পারফেক্ট কাপল পর্ব-১৩

0
1115

#পারফেক্ট_কাপল
#পর্বঃ১৩
#ইনান

অনি সিঙ্গেল সোফায় বসে আছে আর তার সামনে আকাশ আর মিলি বসে আছে । মিলির এখন ও ঘোর কাটে নি

“আচ্ছা তুমি অগ্নি আর নিধির ক্ষতি কেন করতে চাও ?
“শুনতে চাও
“হুম

মিলির কথায় অনি চলে যায় ১০ বছর আগের ঘটনায় ।
.
.
.
অনি আর তার মা বাবা ঘুরতে বের হয়েছে । অনির বয়স ৯ বছর তখন । অনি খুব খুশি কারণ অনেক দিন পর তারা ঘুরতে বের হয় ।

“বাবা আমি আইস্ক্রিম খাবো ।
“কোথায় আইস্ক্রিম ?
“ঐতো ।

আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে । অনির বাবা অনিকে টাকা দিয়ে পাঠায় আইস্ক্রিম অনতে ।

অনি আইস্ক্রিম কিনে পিছনে ঘুরতেই দেখে তার মা বাবার মাথায় কিছু কালো পোশাক পড়া লোক বন্দুক ধরে আছে । অনি ভয় পেয়ে সেখানেই থেমে যায় ।

অনির বাবা রেগে কিছু বলতে যাবে তখনি গাছের আড়ালে অনিকে লুকিয়ে থাকতে দেখে করুণ গলায় বলে

“আমাদের ছেড়ে দিন আমরা কী দোষ করেছি ?
তখন কালো পোশাক পড়া লোকদের লিডার অনির বাবার মাথায় বন্দুক থাক করে বলে
“এতো কিছু করেও বলছিস কী করেছি । যা উপরে গিয়ে জানিস কী করেছিস ।

এটা বলে ঐ লোকটা অনির বাবার মাথায় গুলি করে দেয় । তার সাথে তার মাকেও মেরে দেয় ।
.
.
.
বর্তমান
অনি নিজের চোখের পানি মুছে বলে
“ঐ কালো পাশাক পড়া লোক গুলো ছিল ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ এর । আর ঐ গ্রুপের লিডার ছিল অগ্নির বাবা । আর সেদিনের পর থেকে ওদেরকে মারার জন্য প্ল্যান করতে থকি ।
“কিন্তু তুমি এই রেড মাফিয়া গ্রুপের কুইন কিভাবে হলে ?
“কারণ এই গ্রুপের কিং এবং কুইন আমার বাবা ছিল

মিলি আর কিছু বলে না চুপ করে বসে যায় সেখানে । ওর কাছে এখন সব ক্লিয়ার ।
.
.
.
আরিশ আর রিয়াদের বিয়ে ঠিক হয়েছে ইশা আর রিমির সাথে । এই কয়েকদিন এ ওরা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলছে । তা ফ্যামিলির লোকদের জানাতেই তারা রাজি হয়ে যায় ।

সবাই বেরিয়ে পরেছি আরিশদের বাংলো তে যাবো । ওদের বাংলো নাকি অনেক সুন্দর । আর বিয়ে ৫ দিন পরে । আমি বুঝলাম না এতো তারাতারি বিয়ে কেন ঠিক করলো ।

“নিধি
রিমির ডাকে তার দিকে তাকালাম
“হুম বল
“আমার খুব ভয় লাগছে
“কেন ?
“ঐ ব্যাপারটায়
রিমির কথায় তার মাথায় চাপ্পড় দিয়ে ইশা বলে
“এই তুই সত্যিই রিয়াদ হাসান …..

পরের নামটা উচ্চারণ করার আগেই ওকে থামিয়ে দিলাম ।
“এই চুপ কর বাতাসের ও কান আছে

তখন পিছন থেকে অনি বলে উঠে
“কী ব্যাপারে কথা বলছো তোমরা
অনির কথায় হালকা হেসে বললাম
“কিছু না তো
তখন মিলি বলে
“কেন জিজ্ঞাসা করছিস ? ও বলতে চায়ছে না

আমি মিলির দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার বাইরে তাকালাম । কারণ এই মেয়েকে দেখলেই আমার রাগ উঠে
.
.
.
অগ্নি মুখ ফুলিয়ে ড্রাইভ করছে । তার মুখ ফুলানোর কারণ সে নিধির সাথে আসতে চায়ছিল কিন্তু রিয়াদ আর আরিশ জোর করে এসে গাড়িতে বসে পড়ে

“কিরে অগ্নি মুখকে এভাবে বাংলার পাচ বানিয়ে কেন রাখছিস
রিয়াদের কথায় অগ্নি দাতে দাত চেপে বলে
“তোরা অনেক বড় মহত্‍ কাজ করছোস তাই মুখটা এমনে রাখছি
“ও আচ্ছা
তখন আরিশ বলে উঠে
“আচ্ছা আমাদের করা মহত্‍ কাজ টা কী একটু বল তো
“এই যে আমরা অগ্নিকে নিধির সাথে বসতে দেয় নি

এটা বলে রিয়াদ আর আরিশ হাসতে শুরু করে দেয় আর অগ্নি তা দাতে দাত চেপে সহ্য করছে । ৫ দিন পর এদের বিয়ে না থাকলে মেরে হাসপাতালে পাঠাতো ।
.
.
.
বাংলোতে পৌছাতে আমাদের রাত ৯ টা বাজে । বের হয়েছিলাম বিকেল ৫ টায় । সে যায় হোক সবাই ক্লান্ত তাই যে যার রুমে চলে যায় । আমার আর অগ্নির জন্য আলাদা একটা রুম । আর রিমি, ইশার জন্য আলাদা একটা রুম আর আরিশ এবং রিয়াদের জন্য আলাদা রুম ।

“নিধি চলো খেয়ে আসি
“হুম চলুন
“আচ্ছা নিয়ান কোথায় ?
” ওকে একটা রুম দেওয়া হয়েছে সে সেখানেই আছে
“আচ্ছা

আমি আর অগ্নি এসে অল্প খেয়ে নিলাম । প্রচুর ক্লান্ত লাগায় এসে শুয়ে পড়লাম
.
.
.
ডার্ক মাফিয়া গ্রুপ
কিং আর কুইন গালে হাত দিয়ে কোন মতে তাকিয়ে আছে । তার তাদের সামনে ১ ঘন্টা যাবত্‍ হাত কচলাচ্ছে অভি আর সাব্বির । রাতের ২ টায় ঘুম থেকে ডেকে তুলার কোন মানে হয়

“ঐ শালা কিছু বলবি নাকি এভাবে হাত ই কচলাবি
“একটা কথা জানার ছিল । কিন্তু তুই রেগে যাবি
“আমার রাগকে কবে থেকে পাত্তা দেস তোরা ?
“আচ্ছা শুন বলতাছি
“বল
“কোন গন্ডোগোল হবে না তো
“না
“তুই কেমনে সিউর হলি
“কারণ ওদের সব প্ল্যান আমাদের ও বলে দিছে

কিং এর কথায় অভি আর সাব্বির মাথা চুলকায় । এই ‘ও’ টা আবার কে ? এ কোথা থেকে উদয় হলো ।
.
.
.
সকালে
“এই অগ্নি উঠুন
“হুম নিধি আরেকটু ঘুমোতে দাও
“প্লীজ উঠুন আমি বাগানে ঘুরতে যাবো । আরেকটু পরে গেলে ভালো লাগবে না

অগ্নি আর কিছু না বলে উঠে চলে যায় ফ্রেশ হতে আর এদিকে আমিও শাড়ি ঠিক করে চুল গুলো বেধে নিলাম । অগ্নি ফ্রেশ হয়ে এসে আমাকে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত দেখে বলে

“এভাবে সাজার কী আছে ?
অগ্নির কথায় আমি বোকা বনে বললাম
“সাজলাম কই
“তাহলে চোখের নিচে কাজল কেন দিছো
“এটা তো আমি প্রতিদন ই দেয়
“ওহ আচ্ছা
“হুম এখন চলুন

আমি আর অগ্নি চলে গেলাম বাগানে । বাগানে পাশাপাশি হাটছি দুজন খুবই ভালোলাগছে । কিন্তু আমার এই ভালো লাগা মনে হয় কারো সহ্য হলো না তাই তো মিলি শাকচুন্নি চলে এসেছে ধুর ভাল্লাগে না ।

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে