তোর শহরে ভালোবাসা পর্ব-১

0
5377

#তোর_শহরে_ভালোবাসা?
পর্ব-১
ফাবিহা নওশীন

“এই মেয়ে শোনো,আমার ঘরে কিংবা আমার মনে কোথাও তোমার কোনো জায়গা নেই।শুনতে পাচ্ছো তুমি?”
বরের এমন কথা শুনে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে সামান্তার।নিজের রাগকে সামলে রাখতে না পেরে ঝাঝালো গলায় জবাব দিলো,
–শুনেছি,ভালো করেই শুনেছি।আমি বয়রা না।এভাবে চেচাচ্ছেন কেন?না গেলাম আপনার ঘরে।আপনার ঘরে যাওয়ার জন্য আমি মরে যাচ্ছিনা।যাবো না আপনার ঘরে।অদ্ভুৎ।
আন্টি আপনাদের বাসা দেখে যথেষ্ট বড় মনে হচ্ছে।আমাকে অন্য রুম দেখিয়ে দিন।আর নয়তো বলুন আমি চলে যাচ্ছি।এ বাড়িতে পড়ে থাকার জন্য আমি মরে যাচ্ছিনা।

সামান্তার কথা শুনে আদিল থ হয়ে গেলো।ও সামান্তার কাছ থেকে এমন উত্তর আশা করেনি।ও ভেবেছিলো সামান্তা মাথা নিচু করে কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলবে,জ্বি।কিন্তু এ তো পুরাই লাল মরিচের গুড়ো।

সামান্তার ননদ নিশি বললো,,তুমি একা বাসায় যেতে পারবে?

সামান্তা বললো,
–কেন পারবোনা?আমি ওত পড়াশোনা না জানলেও বাসায় যাওয়ার মতো যথেষ্ট বিদ্যে আমার পেটে আছে।

সামান্তার শাশুড়ী আমতা আমতা করে সামান্তাকে বললো,,
–না না মা,তোমাকে কোথায় যেতে হবে না।আমি তোমাকে অন্য রুম দেখিয়ে দিচ্ছি।
সামান্তা শাশুড়ীর পিছু পিছু হাটা ধরলো।
আদিল ফ্যালফ্যাল করে সামান্তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।

কিরে কি দেখিস ভাইয়া?
নিশির কথায় ঘোর ভাংলো। তারপর বললো,
–মেয়ে দেখেছিস কি তেজ?
নিশি বললো,
–দেখতে হবে না বউটা কার?
বলেই নিশি ভাইকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলো।
আদিলের প্রচুর রাগ হচ্ছে।নিজের চুল নিজের ছিড়তে ইচ্ছে করছে।কেন গিয়েছিলো গ্রামে ঘুরতে।

সামান্তা দরজা লক করে ওড়না ছুরে ফেলে দিয়ে ওয়াশরুমে গেলো।প্রচুর রাগ হচ্ছে।মাথা গরম হয়ে গেছে।মাথায় ইচ্ছেমতো পানি দিয়ে মাথা ঠান্ডা করলো।তারপর হাতমুখ ধুয়ে রুমে এসে ফুল পাওয়ারে ফ্যান অন করে চুলের খোপা খোলে নিজের চুলগুলো এলিয়ে দিয়ে হাতপা সটান করে শুয়ে পরলো।

রাগে ফুসফুস করছে আর বলছে,,,
শালা,এই সামু কত ছেলেকে সোজা করেছে আর তুই তো,,,,বর বলে গালিটা দিলাম না।যাইহোক তোকে যদি নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরিয়েছি তবে আমার নাম ও সামু না।আজ থেকে আমার একটাই টার্গেট জামাই তোকে টাইট দেওয়া।তোর এটিটিউটের কিমা বানিয়ে তোকে গিলাবো।যদি না পারি তবে নিজের নাম ছকিনা রাখবো।

অতীত,,

আদিল চৌধুরী,বিখ্যাত পলিটিশিয়ান এবং বিজনেসম্যান আহনাফ চৌধুরীর ছেলে।বয়স ২৫।সাত বছর পর পড়াশোনা শেষে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরেছে।আহনাফ চৌধুরী দীর্ঘসময় পর ছেলেকে পেয়ে যতটা না খুশি তার চেয়ে বেশি সংকিত ছেলের চালচলন দেখে।আদিল যথেষ্ট হাসিখুশি হলেও অনেক অহংকারী।আশেপাশের কাউকে পাত্তা দেয়না।নিজের মতো চলে।নিজের জিদ আর ইগো বজায় রাখতে সবকিছু করতে পারে।পছন্দসই কিছু না হলেও ভাংচুর শুরু করে।
রাতবিরাতে বাড়ি ফিরে কোথায় যায়,কি করে তা সবার অজানা হলেও আহনাফ চৌধুরীর অজানা নয়।আদিল পুরো দুনিয়ায় কাউকে পরোয়া না করলেও বাবাকে ভিষণ ভয় পায়।বাবার সামনে মাথা নিচু করে কথা বলে।কিন্তু আহনাফ চৌধুরীর পক্ষ ছেলেকে সারাক্ষণ শাসন করা সম্ভব নয়।তিনি ব্যস্ত মানুষ।তাই তিনি ছেলেকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করার সিদ্ধান্ত নেন।আর মেয়ে হিসেবে বাল্যবন্ধু মিরাজের মেয়ে সামান্তাকে তার মনে ধরেছে।মেয়েটা খুব ভালো।মেয়েটা যেমন শক্ত প্রয়োজনে তেমনি নরম,যথেষ্ট বুদ্ধিমতী,সুন্দরী।

ডিনার সময়-
চৌধুরী ম্যানশনে পুরো পরিবার একসাথে ডিনার করছে।
আহনাফ চৌধুরী বললো,
–আদিল,আগামীকাল আমরা গ্রামে বেড়াতে যাচ্ছি।তুমিও যাবে সব গোছগাছ করে রাখবে।
আদিল খাওয়া থামিয়ে বললো,
–গ্রামে?
–হুম।আমার বন্ধুর বাড়ি।
আদিলের গ্রামে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে সমস্যা নেই।বরং ও অনেক এক্সসাইটেড।ও বিদেশে থাকতে বন্ধুদের কাছে থেকে গ্রাম সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছে।তাতে ওর গ্রাম দেখার আগ্রহ বেড়ে যায়।
–ওকে বাবা।আই হেভ নো প্রব্লেম।

আদিলের ছোট বোন নিশিতা।বয়স ২১।অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে।মেয়েটা খুবই মিশুক।আদিলের একদম উল্টো।সহজ,সরল অহংকার বলতে কোনো কিছু তার মধ্যে নেই।গ্রামে যাওয়ার কথা শুনে সকাল থেকেই গুছানো শুরু করে দিয়েছে।
আদিলের মা নয়ন তারা।তিনিও মেয়ের মতোই নিরংকারী,সুন্দর মনের মানুষ।

দীর্ঘ সময়ের জার্নি শেষে একটা বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামলো।দেয়ালে ঘেরা দুতলা বাড়ি।বাড়ির চারপাশে অসংখ্য গাছগাছালি।দরজার সামনে থেকেই সৌজন্যের সাথে সবাইকে ওয়েলকাম করলো চৌধুরী পরিবারকে।যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করা হলো।সবাইকে রুম দেখিয়ে দেওয়া হলো।আদিলের সবকিছু ভালো লাগলেও গ্রামের গরম সহ্য হচ্ছেনা।এখানে এসি নেই।ফ্যানের ফুল পাওয়ার দিয়েও শরীর ঠান্ডা করতে পারছেনা তাই শাওয়ার নিতে গেলো।কিন্তু বাথরুমে বাথটাব নেই।কোনো রকমে শরীর ঠান্ডা করে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ভাইবোন মিলে গ্রাম দেখতে বের হলো।সাথে গিয়েছে সামান্তার ছোট ভাই সামির।বয়স ১৩।সামির ওদেরকে গ্রাম দেখাচ্ছে।নিশি তো সেল্ফি তুলতে তুলতে শহিদ হয়ে যাচ্ছে।
আদিলের গ্রাম খুব ভালো লাগছে।আঁকাবাকা পথ,গাছগাছালি,পুকুর-ডোবা,পুকুরে হাস পাক পাক করছে,খোলা আকাশ,ধান খেত,বিভিন্ন নাম না জানা শস্য ফলে রয়েছে।
হিমেল হাওয়ায় আদিলের চুল উড়ছে।অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।বেশ ভালো লাগছে।মাঝে মাঝে ছবি তুলছে।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে গ্রামের পাশে বয়ে যাওয়া নদী।নদীতে ছোট ছোট নৌকা চলছে।নিশি তো নৌকায় চড়বে বলে জিদ ধরেছে।কিন্তু সন্ধ্যা নেমে আশায় ওদের আর নৌকায় চড়া হলো না।

সামান্তা গিয়েছে মামার বাড়ি।এইস.এস.সি. রেজাল্ট পাবলিশ হয়েছে।গ্রেট পয়েন্ট ভালো না হওয়ায় মন খারাপ তাই মামার বাড়ি ঘুরতে গেছে।গ্রেট পয়েন্ট ভালো কি করে হবে।যে মেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দস্যিপনা আর উদ্ভট কাজ করে বেড়ায় সে আর কি রেজাল্ট করবে।তবে এ নিয়ে বাবামায়ের কোনো আক্ষেপ নেই।বড় আদরের মেয়ে।

আদিল আর নিশি গ্রাম দেখে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছে।সন্ধ্যায় আড্ডা দিতে দিতে আহনাফ চৌধুরী মিরাজকে নিজের ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ের কথা বললো।প্রথমে মেয়ে ছোট বলে আমতা আমতা করলেও বন্ধুর রিকুয়েষ্ট রাখতে রাজি হয়ে গেলেন।সামান্তাকে যে আহনাফ প্রচন্ড ভালোবাসে সে তার অজানা নয়।মেয়ের সাথে তার অনেক সখ্যতা।
সামান্তার মায়ের সাথে আহনাফের প্রস্তাবের কথা জানালে তিনি অমত করেনি।
মিরাজ সাহেব মেয়েকে ফোন করে বাড়ি ফিরতে বললেন।সামান্তা সকালের নাস্তা সেড়েই বাড়িতে এসে পড়লো ড্রয়িংরুমে আহনাফ আংকেলকে দেখে খুশিতে দৌড় দিলো।আহনাফও সামান্তাকে দেখে বেশ খুশি।
সামান্তা আহনাফ আংকেলের পাশে বসেই রাজ্যের গল্প জোরে দিলো।আহনাফ আংকেলও সাথে গল্প করেই যাচ্ছে থামার নামে নেই।দুপুরে তাদের গল্প থামলো।সামান্তা নিজের রুমে গিয়ে একটা মেয়েকে শুয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
–কে আপনি?
নিশি ওকে দেখে অবাক হয়ে বললো,
–তুমি কে?
–আমি সামু,,মানে সামান্তা।এই বাড়ির মেয়ে।এইটা আমার রুম।
–ওহ,,বুঝতে পেরেছি।আমি নিশিতা।তুমি আমাকে নিশি বলে ডাকতে পারো।
সামান্তা উৎসাসিত হয়ে বললো,
–তুমি নিশি আপু।আহনাফ আংকেলের মেয়ে?
–হুম।
–আই এম সরি।আমি জানতাম না যে তুমিও এসেছো।
–ইটস ওকে।আমি কি তোমার রুমে থাকতে পারি?
— অবশ্যই কেন নয়।

দুজনে মিলে প্রচুর গল্প দিলো।মিশুক মনের হলে যা হয়।একজন যেন অন্য জনের বান্ধবী।কতদিনের চেনা।দুজনের মধ্যে বেশ ভাব হয়ে গেছে।

দুপুরের খাবার খেয়ে সামান্তা ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পরলো।তাই নিশি আর ওকে ডাকেনি।আদিল,আর সামিরের সাথেই গ্রাম দেখতে বের হলো।এর মাঝে আদিলের সাথে সামান্তার একবারো দেখা হয়নি।
নিশি আজ নৌকায় উঠেছে।পানিতে হাত দিচ্ছে আর বলছে সামির তুমি আরেকটু বড় হলেনা কেন?
সামির বললো,
–কেন আপু?
–তুমি আরো বড় হলে আমি তোমাকে বিয়ে করে এখানে থেকে যেতাম।
আদিল সেটা শুনে বললো,
–শাট আপ নিশি গ্রাম বেড়ানোর জন্য পারফেক্ট আজীবন থাকার জন্য নয়।
–উহহ,,
সামির তোমার বোন তো বেশ কিউট একদম তোমার মতো।
আদিল জিজ্ঞেস করলো,
ওর আবার বোন আসলো কই থেকে? দুদিনে তো কাউকে দেখিনি।
–মামা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলো।আজ সকালে এসেছে।দুপুরে খেয়ে ঘুমিয়েছে তাই আর ডাকিনি।মেয়েটা এত্ত ভালো কি বলবো।দেখতেও বেশ।
আদিল নিশির কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো, তুই একটা চিজই।সব মেয়েই তোর কাছে কিউট।নিজেকে একটু বদলা খেত কোথাকার।

আদিল বাসায় ফিরে ছাদে উঠে দেখে একটা মেয়ে ছাদ থেকে নিচের দিকে ঝুকে আছে,কিছু একটা দেখার চেষ্টা করছে।লালচে আঁকাবাঁকা খোলা চুল।ঝুকে থাকায় আর চুল খোলা থাকায় ফেস দেখা যাচ্ছেনা।পিঠের কাছের চুলগুলো ভাগ হয়ে একভাগ নিচের দিকে হেলে পড়েছে আর একভাগ পিঠের উপর রয়েছে।হালকা গোলাপি রঙের ড্রেস পড়া।এক হাত দেখা যাচ্ছে।ফরসা হাতে মেহেদী দেওয়া।আদিল বুঝতে পারলো এটা সামিরের বোন নিশি যার কথা বলেছিলোআদিলের ওর মুখটা দেখার ইচ্ছে হচ্ছে কিন্তু নিজের ইগো আর অহংকারের জন্য ছাদ ত্যাগ করলো একটা গ্রামের মেয়েকে দেখার জন্য বেহায়া হবেনা।

রাতের বেলায় ডিনার শেষে আদিল শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছে তখনই মা আর বোনের প্রবেশ।
–কিছু বলবে মা?
–ভাইয়া,ফোন রাখ।খুবি গুরুত্বপূর্ণ কথা।ইটস আর্জেন্ট।
আদিল ফোন রেখে নিশির মুখের দিকে চাইলো।ওর মুখ দেখে বুঝতে পারলো সিরিয়াস কিছু একটা হয়েছে।
আদিলের মা আমতা আমতা করে বলল,
–তোর বাবা তোর বিয়ে ঠিক করেছে সামান্তার সাথে।
আদিল শুয়া থেকে উঠে বললো,
–হুয়াট!!ইটস এ জোক?
–ভাইয়া সিরিয়াস।আগামীকাল সকালে বিয়ে।বাবা তোকে জানাতে বলেছে তাই জানালাম।
–ইম্পসিবল।আমি গাইয়া কোনো মেয়েকে বিয়ে করবোনা।আর আমার বয়স কত ২৫।এটা কি বিয়ের বয়স?
–তাতে কি সামুরও তো ১৮বছর।মেয়েটা খুব সুন্দরী আর খুব ভালো।বিয়ে করে নে।
–চুপ করবি তুই।
–আমাকে চুপ করিয়ে লাভ নেই।বিয়ে তোকে করতেই হবে।

সত্যিই করতে হয়েছিলো।পরেরদিন সকালে বাধ্য হয়েই বিয়ে করতে হয়েছে।বিয়ে করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো।
সামান্তার বাড়িটা বেশ পছন্দ হলেও বাড়ির বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালো পোশাকের গার্ডগুলোকে পছন্দ হলোনা।
নিশি সামান্তাকে আদিলের ঘরে দিয়ে এসে।আর আদিল ফ্রেশ হয়ে সামান্তাকে দেখেই খেপে যায়।এই প্রথম ও সামান্তাকে দেখলো তবে ভালো করে নয়।ওর হাত ধরে টানতে টানতে নিচে নিয়ে গিয়ে কথাগুলো বললো।

বর্তমান —
চিতকার চেচামেচিতে সামান্তার ঘুম ভেঙে গেলো।
আহনাফ চৌধুরী সব জানতে পেরে অনেক রেগে যায়।আর নিশিকে পাঠায় আদিলকে ডাকতে।
নিশি ডাকতে গেলে আদিল বলে,
–আমি কোথাও যাবোনা,তুই বাবাকে গিয়ে বল ওই মেয়েকে বিদায় করতে।
–বাবা তোকে বিদায় করে দিলেও সামান্তাকে করবেনা।তোর সমস্যা কি মেয়েটা দেখতে সুন্দর, চেহারার কাটিন ভালো সব দিকেই পারফেক্ট।
–সুন্দরী হলেও আদিলের বউ হওয়া যায়না।যোগ্যতা লাগে।
–তুই কি ওর সাথে মিশেসিছ?তাহলে কি করে বুঝলি
–আমার বুঝার দরকার নেই।তুই বের হ।

নিশি বাবার কাছে গিয়ে সব বললেই ওনি আরো রেগে যায়।
আদিলের মা বললো,
–তোমার ছেলে বোমের মতো। কখন বিস্ফোরিত হয় বলা মুশকিল।
আহনাফ চৌধুরী ছেলের ঘরের দিকে যেতে নিলেই সামান্তা বাধা দেয়।
–আংকেল।ছেড়ে দিন।আমি ঠিক আছি।আমি জোর করে কিছু চাইনা।
–কিন্তু,,
–কোনো কিন্তু নয়।আমার উপর ভরসা রাখো।তোমার ছেলে যদি বোম হয় তবে আমি বারুদ।আমি ওকে সোজা করেই ছাড়বো।যদি না পারি তবে আমার নাম পাল্টে ছকিনা রাখবো।

আহনাফ চৌধুরী সামান্তার কথা শুনে হেসে দিলো।
তারপর ওর মাথায় হাত রেখে বললো,
–আমি জানি তুই ই ওকে সোজা করতে পারবি।এই বিশ্বাস আমার আছে।দোয়া করি সুখী হ।

চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে