তোমাতে আসক্ত ২ পর্ব-২৫+২৬

0
1110

#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৫

এমন সময় বাসার টেলিফোন করে রেহনুমা । আবুল কল ধরতে ই রেহনুমা বেগম চিৎকার করে বলে উঠে,

–অভ্র কোথায় অভ্রকে ফোনটা দেও।

–ম্যাম অভ্র বাবা তো দরজা খুলছে না।

–কী বলছো এসব।

রেহনুমা আহমেদ ভয় পেয়ে যায় আজ তো মিহির বিয়ে আমার ছেলেটা কিছু করে বসেনি তো। অভ্রকে যতটা চিনি অভ্র তো এমন ছেলে না। তাও নিজের সন্তান তো কষ্ট তো হবে ই।

সকাল বেলা লোকজনের কথা বলার শব্দ ঘুম ভাঙ্গে মিহির।
ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণের জন্য ভুলে গিয়েছিলাম আজ আমার বিয়ে। ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে তাকাতে ই দেখি কাজিনগুলো বসে বসে গল্প করছে। আমাকে উঠতে দেখে ই বললো,

—আপু এতো দেরি করে ঘুম ভাঙ্গলো তোমার। তা চা নাকি কফি।

–খাবো না।

–বোনের হাতে আজকে খেয়ে নেও কালকে না হয় জামাই এর হাতে খাবে।

কথাটা বলে ই সবাই হাসা শুরু করলো। আমাদের ঐদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। শুধু জানি আজকে আমার জীবনটা বলি দিতে হবে বেচে থাকতে হবে জীবন্ত লাশ হয়ে।

–এই আপু কী ভাবছো এতো।

মুখে হাসি রেখে উওর দিলাম কিছু না। বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে আবার ফোনটা নিলাম, এখনো যে আমার অনেক কাজ বাকি অভ্রকে সেদিনের ঘটে যাওয়া সত্যের মুখেমুখি না করতে পারলে যে আমার শান্তি হবে না।ফোনটা হাতে নিতে ই মেহেদী রাঙ্গা হাতটা চোখে পড়লো, হাতে বড় বড় অক্ষরে লিখা রক্তিম নামটা ও চোখে পড়লো। উঁহু এই হাত তো আমি অভ্রের জন্যে রাঙ্গাতে চেয়েছিলাম। এই বড় বড় অক্ষরে তো অভ্রের নামের থাকতো কিন্তু ভাগ্য আমাকে আজ এই নির্মম পরিস্থিতিতে ফেলেছে।এসব ভাবনা বাদ দিয়ে অভ্রের নম্বরে কল দিতে ই আবার সুন্দর কন্ঠে অসুন্দর সত্যটা কানে আসলো। এখন ও ফোন বন্ধ তাহলে কী এই সিম ইউস করে না।

–মিহি।

মায়ের ডাকে পেছনে ফিরে উওর দিলাম।

—বলো।

চলে আয় গোসল করবি এখন।

–কয়টা বাজে এখন। এখন গোসল করতে হবে কেনো।

–এগারোটা বেজে গেছে।

–তো

–পার্লার থেকে লোক এসে বসে আছে। গোসল সেরে নে।

–মা বলেছিলাম তো চমার এতো আনন্দ লাগছে না যে ডেং ডেং করে পার্লারে চলে যাবো সাজতে।

–তুই যাবি না বলে ই তো রক্তিম বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।

দুইটার দিকে,

ভারি লেহেঙ্গা আর গয়নার ভারে আমি মাঝখান থেকে ভেঙ্গে পড়বো মনে হচ্ছে। এতো প্যারা নিয়ে মানুষ বিয়ে করো কিভাবে। ভাবতে ই মন খারাপ হয়ে যায় একটু পর ই এই বাড়ির মেহমান হয়ে যাবো আমি। নিজের বেড়ে উঠার স্থানটা আজকে আমাকে বিদায় দিবে। আজকে তো অভ্র আসবে, অভ্রকে পাওয়ার অনেল ইচ্ছে ই বুকের মধ্যে পুষেছি আজ সেই ইচ্ছেগুলোকে মুক্ত করে দিবো। সত্যি অভ্র আসবে তো। অভ্র আসার পর আমি চেষ্টা করবো সব সত্যি বলে নিজে একটু হালকা করতে।

দরজা ভাঙ্গার মিস্ত্রি এনেছে আবুল, ভয়ে কলিজা ছটফট করছে। করবে না ই বা কেনো। সকাল গড়িয়ে যে দুপুর হলো এখনো যে অভ্র দরজা খুলছে না। এই শহরে মিস্ত্রি পাওয়া ও যে বেশ কষ্ট সাধ্য। খুব কষ্ট এই মিস্ত্রি খুজে পেয়েছে। দরজার তালা খুলতে যাবে ঠিক তখন ই অভ্র দরজা খুলে বের হলো।

কোথাও যাবে বলে মনে হচ্ছে, পুরো রেডি হয়ে রুম থেকে বের হয়েছে।

–অভ্র বাবা কোথায় ছিলে এতোক্ষণ সেই সকাল থেকে তোমাকে ডাকছি।

–কাকা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তাই শুনতে পারিনি। বাই দ্যা ওয়ে তুমি আর টেনশন করো না। আর উনি কে?

–উনি মিস্ত্রি তোমার দরজা ভাঙ্গার জন্য এনেছিলাম।

অভ্র মুখে হাসি টেনে বললাম,

–ওকে আমার লেট হয়ে যাচ্ছে এসে কথা বলবো।

–শুনো বাবা।

–হে,কাকা বলো।

–তোমার মা ফোন দিয়েছিলো।টেনশনে করছে খুব।
একটু কথা বলে নিও।

–হুম ওকে।

বলে ই আমি বাসা থেকে বেট হয়ে গেলাম। গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম মিহিদের বাড়ির উদ্দেশ্য।

অভ্রের গাড়ি এসে মিহিদের বাসার সামনে থামতে ই দেখলো, বরযাত্রী চলে এসেছে।
অভ্র মিহিদের বাসায় ডুকতে ই মিহির মা দৌড়ে আসলো, মিহি মাকে দেখে হাসি মুখে সালাম দিলো।

–কেমন আছো, বাবা।

–জ্বি আন্টি আলহামদুলিল্লাহ ভালো।

–তুমি দেশে ই তো ছিলে তাহলে এই মায়ের কাছে একবার ও আসোনি কেনো।

–এই তো চলে আসলাম।

–হুম তা তোমার ভাবির সাথে কথা হয়েছে।

–ভাবির সাথে তো প্রয়োজন ছাড়া কথা হয়না।

–হে আমি ও অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করলাম কিন্তু মেয়েটা নাকি অনেক বিজি আমার সাথে কথা বলার সুযোগ ই নাই।

–কী বলেন আন্টি, মিহি বিয়ে যে এটা ভাবি জানে না?

–হে বলেছিলাম একবার তারপর আর কথা হয়নি।

–ওহ্ আচ্ছা মিহি কোথায় আন্টি।

মিহি মা মিহির রুমটা দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো। অভ্র রুমে ডুকতে ই মিহি চোখ আটকে যায়। সাদা শার্ট এ কালো পেন্ট পড়নে হাতে ওয়াচ চুলগুলো স্পাইক করা।

–আজকে ও কী স্যার বলে ডাকতে হবে।

–সেটা আপনার ইচ্ছে।

–আপনার ইচ্ছে বলতে কী কিছু নেই নাকি।

–আমার ইচ্ছেগুলো অনেকদিন আগে ই মরে গেছে।

–কল দিয়েছিলাম ফোন অফ ছিলো কেনো।

–ঘুমাচ্ছিলাম তাই।

–ইম্পরট্যান্ট কথা ছিলো।

–বিয়ের আগে দিন কীসের ইম্পর্ট্যান্ট কথা, এতো মানুষের সামনে বলবেন। তাও বলতে চাচ্ছো যখন বলেন,

মিহি বলতে যাবে ঠিক তখন ই বাহির থেকে কান্নার শব্দ আসছে।

রুমে যা মানুষ ছিলো সবাই বাহিরে চলে গেছে। মিহি আর অভ্র ও দুজন বাহিরে গেলো কী হয়েছে দেখার জন্য।

–প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করা আইন অনুযায়ী অপরাধ। (পুলিশ)

–প্রথম স্ত্রী মানে।(মিহির মামা)

মিহি মা পাশে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছে, মিহি মামা পুলিশের সাথে কথা বলছে।

–আপনারা দেখতে চান এইযে দেখুন কাবিন নামা।(প্রথম স্ত্রী)

–মিহির মামা কাবিন নামা দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো।

পুলিশ রক্তিমকে এরেস্ট করে নিয়ে গেলো। সবাই কানাঘুষা শুরু করলো,মিহিকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করা শুরু করলো। এটা শুনে মিহি মা দৌড়ে গিয়ে অভ্রেকে বললো,

–বাবা তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করবে?

–আন্টি কী বলছেন এগুলো।

–আমার যা সম্পদ আছে তা আমি তোমার নামে লিখে দিবো।আজকে বিয়ে না হলে আমার মেয়েকে কেউ বিয়ে করবে বলো।

–আন্টি আপনি শান্ত হন। আমার মা আছে। আমসর ফ্যামিলি ছাড়া৷ আমি বিয়ে করবো কীভাবে বলেন।

–বাবা আমি তোমার পায়ে পড়ছি,

কথাটা বলার সাথে সাথে মিহি মা পায়ের ধরতে যাওয়ার আগে ই অভ্র উনাকে ধরে ফেলে।

–আন্টি আমি বিয়ে করবো।

কথাটা শুনার সাথে সাথে মিহির মা অভ্রকে আদর করে দেয়। কান্না ভেজা কন্ঠে মাথায় হাত দিয়ে ধুয়া করে দেয়।
মিহি অনবরত কান্না করছে যাচ্ছে।

কাজি ডেকে দুজনের বিয়ে পড়ানো হলো। মিহিদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে মিহিকে অভ্র গাড়িতে বসতে ই অভ্র গাড়ি স্টার্ট দিলো।

–বিয়ে করেছি ঠিক ই কিন্তু কোনো দিন স্ত্রীর মর্যাদা পাবে না। মাইন্ড ইট।

চলবে,

#তোমাতে আসক্ত ২
#নাহিদা ইসলাম
#পর্ব ২৬

কাজি ডেকে দুজনের বিয়ে পড়ানো হলো। মিহিদের বাসা থেকে বিদায় নিয়ে মিহিকে নিয়ে গাড়িতে বসতে ই অভ্র গাড়ি স্টার্ট দিলো।

–বিয়ে করেছি ঠিক ই কিন্তু কোনো দিন স্ত্রীর মর্যাদা পাবে না। মাইন্ড ইট।

মিহি কোনো কথা বললাম না চুপ করে বসে আছে।বাহিরের দিকে তাকাতে ই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। জীবন এখন বৈঠা বিহীন নৌকা হয়ে গেছে। জীবনের স্রোত যেদিকে নিয়ে যায় ঐদিকে ই যেতে হবে। তাই ভাবলো অনেক তো হয়েছে,পরিবার, বা অন্য কারো কথা ভাব এবার একটু নিজের কথা ভাবতে হবে। মিহি বাহির থেকল চোখ ফিরিয়ে, এক হাত গালে ঠেকিয়ে অভ্রের দিকে মাথাটা বাকিয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে আছে। অভ্রের চোখে কালো সানগ্লাস।
অভ্র আরচোখে তাকাতে ই দেখলো মিহি পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে।

–এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?(অভ্র)

–নিজের বউকে আপনি করে বলে নাকি?(মিহি)

–তুমি এমন নির্লজ্জের মতো তাকিয়ে আছেন কেনো।

–আমি তাকিয়ে থাকি আর যা ই করি আপনি তো আমার দিকে তাকাননি তাহলে কীভাবে বুঝলেন আমি তাকিয়ে আছি আপনার দিকে।তারমানে সানগ্লাস পড়েন আমাকে আড়চোখে দেখার জন্য।

—বেশি কথা বলেন কেনো আপনি।

–আপনি কম কথা বলেন তাই।

–ইডিয়ট।

–ভালোবাসা যা ই বলবেন শুনতে সেই লাগে।

অভ্র আর কোনো কথা বললো না। চুপচাপ ড্রাইভ করছে। জ্যামে পড়ার সাথে সাথে অভ্রের মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠলো।কিছু না বুঝার আগে ই মিহি অভ্রের সানগ্লাসটা নিয়ে নিজের চোখে পড়লো।

–এটা কী করলেন।

–স্বামী স্ত্রীর জিনিস ভাগাভাগি করে পড়া যায়।

–দিন সানগ্লাস দিন।

–দিবো না।

–দিতে বলছি কিন্তু।

–দিবো না বললাম তো।

অভ্র সানগ্লাসটি আনার জন্য মিহির দিকে যায় মিহি পেছনের দিকে যায় না, স্থীর হয়ে বসে আছে।

–না দিলে কিন্তু এখন..

কথাটা বলার সাথে সাথে মিহি অভ্রের শার্ট এর কলারে ধরে বললো,

–না দিলে কী হে।

–ছাড়ুন।

–আমার হাসবেন্ডকে আমি ধরেছি ছাড়বো কেনো।

বলে ই মুখে ফু দিতে ই চুলগুলো হালকা উড়ে।অভ্রের দিকে আগের ন্যায় তাকিয়ে বললো একে ই বুঝি কিলার লুক বলে।

গাড়িতে লাইট অন ছিলো আশেপাশে গাড়ির লোকজন তাকিয়ে হাসছে। অভ্র বেশ লজ্জায় পড়ে গেলো সাথে মিহি ও। চারপাশ খেয়াল করে অভ্রকে ছেড়ে দেয়। অফ সাথে সাথে গাড়ির লাইটা অফ করে ফেলে।

–লাইট অফ করেল কেনো।

এবার বেশ রাগ দেখিয়ে অভ্র বললো,

–ইচ্ছে আমার।

মিহি বেশ বুঝতে পারলো রেগে আছে তাই আর কিছু বললো না।

বাসার সামনে গাড়ি থামতে ই অভ্র নেমে আগে আগে চলে যায়। মিহি শাড়ি নিয়ে কোনোমতে দৌড়ে গিয়ে অভ্রের হাত ধরে। অভ্রের হাত ধরতে ই অভ্র ছাড়িয়ে নেয়। মিহি আবার অভ্রের হাত ধরে আবার ও ছাড়িয়ে নেয়। বেশ কয়েকবার এরকম করতে করতে বাসার ভেতরে ই চলে যায়। বাসার ভেতরে ডুকতে ই অভ্র চিল্লিয়ে বললো,

–আবুল চাচা উনাকে গেস্ট রুম দেখিয়ে দিন।

–ওমা কেনো আপনি বুঝি গেস্ট রুমে থাকে।

–আপনার জন্য বললাম গেস্ট রুম এর কথা।

–আপনার বউ হয়ে গেস্ট রুমে থাকতে যাবো কেনো।

–শুধু কাগজে কলমে বউ সময় মতো ডিভোর্স পেপারে পেয়ে যাবা।

এটা বলে ই অভ্র উপরে চলে গেলো। মিহি নিচে দাড়িয়ে আছে।

একজন কাজের লোক এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো তুমি কে আর এতো রাতে ছোট সাহেবের সাথে কী করো।

–আমি এই বাড়ির ছোট বউ। বুঝেন ই তো খালি একটু মনমালিন্য চলছে তাই অমন করে বললো।আপনি কে।

–আসসালামু আলাইকুম ছোট মেডাম।

— আরে আমাকে মেডাম বলতে হবে না। আমার নাম মিহি।নাম ধরে ডাকবেন।খালা একটা কাজ করতে পারবেন।

–হে বলো।

–আমাকে একটা শাড়ি দিতে পারবেন।

–হে বড় ম্যাম এর রুমে তো অনেক শাড়ি আলমারিতে।

–আমাকে একটা শাড়ি এনে দেন।

মিহি কিছুক্ষণ ওয়েট করতে ই চম্পা একটা মেরুন কালারের শাড়ি দিলো। মিহি গাড়িটা নিয়ে সোজা অভ্রের রুমে চলে যায়। অভ্র মিহিকে দেখে ই বলতে শুরু করে,

–এই আপনি এইখানে আসছেন কেনো?

মিহি কোনো উওর না দিয়ে ই টাওয়াল আর শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে ডুকে পড়ে।

–এই আমার টাওয়াল এটা।

মিহি ভেতর থেকে উওর দিলো,

–কালকে আরেকটা কিনে আনেবেন নয়তো এই টাওয়াল ই মাঝখান থেকে কেটে দুজনে ইউস করবো।

মিহি কোনো রকম শাড়িটা পেচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলো।

–এসে কুচি ধরেন।

–আমি এসব পাড়বো না।

–পারেনটা কী আপনি।

–কিছু না পাড়লে ও নিজের কাজের জন্য অন্যকে ডাকি না।

–তা অফিসে এতো স্টাফ রেখে কী করেন, আপনি আপনার কাজ একা ই করেন।

–এটা আপনার মতো বলদের না বুঝলে ও হবে।

মিহি শাড়ি ঠিক করতে করতে বললো,

–যাক আপনি যেমন বলদ আপনার বউ ও তেমন বলদ ই হলো। এটা সিম্পল বলদের বউ তো বলদ ই হবে।

–আমি বলদ।

–আমার কোনো সন্দেহ নাই। এখন কুঁচি ধরবেন নাকি বাহিরে যেয়ে কাজের লোকদের দেখাবো আপনার বউ এর গোপন রুপ।

কী জালায় পড়লাম বাবা।

এটা বলে ই অভ্র চোখ বন্ধ করে কোনো মতে কুচি ধরলো।

–হয়েছে আপনার কাজ এখন আমার রুম থেকে বেরোতে পারেন।

মিহি কোনো কথা না বলে চুপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ে।

অভ্র অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,

–আপনি আমার বেডে শুবেন?

–আপনার কাছ অনুমোদন পত্র নিয়ে কী শুতে হবে নাকি।

–বিয়ে করেছি বলে মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি।

–না শুধু মাথা না আপনার নাম পুরো জীবটাকে ই চাই।

–আপনার সাথে কথা বলা ই সময় নষ্ট।

–তাহলে কথা বলেন কেনো।

অভ্র মুখে বিরক্তি ভাব ফুটিয়ে মাঝখানে কোলবালিশ দিয়ে শুয়ে পড়লো।

–ভাব্বাহ কী সীমান্তের প্রাচীর। প্রাচীর টপকে আবার আমার সীমানায় যেনো চলে না আসেন।

অভ্র কোলবালিশ মাঝখান থেকে ফেলে দিয়ে মিহি কাছে গিয়ে বললো,

–কী করবা সীমান্ত প্রাচীর টপকালে।

–এমা এই কী। কী রুপ নিয়েছে এ যেনো শীতকালে গ্রীষ্মের ছোয়া।

কথাটা বলে ই মিহি চোখ বন্ধ করে দেয়।

চলবে,

[ভুলক্রটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে