তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ পর্ব-১৫

0
2000

?#তুই_আমার_অন্যরকম_নেশা_২ ?
#সিজন-২
#পর্ব-১৫[ ধামাকা-?]
#Jannatul_ferdosi_rimi[লেখিকা]

অয়রি ঠিকানা অনুযায়ী পৌছে যায় যেখানে লোকটা আসতে বলেছিলো অয়রি গাড়ি থেকে নেমে দেখে অনেক শুনশান জায়গাটা বড় একটা গোডাউন অয়রি আর কিছু না ভেবে গোডাউন এ ঢুকে পড়ে(অয়নের মাইয়্যা অয়নের মতোই হবে☹️)
গোডাউনটায় অনেক অন্ধকার কাউকে দেখা যাচ্ছেনা অয়রি অফুস্টুস্বরে বলে উঠে–
দেখুন আপনি যেই হোন না কেন বেড়িয়ে আসুন আমি এসেছি শুনতে পারছেন?

হঠাৎ একটা মেয়ে কন্ঠ বলে উঠলো–!
আরে ইয়ার এতো প্যানিক হচ্ছো কেন আমরা আছি তো নাকি

অয়রি হচকিয়ে উঠলো কারণ কন্ঠস্বরটা অয়রির খুব চেনা
(হ্যা আপনাদের প্রিয় ঈশা ?)

অয়রিঃ ঈশা আপু?
ঈশাঃ কিরে পু্চকি কেমন আছিস?
অয়রিঃ আমাকে এখানে কেন এনেছো?
ঈশাঃ সেইটা না হয় ভাই ই বলুক
অয়রিঃ ভাই?
ঈশাঃ কিরে ভাই আয়
তখনি একটা ছেলে বের হলো

অয়রিঃ ইশান ভাইয়া আপনি?
(যারা ভেবেছিলেন ঈশা আর ইশান ভাই-বোন তারা ঠিক আর মেঘার সাথে ইশানকে অয়রি অনেকবার দেখেছে তাই ইশান কে অয়রি চিনে)

ইশানঃ ইয়েস বেবস

অয়রি ঃ তারমানে তোমরা ভাইবোন? তোমরা কাব্যের নামে মিথ্যে বলে আমাকে এনেছো (লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
?

ঈশাঃ একদম ঠিক তুমি খুবই বোকা অয়রি
আমরা তোমাকে আসতে বললাম আর তুমি চলেও এলে তাও একা

ইশানঃ বলতে হবে প্রচুর সাহসী নাহলে একা এইভাবে কেউ আসতে পারে আই লাইক ইট ইউ নো

অয়রির দিকে ব্রিশিরিভাবে তা্কিয়ে

অয়রিঃ তোমরা আমাকে মিথ্যে কেন বলেছো কি চায় তোমাদের? কেন এখানে এনেছো?

—কারন তুমি আসলেই কাব্য আসবে যতই হোক তুমি ওর হবু বউ

একটা লোক বাঁকা হেঁসে কথাটা বলল–

অয়রি খেয়াল করলো কোট পড়া একজন মধ্যবয়স্ক লোক

অয়রিঃ কে আপনি?

লোকঃ আমি হোলাম আভি রাইজাদা

অয়রিঃ আমাকে এখানে কেন এনেছেন?

আভিঃ তুমি আসলে কাব্য আসবে তাই

অয়রিঃ মানে কাব্য কে দিয়ে আপনার কি কাজ

আভিঃ আমার সব থেকে বড় শত্রু অই কাব্য আহমেদ আমান শেখ আর মেঘলা শেখ ওরা কি ভেবেছে? আমাকে দেশের সামনে রিপেজন্ট করবে না না এই আভি রায়জাদা এতো সহজে তা হতে দিবে না

অয়রিঃ মানে

আভিঃ কাব্য একজন সিবিআই অফিসার আর আমান শেখ একজন সিভিয়াই হেড কোয়াটার কমিশনার আমার অবৈধ স্মাল্গনির ব্যাবসা ওরা দেশের সামনে রিপেজেন্ট করবে আর আমি বসে থাকবো?

অয়রি যেন আকাশ থেকে পড়লো এইজন্য কাব্য অনেক ব্যস্ত কেননা ও এই শয়তানটার মুখোশ খুলার মিশনে আছে

অয়রিঃ কিন্তু আমি তো জানি কাব্য ভার্সিটির ট্রাস্টি

ঈশাঃ শুধুই ট্রাস্টিনা একজন সিবিয়াই অফিসার

আভি ইশারা তেই ঈশা গিয়ে অয়রিকে ধরে ফেলল

অয়রিঃ ছাড়ো ছাড়ো বলছি আমাকে

ওর গাঁয়ে একটা টাচ লাগলেও সব কয়টার লাশ ফেলে দিবো

অয়রি পিছনে ঘুরলো ওর মুখে অজান্তেই হাঁসি ফুটে উঠলো

অয়রিঃ কাব্য ( অসহায় মুখে)

কাব্য অয়রির দিকে তাকালে ওর বুকটা ধক করে উঠে–

কাব্যঃ অরু ভেবো না আমি আছি তো

আভিঃ বাহ বাহ কেয়া পেয়ার হে বললাম না কান টানলে মাথা আসবেই
(আসলে টুম্পা কাব্যকে ফোন করছে তারপর কাব্য অয়রির লোকেশন ট্রেস্ট করে চলে আসছে)

কাব্যঃ আভি রায়জাদা ভালোয় ভালোয় বলছি অয়রিকে ছেড়্ব দাও

আভিঃ আহারে হবু বউ এর প্রতি কি ভালোবাসা আহারে ছেড়ে দিবো
দেখো তোমরা যদি আমার পিছনে না পড়তা আমিও তোমার অয়রিকে কিচ্ছু করতাম নাহ

ইশানঃ আহা মিঃ আভি ভুলে যাবেন না কাব্য এখন আপনার এখন আমাদের অয়রিকে নিয়ে যেতে দিন

অয়রি কেঁদে দেয়

কাব্যঃ এই সাহস ভুলেও করতে যাবিনা
তোদের সব কয়টার লাশ ফেলো দিবো।।

আভিঃ আহা কাব্য তুমি না একজন সিবিয়াই অফিসার এতো সহজে প্যানিক হলে হয়? বলো? আমাকে? হয়না তো
তুমি যখন আমার সব কিছু জেনেই গেছো তোমাকে উপরে যেতেই হবে

কাব্য বাঁকা হেঁসে বলে–

কাব্য আহমেদ কে মারা এতো সহজ?

আভি নিজের লোকদের ইশারা করে ওরা কাব্যকে মারতে যায়।

আর কাব্যকি ছেড়ে দিবে নাকি
আমাদের হিরো বলে কথা ?
ঊড়াধুরা সবগুলারে পিটাইতাছে।

অয়রিঃ কাব্য সাবধানে

ঈশাঃ এই মেয়ে চুপ একদম

অয়রিঃ তুমি চুপ

ইশানঃ একদম ঝাছিকি রানী আই লাইক ইট

অয়রি মুখ টা ঘুড়িয়ে নেয় ও শুধু কাব্যের কথা ভাবছে

কাব্যকে হারানো যাচ্ছনা তাই আভি অন্য উপায় খুলে ফেল্ল

কাব্যকে পিছন থেকে কেউ বাড়ি দিলো

অয়রি কাব্য বলে চিৎকার করে উঠলো।ক
কাব্য মাথায় হাত দিয়ে দেখে রক্ত

কাব্য মুঁচকি হেঁসে বললো।।

কিরে? দেশের বেইমান আমার মতো অফিসার কে সামনে থেকে মারার সাহস নেই নাকি?

আভিঃ একদম চুপ তুই জানিস কার সাথে কথা বলছিস? আভি রায়জাদার সাথে

কাব্যঃ হ্যা আমি জানি আমি এক বিদেশের পা চাটা কুকুরের সাথে কথা বলছি যে দেশ এ থাকলে যেই দেশ তোকে এতো কিছু দিলো সেই দেশের সম্পদ ই তুই বাইরে পাচার করছিস আরে তোর মতো কুকুর কে কে ভয় পায়? আমার জন্মই দেশের জন্য কাজ করা আমি মরলেও আমার কোনো আফসোস থাকবে না

অয়রিঃ কাব্য ???? তোমার কিচ্ছু হবে না

কাব্যঃ এই অরু একদম কাঁদে না লক্ষিটি তুমি জানোনা তোমার চোখের জল আমার সহ্য হয়না

আভিঃ তাই না খুব দেশের জন্য মরার শখ তাই না রে?

এই বলে আভি একটা ধারালো চাকু বের করলো

কাব্য মাথা থেকে প্রচুর ব্লিডিং হচ্ছে তাই সবকিছু ঝাপ্সা দেখছে

অয়রিঃ এই আমাকে ছাড়ো বলছি দেখুন কাব্যকে কে কিছু করবেন না বলে দিচ্ছে

অয়রি কাঁদছে আর বারবার অনুরোদ করছে ওকে ছেড়ে দিতে

ঈশাঃ এই মেয়েটা বেশি বাড় ভেড়েছে ওকে তাড়াতাড়ি নিয়ে চল পিপি আমাদের জন্য ওয়েট করছে

ইশানঃ আরে আগে নিজের জানেমানের মৃত্যটা দেখুক

কাব্যঃ দেখ আমাকে যা করার কর আমার অরুকে ছাড়

আভিঃ দেখেছো কি ভালোবাসা একটু পরে মরবে এখনো নিজের প্রমিকার মালা জব করছে

ঠিক একদম লায়লা-মুজনু ( শয়তানি হাঁসি দিয়ে)

অয়রিঃ৷ ছাড়ো আমাকে ??

আভি আর কিছু না ভেবে চাকু টা কাব্যর পেটে ঢুকিয়ে দেয়

কাব্য আহহ করে উঠে

কাব্যঃ ভালো থেকেো আমার অরু আমার পেয়ারারানী

অয়রি কি বলবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা
।সবাই জোড়ে জোড়ে হাঁসছে

অয়রি জোড়ে কাব্য বলে চিৎকার করে কান্না মরছে বৃস্টি নামছে প্রকৃতিও যেন কাব্য আর অয়রির কস্টে সমানে কেঁদে যাচ্ছে

আভি আবার চাকু দিয়ে কাব্যকে আঘার করে

রক্তের বন্যা যেন বের হচ্ছে

অয়রি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়

কাব্য মাটিতে লুটিয়ে পড়ে

আভিঃ বাঁকা হেঁসে বলে– লাশ টা নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আয়
একটা গার্ড কে বলে
গার্ডঃ ওকে বস

অয়রি আর কাব্যের প্রেম কাহিনীকে এইভাবে শেষ হয়ে যাবে নাকি হয়ে যাবে একে অপরের থেকে আলাদা?

চলবে৷ ?????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে