জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০২

0
3214

জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ০২
– আবির খান

তমা আর তিশা যাচ্ছে…হঠাৎই পিছন থেকে কেউ ওদেরকে ডাক দিলো..তমা আর তিশা একসাথে পিছনে ফিরে তাকায়…ওরা দেখে কিছু ছেলে আর কয়েকটা মেয়ে ওদেরকে ডাকছে..তবে এদের মধ্যে শুধু একজন বাইকের উপর শুয়ে আছে ব্লাক সানগ্লাস পরে…

তমা আর তিশা আস্তে করে তাদের কাছে এগিয়ে গেলো…
তিশাঃ আমাদের ডেকেছেন??
একটা ছেলেঃ ডাকবো না আবার…তোমরাতো অনেক বেয়াদব…
তমাঃ কেন???
ছেলেটাঃ এখানে সিনিয়ররা বসে আছে তাদের সালাম না দিয়ে কই যাচ্ছিলে…
তিশাঃ আসলে সরি আমরা আপনাদের খেয়াল করিনি..
ছেলেটাঃ কি আমাদের খেয়াল করো নাই..এতোগুলা মানুষ এখানে বসে আছি আর আমাদের খেয়াল করো নাই..এর শাস্তি পেতে হবে…
তমাঃ মানে কি???আমরা খেয়াল করতে নাই পারি…তাই বলে আপনারা কারা শাস্তি দেওয়ার!!!
ছেলেটাঃ আমর…..
ছেলেটা কিছু বলার আগেই বাইকে শুয়ে থাকা ছেলেটা ওকে থামায়…ছেলেট ঠাস করে উঠে বাইকে বসে আস্তে করে চোখ থেকে সানগ্লাসটা তুলে মাথার উপর রাখে..আর তমার দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে…
ছেলেঃ আমরা কে না…আমরা কে শাস্তি দেওয়ার না??ঠিক এখন এখানে তোকে শাস্তি দিবো দেখি কার কত বড় সাহস কে আমার কি করে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


ছেলেটা উঠে তমার সামনে যায়..তমা আর ছেলেটা মাঝে দূরত্ব খুবই কম…ছেলেটা তমার চোখের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে….হঠাৎই ছেলেটা এক বোতল পানি হাতে নেয়..আর মুখা খুলতে খুলতে বলে…
ছেলেটাঃ এখন যদি কান ধরে আমাদের কাছে মাফ না চাও তাহলে এই এক বোতল পানি তোমাদের গায়ে ঢেলে দিবো…

তমা আর তিশা অনেক ভয় পেয়ে যায় ছেলেটার কথায়…তমার ফরসা মুখটা কেমন জানি কালো হয়ে গেলো… কারণ এখানে সে তার মান সম্মান নিয়ে পড়তে এসেছে…কিন্তু কোথাকার কোন সিনিয়র ছেলে তার সম্মানহানি করছে সবার সামনে…

ছেলেঃ কি হলো পানি ঢালবো নাকি???
তিশাঃ না না না….প্লিজ…আমরা বলছি..

তিশা প্রথমে বলল…কিন্তু তমা মাফ চেতে গিয়ে কেদে ফেলে লজ্জায়..মাফ চেয়ে আর একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে কাদতে কাদতে চলে যায় তারাতাড়ি… তিশাও সাথে সাথে তমার পিছনে পিছনে তারাতাড়ি চলে যায়….

ছেলেটাঃ শুভ….বেশি করে ফেললাম মনে হয়??মেয়েটা কেদে চলে গেলো…
তিথিঃ আরে না আবির…মেয়েটা মনে হয় বেশি লাজুক তাই প্রেস্টিযে লাগছে আর কি…
শুভঃ আবির বন্ধু…তুই মেইবি ঠিকই বলছিস..একটু বেশি করেছিস…
আবিরঃ….

এই হলো আবির খান…অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে…আবিরের বাবা-মা আমিরিকায় সেটেল…আবিরের বাবা সেখানে অনেক বড় বিজনেসম্যান…মানে কোটিপতি..আবিরের একটা ভাই ছোট ভাই আছে…তবে সে তার বাবামার সাথেই থাকে…আবিরই শুধু বাংলাদেশে একা থাকে…তাই কিছুটা বখাটে টাইপের হয়ে গেছে…যা ইচ্ছা মন চায় তাই করে..টাকার কোন অভাব নেই…ঢাকায় উত্তরাতে বিশাল বড় এক বাড়িতে একা থাকে আবির..শুধু কয়েকটা সারভেন্ট থাকে আবিরের দেখা শুনা করার জন্য…আবিরের রাগটা অনেক বেশি আর সাথে জেদটাও…যা বলে তা করেই ছাড়ে…তবে আবির দেখতে এ ভারসিটির সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে…মেয়েদের মতো সিল্কি চুল..একটু বড়..উপরে উঠিয়ে আচড়ানো..চাপ দাড়ি..অনেক লম্বা..আর জিম করায় পুরা বডি পাথরের মতো শক্ত আর ফিট..মানে যেকোনো মেয়েই অনায়াসে তার প্রেমে পরতে বাধ্য… তাই আবিরের অনেক জিএফ আছে…

তমা একটা গাছের নিচে দাড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদছে..তিশা গিয়ে তমার সামনে দাঁড়ায়…
তিশাঃ আরে বোকা মেয়ে এভাবে কাদছিস কেন??
তমাঃ…..
তিশাঃ আচ্ছা বুঝছি…আরে বাদ দে ওসব বখাটে ছেলেরা ওমনই করে…ওরা ভালো না…
তমাঃ দেখলি…তমা চৌধুরীকে সবার সামনে কান ধরালো ওই ছেলেটা…আমি আর কোনদিন ওই পচা ছেলের সামনে দিয়েই যাবো না…বাবুদের মতো করে বলল..
তিশাঃ ওররে আমার বাবুরে…থাক বাবু আর কাদে না..ফিটু খাবা??বলেই তিশা হাসছে…
তমাঃ আমি বাবু না…দাড়া আজ তোর খবর আছে…তমার কান্না বন্ধ হয়ে গেলো…
তিশাঃ যাক এট লাস্ট তোর কান্নাটা থামাতে পারলাম..
তমাঃ থামাবানা কেন…তুমিনা আমার বেস্টু..
তিশাঃ ইসসস…কি বেস্টু আমি…নেকা…
তমাঃ হিহিহি…
তিশাঃ দোস্ত তোকে হাসলে অনেক সুন্দর লাগে…
তমাঃ তোর থেকে কম..হিহি..
তিশাঃ হইছে আর পাম দিয়েন নাহ… আপনি পাশে থাকলে কোন ছেলে একটু তাকায়ও নাহ…
তমা মিটিমিটি হাসছে…আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক…
তিশাঃ এবার ক্লাসে চল…
তমাঃ ওহ হ্যা…চল চল…
তমা আর তিশা ক্লাসে চলে যায়… ২ ঘন্টা ক্লাস করে ওরা বেরিয়ে আসে..তমা এরি মধ্যে অনেক বন্ধু আর বান্ধবী বানিয়ে ফেলেছে…আসলে তমা সবার সাথে খুব মিসুক…

তিশাঃ এক দিনেই এতোজন তোর বন্ধু হয়ে গেলো.. আমাকে আবার ভুলে যাবি নাকি??অসহায় ভাবে…
তমাঃ ওরা আমার বন্ধু কিন্তু তুইতো আমার বোনের মতো…
তিশাঃ চৌধুরী সাহেবিয়ানা কাদাবেন নাকি….হাহা
তমাঃ হা হা…দোস্ত তুই এখানে একটু দাড়া আমি মনে হয় ফর্ম টা ক্লাসে ফেলে এসেছি…
তিশাঃ আচ্ছা যা আমি বাইরে আছি…

তমা উপরে উঠে ক্লাস এ ঢুকে দেখে হ্যা সত্যিই ফর্ম টা তার ডেস্কে রেখে গেসে..তমা যেইনা ফার্ম টা নিয়ে পিছনে ঘুরলো আর সাথে সাথে….

চলবে…. ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে