তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল পর্ব-০৩

0
339

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৩

কলিংবেল চপতেই ইতি বেগম দরজা খুলে দিলো। এমনি তার মেজাজ খুব গরম ছিলো, দরজা খুলে ইয়ানাকে সামনে পেয়ে আর কোনো দিকে না তাকিয়ে সজোরে ইয়ানার গালে চর বসিয়ে দিলো।
আকস্মিক আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো প্রীতি, কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইতি বেগম গর্জে বলে উঠলো এত রাতে বাসায় আসার সময় হলো? কোথায় ছিলি এত সময়? কোন নষ্টামি করে এতো রাতে বাড়ি ফিরেছিস হুম? আজকে তো তোকে আমি মেরেই ফেলবো এ বলে আবার থাপ্পড় দিতে নিবে অমনি কেউ একজন হাতটা ধরে ফেললো।

ইয়ানার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়তে লাগলো। এমনি শরীর দূর্বল তার উপর আবার এতো জোরে চর খেলো সাথে ধারালো কথা তো আছে। সব মিলিয়ে নিজেকে আর সামলে উঠতে পারছে না। মায়ের মুখে এমন কথা শুনে ম/ রে যেতে ইচ্ছে করলো। আফসোস লাগলো আজ ছু/রি/টা ওর হাতে না চলিয়ে গলায় কেনো চালালো না।
ইতি বেগম থাপ্পড় উঠাতে ও নির্বিকার ভাবে তাকিয়ে রইলো মায়ের দিকে কিন্তু থাপ্পড় টা পড়ার আগে কেউ হাত ধরে ফেলাতে দুর্বল চোখে সেদিকে একবার তাকালো। অস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠলো একটা মুখশ্রী। আস্তে আস্তে স্পষ্ট হলো সেই মুখশ্রী অধিকারি ব্যক্তিকে।

ইতি বেগমের হাত কেউ ধরে ফেলাতে তিনি আরো তেতে গেলেন। সামনে তাকাতে একটা ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরো রেগে গেলো। তেজ নিয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বললো নষ্টামি করে নাগর নিয়ে বাসায় ও হাজির হয়েছিস এত বড় স্পর্ধা তোর?তোর বাবা আসুক শুধু লাই দিয়ে দিয়ে মাথায় উঠিছে না এবার দেখবে তার ফল। তোর মতো নো…

আর কিছু বলার আগে পারফি হুংকার দিয়ে বলে উঠলো জাস্ট শাট আপ ওই মুখ দিয়ে আর একটা বাজে কথা বের করবেন না। রাগে শরীর কাঁপতে লাগলো পারফির। মা হয়ে মেয়েকে এতটা জঘন্য কথা কেউ বলতে পারে তার ধারণা ও ছিলো না। তাকালো ইয়ানার অশ্রুসিক্ত মুখপানে। গালে পাঁচ আঙুলের দাগ পড়ে গেছে। হয়তো মায়ের মুখে এমন জঘন্য কথার কাছে এই ব্যথা কিছুই না। এরকম স্নিগ্ধ ফুলকে এভাবে কেউ কষ্ট দিতে পারে? রাগ লাগলো খুব পারফির এমন স্নিগ্ধ ফুলকে এভাবে কষ্ট দেওয়ার জন্য। ভাগ্যেস ঔষধের প্যাকেটটা দিয়ে যেতে এসেছিলো আর নাহলে অসুস্থ মেয়েটাকে আরো কতগুলো আঘাত সহ্য করতে হতো।

পারফি এবার ইতি বেগমের হাত ছেড়ে দিয়ে দাঁতে চেপে বললো কেমন মা আপনি যে নিজের মেয়েকে এমন জঘন্য কথা শুনাতে মুখে বাজলো না। মায়েরা নাকি সব থেকে মমতাময়ী হয় আর আপনি মা নামের কলঙ্ক। মেয়ে এত রাতে কেনো এসেছে সেটা না যেনে নিজের মতো নোংরা ভাবনা চিনতা ভেবে নিলেন। কোনো বিপদ ওতো ঘটতে পারে যার জন্য বাসায় আসতে দেরি হয়ে গেছে।
পারফি এবার ইয়ানার কাটা হাতটা আলতো করে ধরে ইতি বেগমের সামনে ধরলো।
এতক্ষণে ইতি বেগমের চোখ পড়লো ভালো করে ইয়ানার দিকে। হাতে ব্যন্ডেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে গেলো কিন্তু তার ভিতর কোনো বিচলিত হতে দেখা গেলো না, কেমন মা এ? ভাবতেই অবাক লাগলো।
পারফি আবারো দাঁতে দাঁত চেপে বললো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ বাসায় ফিরেছে আর আপনি কিনা মা হয়ে সেদিকে খেয়াল না দিয়ে নিজের রাগ মিটাচ্ছেন। বড়ই অদ্ভুত মা আপনি।
ইতি বেগম কোনো প্রতিত্তোর করলো না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন তা দেখে পারফি আর কিছু বললো না। চলে যেতে নিবে তখন ইয়ানার দিকে একবার তাকিয়ে বললো ভালো থাকতে হলে নিজেকে শক্ত করে গড়ে তোলো মেয়ে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে দূর্বলদের কোনো জায়গা নেই। এ বলে ইয়ানার হাতে ঔষধের প্যাকেটা ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো। ইয়ানা সেদিক পানে ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো।

ইয়ানার অবস্থা দেখে প্রীতির বুক ফেটে কান্না আসছে। নিজের কলিজার বেস্টুর এভাবে কষ্টে দিন পার করা লাগে ভাবতেই কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। প্রীতি ইয়ানাকে ধরে রুমে নিয়ে এসে ওকে ঝাপটে ধরে কান্না করে দিলো। ইয়ানা নির্বিকার ভাবে দাঁড়ায়ে আছে। কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
প্রীতি ইয়ানাকে ছেড়ে দিয়ে বললো ইয়ানা এই মহিলার কাছে তোর আর থাকা লাগবে না। তুই আমার সাথে চল, তুই আমার কাছে থাকবি।
ইয়ানা দূর্বল হেসে বললো ধুর বোকা কি বলছিস, মা আজ খুব রেগে ছিলো হয়তো তাই এমন করেছে। অনেক রাত হয়েছে এবার তুই বাড়ি যা আন্টিরা চিন্তা করবে।

তোকে এভাবে ফেলে আমি কিছুতেই যাবো না। এখন তোর যত্নের প্রয়োজন। ওই মহিলা তোর যত্নে নেওয়াতো দূরের কথা তোকে আরো কষ্ট দিবে সেটা আমি মেনে নিবো না।

এতো চিন্তা করিস না কিছু হবে না আমার। আমি নিজেকে সামলে নিতে পারবো। এগুলোতে এখন অভ্যস্ত আমি আর কালকে বাবা চলে আসবে, বাবা আসলে মা এমন করবে না দেখিস। আজকের রাতটা আমি সামলে নিতে পারবো বাবা তো কাল আসছেই।

প্রীতি কিছুতেই ইয়ানাকে এভাবে ছেড়ে যেতে রাজি হলো না কিন্তু ইয়ানা ওকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে পাঠিয়ে দিলো। প্রীতিকে পাঠিয়ে দরজা আঁটকে চুপটি করে বেডে শুয়ে পড়লো। মনটা বিষাদে ছেয়ে গেলো, নিঃশব্দে চোখের অশ্রু ফেলতে লাগলো।
————————–
প্রীতিরা বাসায় ফিরে আসতেই পিয়াসা বেগম বিচলিত হয়ে জানতে চাইলো এতো দেরি কেনো হলো৷ আর ওদের এই অবস্থাই বা কেনো..
পারফি কোনো কথা না বলে উপরে চলে গেলো।
প্রীতি সবটা খুলে বলতে পিয়াসা বেগম এর ও মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আফসোস লাগলো খুব অমন ফুলের মত একটা মেয়েকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে৷ তিনি প্রীতিকে শান্তনা দিয়ে বললো সব ঠিক হয়ে যাবে মন খারাপ করিস না৷ সারাদিন কিছু খাস নি যা ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।
আর হ্যা আসার সময় পারফিকে নিয়ে আসিস।
প্রীতি সম্মতি দিয়ে উপরে উঠে গেলো।

এদিকে পারফি রুমে এসে সোফায় গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে রইলো। গায়ের শার্ট এ এখনো রক্ত লেগে আছে তবুও চেঞ্জ করার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। যে ছেলে তার পোশাকে এক চিমটি পরিমান দাগ লাগলে সাথে সাথে সেটা চেঞ্জ করে ফেলে আর আজ সেই ছেলে রক্তমাখা শার্ট পরে এত সময় কাটিয়ে দিলো তবুও পালটানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে হলো না।
কেমন যেনো নিজেকে খুব অগোছালো লাগছে পারফির। আজকে একটা দিনের ভিতরে সব কিছু ওলোট পালোট হয়ে গেলো। চোখের সামনে বারংবার একটা মুখেই ভেসে উঠছে। সকালের সেই স্নিগ্ধ মুখশ্রী, স্নিগ্ধ সেই ভেজা চোখ, স্নিগ্ধ হাসি। সব শেষ ভেসে উঠলো অচেতন সেই ফ্যাকাশে মুখশ্রী। যেটা ভেসে উঠতেই মনে ভিতর এক অজানা অস্থিরতা অনুভব করছে।
ফোনের সাউন্ডে ভাবনা থেকে বের হলো পারফি। ফোন বের করে দেখে শাফিন ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করতে শাফিন কিছু একটা বলতেই পারফি বললো তুই থাক আমি আসছি এ বলে ফোন কেটে দিয়ে শার্টটা চেঞ্জ করে সাথে সাথে বেড়িয়ে গেলো।

নিচে নামতে পিয়াসা বেগম বললো একি এখন আবার কোথায় যাচ্ছিস?
ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে আম্মু এখন যেতে হবে। ফিরতে রাত হবে আমার জন্য অপেক্ষা করো না।

মাত্রই তো আসলি কিছু খেয়ে যা।

আমি বাহিরে খেয়ে নিবো তুমি চিন্তা করো না এ বলে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হনহনিয়ে চলে গেলো। পিয়াসা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেললেন এই বাপ ছেলেকে নিয়ে আর পারে না তিনি। রাত নেই দিন নেই যখন তখন হুটহাট করে বেড়িয়ে পড়ে। শুধু কাজ আর কাজ। কতবার করে বলেছে এইসব ঝুকিপূর্ণ কাজ ছেড়ে দিতে কিন্তু কে শুনে কার কথা। যেমন বাপ তেমন তার ছেলে।
————————-
পারফি চলে আসলো ওদের গোপন আস্তানায়। সেখানে প্রবেশ করতে কিছু গার্ড এসে একটা রুমে নিয়ে গেলো। যেখানে শাফিন আগে থেকে বসা ছিলো আর তার অপজিট পাশে একটা ছেলের হাতপা বাঁধা অবস্থায় প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে।
পারফি হাতের ইশারায় গার্ডের বেড়িয়ে যেতে বললো। গার্ডরা বিনা বাক্যে সেই স্থান ত্যাগ করলো।
পারফি কাছে এগিয়ে যেতে শাফিন বললো শালা মুখ খুলছে না। মারতে মারতে আধমরা করে ফেলেছি তবুও মুখ খোলে নি।
পারফি এবার বাঁকা হাসি দিয়ে বললো কিভাবে মুখ খুলতে হয় তা খুব ভালো করেই জানা আছে আমার এ বলে সামনের চেয়ারটায় বসা ছেলেটার মুখ বরাবর বসে পড়লো।
ছেলেটা পারফিকে দেখে ভয়ে আঁতকে উঠলো। বার বার ঢোক গিলতে লাগলো।
পারফি এবার আগুন চোখে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে হুংকার দিয়ে বললো এবার বল কেনো সকালে ওর উপরে হামলা চালিয়েছিস? ওর সাথে তোর কিসের শত্রুতামি?

ছেলেটা ভয়ে কেঁপে উঠলো কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো আ..আমি ক..কিছু করি ন..নি।

পারফির এবার মাথায় রক্ত উঠে গেলো নাক বারবার ঘুষি মেরে দিলো যার ফলে নাক ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো। পারফি হুংকার দিয়ে ফের বললো শেষ বারের মতো বলছি কেনো ওর উপর আক্রমণ করেছিস।

ছেলেটি এবার ও কিছু শিকার না করাতে পারফি আর নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। শাফিনের হাতে থাকা লাঠি নিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে লাগলো ছেলেটাকে। ছেলেটা ব্যথায় আর্তনাদ করতে লাগলো এক পর্যায়ে আর সহ্য করতে না পেরে কোনো মতে বললো ব..বলছি আমি, আ..আমি সব বলছি।

পারফি এবার লাঠিটা শব্দ করে নিচে ছুঁড়ে মেরে ফের চেয়ারে বসে বললো বল।

ছেলেটা একটু দম নিয়ে বললো আমি এই কাজ একজনের কথায় করেছি। লোকটা কে তাকে আমি দেখিনি। তার সাথে আমার শুধু ফোনে কথা হয়েছে। সে আমাকে অনেক টাকার অফার করে একটা মেয়েট পিক দিয়ে বললো একে মে/রে দিতে। এতো টাকার অফার পেয়ে আমিও নিজের লোভ সামলাতে না পেরে রাজি হয়ে যাই। আমি সাকাল থেকে মেয়েটাকে ফলো করতে থাকি কিন্তু মা/রার মতো কোনো সুযোগ পাই নি। এর পর মেয়েটা ভির থেকে বেড়িয়ে মাঠে আসাতে আমার কাজটা সহজ হয়ে গেলো তখন সুযোগ বুঝে আমি হাতের শিরায় ছু/রি চালিয়ে চলে যাই। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দিন শেষ বারের জন্য। আমি এমন কাজ আর কখনো করবো না। প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দিন।

সব শুনে পারফি আরো রেগে গেলো। ছেলেটার কলার টেনে ধরে বললো লোকটা কে? কে তোকে এই কাজ করতে বলেছে সব সত্যি বল আর নাহলে আজ তোকে জানে মে/রে ফেলবো।

আমি সত্যি জানিনা লোকটা কে। তার সাথে আমার শুধু ফোনে কথা হয়েছে। বিশ্বাস করুন আমি দেখিনি লোকটাকে। তবে লোকটার কথা শুনে মনে হয়েছিলো সে আপনার পুরোনো কোনো শত্রু। মেয়েটা আপনার প্রিয় কেউ হয় এই জন্য আপনার প্রিয় মানুষকে আপনার থেকে দূরে সরাতে চায়।

পারফি বুঝতে পারছে না কে এমন করছে। আর মেয়েটাকে ওর প্রিয় কেউ বা কেনো ভাববে? আমার সাথে তো আগে মেয়েটার পরিচয় ছিলো না….এক মিনিট আজ কাকতালীয় ভাবে মেয়েটার শাড়ির সাথে আমার
শার্টের কালার ম্যাচিং হয়ে গিয়েছিল তার মানে এই জন্য কেউ ভেবে নিয়েছে মেয়েটা আমার দূর্বল কেউ। ওহ্ শীট
স্নিগ্ধ ফুলের মতো নিস্পাপ মেয়েটা না চাইতেও আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেলো। এখন যে ওর পদে পদে বিপদ। কে এমন করছে ওর সাথে তা মাথায় আসছে না। কিছু একটা ভেবে ছেলেটার পকেট থেকে ফোন বের করে নাম্বার চেক করতে লাগলো। কিন্তু না নাম্বারটা চিনতে পারছে না। ফোনটা শাফিনের দিকে বাড়িয়ে দিলো। শাফিন ওই নাম্বারে ফোন লাগালো কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে। বুঝলো যে কাজ শেষ করে সিম খুলে ফেলেছে।

শাফিন রেগে গিয়ে ছেলেটাকে এলোপাতাড়ি কয়েটা ঘুষি দিয়ে বললো একদম মিথ্যা বলার চেষ্টা করবি না সত্যি করে বল লোকটাকে চিনিস কিনা।
ছেলেটা আর্তনাদ করে বলে উঠলো আমি সত্যি বলছি আমি চিনি না। আমাকে দয়া করে ছেড়েদিন। আমাকে যেতে দিন এবারের মত, এরকম কাজ আর কখনো করবো না কথা দিচ্ছি ।

পারফি শাফিনকে ইশারা করলো হাতের বাঁধন খুলে দিতে। শাফিল বাঁধা হাত পা খুলে দিতে লোকটা খুশি হয়ে দৌড়ে চলে যেতে নিবে তখনি পারফি কলার ধরে সামনে নিয়ে এসে দাঁতে দাঁত চেপে বললো তোকে চলে যেতে দেওয়ার জন্য বাঁধন খোলা হয় নি। যেই হাত দিয়ে স্নিগ্ধ ফুলকে তুই আঘাত করেছিস সেই হাত অক্ষত অবস্থায় কি করে রাখি বল? এ বলে পাশ থেকে ছু/রি নিয়ে ছেলেটার হাত বরাবর ছু/রি চালিয়ে দিলো। সেখান দিয়ে গলগলিয়ে রক্ত পড়া শুরি করলো। ছেলেটা হাত চেপে ধরে আর্তনাদ করতে লাগলো। পারফি ফের আরেক হাতে ছু/রি বসিয়ে দিলো। এরপর ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিয়ে বললো এবার দেখ কেমন লাগে। যেই হাত দিয়ে ওই নিস্পাপ মেয়েটাকে আঘাত করেছিস আজ সেই হাত সারাজীবনের জন্য অকেজো করে দিলাম যাতে ভবিষ্যৎ এ কোনো দিন এমন কাজ করার সুযোগ ও না পাস। আজ তোর ভাগ্য ভালো তাই জানে মা/র/লাম না এ বলে গার্ডের হাতে ছেড়ে দিয়ে শাফিনকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে