প্রথমদেখায়ভালোবাসা পর্ব_০৩

0
3418

প্রথমদেখায়ভালোবাসা পর্ব_০৩
লেখা-jannatul ferdous.

রাগিনী যেতেই শুভ এসে বললো—-
ভাইয়া যে মেয়ে কাউকে ভয় পেতো না সেই মেয়ে আপনাকে দেখলেই পালাই।সত্যিই ভাবা যায় না।

রোদ-হুমম।শুনলাম শুভ্রের জন্য মেয়ে দেখতে যাবে?

শুভ-হুমম আজকে বিকেলে।

রোদ-আচ্ছা ঠিক আছে।আসি তাহলে।

শুভ-ঠিক আছে ভাইয়া।

রশ্মি-ওই ছেলেটা কে রে শুভ।

শুভ-রোদ ভাইয়া,শুভ্র ভাইয়ার ফ্রেন্ড।

রশ্মি-দেখতে খুব স্মার্ট,হ্যান্ডসাম.

শুভ-আর কিছু বলিস না।ও রাগিনীকে ভালোবাসে।

রশ্মি-ভালোবাসুক আমি তো শুধু ক্রাশ খাইছি।

শুভ-ক্রাশ কখন তোর বাঁশ হয়ে যায় তাও দেখিস।

রশ্মি-দূর আজকে ১২০ বার কানে ধরেও তোর শিক্ষা হয় নাই?

শুভ-ওই দিন যে তোকে ওই রাগিনীর বাচ্চা ছাদে রোদে দাঁড় করাই রাখছিলো ওর চকলেট খেয়ে নেওয়ার জন্য তা কী আমি দেখি নাই?

রশ্মি-দূর.

সূর্য-আমার উপরে তো ক্রাশ খেতে পারো,এত খারাপ না কিন্তু।

রশ্মি সূর্যের দিকে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

শুভ-সূর্য ভাইয়া কেমন আছো?

সূর্য-ভালো তুমি কেমন আছো?

শুভ-দেখো ভাইয়া ওই গুন্ডি ১২০বার কান ধরাইছে তাও একটা অভিনয় করতে পারি নি তাই।

সূর্য-তুই ওর জুনিয়র তাই তোকে দিয়েই এসব কাজ করাই হাহাহা।

শুভ-হুম মান সম্মান রাখলো না আমার।আমার উপরেও তো অনেক মেয়ে ক্রাশ খায় নাকি।আর ও আমার প্রেম করার চান্স পুরা শেষ করে দিলো।

সূর্য-আরে রাগিনী তো কয়দিন পরেই জামাইর বাড়ি তখন তো একমাত্র তুই থাকবি ভার্সিটিতে রাগিনীর জায়গা নিয়ে নিবি।

শুভ-এই গুন্ডিকে বিয়ে করবে কে?

সূর্য-রোদ তো ওর পিছনে ঘুরতাছে।আমি সব খবর রাখি।

শুভ-তুমিও তো রশ্মির পিছনে ঘুরতেছো।

সূর্য-হুমম প্রথম দেখায় পুরো মনটাকে দখল করে নিলো।এসব বাদ দে।আচ্ছা বাসায় যাবি?

শুভ-হুম চলে যাবো ভাবছি।

সূর্য-ওকে চল।

সূর্য আর শুভ বের হয়ে গেলো ভার্সিটি থেকে।বিকেলে রোদ,শুভ আর শুভ্র একসাথে শুভ্রের জন্য মেয়ে দেখতে গেলো।

রাগিনী-আমি বলছি তো আমি বিয়ে করবো না।তাই আমি ওদের সামনেও যাবো না।

রাগিনীর মা-আরে গেলেই কী বিয়ে হয়ে যাবে নাকি,চল আমার সাথে।

রাগিনী-উফফ এই শাড়ি অসহ্যকর।

রাগিনীর বাবা-আদরে বাদর তৈরী করছি একটা।রিত্ত ওকে নিয়ে ৫মিনিটের মধ্যে ড্রয়িংরুমে আয়,ছেলে আর তার বন্ধু দেখতে আসছে।

রাগিনী-ওই বলে দে আব্বুকে আমি যাবো না।

রিত্ত-আব্বু আপু বলছে….

রাগিনীর বাবা-শুনছি।ওকে বল চুপচাপ আসতে,না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।

রিত্ত-আপু আব্বু বলছে…..

রাগিনী-আরে দূর হারামি শুনছি আমি।

রিত্ত-কথা না বলে চলো তো।

রাগিনীর মা-চল মা।তোর চিল্লানি দেখে এমনিতেই ওরা তোকে বিয়ে করবে না।

রাগিনী-ঠিক আছে যাচ্ছি।

উঠতে গিয়েই শাড়ি পেচিয়ে পড়ে গেলো রাগিনী।

রাগিনী-আহহহহ এই দজ্জাল মা আর বোনের জন্য এইসব হচ্ছে।কে বলছে আমাকে শাড়ি পড়াতে।??

রিত্ত-উঠ আপু।

রাগিনী-ধরবি না আমি উঠতে পারি।

রিত্ত-সারাদিন এই রাগ ছাড়া কী দেখাতে পারোছ?তোর ভাগ্যেও জুটবে দেখিস এরকম-ই একটা।এখন রাগ দেখাছ,তখন রাগ দেখালে মাইর খাবি।

রাগিনী-তোরে আমারে নিয়ে ভাবতে হবে না।

রাগিনীর মা-কথা কম চল এখন।

সামনে যেতেই রোদকে দেখে চমকে উঠলো রাগিনী।

রাগিনী-ওরে হনুমানের বাচ্চা আজকে তোরে পাইছি।তোরে আজকে আমি……

রাগিনীর বাবা-মা রে দয়া করে চুপ কর।ওরা পাত্রপক্ষ।

রাগিনী-আমি এই হনুমানকে বিয়ে করবো না।

রাগিনীর বাবা-ও না ওই যে নিছের দিকে তাকিয়ে আছে ও হচ্ছে ছেলে।

রাগিনী-(শালা দেখি লজ্জাবতী লতা।বিয়ের সাধ তোর মিটাবো)–মনে মনে।
এই যে মুখটা তুলুন আপনাকে একবার দেখতে চাই।

শুভ-রাগিনী

রাগিনী-ওরে হারামি তুইও এখানে।

শুভ-এটা আমার ভাইয়া।

রাগিনী-তাইলে এখানে কী করে উনি। বড় ভাইয়া আপনি ভালো আছেন তো?

শুভ্র-জ্বি ভালো আছি কিন্তু আমি তোমার বড় ভাই!!??

রাগিনী-শুভ তো আমার জুনিয়র ভাই আর আপনি শুভর ভাই মানে সিনিয়র ভাই তাই না ভাইয়া।

রোদ-হুম একদম ঠিক বলছে রাগিনী।তুই ওর বড় ভাইয়ার মত,চল এবার।

শুভ-আম্মু বলে দিয়েছে আংটি পড়িয়ে যেতে।

রোদ-আরে কিসের আংটি,চল তো।

রোদ শুভ্রকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।

রাগিনী-ওই হারামি।

শুভ-আমি জানতাম না ভাইয়া এখানে আসবে।বিশ্বাস কর আমার কোনো দোষ নেই।

রাগিনী-আমি তোর ১বছরের সিনিয়র তারপরেও তোকে কত্ত ভালো ফ্রেন্ড বানাইছি আর তুই বাঁশ দেস আমারে।

শুভ-আরে ভাইয়া আমার থেকে মাত্র ৪বছরের বড় অনেক ভালো মানাবে।তুই রাজি হয়ে যা প্লিজ।

রাগিনী-আজকে তোরে আমি দেখে নিমু।১২০বারে শিক্ষা হয় নাই তাই না?

রাগিনীর মা-১২০বার মানে?

রাগিনী-তোমার রাগী মেয়ে আমারে ১২০বার কান ধরে উঠবস করাইছে।

রিত্ত-আহারে এত কম কেনো হলো আজকে।

রাগিনী-ওই হনুমানের জন্য।

রোদ-আমার কথা বলছো?

রাগিনী-শয়তানের নাম না নিতেই শয়তান হাজির।

রোদ রাগিনীর সামনে এসে দাঁড়ালো………

চলবে..✌✌

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে