আফরার।
৫.
নাদিরা ফোনে চ্যাট করছিলো বারান্দায় বসে। এমন সময় আফরা গিয়ে নাদিরার চোখ চেপে ধরে। নাদিরা আফরার হাত দুটো ধরে বুঝতে পারে না কে। আফরা চোখ ছেড়ে দেয়। নাদিরা আফরাকে দেখে যেনো ১০০০ ভোল্টেজের শক খায়। হাত থেকে ফোন পড়ে যায়। তোতলাতে শুরু করে, “ তু… তু.. তুইই”

“ কেনো আসতে পারি না বুঝি!”
“ মরা লাশ হয়ে তুই কিভাবে আসলি? ”
“ আমি তো ভুত হয়ে এসেছি, তুই আমাকে যেভাবে মেরেছিস সেভাবে তোকে মারতে চাই। ”
“ কি যা.. তা বল..ছিস, আমি ই কে.. ন তো.. কে মা.. তে যা. . বো। ”
“ তাহলে তোতলাচ্ছিস কেনো!”
নাদিরা অনেক চমকিয়ে যায়, নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছেনা! সেই একই মুখ, একই চাহুনি। অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যায়।
আফরা নাদিরাকে তুলে চোখে মুখে পানি দেয়। নাদিরার জ্ঞান ফিরেও অবাক হয়ে মাহিরা ভেবে আফরার দিকে তাকিয়ে থাকে। আফরা নাদিরার অবস্থা দেখে বললো,
“ আরে গাধি আমি মরিনি তো। তোরা যাকে আমি ভেবে কবর দিয়েছিস ওটা নাইলা ছিলো। কফিনের মুখ তো তোরা দেখিস নি তাইনা!”

নাদিরা ধড়ফড় করে উঠে বসে। “ সত্যিই তুই বেঁচে আছিস! ”
“হ্যাঁ রে, তোকে আমার আর আদনানের বিয়ের দাওয়াত দিতে এলাম। ”
“ কিহহহ, তোরা আবার বিয়ে করবি! ”
“ হু ”

আফরা উঠে চলে আসে, নাদিরা একটু ভাবুক। সে যদি খুনী হয় তাহলে আবার খুন করতে চাইবে। তখন আফরা খুনী কে নিশ্চিন্তে ধরতে পারবে।
গাড়িতে বসে আদনান কে একটা মেসেজ সেন্ড করে,
“ বিয়ে করবে আমায়! ”
চলবে…..
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে