তুমিময় পর্ব-০২

0
1820

#গল্প-তুমিময়
#Aysha_Khan
#পার্ট ২

ভোর বেলার স্নিগ্ধ রোদ তীর্যক হয়ে রুম জুড়ে ছেঁয়ে আছে। বাহিরে পাখিরা কিচিরমিচির সুর তুলছে! সাথে ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ করে ডানা ঝাপটাচ্ছে বড় বড় গাছ গুলোতে করছে এই ডাল ঐ ডাল। ঢাকা শহরে পাখির কিচিরমিচির এই সুর শোনা বড্ড দায়। বরংচো তীক্ষ্ণ গাড়ি,রিকশা ইত্যাদির হর্ণ বেশি শোনা যায়।

রাতে ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পরায় ভোরেই ঘুম ছুটে গেল! বারান্দায় দাঁড়িয়ে আশপাশে দেখছিলাম। কিন্তু বারান্দায় দাঁড়িয়ে একটা পাশি দেখা যাচ্ছে। তাই ফ্রেশ হয়ে চুপিচুপি একটু ছাঁদে ঘুরে আসবো আশপাশে পুরোটা দেখে আসবো ভেবে ছাঁদে চলে গেলাম। কারোরই এতো সকালে ঘুম ভাঙেনি এটাই স্বাভাবিক বিয়েতে সবাই ব্যাস্ত ছিলো। তার উপর মেহেদী অনুষ্টান শেষ হয়েছেই হয়তো শেষ রাতে। ওরাতো মাত্র ঘুমিয়েছে তাই ৭ টা বাজেই তাদের ঘুম ভেঙে যাবেনা!

ছাদে উঠেই আগে বাগানের দিকটায় তাকালাম ওখানেই মেহেদী অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে। ওদিকে তাকিয়ে কয়েক মূহুর্ত পর আমি ফিক করে হেসে দিলাম। আহি আহির বন্ধুমহল, আমাদের চোদ্দগুষ্টির কাজিন সব বিশাল স্টেজে আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে! সেকি ঘুমের ছিরি কাতচিৎ হয়ে যে ভাবে খুশি ঘুম। এমন মনে হচ্ছে কতগুলো মাতাল পরে আছে যাদের দিন দুনিয়ার কোনও খেয়াল নেই! আমি এক মিনিট সময় নষ্ট করলাম না। দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে বাগানে চলে গেলাম। একেকটার আজব ভঙ্গিতে ঘুমানোর সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি তুলে নিলাম। সুন্দর ছবি বলতে কয়েকটার মুখ থেকে লালা পরছে! ইয়া আল্লাহ আমি একা একা হেসে কুটিকুটি।

সবার ছবি তুলার শেষে আমি আদনাদ ভাইকে খুজলাম। পেলাম না! আমি জানি বটে সে এভাবে যেখানে খুশি ঘুমাবেন না। তার নিড এন্ড ক্লিন পরিবেশ ছাড়া ঘুম হয়না। মামুর বাড়িতে সব থেকে সুন্দর গোছানো রুমটা তার! তাই এখানে সে ঘুমোবে সেটা শুধু আমি কল্পনা করতে পারি। আমি চুপচাপ আবার ছাঁদে চলে এলাম। আসতে আসতে সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপ করলাম ছবি গুলো আমি শিওড় ওর দেখে জ্ঞান হারাবে। তারাছাড়া একবছর আমি ওদের এই পিক গুলো দিয়ে বার্থডে উইশ করবো। হোয়াট আ্য কন্টেন্ট। একা একাই যখন হাসছিলাম। তখন পিছন থেকে হায়াদ ভাইয়ার কণ্ঠ শুনতে পেলাম।

‘আরে অয়ত্রী আলো এখানে আর তার বডিগার্ড নেই আশেপাশে কিভাবে কী?’

আমার হো হো করে হেসে দিলাম হায়াদের কথায়। বুঝতে বাকি রইলোনা হায়াদ ভাই আদনান ভাইকে বডিগার্ড বলে বুঝিয়েছেন। একমাত্র ইনিই পারেন এ কথা বলতে। কেননা আদনান ভাইকে সবাই ভয় পেলেও হায়াদ ভয় পায় না। হায়াদ আদনান ভাইয়ের ছোট কিন্তু আমার সিনিয়র। তবুও তার মধ্যে আদনান এর ভয় নেই। বিষয়টা আমার খুব ভালোলাগে। এবং ইনিই একমাত্র আমাকে বুঝেন! তার জন্যেই যত বকাই খাইনা কেন হায়াদকে আমি এড়িয়ে চলতে পারিনা। অনেকটা বন্ধুর দৃষ্টিতেই দেখি তাকে আমি! আবারও হায়াদের কথা ভাবনার সুতোয় টান পরলো!

‘ আরে কি ভাবছো ওতো? ভয় পাচ্ছো না তো? আরে আদনান এখনও ঘুমোয় ডোন্ট ওয়ারি!’

আমি মাথা নেড়ে বললাম,

‘আমি জানি আদনান ভাই ঘুমে! তানাহলে ছাঁদেই আসতে পারতাম না। আমি তো ভাবছিলাম আপনি কিভাবে আদনান ভাইয়ের ভয় পান না সেটা?’

হায়াদ ভাই মুচকি হাসলো,অতঃপর বলল,

‘ ভয় পেলেই মানুষ ভয় দেখায়। তাই আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় পাইনা!”

আমি সন্তুষ্ট কণ্ঠে বললাম,

‘ইম্প্রেসিভ হ্যায়া!’

হায়াত ভাই রেলিঙের উপর বসে বললেন,

‘ অয়ত্রী তোমার রাগ হয়না কখনও আদনান ভাইয়ের উপর?’

‘হয়না কারণ আমি জানি সে আমার ভালোর জন্যেই এমন করেন! তবে হ্যাঁ একটু বেশিই করে যদিও! তবে সে আমাকে জ্বালাতে পছন্দ করে। যেন আমি উনার বাড়াভাতে ছাই ঢেলে দিয়েছি!”

আমার কথার পিঠে কিছু বললেন না হায়াদ ভাই আশপাশে দেখতে ব্যাস্ত হলেন! আমি খানিক চুপ থেকে দূরে দৃষ্টি মেলে আবার বললাম,

‘ জানেন আমাকে যদি আদনান ভাই এখানে তুলে নিয়ে না আসতেন। আজ আমার জীবন এর থেকে ভয়াবহ রূপ নিতো! ছোট্ট চাচি তার আধ বুড়ো ভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছিলেন। যার আগে একটা বিয়েও হয়েছিল। এবং দুই সন্তানের পিতা তার স্ত্রী পালিয়ে যায়! আমার বাবা আমার ক্ষেত্রে উদাসীন ছিলেন শুধু আমার ক্ষেত্রে না সংসার ক্ষেত্রেও। বাবা মাকে প্রচুর ভালোবাসতেন। উনি গত হওয়ায় সব থেকে কষ্ট বাবাই পেলেন। বাবা ভালো ব্যাংকে জব করতেন মা চলে যেতে সব ছেড়ে দিলেন। দাদু বলতো আমাকে ধরে প্রায় কাঁদতেন বাবা। আস্তে আস্তে বাবা একদম চুপচাপ হয়ে গেলেন। এতগুলো বছর ছোট চাচ্চু সব সামলাতেন আমার পড়াশোনা সংসার সব। আর তাই যখন ছোট্ট চাচি আমার বিয়ে ঠিক করলেন। বাবা দাদু কিছুই করতে পারছিলেন না কারণ ছোট চাচ্চুও রাজিই ছিলেন অনেকটা। সেই কঠিন সময়ে আদনান ভাই আমাকে একটা জঘন্য জীবন থেকে বাঁচিয়েছে। ক্ষণিকের রাগ আমার তার উপর থাকলেও। আমি কখনও ঘৃণা কিংবা রাগ করে থাকতে পারিনা আদনান ভাইয়ের সাথে। এখন তো মনে হয় আদনান ভাই যদি আমাকে জ্বালাত্বন না করেন আমার জীবন পাংসে হয়ে যাবে। তার জন্য আমি হাসিখুশি পরিবার পেয়েছি। বাবা মার মতো মামা মামী পেয়েছি একা আমি। অনেকগুলো কাজিন ভাই বোন পেয়েছি! আমি এসব হারাতে চাইনা। না যার জন্য এসব পেয়েছি তার জন্য মনে রাগ রাখতে চাই না!”

হায়াদ ভাই সব শুনে দুষ্টু হেসে বললেন,

‘ অয়ত্রী আমার মনে হয় আদনান ভাই তোমাকে ভালোবাসেন! কিন্তু ঐ আদৃতাকে তোমায় দেখিয়ে দেখিয়ে সামনে নিয়ে কেন ঘুরেন আমি বুঝিনা!’

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,

‘আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে মানে কী?’

হায়াদ ভাই রাগ দেখিয়ে বললেন,

‘ আরে দেখিয়ে দেখিয়েই তো। তোমার সামনে ছাড়া ঐ মেয়ের আশেপাশে ও তাকে দেখা যায় না। আদৃতা ঘেষাঘেষির চেষ্টা করলেও এক বেয়াল্লিশ চক্করের চিৎকার দিবে। বেচারি তখন তোমার মতোই কেঁদে কুঁটে ভাসায়৷ আমার তখন ওর জন্যেও মায়া হয়। কিন্তু যখনি তোমার সামনে থাকবে আদৃতার সাথে ফেবিকলের মতো চিপকে থাকবে যেন আদনান আদৃত বলতে অন্ধ! আসলে ব্যাপার টা সম্পূর্ণ উল্টো তুমি কলেজ রেগুলার যাও না বলে এসব জানো না।’

আমি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে হতাশার স্বরে বললাম,

‘আমি সবি জানি হায়াদ ভাই। তাই তো এখন কষ্ট হয়না ঐ শাকচুন্নিটার ঝাজ দেখানো কথা! আমার মনে হয় আদনান ভাই আমাকে পছন্দ করলেও মানতে রাজি হয় দ্যা গ্রেট আদনান আমাকে পছন্দ করে এটায় হয়তো তার নিজের ইগোই হার্ট হয়ে যায় হুহ। আবার হয়তো সেটার জন্য আমার জঘন্য চেহারা দায়। আমি দেখতে হয়তো অনেক বিশ্রী কিনা! আস্ত বদ রাগী ছেলে চাইনা আমার উনার ভালোবাসা! এভাবেই জীবন ত্যাজ পাতা করে ছেড়েছে! ‘

হায়াদ ভাই পুরুষালী কণ্ঠে ঝংকার তুলে হাসলেন। অতঃপর বললেন,

‘আই কান্ট বিলিভ দিস তুমি ঐ বদরাগী ছেলেটাকেই ভালোবেসে বসে আছো!’

গাল দুটো লাল হয়ে গেলো কাচুমাচু করে বললাম,

‘ আমি আর ঐ নির্দয় লোকটাকে ভালোবাসা! অসম্ভব! ঐ লোকটাকে তো গন্ডার ও ভালোবাসতে ভয় পাবে। আর আমি তো নিরিহ প্রাণী! ‘

হায়াদ হো হো করে হেসে উঠলো। আমিও হাসি চেপে রাখার চেষ্টা করে অবশেষে হেসেই দিলাম। হায়াদ কিটকিটিয়ে হেসে বলল,

‘কথা কি মিথ্যে নয় অয়ত্রী। কিন্তু তুমি আর জঘন্য দেখতে কথাটা হজম করার মতো নয়। আমার আম্মু বলে। তোমার মামাদের একমাত্র বোন তোমার নানু বাড়ীর সব থেকে সুন্দরী মেয়ে ছিলেন। আর তুমি তোমার আম্মুর থেকেও সুন্দরী! ‘

আমি বিদ্রুপের স্বরে বললাম,

‘ সব সুন্দরীদের ভাগ্য কিন্তু খুব একটা ভালো থাকেনা! আবার সুন্দরী হলেই সব হয়না!’

————-

বেলা ১২ টা বিশাল বাড়ির লিভিং রুম ভর্তি মেহমান। সবাই হইচই চিল্লাচিল্লির মধ্যে ব্রেকফাস্ট করতে ব্যাস্ত। আদনান ভাই নিচে এসে এই হিবিজিবি পরিবেশ দেখে ঘোষণা করে গেছেন। আমাকে তার রুমে ব্রেকফাস্ট নিয়ে যেতে। আমি চুপচাপ বড় মার থেকে ব্রেকফাস্ট নিয়ে তার রুমের দিকেই যাচ্ছিলাম আড়চোখে দেখলাম আদৃতা আপু আমার উপর ভয়ানক দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন। কি আর করার? ভোতা মুখ করে আমি আদনান ভাইয়ের রুমে নক করলাম। সাথে সাথে ওপাশ থেকে জবাব এলো,

‘কাম ইন..!’

আস্তে করে রুমে ঢুকে দেখিনি উনি বেডে আধশোয়া অবস্থা আছেন। চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। সিল্কি চুল গুলো সর্বদার মতো পার্ফেক্ট নেই। এলোমেলো অগোছালো লাগছে বড্ড। চিন্তার ভাজ পরলো আমার কপালে। মনে হলো উনি অসুস্থ! জিজ্ঞেস করবো অসুস্থ কী না তার আগেই উনি গাঁ জ্বালানো কথা বলে উঠলেন,

‘ এক প্লেট ব্রেকফাস্ট দিয়ে তুই কী উঁড়ে উঁড়ে আসছিলি! ১ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো অপেক্ষা করছি! অপেক্ষা করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছি! তুই কী মেরে ফেলতে চাস আমাকে!’

উনার বাদরামি মার্কা কথা শুনে আমার নাক ফুলে ফেঁপে উঠছে। আস্ত অসভ্য ইতর ছেলে। উনার মতো বজ্জাৎ আমি আর একটি দেখিনি!

‘ আমি অনলি ওনান পিস তুই কোথায় দেখবি আর আমার মতো লক্ষ্মী ছেলে! ‘

হাসি পেলো প্রচুর এই লোকটা নাকি লক্ষ্মী? ভাবা যায় এগুলো! আমি ছোট্ট টেবিলে খাবার ট্রেটা রেখে। বেডের কাছে গিয়ে উনার কপালে হাত রাখতেই বলে উঠলো,

‘ আমি ঠিক আছি তুই খাইয়েদে তো আমাকে! একদম আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করবিনা বলে দিলাম। ছেলে ঘেষাঘেষি মেয়ে একটা!’

শেষের কথায় কষ্ট পেলেও। উনার আবোল তাবোল কথা শুনে বুঝতে বাকি নেই উনি! ড্রাংক। রাতে নিশ্চয় হাবিজাবি গুলো গিলেছেন উনি তাই তো এই বাদর আদনানের উৎপাত্তি! উনি সর্বদা এসব খান না কিন্তু যখনি খান বাদরামো শুরু করেন। আর আমি বুঝে যাই ব্যাপার টা কী। এবং যতবার আমার মনে হয়েছে উনি আমাকে ভালোবাসেন বা পছন্দ করেন। সেটাও উনার এই ড্রাংক অবস্থাতেই মনে হয়েছে! হুস থাকতে সে ফুসফুস! হ্যাহ।

খাইয়ে দিচ্ছি আর হাতে কামড় খাচ্ছি! আমি উনার দিকে করুন চোখে তাকালেও। বিশেষ কোনও পরিবর্তন হচ্ছেনা ভাবলেশহীন ভাবে খাচ্ছে আর আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে! আমি দ্রুত খাওয়াতে লাগলাম তা না হলে কামড়ে ডজ বাড়তে পারে কে জানে একে বিশ্বাস নেই! খাওয়া শেষে আমি সব গুছিয়ে চলে যাবো উনি বলে উঠলেন,

‘ কোথায় যাচ্ছিস আমি যেতে বসেছি?’

আমি মাথা দুলালাম, মিনমিন করে বললাম,

‘আহিকে হলুদের জন্য গোসল করানো হবে। আমাকে দ্রুত যেতে বলেছে বড় মা!’

উনি চুপ করে অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। আমিও আর যেতে পারছিনা এভাবে চলে গেলে কপালে শনি! দাঁড়িয়ে পা দিয়ে পা ঘষছি। ঠোঁট কামড়াচ্ছি ইত্যাদি ইত্যাদি… কিছু সময় পর উনি যা বলে উঠলো আমি স্তব্ধ হয়ে রইলাম।

‘ আমি তোর আশেপাশে কোনও ছেলে কেন সহ্য করতে পারিনা জানিস?’

তার রুক্ষভাষী কথায়। আমার কণ্ঠস্বর কেঁপে উঠলো। বুকে ড্যাব ড্যাব করছে। জবাব না পেয়ে উনি পুনোরায় বললেন,

‘ তোর আশেপাশে কোনও ছেলে দেখলেই সেদিন রাতে আমি তোকে স্বপ্নে দেখি…!’

তার এহেন কথায় অস্ফুট স্বরে বলে উঠলাম,
‘মানে কি দেখেন স্বপ্নে?’

আদনান ভাই বাঁকা হেসে বললেন,

‘ আমি স্বপ্নে দেখি তোকে ঝাঁপিয়ে পরে চুমু খাচ্ছি!’

মুহূর্তে কান, মুখ লাল হয়ে গেলো তার কথা আমার ব্রেইন ক্যাচ করতেই সে আসলে কী বলেছে। কান থেকে যেন ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিছু মুহূর্তের জন্য স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। অতঃপর কিছু সময় পর চেঁচিয়ে বললাম,

‘আমি এখুনি আদৃতা আপুকে আপনার অসভ্য কথা বলে দিবো!’

উনি ভাবলেশহীন ভাবে বলে উঠলেন,

‘ হ্যাঁ যা বলে দে। কিন্তু সকালের মতো আর একবার কোথাও তোকে দেখলে… স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাবে!’

বলেই বেডে আয়েশ করে শুয়ে মুহূর্তে যেন ঘুমিয়ে পরলেন এমন একটা ভঙিমা করলেন। আর আমি হত বিস্মিত কী কী বললেন উনি এই মাত্র! ব্যাপার টা ক্লিয়ার উনি আদৃতা আপুকে দু টাকার দাম দেন না! তবে এগুলো উনি ড্রাংক অবস্থায় বলেই বলেছেন আমি জানি! হুস থাকবে সবার প্রথম রাতে দরজার খুলিনি বলে এক চড় বসিয়ে দিতেন! কিন্তু সব থেকে ভয়াবহ ব্যাপার উনি হায়াদের সাথে আমাকে ছাঁদে দেখেছেন! ইয়া আল্লাহ আর আমি আকাশ কুশুম ভাবছিলাম নির্দয় লোকটা জানবেও না! হ্যাহ বরাবরই সে আমার ভাবনার বাহিরে। আমি বোকার মতো সেটা বারবার ভুলে বসি!

আদনান ভাইয়ের রুম থেকে তার বলা কথা গুলো ভাবতে ভাবতে বের হচ্ছিলাম। তখন আহি সহ হুরমুর করে সব কাজিন রুমে ঢুকে আমার ব্লাশ করা গাল টিপে ধরে আমি হতভম্ব! হচ্ছেটা কি এখানে?

চলবে!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে