তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ পর্ব-১৯

0
1932

?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২
#পর্ব-১৯
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

বইয়ে মুখ গুজে আছে অয়রি ঠিক বইয়ের দিকে ধ্যান তার নেই আজকে সে অন্য ধ্যানে মগ্ন ইশানের অসহায় মুখটা তার চোখের সামনে ভেসে আসছে না ভালোবাসার কোনো আলাদা টান ইশানের জন্য অয়রির নেই কিন্তু অইযে বন্ধুত্বের একটা টান রয়েই যায়,,কিন্তু অয়রির কিচ্ছু করার নেই সে শুধু কাব্যকেই ভালোবাসে অন্যকাউকে সে নিজের জীবনে ভাবতে পারেনা ??

তখনি রিমির ডাক পড়ে

রিমিঃ কিরে তুই এখনো কি পড়ছিস?
অয়রি চোখের জলটা আড়াল করে বলে-!

অয়রিঃ এইতো একটু স্টাডি করছি আর কি কিছু বলবে মাম্মা?

রিমিঃ কাল তো ইশানের এন্গেজমেন্ট আজকে সবাই মিলে ভাবছিলাম একটু শপিং এ যাবো তুই চলনা

অয়রিঃ মা তুমি তো জানো আমার এইসব একদম ভালো লাগেনা

রিমিঃ দেখ ইশান কি শুধু তোর ভাই? তোরা তো কত ভালো বন্ধু ছেলেটার বিয়েতে যদি তুই অংশগ্রহন না করিস কেমন লাগবে যা না মা

অয়রিঃ আচ্ছা

অয়রি হাল্কা সাদা গোলাপি বোরকা আর কালো কালারের হিজাব চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা পড়েছে গোলাপি ঠোটে হাল্কা জেল ব্যাস আর কি লাগে যে মেয়ে আগে একটু বাইরে গেলেও সাজতো আর তার সাজতে একদম ইচ্ছা করেনা তাও অয়রির রুপ কমেনি,,,

??
In shooing moil,,,
রিমি মেঘা অনিক আর অয়রি গাড়ি থেকে নেমে দেখে মুন ইশান ঈশা রোহান প্রাপ্তি রিক সবাই আগে থেকেই হাজির

ওরা এগিয়ে আসে

রিকঃ কিরে দি তোরা এতো লেট কেন রে?

ইশানঃ অয়রি এসেছিস তাহলে(তাচ্ছিল্যের সুরে)

রিমিঃ আসতে চাই নি আমিই জোর করেছি আমি বললাম ইশানের বিয়ে আর তুই ঘরে বসে থাকবি একদম চলবে

না

মুনঃ হুম বেস্ট ফ্রেন্ড এর বিয়ে বলে কথা

অয়রিঃ হ্যা ?

সবাই শপিং করতে চলে যায়,,
সবাই শপিং করতে ব্যাস্ত
মুন বারবার বিভিন্ন শাড়ি পড়ে ইশান কে দেখাচ্ছে কিন্তু ইশান কোনো রিয়েকশন দেখাচ্ছেনা দেখাবে কি করে সে তো অরুপাখিকে দেখছে রিমি গোলাপি একটা সিল্কের শাড়ি অয়রির গায়ে দিচ্ছে কিন্তু অয়রি বারবার শরাতে বলছে

মুনঃ আহা বলো না ইশান আমাকে কোনটা তে বেশি ভালো লাগবে

ইশান অয়রির দিকে তাকিয়ে আনমনে বলে উঠে–

হাল্কা সিল্কের শাড়িতে একদম মায়াবতী লাগবে যার রুপের সাথে তুলনা হবেনা কারো সে যে এক সদ্ধ ফুটে উঠা গোলাপী পদ্ধ (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

মুন ভাবছে ইশান মুনকে বলেছে তাই সে খুব খুশি খুশি মন নিয়েই একটা গোলাপি সিল্কের শাড়ি নিজের জন্য কিনে নেয়,,,

আজ বাংলাদেশে ল্যানড করেছে রওশন
প্রান খুলে সে শ্বাস নেই তার পাশেই তৃনা বকবক করে যাচ্ছে সেদিকে রওশন এর কোনো খেয়াল নেই মেয়েরা তো পারে চোখ দিয়ে রওশনকে গিলে খায় যা তৃনার সহ্য হচ্ছে না

তৃনাঃ উফফ সব কয়টা এক একটা লুচু কীভাবে আমার ক্রাশ স্যার কে গিলে খাচ্ছে বাংলাদেশ টা দেখতে যেমন সুন্দর মেয়েগুলার চোখ গুলা আরো খারাপ
(মনে মনে)

রওশন এর মুখে তৃপ্তির হাঁসি

রওশনঃ হাই কমান্ডার আমান শিকদারের সাথে এপার্মেন্ট এর ব্যাবস্হা করো তৃনা

তৃনাঃ ওকে স্যার ওরানা তো আপনার সাথে দেখা করার জন্য কবে থেকে ওয়েট করছে বাটা আপনি ই কাজের জন্য আসতে পারেননি

রওশনঃ হুম (বাঁকা হেঁসে)
সোহাব কে খুঁজতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আর সেইটা তে আমান শিকদার আমাদের হেল্প করতে পারে (গম্ভির কন্ঠে)

তৃনাঃ ইয়েস স্যার

রওশনঃ এখন তুমি হোটেলে চলে যাও
ফাইভ স্টারে
দেখা হচ্ছে

তৃনাঃ কিন্তু স্যার আপনি যাবেন না?

রওশনঃ যার জন্য মুল আসা তাকে আগে দেখে নি(বিরবির করে)

তৃনাঃ স্যার কিছু বললেন?

রওশনঃ না কিছু না আপনাকে জানতে হবেনা

তৃনাঃ বুঝতে পেরেছি স্যার আপনি একা একা ঘুরতে চান তাও আমাকে একা রেখে দিয়ে(ইনোসেন্ট ফেস করে)

এইসব স্টুপিড কথাবার্তার জন্য রওশন এর প্রচুর রাগ লাগছে না তৃনার প্রতি না
লেখিকা রিমির জন্য তার লেখিকা আর কাউকে পেলো না শেষমেষ এই বাঁচাল মেয়েটাকে তার এসিস্টেন্ট বানালো?

রওশনঃ এইসব স্টুপিড প্রশ্ন করা বন্ধ করুন ?

তৃনাঃ সরি স্যার

???

? কেন তুমি চলে গেলে হায়
এই ভালেবাসা তোমারেই
পথ চায় ?
ভালোবাসা সে তো এক অন্যরকম অনুভুতি
?
—জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি

আনমনে কথাগুলি বলে যাচ্ছে অয়রি
বারান্দায় বসে ব্যাস্ত শহর দেখছে সে
হঠাৎ অয়রির মনে হলো তাকে কেউ খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষন করছে কিন্তু অয়রির তো আগে কখনো এমন মনে নি সে খুব চিরচেনা কাউকে অনুভব করছে কিন্তু সে কে

হঠাৎই অয়রি তার ব্লিডিং এর দেয়ালে কারো অবয় দেখতে পেলো হ্যা কোনো পুরুষের অবয় এইটা কিন্তু কে?
অয়রি জোড়ে চিৎকার দিয়ে বলল

কে কে অইখানে?
কিন্তু স্যাডো টা হঠাৎ উধাও হয়ে গেলো
কি হচ্ছে সব অয়রির মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
তখনি মিস্টি আসে

মিস্টঃ পিমনি কি কত্ত?

মিস্টি আসার জন্য অয়রি সেদিকে বেশি খেয়াল না করে মিস্টির কাছে চলে যায়

মিস্টিকে কোলে করে নেয়

অয়রিঃ তা আমার মাম্মা এখন এখানে?

মিস্টিঃ আজকে আমি তোমাল কাথে ঘুমাবো আর তোমাল প্রিন্তের গপ্ত তুনবো

অয়রিঃ আমার মিস্টিবাচ্ছাটা যখন বলেই
দিয়েছে তাহলে তো গল্প বলতেই হচ্ছে
চলো আজকে তোমাকে আমার প্রিন্সের গল্প শুনাবো

অয়রি তার কাব্যের গল্প বলতে লাগলো
মিস্টি কি বুঝলো কে জানে খিলখিল করে হাঁসতে লাগলে সত্যি মেয়েটা হা্সলে কি মিস্টি দেখায়
অয়রির চোখ ছলছল করছে
সে দেখে মিস্টি ঘুমিয়ে গেছে

অয়রিঃ Plzz kabbo come back I miss u so so much plz still love u ??

হঠাৎ পুরোনো দিনের স্মৃতি ভে্সে উঠায় আরেকজনের চোখ ও ছলছল করছে
অফুস্টুস্বরে বলে উঠে
–Miss u too My love ?

মেঘা কাপড় ভাজ করছিলো হঠাৎ পিছন থেকে কেউ তাকে জড়িয়ে ধরে মেঘা বুঝতে পারে কে হ্যা অনিক

মেঘাঃ কি করছো কি? মিস্টি যখন তখন চলে আসবে

অনিকঃ উহু আজ সে তার পিমনির সাথে ঘুমাবে সো আজকে নো ছাড়াছাড়ি অনলি রোমান্স

মেঘাঃ সত্যি তোমাকে নিয়ে আর পারিনা
একটা মেয়ের বাপ হয়েছো তাও স্বভাব বদলায় নি

অনিক মেঘার ঘাড়ে ঠোট ছোয়ায় মেঘা কেপে উঠে

অনিক নেশাক্ত কন্ঠে বলে উঠে–
মেয়েটা আমার বড্ড একা এইবার তার জন্য একটা খেলার সন্গী লাগবে কি বলো?

মেঘা লজ্জায় অনিকের বুক মুখ লুকায় অনিক মুঁচকি হেঁসে মেঘা কোলো তুলে নেয়

???

রিমি অয়নের বুকে মুখ গুজে কান্না করছে

অয়রিঃ আহা আমার রিমিপরীটার কি হয়েছে? এইভাবে কাঁদেনা বউ
রিমিঃ আমার আর ভালোলাগেনা অয়ন সবাই নিজের লাইফে কত হ্যাপি ইশানেরও আজ বাদে কাল বিয়ে শুধু কেন আমার মেয়েটাই অসুখী আমার আর ভালো লাগেনা

অয়নঃ আমারও তো মেয়েটাকে এইভাবে দেখতে ভালো লাগেনা আমার অরু কতয় না চঞ্চল ছিলো কেমন মনমোরা হয়ে থাকে যতই বলুক সে সুখি আমরা তো বাবা-মা আমরা বুঝতে পারি

রিমিঃ আমাদের কি আর কিচ্ছু করার নেই?

অয়নঃ সবই নিয়তির খেলা দেখিস আল্লাহ কিছু না কিছু আমাদের অরুর জন্য ভাগ্যে লেখে রেখেছি

রিমি একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অয়নের বুকে মাথা রাখে

চলবে কি।।।?? ?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে