প্রেমময়ী বর্ষণে তুই পর্ব-০৭

0
1069

#প্রেমময়ী_বর্ষণে_তুই(০৭)
লাবিবা ওয়াহিদ

-“কেন তুই পছন্দ করিস না রায়াফকে?”

-“আমি রায়াফ কেন কোনো সেলিব্রিটিকেই পছন্দ করি না বুঝেছিস?” নিজের লাগেজ গোছাতে গোছাতে বললো আফনা। কলি ভ্রু কুচকে বললো,

-“মানে? কেন?”

-“কারণ, ওদের প্রচুর অহংকার! এরা নিজেদের মানুষ নয় অনেক বড়কিছু মনে করে। এরা সাধারণ মানুষদের মানুষ মনে করে না। অথচ তারা এটা ভুলে যায় সাধারণ মানুষের সাপোর্টেই এরা এতদূর অবধি যায়!”

-“দেখ আফনা, লাউ আর পটল কিন্তু এক জিনিস না!”

-“আর গ্রামীণ ভাষায়, “যেই লাউ হেই কদু”। এখন সর তো, কানের সামনে ঘ্যানঘ্যান করিস না!”

কলি আফনাকে বকতে বকতে নিজের লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে গেলো। আফনার সাথে কলি গ্রামে গেলেও ইরা যেতে পারছে না। সে অলরেডি বেড়াচ্ছে। গ্রামে ইসহাকের বিয়েসহ যাবতীয় অনুষ্ঠান সম্পাদন হবে। আফনার দাদি অর্থাৎ ইসহাকের নানুর এটাই ইচ্ছে। ইসহাকের শ্বশুরবাড়িতে জানালে তারা আপত্তি জানায়নি বরং আরও আগে থেকে রাজি হয়ে বসে আছে। তারাও ইসহাকের কয়েক গ্রাম পরে গিয়ে থাকবে। সেখানেই বিয়ে পরানো হবে। গ্রামের বিয়েতে আলাদা এক্সপারিয়েন্স হবে। এখন সব কাজিনরা না গেলেও আফনার পরিবার এবং কলি ১ সপ্তাহ আগেই যাচ্ছে, ইসহাকদের সাথে।

বৃষ্টি ভেঁজা পথ দিয়ে গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। মিনিটখানেক আগেই বৃষ্টি ছিলো। লোকালয় থেকে গ্রামের রাস্তায় আসতেই বৃষ্টির বেগ পাওয়া গেলো না। বৃষ্টি একেক জায়গায় হচ্ছে তো আবার হচ্ছে না। ফাহান, রায়াফ দুজন দূরত্ব বজায় রেখে বসে আছে। তাদের মাঝে জিনি বসে আড়মোড়া ভাঙছে। সামনে ড্রাইভার একমনে ড্রাইভার করতে ব্যস্ত। নিরবতা ভাঙে ফাহান।

-“আমরা জানিস কোন গ্রামে যাচ্ছি?”

রায়াফ কোনো উত্তর দিলো না, সে আগের মতোই ভাবান্তর হয়ে জানালা ভেদ করে বাহিরে তাকিয়ে আছে। ফাহান রায়াফের ভাবভঙ্গিতে বুঝলো রায়াফ এই যাত্রা নিয়ে বিরক্ত। তাই ফাহান আবারও নিজেই বলে উঠলো,

-“তোর “আনন্দমহল” নামের এতিমখানাটা আছে না? সেই গ্রামেই বিয়ের অনুষ্ঠান।”

এবার রায়াফ চোখদুটো গোল গোল করে ফাহানের দিকে তাকালো। ফাহান চোখ দিয়ে ভরসা দিলো। রায়াফ ফাহানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে ভাবলো,

-“আমার মতো এতিমের জন্য যে এই আনন্দমহলেই ঠাঁই পাওয়া উচিত ছিলো। টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত না হোক, সুখটা তো পেতাম।”

ভেবেই একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রায়াফ। ফাহান রায়াফের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে রায়াফ আসলে কী ভাবছে। অবশেষে হেরে গিয়ে সে অন্যদিকে ফিরলো৷

গ্রামের এক সুন্দর জায়গায় ওরা কিছুক্ষণের জন্য থামলো। ভোর প্রায় ৬টার আগে ওরা রওনা হয়েছে, এখন সকাল ৯টা। এখনো পথ অনেকটাই বাকি। তাই এই লম্বা জার্নিতে কিছুক্ষণেএ জন্য রেস্ট নেয়া দরকার। ফাহান এখানের একটা টঙ আছে সেখান থেকে বন, বিস্কিট, কেক, চা এগুলা আনলো নাস্তা সারার জন্য। জিনিকে একটা বন দেয়ায় সেটা সে খুঁবলে খেতে শুরু করলো। ফাহান এগুলো নিয়ে রায়াফের কাছে গিয়ে বললো,

-“আপাতত এগুলোই খেতে হবে।”

রায়াফ একনজর এগুলোর দিকে তাকিয়ে শুধু চা-টাই নিলো। চা-টা শেষ করে ফাহানকে আবারও কাপটা ধরিয়ে দিলো। ফাহান খাওয়া শেষ করে কাপদুটো আবার ফেরত দিয়ে টাকাটা শোধ করে দেয়। জিনি তার খাওয়া শেষ করে এদিক সেদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। রায়াফ চোখ বুজে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিলো। এই গ্রামগুলোতে যানবাহন, কোলাহলের চিহ্ন থাকে না, তাই হয়তো গ্রামের বায়ু দূষণমুক্ত।কিছুক্ষণ বাদে ওরা আবারও রওনা হলো।

-“আরে তোমরা কোথায়? আমাদের ভিআইপি গেস্টরা তো প্রায় এসে পরলো। তাদের জন্য ভালো খাবার এবং তাদের ভালো থাকার ব্যবস্থা করো!” ইসহাক চেঁচিয়ে সবাইকে বললো। কাঠের সিঁড়ি দিয়ে খটখট শব্দে নিচে নামতে নামতে আফনা বললো,

-“এই ফাজিল! এক কথা এতোবার বলছিস কেন তুই? আমাদের কী কান নেই, একবার বললেই তো শুনি। এতবার বলার কী আছে? আর তুই যেভাবে বলছিস যেন আমরা তোর ওই ভিআইপি গেস্টদের পোকামাকড়ে ভরা বিছানায় শোয়াবো?”

-“দেখ আফনা! আমি মোটেও মজার মুডে নেই। নানুকে বলো তার বাসার দো’তলার দুইটা রুম খুলে সব পরিষ্কার করতে।”

নানু তার লাঠিতে ভর দিয়ে আসতে আসতে বললো,

-“বুড়ি হইলেও আমি ওতোটাও বেক্কল না নানুভাই, তুমি বলার আগেই আমি সব ব্যবস্থা করে আসছি।”

ইসহাক তার নানুকে জড়িয়ে ধরে বলে,

-“এই না হলে আমার বউ? কতো বুদ্ধিমতি!”

-“উহ! একদম দরদ দেখাতে আসবি না। দুদিন পর তো ঠিকই বউ ঘরে তুলবি, তখন মনে ছিলো না এই বুড়ি বউটার কী হবে?”

নানুর কথায় উপস্থিত সকলেই অট্টহাসিতে ফেটে পরলো। ইসহাক লজ্জায় মাথা চুলকাতে লাগলো হাসি থামিয়ে ফুপি বললো,

-“থাক মা, সকালবেলা আমার ছেলেটাকে এসব বলিও না। এমনিই কতো কাজ পরে আছে। এই ছেলে কাজে হাত না লাগালে বিয়েটা করবে কে শুনি?”

-“কেন ফুপি, বিয়ে তো অবশ্যই মোঃ ইসহাকই করবে। সে তুমি বিয়ে দাও বা না দাও।”

-“খুব বেশি পেকেছিস তাই না?” দাঁতে দাঁত চেপে বললো ইসহাক।

-“পাকবো কেন? আমি অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্রী সো ঠ্যালা বুঝতে হবে!”

ইসহাক গিয়ে আফনার মাথায় গাট্টা মেরে বলে,

-“তবে তুই এখনো বাচ্চা। আজীবন আমার কাছে বাচ্চাই থাকবি!”

-“ভাইয়া! আমি মোটেই বাচ্চা না!”

-“আমি বাচ্চা!” আদনান দুজনের মাঝে বলে উঠলো। আবারও সকলে হেসে উঠলো।

১২টার দিকে আদনান চুপি চুপি আফনার কাছে এসে বললো,

-“আপু, রবিন চাচাদের আম বাগানে নাকি প্রচুর আম ধরেছে। গতবারের আমগুলার স্বাদ তো মুখে লেগে আছে। চল আমরা গিয়ে কয়েকটা পেরে আনি!”

-“ভালো বলেছিস তো! গাছ থেকে আম পেরে খাওয়ার মজাই আলাদা!”

-“তাহলে চলো, আমি কলি আপুকে ডেকে আনছি!”.

-“ওই না। কলিকে কিছু বলতে যাস না, ওরে বললে আমের “আ” টাও পারতে পারবো না!”

-“ঠিক আছে তাহলে তুমি আমি যাই!”

বলেই দুই ভাই-বোন সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে গেলো। কাঠফাঁটা রোদে দুজন দৌড়ে আমবাগানের দিকে চলে গেলো। আম আনতে গিয়ে এক গাড়ি তাদের উপর ধুলো ছড়িয়ে দিয়ে গেলো। ধুলো-বালি আফনা মোটেই সহ্য করতে পারে না, তার উপর চোখে মুখে ধুলো বালি ভরে যায়। আফনা কিছুক্ষণ কেশে চোখদুটো কচলে নেয়। অতঃপর রেগে সামনে তাকিয়ে থাকে!

-“চোখে দেখিস না শালা! কাশতে কাশতে দম বেরিয়ে গেলো আমার। সামনে তোদের একবার পাই গাড়ি নিয়ে ফুটানিগিরি বের করে দিবো! যত্তসব গাধার দল!”

-“আপু, ওদের বকে লাভ নেই, আমরা এসেছি-ই ভুল রাস্তায়!”

-“তুই চুপ কর! আমরা ঠিক রাস্তা দিয়েই এসেছি। আর গাড়ি এতো জোরে টান দেয়ার কী আছে হ্যাঁ? আশেপাশের মানুষ দেখে না নাকি তাদের অকাল পরেছে? বিরক্তিকর!”

বলেই হনহন করে সামনের দিকে যেতে লাগলো আফনা। আফনার পিছে আদনানও ছুটলো। সৌভাগ্যবশত বাগানের গেট খোলা, তাই আফনাদের আর দেয়াল টপকাতে হলো না। নাচতে নাচতে ভেতরে গিয়ে দেখলো আরও কিছু বাচ্চারা গাছ থেকে আম পারছে৷ আদনান একটা ছেলের সাথে গিয়ে ভাব করতেই ছেলেটি ওদের হয়ে ৪টি আম পেরে দিলো। আমগুলো আফনা এবং আদনান হাতে নিতেই একটা বাচ্চা ছেলে বলে উঠলো,

-“পালা, পালা! রবিন চাচা তার লাঠি নিয়া এদিকেই আইতাসে!”

ছেলেটির বলতে দেরী কিন্তু সকলের পালাতে দেরী নেই। যে যেদিকে পারছে সেদিক দিয়ে পালালো। আদনান এবং আফনা গেট দিয়ে ভোঁ দৌড়। কিছুটা দূরে এসে দুজনে হাঁপাতে লাগলো। আফনা হেসে বলে,

-“আম খাওয়ার তৃষ্ণা পেয়েছে রে আদু!”

তখনই দূরে দেখলো সেই বাচ্চাগুলো যাচ্ছে। আফনা আদনানের উদ্দেশ্যে বললো,

-“আদনান চল ওদের সাথে পরিচিত হই। এই বাচ্চাগুলার জন্যই আমরা আম আনতে সক্ষম পেরেছি!”

আদনান মাথা নাড়ায়। অতঃপর দুই ভাই-বোনই বাচ্চাগুলোর দিকে চলে গেলো।

-“কী বাচ্চারা বাসায় ফেরা হচ্ছে বুঝি?”

একটা মেয়ে বললো,”হ্যাঁ গো বুবু!”

-“চলো আমরাও তোমাদের সাথে যাই, একসাথে আম খাবো!”

বাচ্চাগুলো খুশিতে মাথা নাড়ালো। আফনা এবং আদনান মিলে বাচ্চাগুলোর সাথে বকবক করতে করতে ওদের বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে গেলো। ২ মিনিট বাদে তারা এক জায়গায় আসলো। বাচ্চা মেয়েটা বললো,

-“এটাই আমাগো ঘর!”

আদনান এবং আফনা অবাক চোখে গেটের উপরের বড় বড় অক্ষরগুলো পড়লো। “আনন্দমহল এতিমখানা”! বাচ্চাগুলো খুশিতে হাসতে হাসতে ভেতরে চলে গেলো। আফনা মুগ্ধ হয়ে বাচ্চাগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগে,

-“এই বাচ্চাগুলো মা-বাবা হারা, তাও কতটা সুখী। বাস্তবতা যে ওরা আমাদের থেকে বেশি চিনে।”

আশেপাশে তাকিয়ে আফনা দেখলো বেশ গোছালো এবং সুন্দর পরিবেশ। বাহিরের সজ্জাকরণ এতো সুন্দর না জানি ভেতরটা কতো সুন্দর? ভাবতে আফনা ভেতরে প্রবেশ করবে তখনই দেখলো এতিমখানার পাশে একজন মহিলা বসে আছে। আদনান আগেই ভেতরে ঢুকে গেছে। মহিলাটি আফনাকে ডাকছে। আফনার তার প্রতি মায়া হলো, তাই সে কিছুটা এগিয়ে বলো। মহিলাটি তার মুখ যথাসম্ভব ঢাকার চেষ্টা করে মিনুতি সুরে বললো,

-“কিছু খাবার আছে মা? আজ এতিমখানা থেকে কেউ কিছু খাওয়ায়নি!”

আফনা চরম অবাক হলো মহিলার কথাবার্তায়। গ্রামে থেকে কী স্পষ্ট তার চরণধ্বনি, কন্ঠতেও কেমন ক্লান্তি ভাবটা আছে। আফনা দেরী না করে তার হাতে থাকা তিনটা আমই মহিলাকে দিয়ে দিলো এবং বললো,

-“আমার কাছে এটুকুই আছে। আপনি খেয়ে নিন আমি ভেতর থেকে পানি আনার ব্যবস্থা করছি।”

মহিলাটি তার কাঁপা কাঁপা হাতে আমগুলো দেখতে লাগলো আর আফনা ভেতরে গিয়ে পানি নিতে চলে গেলো।

-“আচ্ছা তুই তোর বন্ধুকে বলেছিস আমার কথা?”

-“হ্যাঁ! ওকে বারণ করেছি যেন তোর বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে।”

রায়াফ যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস এবং মাথায় ক্যাপ দিয়ে গাড়ি থেকে নামলো। ইসহাক অলরেডি ওদের রিসিভ করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ইসহাক ওদের লাগেজ নিয়ে ভেতরে যেতে বলে চলে গেলো। ফাহান যখনই রায়াফকে নিয়ে ভেতরে যাবে তখনই রায়াফ বলে উঠলো,

-“আমি আগে এতিমখানায় যাবো, তারপর ফিরবো!”

-“ঠিক আছে। তুই এগো আমি জিনি আর লাগেজ ড্রাইভারকে বুঝিয়ে আসছি!”

রায়াফ কিছু না বলে মাথা নাড়ায় এবং সামনে এগোতে থাকে। আফনা পানির বোতল এনে দেখলো মহিলা নেই! এমা! মহিলা কোথায় চলে গেলো? এরকম আকাশ পাতাল ভাবতেই গিয়েই যোহরের ধ্বনি কানে এলো। আফনা চোখ বড়বড় করে আদনানকে নিয়ে এবং সকলকে বিদায় জানিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। ওরা বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই রায়াফ এতিমখানাহ প্রবেশ করলো। কেউ একজন দূর করে মুখে শাল গুজে একপলক রায়াফকে দেখে চলে গেলো।

আফনা বাসায় যাওয়ার সময় একটা গাড়ি দেখলো এবং সেটি দেখে চিনতেও পারলো এটি কোন গাড়ি। আফনা মিনিটখানেকের মতো চিন্তা করে আদনানকে থামিয়ে বললো,

-“দেখ, দেখ এটা সেই গাড়ি না যেটার ধুলো উড়ানোর খুব কারেন্ট!”

-“হয়তো! কেন?”

-“আরে বুঝিস না, আমাদের শোধ নেয়ার সময় এসেছে। যে বা যারা একাজ করেছে তাদের শাস্তি না দিতে পারি কিন্তু গাড়িটাকে তো হাতছাড়া করা যায় না!”

বলেই তার চুল থেকে একটা ক্লিপ খুলে গাড়ির পেছনের চাকার টায়ার পাঞ্চার করে দিলো। অতঃপর দুই হাত ঝেড়ে ভিলেনি হাসি দিয়ে উঠে দাঁড়ালো এবকং আদনানকে উদ্দেশ্য করে বললো,

-“প্রতিশোধ নেয়া ডান! এখন চল, হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরি!”

বাসায় ফিরতেই আদনান এবং আফনা আরেক দফা বকা শুনলো তাদের মহামান্য আম্মুর কাছে।
আফনা গোসল সেরে বাড়িতে ঢুকতেই ইসহাক একটা ঝাড়ু আফনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,

-“মামী বলেছে গেস্টদের রুম ঝেড়ে আসতে। এখন জলদি যা, গেস্ট একজায়গায় গিয়েছে, কিছুক্ষ্ণের মধ্যেই চলে আসবে!!”

~চলবে।

বিঃদ্রঃ গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে