তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]Part_14

0
1867

তুই_যে_শুধুই_আমার [❤You are only mine❤]Part_14
#Writer_Tanzin_Islam_Ishika

In hospital?

সকলেই ওটির সামনে পাইচারি করছে,, আরুশ এক জায়গায় স্থীর হয়ে দাড়িয়ে আছে,, তার সামনে আছে সায়রার বাবা মা,, আরুশের বাবা মা ও জান্নাত,, সকলের চেহারাতেই এক দুশ্চিন্তার ছাপ,,,
কিছুক্ষণ পরেই ওটি এর লাল লাইটটি অফ হয়,, আর ভিতর থেকে এক ডাক্তার আর নার্স কথা বলতে বলতে বের হয়,, আরুশ দৌড়ে ডাক্তার এর কাছে যায়,, সাথে সকলে তার সামনে গিয়ে দাড়ায়,,

আরুশঃ ডাক্তার সায়রা কেমন আছে,, ও ঠিক আছে তহ,,, কিছু হয় নি,, কি হলো আপনি কথা বলছেন না কেনো,,

ডাক্তারঃ কুল ডাউন মি. খান,, আমাকেও বলার সুযোগ দিন,,

আরুশঃ বলুন না সায়রা ঠিক আছে তহ,,

ডাক্তারঃ ইয়েস সি ইজ ফাইন,, কিন্তু এখনও সঠিক ভাবে বলতে পারছি না,, কেন না তিনি বেশ জোরেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন,, যদি ২৪ আওয়ার এ তার জ্ঞান না ফিরে তাহলে আমাদের ভয় আছে যে তার হয়তো সোর্ট টাইম মেমোরি লোস হতে পারে,,

আরুশঃ মানে,,

ডাক্তারঃ মানে তিনি হয়তো কিছু কিছু সময়ের স্মৃতি মুছে যেতে পারে বা যেকোন ব্যক্তি তার স্মৃতি থেকে পুরো পুরি মুছে যেতে পারে,,, কিন্তু এমন হওয়ার চান্স খুবই কম,, তাও আমরা কিছু গেরান্টি দিয়ে বলতে পারছি না,,

এই বলে ডাক্তাররা চলে যায়,, আর আরুশ সেখানেই ধোপ করে বসে পরে,, তার মাথায় এখন শুধু সেই ডাক্তারের বলা কথাগুলোই ভন ভন করছে,, আর নিজেই নিজেকে বলছে,,

” তাহলে কি সায়রা তাকে ভুলে যাবে,, ভুলে যাবে যে সে আরুশের সায়রা,, ভুলে যাবে যে সে আরুশকে ভালবাসে,, না সায়রা কিছুতেই ভুলতে পারবে না,, আমি ভুলতে দেব না ওকে,, ওকে আমায় মনে রাখতেই হবেই,,”

তখন জান্নাত এসে আরুশের কাধে হাত রাখে,, আর তা দেখে আরুশ বলে,,

আরুশঃ সব আমার দোষ তাই না জান্নাত,, আজ আমার জন্য সায়রা এর এমন অবস্থা তাই না,,, আমি ওকে বাচাতে গিয়ে নিজেই আঘাত করে ফেললাম,,, আমি অনেক বাজে তাই না,, আজ ওর এই অবস্থার জন্য শুধু আমি এই দায়ী,, কেন যে আমি আগে ওর কথা গুলো শুনলাম না,, কেন,,

জান্নাতঃ দেখেন ভাইয়া আমি জানি না আপনাদের মাঝে কি হয়েছে,, কিন্তু এতটুকু বুঝেছি যে হয়তো অনেক বড় কিছু হয়েছে,, যার জন্য আজ আপনাদের দুইজনের আজ এই অবস্থা,, কিন্তু আজ সায়রা এর সাথে যা হয়েছে তা অনাইচ্ছাকৃত,, আপনি তহ ওকে বাচাতে চেয়েছিলেন,, কিন্তু দূর্ভাগ্য বসতো সায়রা আঘাত পেয়ে যায়,, এইটা তে আপনার দোষ নাই,,

আরুশঃ না আমার এই দোষ,, না আমি ওকে ওইসব বলতাম আর না ও আমার সাথে রাগ করে বের হতো আর এইসব হতো,,,

কি হয়েছিল তখন তাই তহ ভাবছেন,, তাহলে চলুন কিছু সময় আগে গিয়ে ঘুরে এসে দেখি কি হয়েছিল,,,

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


যখন আরুশ বাসার বাইরে গিয়ে সায়রাকে খুজতে থাকে,, তখন একটু সামনে গিয়ে দেখে সায়রা রাস্তা মাঝ বরাবর হেটে চলেছে,, আরুশ পিছন থেকে অনেক বার সায়রাকে ডাকে কিন্তু সায়রা শুনে না,, এমন সময় আরুশ দেখে একটা ট্রাক ফুল স্প্রিডে সায়রা এর দিকে তেড়ে আসছে,, তাই আরুশ দৌড়ে সায়রা এর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে,, আর দিয়ে সায়রাকে বাচিয়েও ফেলে,, সে সায়রাকে নিয়ে রোডের অন্যপাশে ফেলে,, আর ট্রাকটিও অন্য পাশ দিয়ে চলে যায়,, আরুশ ভয়ে সায়রাকে আগলে রাখে,, কিন্তু শেষ আর রক্ষা হয় নি,, আরুশ উঠে যখন সায়রাকে উঠাতে যায়,, তখন সে দেখে পাশে রক্ত,, তা দেখে আরুশ ভয় পেয়ে যায়,, সে আস্তে আস্তে সায়রাকে ডাকতে থাকে,, কিন্তু না সায়রা এর কোন হেল দুল নেই,, সে সায়রাকে নিজের বাহু ধরে নিতেই দেখে সায়রা যেখানে পরেছিল সেখানে একটা বড় ইটের টুকরা,,, আর ইটের গায়ে রক্ত,, আর সায়রা এর মাথা থেকে অনাগলত রক্ত পরেই চলেছে,,আরুশের বুঝতে দেরি নেই কি হয়েছে,,
তখন আরুশ চিৎকার দিয়ে বলে উঠে,,,

আরুশঃ সায়রারারায়ায়ায়ায়ায়ায়া,,,সায়রা,, চোখ খুলো,,, এই সায়রা,,

তখন আরুশের বাবা মা আসে,, আর সায়রা এর এমন অবস্থা দেখে তারাতারি ওকে নিয়ে হসপিটালের জন্য রওনা দেয়,,

?

জান্নাতঃ যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে,, তা তহ এখন আমরা বদলাতে পারবো না,, এখন আল্লাহ বাদে কেউ আমাদের সাহায্য করতে পারবে না,,

এই কথা শুনে আরুশ আর দেরি না করে ওযু করতে চলে যায়,, আর হসপিটালের নামাজ ঘরে গিয়ে নামাজ পড়তে থাকে,, মোনাজাতের সময় চিৎকার করে কান্না করতে থাকে,, আর আল্লাহ এর নিকট সায়রাকে ভিক্ষা চেতে থাকে,, আরুশের এমন পাগলামো দেখে সবার চোখে পানি এসে পরে,,,



১৮ ঘন্টার মাথায় সায়রা এর জ্ঞান ফিরে,, সকলেই আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করে,, আরুশ এই খবর পাওয়ার সাথে আল্লাহকে শুকরিয়া আদায় করে এবং দ্রুত সায়রা এর কাছে যায়,,
সায়রা আস্তে আস্তে চোখ খুলে,, চারদিকে সকলেই ওকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে,, সকলেই একে একে সায়রাকে এইটা সেটা জিজ্ঞেস করে,, সায়রা হা হু জবাব দেয়,, আরুশ দূরে থেকে দাড়িয়ে সায়রাকে দেখছিল,,, একে একে সকলে বেরিয়ে যায়,, সায়রা দরজার দিকে তাকাতেই আরুশকে দেখতে পায়,, সে আরুশকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,, আরুশ ধীর পায়ে সায়রা এর দিকে যায়,, একটা চেয়ার টেনে সায়রা এর সামনে বসে,, ওর হাত দুটো নিজেত হাতের ভাজে নেয়,, সায়রা এখনো অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে আছে,,

আরুশঃ কি আমার দিকে তাকাবে না,, কথা বলবে না আমার সাথে,,

সায়রা অবাক হয়ে আরুশকে দেখছে,, কেন না আরুশ আজ প্রথমবার ওকে তুমি করে বলছে,, কিন্তু অতঃপর নিজেকে সামলিয়ে আবার অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়,,

আরুশঃ আমি জানি আমার কোন ক্ষমা নেই,,
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইবোনা তুমি আমাকে শাস্তি দেও কিন্তু তা আমার কাছে থেকে,, আমি তোমার দেওয়া সকল শাস্তি মাথা পেতে মেনে নিবো,,
আমাকে তুমি শাস্তি দেও কিন্তু আমার ছেড়ে যেওনা প্লিজ আমি বাচঁবোনা তোমাকে ছাড়া,, তুমি আমায় চোখের সামনে যা দেখেছিও যা বলেছ আমি তাই বিশ্বাস করেছি কিন্তু তার পিছে লুকিয়া থাকা সত্যটা আমি বুঝতে পারি নি,, বুঝতে পারি নি তোমার ভালবাসা ,, সরি ফোর দ্যাট,, তুমি আমায় বার বার সত্যি বলতে চেয়েছ কিন্তু আমি শুনতে চাই নি,, প্রত্যকবার আমি তোমায় অপমান করেছি,,, তোমার ভালবাসাকে মিথ্যা বলেছি,,, মাফ করে দিও,,

সায়রাঃ না আছে তোমারর প্রতি অভিমান না আছে রাগ না আছে অভিযোগ,, দোষ তহ আর তোমার না আমার,, আমি এই তোমায় নিজের থেকে বেশি ভালবেসেছিলাম,, তাই তহ আজকে আমার তার মূল্য দিতে হচ্ছে,,
আমি নিজেই ভেঙ্গে গেছি আমি নতুন করে সব শুরু করতে চাই কিন্তু তা তোমারর সাথে না নিজের মত করে আমি আর সবার মত স্বার্থপর হতে চাই নিজের জন্য ভাবতে চাই সবার কথা ভাবতে ভাবতে আজ আমি নিজেই সব হারিয়েছি,, পদে পদে অপমানীত হয়েছি চরিত্রহীন প্রমানীত হয়েছি আর চাইনা কোন অপবাদ,,
তুমি আমার কাছে থাকলে আমার সেই কথা গুলো বার বার তারা করে,, আমাকে আরো কষ্ট দেয়,, বার বার তোমার বলা কথা গুলো আমার কানে বাজে,, আমি আর পারবো না এইসব সহ্য করতে,, তাই প্লিজ তুমি চলে যাও এইখান থেকে,, থাকতে দাও আমার মত আমাকে,,

বলেই হু হু করে কান্না করে দেয় সায়রা,, আরুশ তা দেখতে পারছেনা তার কষ্ট হচ্ছে খুব তাই আরুশ সায়রার কাছে যেয়ে তাকে নিজের বুকের মধ্যে জরিয়ে ধরে,, সায়রা ছুটার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না,, একে তহ শরীর দূর্বল তার উপর হাতে ক্যানাল লাগানো,,,তাই সায়রা চুপচাপ আরুশের বুকে মাথা রেখে কান্না করে যাচ্ছে,,, একটা সময় সায়রা কান্না অফ হয়,, তা দেখে আরুশ সায়রার কাছে যেয়ে তার কপালে চোখ বন্ধ করে গভীর চুমু দিয়ে কেবিন থেকে বের হয়ে যায়।



#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে