পিতৃত্ব

0
3787
-শাতিল রাফিয়া তার সাথে আমার সংসার জীবন মাত্র দেড় বছরের! এরপর সে বিয়েটা ভেঙে দেয়! তার নিজের ইচ্ছায় আমাদের ডিভোর্স হয়ে যায়! আমি আজও জানি না আমার কি এমন অপরাধ ছিল যার জন্য ডিভোর্স দিয়ে দিতে হল! সালটা উনিশশো চুরানব্বই। দিনটা ছিল একুশ ডিসেম্বর। এই বিশ বছর বয়সী আমি মানে রিনা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়েছিল আমার চেয়ে দশ বছরের বড় রায়হান আহমেদের। বিয়ের রাতে তার প্রথম কথাটাই ছিল- শোন আমি কিন্তু অনেক রাগী। আমার রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না। তাই আমার রাগ উঠলে আমার আশেপাশে থাকবেনা। আর আমি রেগে যাই এরকম কাজ করবে না, বুঝেছ?
আমি খুব ধীরে ধীরে ভয়ে ভয়ে মাথা নেড়েছিলাম। – তোমার কোন পছন্দ ছিল বিয়ের আগে? – না তো! – তবে জামশেদ নামের একজনের কথা যে শুনলাম? – জামশেদ ভাই কলেজে আমার সিনিয়র ছিল। আমাকে পছন্দ করত। কিন্তু আমি করতাম না! ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম- আপনি কি করে জানলেন? – জামশেদ আমার বন্ধুর ছোটভাই। – আপনার মনে কি আমাকে নিয়ে সন্দেহ আছে? প্রশ্নটা শুনে সে হেসে দিয়েছিল! তার সেই হাসি আমার হৃদয়ে গিয়ে আঘাত করে! হাসলে তার চেহারা পুরো বদলে যায়! হেসেই সে উত্তর দিল – না! নেই! তবে বিশ্বাস যখন করেছি তখন তার মর্যাদাও রেখ! দিন গড়িয়ে যায়। প্রথম যে কথাটা বলেছিল ‘সে অনেক রাগী’- কথাটা আসলেই সত্যি! একদিন তার বোন দুষ্টুমির ছলেই তাকে খাওয়ার টেবিলে বলেছিল- ভাইয়া তোমাকে আজ মাংকি ক্যাপে আসলেই বানরের মত লাগছে! সে হঠাৎ প্লেট উল্টে ফেলে দিয়ে চিৎকার করে বলে- বলেছিনা চেহারা নিয়ে দুষ্টামি করবি না? এরপর রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল! ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হতবাক হয়ে গেলাম! পরে তাকে বোঝাতে গেলে আমাকেও বকা দিল- ননদের জন্য এত টান? তার মানে আসলেই আমি বানরের মত? কেন বিয়ে করেছ আমাকে? আর কেনই বা আছ? যাও! এক্ষুনি চলে যাও আমাকে ছেড়ে। আমি রাতে কান্নাকাটি করলে সে নিজেই এসে চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে- কষ্ট পেয়েছ? কি করব বল? আমার রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না! একবার তার বন্ধুর বাসায় দাওয়াতে সে আমাকে লাল একটা শাড়ি পরতে বলেছিল। আমার লাল শাড়িটায় মাড় দেয়া ছিল না বলে পরিনি। নীল একটা শাড়ি পরেছিলাম! সে রাগ হয়ে আমার লাল শাড়িটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলল! চিৎকার করে বলল- লালটা যখন পছন্দই না তখন রেখে লাভ কি? সে সবসময় চাইত সে যখন অফিস থেকে ফিরবে আমি যেন সেজেগুজে টিপটপ থাকি। আমি তাই থাকতাম। কিন্তু আমার বান্ধবী সুমিতার মা মারা গেছে হঠাৎ। মাসীমা আমাকেও সুমিতার চেয়ে কম আদর করেননি। সুমিতার সাথে সেই নিয়েই কথা বলছিলাম। সেদিন সে একটু আগেই এসেছে। তাকে খেয়াল না করে আমি বান্ধবীর সাথে গল্পে মগ্ন সেটা দেখেই তার মাথায় আগুন ধরে গেল! আমি কথা বলা অবস্থাতেই টেলিফোনটা ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে ফেলল! মাঝেমধ্যে খুব ইচ্ছা করত তাকে ছেড়ে চলে যাই! কিন্তু তার মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলাম। উনিশশো পঁচানব্বই সালে এভাবে ছেড়ে চলে আসাটা খুব কঠিন ছিল! আর তার চেয়েও বড় কথা আমি তো তার মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলাম! তাকে ভালবেসেছিলাম! রাগ না উঠলে সে তো খুব ভালমানুষ! একদিন রাতে ঘুম ভেঙে দেখি সে অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে! অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- ঘুমাওনি? হেসে বলল – ঘুমিয়েছিলাম কিন্তু ভেঙে গেছে। আর আমার ঘুম ভেঙে গেলে আমি তোমাকেই দেখি!
আমার জন্মদিনের দিন সকালবেলা আমার জন্য চা বানিয়ে এনে একগুচ্ছ লাল গোলাপ আর একটা সরিষা হলুদ কাতান শাড়ি উপহার দিল! তার আগেরদিনই সে ফোন ভেঙে ফেলেছিল! আমাকে বলল- স্যরি! গতকাল খুব বাড়াবাড়ি করেছি! গিফট পছন্দ হয়েছে? আমি হেসে মাথা নেড়ে বললাম- হয়েছে। আজ তো আমার জন্মদিন! একটা কথা রাখবে? – বল! – তুমি প্লিজ রাগটা কমাও! তোমার রাগী চেহারা আমি আর চাইনা! আমি জানি তুমি আমায় অনেক অনেক ভালবাস। প্লিজ রাগ করোনা। সে মাথা নেড়ে বলেছিল- আমি চেষ্টা করব! কিন্তু সে কি এমন চেষ্টা করেছিল আমি জানি না। বরং তার তিন মাসের মাথায় আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেল! বেশ ক’দিন ধরে তাকে মনমরা দেখছিলাম। অনেকবার জিজ্ঞেস করেও কোনো লাভ হয়নি। সেদিন বাসায় হঠাৎই জামশেদ ভাই এল। রায়হান তার বন্ধুর কাছে কি যেন কাগজ চেয়েছে, সেটা দিতে সে জামশেদ ভাইকে পাঠিয়েছে। আমি তাকে দেখে হাসিমুখে বললাম- জামশেদ ভাই! কেমন আছেন? ভেতরে আসেন। জামশেদ ভাই বললেন – না রিনা। আরেকদিন। পেছন থেকে রায়হান থমথমে কণ্ঠে বললো – যাবে কেন? এসো। তোমার বান্ধবী কেমন আছে দেখে যাও! আমি আর জামশেদ ভাই দুইজনেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম! জামশেদ ভাই বললেন – মানে? ভাইয়া আমি তো এই কাগজগুলো আপনাকে দিতে এসেছি! – তোমার গার্লফ্রেন্ড ছিল তো! আমি বললাম – কি বলছ এসব? – কেন? তুমি বলেছিলে না ও তোমাকে ভালবাসত? জামশেদ ভাই বললেন – সেটা তো অনেক পুরনো কথা ভাই! সেই কলেজে পড়ার সময়! – আজ এতদিন পর পুরনো প্রেম জেগে উঠেছে? কি হাসাহাসিটাই না করছিলে! আমি আর পারলাম না! কঠিন গলায় বললাম- একদম চুপ করবে। জামশেদ ভাই আপনি এই মুহূর্তে চলে যান। জামশেদ ভাই গেলে আমি দরজা লাগিয়ে তাকে কড়া গলায় বললাম- মাথা ঠিক আছে? কি বলছিলে এগুলো? – আমি তো কিছু ভুল বলিনি! তোমার হাসাহাসি দেখে মনে হচ্ছিল কি একটা মানুষকে পেয়ে গেছ! এই হাসি তো আমার সাথে আসে না! – অনেকদিন পর দেখা হয়েছে। – অনেকদিন পর দেখা হয়েই এই অবস্থা! না জানি আর কতবার তার সাথে লুকিয়ে দেখা করে সম্পর্ক রেখেছ! চরিত্রহীনা মেয়েমানুষ! আমি এবার চিৎকার করে বললাম- একদম চুপ। বিয়ের প্রথম থেকে কারণে অকারণে তোমাকে রেগে উঠতে দেখেছি। কিন্তু আমার সম্পর্কে আর একটা খারাপ কথা আমি সহ্য করব না! – হ্যাঁ তা কেন করবে? সত্যি কথা বললে গায়ে লাগে! আমি বললাম – আমি আর একমুহূর্ত তোমার সাথে থাকব না। তোমার সাথে সংসার করা সম্ভব না। সেও বলল- যাও! আর ফিরে এসো না। আমি বাড়ি যাওয়ার তিন সপ্তাহ পর ডিভোর্স লেটার পেলাম তার কাছ থেকে! আমি হতবিহ্বল হয়ে গেলাম! তার বাসায় গিয়ে সরাসরি জিজ্ঞেস করলাম- কেন করলে এটা? – জানো না? – আমাদের মধ্যে এমন কিছু কি হয়েছে যে ডিভোর্স দিতে হবে? আমরা কি ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে নিতে পারি না? – আমি তোমাকে ভুল বুঝিনি! – পাগলামি করো না প্লিজ! – আমি পাগলামি করছিনা। এতে আমাদের দুইজনেরই ভাল হবে! – আমার কোন ভাল হবে না। – কেন? তোমার আশিকের কাছে যেতে পারবে! একটা নষ্ট মেয়ের সাথে আমি সংসার করব না। আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। এই মানুষটাকে আমি চিনি না! আমি কান্না করতে করতে বের হয়ে আসলাম। আমার আর ওর পরিবার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ডিভোর্স আটকাতে পারেনি। আমি এবার শক্ত হলাম। জিদ করে ঢাকায় চলে এলাম। পড়তে পড়তে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। পড়া শেষ করে চাকরিও পেলাম। আর তারপর বাবা আবার বিয়ে দিলেন। এখন আমি দোলন, রিয়াদ আর আমার বর শিহাবকে নিয়ে খুব ভাল আছি, অনেক সুখে আছি। শুধু একটা উত্তর আমি এখনও পাইনি- কি এমন হয়েছিল যে রায়হান আমাকে ডিভোর্স দিল? আমি তার চোখ দেখে বুঝেছি সে মিথ্যা বলছে। আমি তাকে যতটুকু চিনেছি তাতে আমি বাজি ধরে বলতে পারি ও আমাকে যে কারণ দেখিয়েছে আসল কারণ সেটা না! ও আমাকে অনেক ভালবাসত! -জ্বি আপনি ঠিকই বলেছেন আন্টি… পুরনো কথাগুলো এতক্ষন ধরে শেয়ার করছিলাম দোলন আর ওর বান্ধবী স্বর্ণালীর সাথে। দোলন এই কথা আগেও অনেকবার শুনেছে। কিন্তু ক’দিন আগে ভার্সিটি থেকে এসে সে বলে- মা আমার এক বান্ধবী আছে স্বর্ণালী। সে ‘নারী উত্থান’ নামে একটা পত্রিকা প্রকাশ করবে। সেখানে তোমার জীবন কথা শেয়ার করতে চায়। যাতে যেসব মেয়ে অতীত আঁকড়ে বসে থাকে তাদের একটা সুবিধা হয়! তারা যাতে এগিয়ে যেতে পারে! তুমি বলবে? আমার কোন সমস্যা নেই। আমাকে দেখে কেউ ইন্সপায়ার হলে সমস্যা কি? তাই আজ দোলন স্বর্ণালীকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমি কাহিনীটা বলার পর স্বর্ণালী হঠাৎ বলে- জ্বি আপনি ঠিকই বলেছেন আন্টি… আব্বু আসলেই সেই কারণে ডিভোর্সটা দেয়নি! আমি চমকে উঠলাম! – তার মানে? দোলন শান্ত গলায় বলল – ও রায়হান আংকেলের মেয়ে, মা! আমি অবাক হয়ে হা করে তাকিয়ে আছি! স্বর্ণালী বলে- আমি ওনার পালিতা কন্যা। আব্বু আপনাকে অনেক ভালবাসতেন। এখনো ভালবাসেন। কিন্তু ওইদিন উনি নিরুপায় ছিলেন! আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছি! কি ছিল তার অসহায়ত্ব! স্বর্ণালী বলে- আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে আপনারা বেবি নেয়ার ট্রাই করছিলেন? কিন্তু প্রবলেম হচ্ছিল? আমি মাথা নাড়লাম! -আব্বু তাই ডাক্তার দেখায়। আব্বু ভেবেছিল সমস্যা তো তারও হতে পারে। আর সেটাই সত্যি। সমস্যা আব্বুর ছিল। সেটা ঠিক হওয়ার ছিল না। আর.. আমি বললাম – আর তাই তোমার আব্বু আমাক ছেড়ে দিয়েছে? যাতে আমি নতুন করে বিয়ে করে জীবন শুরু করতে পারি? যেন আমার নিজের বাচ্চা থাকে? যেন আমার আফসোস না থাকে? সে মাথা নাড়ে! আমি জিজ্ঞেস করলাম- কোথায় তোমার আব্বু এখন? – বাসায় আছে। আব্বুর ক্যান্সার হয়েছে। আপনাকে খুব করে দেখতে চেয়েছে। আপনি আসবেন? আমার বুকের ভেতরটা হুহু করে ওঠে- হ্যাঁ যাব! এগুলো কি তোমাদের প্ল্যান ছিল? দোলন বলে- আংকেল তোমার সব খবর রাখতো। সেই তখন থেকে। সে আমাদের সবাইকে চেনে। আর তাই স্বর্ণালী এসে যখন বাবার সাথে কথা বলল বাবা পারমিশন দিয়েছে! আমি আবার আকাশ থেকে পড়লাম- তোর বাবাও? – হ্যাঁ মা। আমরা তিনজনই জানি। আর তোমাকে সত্যিটা বললে কিভাবে না কিভাবে রিঅ্যাক্ট কর, তাই এই পত্রিকার কথা বলেছিলাম! আমরা চেয়েছি তুমি সত্যিটা জানো! মানুষটাকে দেখে চমকে উঠলাম! দীর্ঘ চব্বিশ বছর পর দেখা! সে শুয়ে আছে। শুকিয়ে গেছে! আমি পায়ে পায়ে তার বিছানার পাশে বসে তার কপালে হাত রাখলাম! সে চোখ খুলে তাকিয়ে আমাকে দেখে হেসে দিল! তার সেই হাসি! – আমি জানতাম! তুমি আসবেই। স্বর্ণা ঠিক তোমাকে নিয়ে আসবে। তার চোখ ভিজে ওঠে! আমি জিজ্ঞেস করি- কেন বললে না? ম্লান হেসে রায়হান বলে- তুমি বড্ড ভাল মেয়ে রিনা! আমি চাইনি তোমার জীবনটা অপূর্ণ থাকুক! আমি জানি তোমাকে সত্যিটা বললে তুমি যা কিছু হোক আমার সাথেই থাকতে। কিন্তু তোমার একটা ইচ্ছা, একটা স্বপ্ন সেটা তো পূরণ হত না! – কেন? শুধু জন্ম দিলেই কি বাবা-মা হয়? তুমি স্বর্ণালীর বাবা হওনি? – হয়েছি তো! কিন্তু একজন মেয়ের পূর্ণতা মাতৃত্বে! আমি চাইনি আমার সমস্যা তোমার জীবনের কষ্টের কারণ হোক! আর তাই নিজে তোমার কাছে খারাপ হয়েছি! তবুও চেয়েছি তুমি ভাল থাকো। আবার নতুন জীবন শুরু করো! আমি কাঁদছি! আকুল হয়ে কাঁদছি! -কেঁদো না! রিনা! আমার আর বেশি দিন সময় নেই। তুমি আমাকে ক্ষমা করেছ তো? আমি কোনভাবে বললাম- আমি কে তোমাকে ক্ষমা করার? তুমি আমাকে ক্ষমা কর! আমি তোমাকে ভুল বুঝেছি! – না রিনা! তোমার কোন দোষ নেই! জানো রিনা তোমার শাড়ি কিছু যেগুলো রেখে গিয়েছিলে আমার কাছে এখনো আছে। আমি প্রতিদিন সেগুলো বের করে দেখি! নাড়াচাড়া করি! – তুমি খুব ভাল! আমি তোমাকে বুঝতে পারিনি! – না না! তুমিই আমাকে ভাল বানিয়েছ! তুমি বলেছিলে বলেই তো আমি রাগ কন্ট্রোল করতে শিখেছি! স্বর্ণাকে জিজ্ঞেস করো..ও তিন বছর থেকে আমার কাছে! ও আমাকে সেভাবে রাগতে দেখেছে কি না! আমি কান্নার দমকে কথাই বলতে পারছি না! -তু..তুমি অনেক অনেক ভাল থেকো! – থাকব রিনা। তোমার সাথে কথা হয়ে গেছে। আমি এবার ভাল থাকব! মরতেও পারব শান্তিতে!
আমি আর কোন কথা বলতে পারলাম না! কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলাম! বাইরে দোলন, রিয়াদ, স্বর্ণা আর শিহাব দাঁড়িয়ে ছিল! শিহাব এগিয়ে এসে বলে – মন খারাপ করো না! ভাগ্যে এটাই ছিল! গাড়িতে উঠে শিহাবের কাঁধে মাথা রেখে ভাবলাম- অনেক ভাগ্যবতী আমি! যেই দুইজন পুরুষ আমার জীবনে এসেছে তারা দুইজনেই আমাকে অনেক ভালবাসে! শিহাব জিজ্ঞেস করে – কি ভাবছ? – তুমি অনেক ভাল শিহাব! রায়হানও অনেক ভাল! – তার কারণ তুমি সবচেয়ে বেশি ভাল রিনা! [সমাপ্ত]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে