ঝড়ে যাওয়া বকুল পর্ব : ৬

0
911

ঝড়ে যাওয়া বকুল পর্ব : ৬
#লেখা:Aditiya Rupa
.
-রেহেনা বেগম নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।কি করবে সে কিছুই করার উপায় নেই যে তার।এই দরিদ্রতা কবলে তিনি কি করে পারবেন বকুলের স্বপ্ন পুরণ করতে।এই দারিদ্র্যতা যে তার পায়ে শিকলের সমতুল্য।
না না আমাকে ভেঙে পরলে চলবে না আমাকে শক্ত হতে হবে এই বিয়েটা হলে বকুল নিশ্চয় অনেক সুখী হবে।
এ দিকে বকুল কেদেই যাচ্ছে!
আমি যা কইছি তাই ওইবো বকুল তুই তাড়াতাড়ি শাড়ীহান পরি তৈরি হয়া নে।হেতিরা অপেক্ষা করতাছে।

ও মা মা এমনডা কইরো না দয়া করো মা আমি তো আর দুষ্টুমি করুম না কইছি মা।
লিমার মা ওরে তৈরি কইরা লইয়া আহো হেতিরা বইয়া রইছে!রেহেনা বেগম বকুলরে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ঘর থেকে দ্রুত বেড়িয়ে গেলেন।বকুল ও জানে তার মায়ের কথাই শেষ।কথা!হয়তো তার স্বপ্ন গুলো অচিরেই মরে যাবে দারিদ্রতার নিচে চাপা পরে।
অতপর বকুলকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে এলো ওর কাকীমা।

পাত্র পক্ষের সকল প্রশ্নের ইচ্ছে না থাকলেও উত্তর দিতে হয় বকুলে।তাদের প্রশ্ন গুলো ছিলো এমন রান্না পারো?ঘর গুছাতে পারো?সংসারী হতে পারবা?এমন আরো অনেক প্রশ্ন।

-ভাবি সাহেবা মেয়ে আমগোর মাশআল্লাহ পছন্দ হয়ছে।আপনারা মোগো মুটামুটি চিনেনই বটে পাশের এলাকার মেম্বর ছিলো মোর দাদা একসময়।হেই হিসাবে মোগো কিন্তু নামডাক ভালাই আছে আর টাহা পয়সাকড়ির অভাব নাইক্কা।আন্নের মাইয়া মোগো বাড়িত ভালায় থাকবো। আর বিয়ার পরতো জামিল ওরে শহরে লইয়া যাইবো।রানির মতো থাইকবার পারব আন্নের মাইয়া।চেয়ার ছেড়ে দাড়িয়ে বকুলের মা রেহেনা বেগমকে উদ্যেশো করে কথা গুলো বললেন জামিলের বাবা।
-জি আগ্গে ভাইজান আন্নেগো কতা তো মেলা হুনছি আন্নেরা মোর মাইয়ারে পুত্রবধু করতে চান হেইডা তো মোগো সৌভাগ্য।
-তাইলে ভাবিজান আন্নে মত দিলে আইজি মোরা বিয়ার দিন ঠিক করবার পারি।কি বলো জামিলের মা?
-হ আমগো সবারই বকুলরে পছন্দ হয়ছে তয় দেনাপাওনার কতাটা কইয়ালাও।আমার একখান পোলা ভাবিজান খুশি হইয়া মাইয়ারে যা দিব তাতো ওগো দুইজনেরি থাকব।বলেই উঠে দাড়ালেন জামিলের মা।
-মোরা তো গরিব মানুষ ভাবি তেমন কি আর দিবার পারুম তয় আমার মাইয়ার সুখের লাই মুই সব দিতে রাজি আছি।
.
অইদিকে এসব কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পরে বকুল
না না এটা হইবার পারে এমনটা কইরো না মা। আমার ডাক্তার ওয়োনের মেলা সখ মা। মনে মনে কথা গুলো বললেও তা প্রকাশ করতে পারেনা বকুল।কারন তার পাশে তার কাকীমা আছে সে তাকে ঘরের বাইরে যেতে দিবেনা মা তারে কঠোর ভাবে পাহারা দিতে বলছে।চিৎকার করে কান্না করার ইচ্ছে থাকলেও তা বারণ।
.
-দেখুন ভাবিসাহেবা আমগো তেমন কিছু চাওয়ার নাই শুধু এক লাখ টাহা আর কিছু গয়না দিলেই ওইবো।বললেন জামিলের বাবা।যা দিবেন তাতো ওগোই থাইকবো।
-তা তো ঠিক ভাইজান তয় মোর তো অতো সাধ্যি নাই এককাঠা জমি আর এই বাড়িহান হইলো মোট সম্বল। মুই এতো টাহা কেমনে দিমু?
-দেখো বকুলের মা এমন পাত্র কইলে মেলা পাওন যায় না।খারাও মুই দেখতাছি। বলেই ঘটক সাহেব ছুটে গিয়ে জামিলের বাবার সাথে কথা বলতে লাগলেন।
.
-কিছুক্ষণ পর!

#চলবে…………

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে