প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি পার্ট-০৪

0
1399

?প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি?
লেখিকাঃ ?হ্যাপী?
পার্টঃ ০৪

সকালে,,
খাবার টেবিলে হ্যাপী আজ থেকে তুই একা কলেজে যেতে পারবি,,আসলে অফিসে অনেক কাজ,,
–আমি তো একাই যেতে পারি তুমিই তো শুধু শুধু নিয়ে যাও,,কোনো চিন্তা করো না আমি একা কলেজে যেতে পারবো,,বাবা তুমি কী কোনো বিষয় নিয়ে টেনশনে আছো,,
খুব বড় একটা ডিল নিছি রে মা,,,লাভ হলে অনেক উপরে উঠে যাবো,,,
বেশি লোভ করা ভালো না,,তোদের বাবাকে বলে দে,,এখন কী আমরা খারাপ আছি,,তাহলে এই বয়সে এতো চাপ নেওয়ার ধরকার কী
বাবা মা কিন্তু ঠিক বলছে,,আর আমাদের ব্যবসা তো ভালোই যাচ্ছে
তুমি কতোদিন ধরে অফিসে যাও,,এখনো তোমার অনেক কিছু শেখার বাকি আছে,,, আর তুমি আমার ছেলে মেয়ের মাথা নষ্ট করো না তো,,জীবনে অনেক টাকার প্রয়োজন,,,
ও এখন আর আমাকে ধরকার নাই ঠিক আছে আমি চলে যাবো??
মা থামতো বাবা যা করছে হয়তো ভেবেই করছে,,আমার লেট হয়ে যাচ্ছে আমি গেলাম
————–
কীরে আজ তোর ভাইয়া আসেনি তোকে ছাড়তে
না,,ভাইয়ার নাকি কাজ আছে,,কী খবর আজ আমার ভাইয়ের খবর নেওয়া হচ্ছে,, মিস করছো বুঝি জানু
আরে না,,(আমি জানি আমার সাথে রাগ করেই আসে নি,,,না আসলে আমার কী)
কী রে কী হলো কী ভাবছিস,,
কিছু না চল ক্লাসে যায়,,,
হায় ইমু হ্যাপী,,,
হায় চলো ক্লাসে যাই,,
কাল স্যার তোমাকে কিছু বলছে
না কি বলবে(কালকের কথা মনে পরতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো)
কিরে চল,,হুম চল
ক্লাসে স্যার আসছে আজ একবার আমার দিকে তাকালো না,,,কিন্তু স্যারের চোখ দুটো ফুলে আছে মনে হয় অনেকক্ষণ কান্না করছে,,যা ইচ্ছে করুক আমার কী,,,স্যার ক্লাস শেষ করে চলে গেলো,,আজ আর আড্ডা দিলাম না,,আমার মনটা তেমন ভালো নেই ঐদিকে ইমুর মনটা মনে হলো খারাপ,,তাই বাসায় চলে এলাম,,
আজ কল দিলো না,,কাল কী এমন বললাম আমি,,,,,হ্যালো কি করিস
নামায পড়লাম এখন শুয়ে আছি,, তুই আমিও তারপর কিছুক্ষণ কথা বলে ঘুমিয়ে পড়লাম
,,,,, ৷,
হ্যাপী তুমি কী কোনোদিন আমার ভালোবাসা বুঝতে পারবে না,,,কিছুই ভালো লাগছে না,,,
এই রাগ অভিমান নিয়েই দুটো বছর শেষ কেউ কারো রাগ কমাতে পারে নি,,,এইদিকে ইএসএসসি পরীক্ষা ও শেষ,,,এর মাঝে অয়ন আর হ্যাপীকে কল দেয় নি,,,

অয়ন তুমি বিদেশে কতোদিনের জন্য যাবে
বাবা দু’মাস,,, বিদেশে হসপিটালের কাজে যাবো,,কাল সকালেই ফ্লাইট এসেই আমি হ্যাপীকে এইবাড়িতে আনার ব্যবস্তা করবো
তুমি যা ভালো মনে করো,,আমার ঘরের লক্ষি যত তাড়াতাড়ি আনবে তাহলেই আমি খুশি হবো,,অনেক রাত হয়েছে যাও সব প্যাকিং করে নাও,,,হ্যাপী তোমাকে ছাড়া এই দুমাস থাকতে আমার খুব কষ্ট হবে,,আমি এসেই তোমাকে আমার করে নিবো,,,i love u happy,,,i really miss u happy…(মনে মনে)

ইমু কি করিস,, তোদের বাসায় কয়েকদিন থাকা যাবে আম্মু আব্বু কাল বিদেশে যাবে কিছু দিনের জন্য
তুই যতদিন ইচ্ছে আমাদের বাসায় থাকতে পারবি,,,কাল সকালে চলে আসবি,,ওকে
ঠিক আছে

এই দুই বছরে একবার ও কল আসলো না,,,আমি ঐরাতে খুব খারাপ ব্যবহার করছি,,কেনো নিজের ভিতরে শূন্যতা লাগছে,,,কেনো এই দুবছর প্রতি রাতে কলের আসায় থাকি,,আর কিছুই ভাবতে পারছি না,, ৷
সকালে
আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন
ভালো মা আসো ভিতরে আসো,,হ্যাপী আমাকে সব বলেছে,,তুমি কী আমাদের কাছে হ্যাপীর থেকে আলাদা,,
বাসায় কেউ নেই আন্টি(চোখ দুটি শুধু শাহীন কে খুঁজছ)
না মা,তোমার আংকেল আর শাহীন অফিসে গেছে হ্যাপী রুমে আছে, তুমি ফ্রেস হয়ে আসো আমি তেমাদের খাবার দিচ্ছি
ওকে আন্টি,,,, সারাদিন দুজনে গল্প করেই কাটিয়ে দিলাম
ঐ দিকে অয়ন হ্যাপী কে রেখে বিদেশে পাড়ি দিতে চলে গেছে
রাতে
তুমি এখন আমার রুমে
কেনো আসতে পারি না,,আর আমি কিছুদিন আপনাদের বাসায় থাকবো,,
থাকো বাট আমার রুমে কী দরকার
কেনো এটা শুধু আপনার রুম আমার রুম না বলেই জিহ্বায় কামর দিলো
পেছন থেকে কি বললে তুমি,,
কিছু না আমি যাই(লজ্জা পেয়ে)
হাত ধরে এক টানে নিজের বিকের মাঝে নিয়ে এলো,,
কি করছেন কেউ দেখলে কী ভাববে
কেউ কিছু ভাববে না,,তাহলে আমার এতো দিনে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো
জানি না বলেই লজ্জায় শাহীনের বুকে মুখ লুকালাম,,,শাহীন ও পরম আদরে আমাকে জরিয়ে ধরে আছে,,,
এইজন্যই তো বলি সারাদিন এতো ছটপট কারার কারন কী,,রাত হতেই এতো সেজেগুজে ভাইয়ার রুমে গুড়াগুড়ির কারন কী,,আমার ভাইয়ার বুকে মাথা রাখার জন্য বুঝি,,আম্মুকে বলে সারাজীবনের জন্য ভাইয়ার বুকে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে,,বলেই হাসতে হাসতে চলে আসলাম
লজ্জায় এবার কথায় আসছে না মুখে, আর লজ্জা পেতে হবে রাতে ডিনার করে ছাদে যাবে,,আজ সারা রাত দুজনে আাকাশের তারা দেখবো,,বলেই কপালে কিস করলাম,,যাও আমি ফ্রেস হয়ে আসছি
রাতে ডিনারের পর ছাদে দোলনায় আমার কোলে মাথা রেখে শাহীন শুয়ে আছে,,অন্যরকম এক অনুভূতি,, এটাই কী ?প্রথম ভালোবাসার অনুভূতি ? কোমর জরিয়ে ধরে কী ভাবছো ইমু,,,আমার না এখনো বিস্বাস হচ্ছে না,,আমি তোমাকে পেয়েছি
সারারাত দুজনে গল্প করেই কাটিয়ে দিলো,,,
এদিকে আজ হ্যাপীর কিছুই ভালো লাগছে না,,আর না ভেবে সেই নাম্বারে কল দিলো কিন্তু ফোন অফ(পাবে কী ভাবে অয়ন তো বিদেশে)
দিনগুলো ভলোই কাটছিলো
একদিন
ইমু আজ এই সারি টা পরে রাতে ছাদে আসবে,,,তোমাকে সারি পড়ানো অবস্থায় দেখতে খুব ইচ্ছে করছে
কিছুটা লজ্জা পেয়ে সারি নিয়ে রুমে চলে গেলো ইমু,,
রাতে সারি পরে খুব সুন্দর করে সেজেগুজে ছাদে গিয়ে কাউকে পেলাম না,,হঠাৎ কেউ পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘারে মুখ গুঁজে দিলো,,দুজনেই যেনো একটা ঘোরের মধ্যে ডুবে গেলাম,,শাহীন আস্তে আস্তে আমার ঠোঁট দুটি দখল করে নিলো,,আমি শাহীনের শার্ট খামছে ধরলাম,,,,অনেকক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরছে,,
পেছন থেকে কেউ জোরে চেচিয়ে বলে উঠলো শাহীন
আমরা দুজনেই পিছনে তাকিয়ে,,
তুমি(শাহীন ভয়ে)
চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে