প্রেয়সীর ছোঁয়া (পর্ব ৮)

0
856

প্রেয়সীর ছোঁয়া (পর্ব ৮)
জামিয়া পারভীন তানি

“ আফরার মাঝে কিছু অনুভব করি! যা মাহিরার দুঃখ ভুলিয়ে দেয়। ও অনেক ভালো একটা মেয়ে, এ কদিনে ওকে বেশ লেগেছে আমার। কিন্তু ও আমার কাছে কেনো আসে জানিনা। হয়তো পছন্দ করে। তবে ও যদি রাজি থাকে তাহলে ওকেই আমি আমার সম্রাজ্ঞী বানাবো। ” আদনান বাবা মাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। এতে আফরোজা চৌধুরী খুশী হলেও সোহরাব চৌধুরীর রাগ বেড়ে যায়।
আফরোজা চৌধুরী দ্রুত ঘর থেকে ঘুরে আসে হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে। প্যাকেট আদনানের হাতে দিয়ে আফরোজা চৌধুরী বললেন,
“ যদি ওকে চাস তাহলে আজই বিয়ে করে নে।

এই প্যাকেট ওর হাতে দিয়ে ওকে রেডি হতে বল। আমি ওর বাবা আর কাজীকে ডাকছি। ”
এতে সোহরাব চৌধুরী রাগ করে বললেন,
“ এই বিয়ে কিছুতেই মেনে নিবো না!”
“ আমার ছেলের সুখের জন্য সব করতে রাজি। যদি তুমি আমাকে না চাও, তাহলে আমি ছেলের হাত ধরে এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবো। ”
“ তুমি বেশ ভালো করেই জানো তোমাকে কতটা ভালোবাসি। তাই ইমোশনাল ব্লাইকমেইল করছো তাইনা! কোথাও যেতে হবেনা, যাও বিয়ের প্রস্তুতি নাও।”
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



আদনান আর আফরোজা চৌধুরীর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। আদনান ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আফরা কে কাঁদতে দেখে আদনান। বুকের সাথে জড়িয়ে নেয় আদনান। আফরার কপালে চুমু দিয়ে বলে,
“ আর কাঁদতে দিবোনা কখনো! ”
“ আর আমার অতীত জানার পর কি করবে?”
“ আমার ও তো একটা অতীত আছে। তো কি হয়েছে বলো!”
“ সত্যি বিয়ে করবে আমায়? ”
আদনান শুধু মুচকি হাসি দেয়। আফরার দিকে প্যাকেট এগিয়ে দেয়। রেডি হতে বলে আফরা কে।
আফরা খুশি হয়ে প্যাকেট টা নিয়ে নেয়।

দুই ভাই না চাইলেও তারা আবার একসাথে হয়। খুব ভালো ভাবেই আফরার সাথে আদনানের বিয়ে ও হয়ে যায়৷ মেহরাব চৌধুরী সব কিছু জেনেও ইগোর জন্য ভাইয়ের সাথে কথা না বলে নিজের বাসায় চলে আসে। এমনকি আফরার সাথে ও কথা বলেনি।

আফরোজা চৌধুরীর বিয়ের শাড়ি ই আফরা কে গিফট করেছিলো আফরোজা চৌধুরী। লাল বেনারসি তে আফরার সৌন্দর্য আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে। আফরোজা চৌধুরী আফরা কে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ হয়তো এটাই ভাগ্যে ছিলো, তুই এই বাড়ির বউ হবি। তাই এতো ঝড়ের পর ও তোকে পেয়েছি। আমাদের ভুল ত্রুটি মাফ করে দিস মা। ”
“ কি যে বলোনা আম্মি, আজ থেকে সত্যিই তুমিই আমার আম্মি। তোমাদের ভালোবাসায় নিজেকে গড়ে নিবো আম্মি। ”
“ দোয়া করি সুখে থাকিস তোরা। ”

আফরোজা চৌধুরী বেরিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর মেইড রিনা ঘরে আসে খাবার নিয়ে। আফরাকে খাইয়ে তারপর যায় রুম থেকে। ঘরোয়া ভাবে বিয়ে তাই কোনো রকম সাজসজ্জা ছাড়াই আজ আদনানের প্রথম রাত। আদনান তবু ছাদে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঘরে যে নতুন বউ এই নিয়ে কোনো ভাবান্তর নেই তার মাঝে। একা একা মাহিরার কথা ভাবছে সে। হঠাৎ করে নিজের মন কে শান্তনা দেয়। মাহিরা কে আল্লাহ তার ভাগ্যে লিখেই রাখেনি, আফরা ছিলো বলেই আফরা কে পেয়েছে জীবন সাথী হিসেবে। ভাগ্য কে মেনে নিয়ে নতুন করে এগিয়ে চলতে হবে তাকে। কারণ আল্লাহ নিজেই কোরআন শরিফে বলেছেন, “ আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮} ”

আদনান নিচে নেমে এসে দেখে আফরা ঘুমিয়ে গেছে। গোল ফর্সা মুখ, গোলাপি শরীরের সাথে লাল শাড়িতে আদনানের ইচ্ছে করে আফরা কে খুব আদর করতে। কিন্তু আফরা কে দেখতে এতোই সুন্দর লাগছে যে আদনান সোফায় বসে আফরার সৌন্দর্য উপভোগ করতে শুরু করে। আফরা শব্দের অর্থ ই সাদা / শুভ্রতা। মেয়েটার নামের সাথে চেহেরার মিল আছে দেখে হেসে উঠে আদনান। আফরা কে এভাবে দেখতে দেখতেই আদনানের চোখে কখন ঘুম চলে আসে বুঝতেই পারে না আদনান। সকালে আদনানের ঘুম ভাঙে আফরার দেওয়া পানি তে।

আফরা রাগী লুকে তাকিয়ে আছে আদনানের দিকে। রাগ দেখে আদনান জিজ্ঞেস করে,
“ কি হয়েছে ডার্লিং? এতো রাগ কেনো? ”
“ নতুন বউ কে ঘরে বসিয়ে রেখে কোথায় গিয়েছিলেন আপনি? আবার জিজ্ঞেস করছেন! যদি মন থেকে মেনে নিতে না পারেন তাহলে কেনো বিয়ে করেছিলেন? ”
আফরা এটা বলেই রাগে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করে।
তখন আদনান এক হ্যাচকা টানে আফরা কে নিজের কোলে তুলে নেয় । আফরা কে ধপ করে বেডে ফেলে দেয় ইচ্ছে করেই। এরপর আফরার হাত দুটো চেপে ধরে আফরার ঠোঁট দুটো নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
কিছুক্ষণ পর আদনান বলে,
“ রাতে আদর করিনি বলে এতো রাগ! এখন সব পুষিয়ে দেবো সোনা! ”
আফরার চেহেরা আরোও লাল হয়ে যায় লজ্জায়।
চলবে….

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে