নিশি_কাব্য ১০ পর্ব-

0
834

নিশি_কাব্য ১০ পর্ব-
( ভালোবাসার সংসারে গল্প)
লেখা-Rudro Khan Himu

— এই শুনো আমার বান্ধবী রশ্মি আছে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে। তুমি আমার সাথে আমার বান্ধবীর বিয়েতে যাবে চল।

–এখন কাজ আছে। আজ যেতে পারব না। আম্মু কে নিয়ে যাও।
— আমি কি করব? তোমাকে আমার বান্ধবীরা দেখতে চাইছে। তাই তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি। নইলে তোমাকে সাথে করে নিয়ে যাব ভাবলে কি করে।
ঘ্যাত কোথাকার।
— আমি ঘ্যাত না। তুমি ঘ্যাত। আমি কি তোমাকে বিয়ে করছি নাকি। তুমি ওই তো আমাকে বিয়ে করছ। নিজে পছন্দ করে বিয়ে করছ আবার নিজে ঘ্যাত বলছ।
লজ্জা করে না।
–এই কথা বলছ কেন?
রেডি হউ। নইলে আম্মুর কাছে তোমার নামে আবুলতাবুল বলে দিব।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



–কি বলবে শুনি।
–বলব তুমি আমাকে শুধু মারধর কর। আর বকাবকি কর।
— ছিঃ ছিঃ এমন কথা বলতে পারলে। যার জন্য করি চুরি আর সে বলে চুর।
— তাইলে তুমি আমার সাথে যাচ্ছ না কেন?
–সেখানে আমি গিয়ে কি করব। সেখানে আমার কোনো কাজ আছে নাকি। শুধু বসে থাকব।
–নাচ বা হাসাহাসি!তাতেও চল। সেখানে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করো। তোমাকে দেখার কি আছে আমি তো বুঝি না।
— বুঝবা কি করে কালি তো। ঘ্যানঘ্যান করো।
–আমাকে এতো জ্ঞান দিতে হবে না।
আম্মুর কাছে থেকে কিকি রান্না শিখলা। আমাকে তো রান্না করে খাওয়ালে না। আর আমি তোমার রান্নার প্রশংসা করব । তাই অপেক্ষা আছি।
— বা বা। বান্দরের মুখ থেকে আমার কোনো প্রশংসা শুনতে চাই না। উনি কোথায় থেকে আইছেন আমার প্রশংসা করতে। আমার যেমন প্রশংসা করার মানুষ নাই।
— আছে তো। সে হলো।
আমি।
–আরে দ্যাত সর তো। রেডি হউ।
আমার রশ্মির বিয়েতে আসছি নিশি কে আজকে খুশি লাগছে ?। গোলাপী রঙের এর একটা শাড়ি পাড়ছে চুল গুলো খুলা বাতাসে উড়ছে খুব মায়াবতী লাগছে ?।
বিয়েতে যাওয়ার পর অনেক মেয়ে আমার সাথে কথা বলতে আসলো। আমিও তাদের সাথে কথা বলল নিশি বান্ধবী তাই। অনেক হাসাহাসি করলাম।
সবার সাথে বসে বসে খাওয়াদাওয়া শেষ করলাম সবাই মিলে। একসময় আমি দেখতে পেলাম অফিসের একটা মেয়ে কলিগ এসেছে। নিশি কে তার সাথে পরিচয় করতে নিয়ে গেলাম।
–আরে সাব্বির। তুমি এখানে কি করে?
— আমি এখানে বিয়ে তে এসেছি। তুমি কেমন আছো। এ হলো নিশি। আমার বউ। আর নিশি এ হলো আমার অফিসের কলিগ তিশা ।
— সাব্বির তোমাকে কিন্তু আজ অনেক সুন্দর লাগছে। খুব বেশি স্মার্ট লাগছে।
–হাহাহাহা।
ধন্যবাদ। তোমাকেও শাড়ীতে খুব মানাচ্ছে।
খাওয়াদাওয়া করছ?
— করছি। আমাকে একটা ফোন দিতে পারতে। তুমি যে এখানে এসেছ। তাইলে দু’জনে বসে গল্প করতাম।
— সরি। আমি ভাবি নি। তুমি এখানে আসবে।
তুমি কিছু বল?
— না। আমি আর কি বলব। তোমরা দু’জন তো কথা বলছ। আমি তোমাদের কথা শুনছি তো।( নিশির চোখে অভিমান)
–তোমার কি মন খারাপ। এমন করে দাঁড়াইয়ে আছ কেন?
কফি খাঁবে।
–আমি কফি খাঁব কেন?
তোমরা দু’জন কফি খাঁও। আমি বাসায় যাব।
–অনুষ্ঠান টা দেখে যাই। তুমি তো এখানে এসেছ অনুষ্ঠান দেখতে।
–আমি অনুষ্ঠান দেখে ফেলেছি। আমার ভালো লাগছে না। আমাকে নিয়ে চল। আজ বাসায় যাও। দেখাব মজা।
–কিছু বলছ।
–আমি কিছু বলি নাই।
বাসায় আসার পর যুদ্ধ শুরু হলে।
— মেয়েদের সাথে এতো কিসের ভাব । এতো কিসের হাসাহাসি?
— কোথায় ওরা তোমার বান্ধবী ছিল তাই একটু মজা করলাম।
–শুধু আমার বান্ধবী ছিল! ঐ মেয়েটার সাথে কিসের এতো কথা। ঢং দেখা আর বাঁচি না। আবার বলে”সাব্বির তোমাকে কিন্তু আজ অনেক সুন্দর লাগছে। খুব বেশি স্মার্ট লাগছে।”

যত সব ঢং। যাও তোমার সাথে কথা নেই।
— ও পুতুল বউ …… সোনা মনি ???…. লক্ষী সোনা বউ। প্লিজ অভিমান করে না যাও আর কখনো কোন মেয়ের সাথে কথা বলবো না ।
— হয়েছে হয়েছে আমি সব বুঝি ! ( নাক মুখ লাল হয়ে গেছে আর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে)
— আমার বুঝতে বাকী রইল না নিশি এই বিষয়টা নিয়ে কত কষ্ট পায়ছে। এখনই অভিমান ভাঙ্গতে হতে।
ঐ সোনা বউ একটু শুনো না। আমরা শুক্রবার তোমাদের বাসায় যাবো কি মজা।
তারপর ও পাগলী টা অভিমান পরছে না। এখন রোমান্টিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে ?।
হায়ে আল্লাহ তোমার এতো সুন্দর কাজল তো চোখের জলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
–না একদম আমার কাছে আসবে না। একদম আমাকে স্পর্শ করবে না। তোমার তিশার কাছে যাও।
— পাগলী একটা আমি তোমাকে কত ভালোবাসি। তুমি বুঝি জানান না। বলতে বলতে নিশি কাছে আসলাম। চোখের কাজল মিছে দিচ্ছি। তারপর নিশির গালে স্পর্শ করে চোখে চোখ রেখে বললাম-

“প্রচন্ড ঠান্ডা , জমে যাচ্ছি যেন
উষ্ণতা চাই, আসবে কি ?
সারাদিন অভুক্ত, অন্য কিছু নয়
গরম কফি সাথে হাল্কা কিছু–চুমুতেও চলবে,
খাওয়াবেনা ?
সব সময়ের বায়না নয়–সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এক চাদরে
বুকের পরে মাথা রেখে দুজন জড়িয়ে রইবো রাতভর–
মুখের ভাষা হারিয়ে যাবে চোখের ভাষার কাছে !
থাক না যত কথা–হোক না সব চুপ,
শুধু থাকবে তোমার গায়ে ছুঁয়ে আদর আমায় জড়িয়ে!

ইচ্ছে মতোন ওড়াউড়ি করে ইচ্ছেগুলো
মাতাল নেশায় তোমায়—আমার ভালোবাসা বিলাবো,
মাঝরাতে কোথাও উড়াল দিতে গিয়েও
তোমায় জড়িয়ে ধরে বলবো—চলো ফিরি,
আবার তুমি আমায় জড়িয়ে–
তোমার বুকের মাঝে আড়ষ্ট করে রাখবে,
চুপটি করে মুখ লুকিয়ে তোমায় ভালোবেসে যাবো
সারাদিনের খুনসুটি নিয়ে—-ভালোবাসা লেগে রবে পরতে পরতে
তোমাতে–আমাতে, মান অভিমানে ।।””
তুমি মিশে আছো আমার প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে। নিশি আমি তোমার জন্য খুব কিছু করতে পারি।(দু’জনের চোখে জল এটা ভালোবাসার কান্না)
– কাছে এসো পাগলা তোমাকে এমন করে জরিয়ে ধরে রাখবো সারাজীবন। এতো ভালোবাসা দিবো পাগল হয়ে যাবে। উম্মুমা ……… ummmmmmmmmmaaah??।
— আমার লক্ষী সোনা বউ কে কোলে তুলে নিলাম। চোখে চোখে কথা হচ্ছে আমাদের ভালোবাসার।
চুল গুলো খুলে দিলাম।? অল্তকরে কপালে চুমু দিলাম। কোলে নিয়ে চারিদিক চক্রির মত ঘুরছি। আর জোরে চিৎকার করে বলছি-
“ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি”

ভালোবাসার স্পর্শে মিশে গেলাম দুজনে।?
সকালে নিশি ওর ভাজা চুল গুলো আমার মুখে ছোঁয়া দিয়ে। আমার এতো সুন্দর ঘুম টা বাঙ্গাদিল কিন্তু চোখ মিলে মিষ্টি বউটার হাসি দেখে সব অভিমান চলে গেছে।
–ওঠে মহারাজা এই নাও তোমার জন্য মিষ্টি গরম গরম কফি।
— শুধু কফিতে আমার হবে না। আরো কিছু চাই।
–বাবা রে আমার ব্যপারটা দেখি আবদারের শেষ নেই। এখন আমার নাস্তা বানাতে হবে গো ।(বলে নিশি চলে যাতে নিলো)
— আমি নিশি কে পাচ্ছোন থেকে জরিয়ে ধরলাম ঘারে চুমু দিলাম।
নিশি চুল গুলো এলোমেলো করে আমাকে একটা চিমটি দিয়ে ধরে রান্না ঘরে চলে গেল।
.
.
আমাকে অফিসের কাজের জন্য এই তিশা ফোন দিয়েছে। কিন্তু কিন্তু আমি রুমের মধ্যে না থাকায় ফোন ধরেছে নিশি।
চলবে ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে