জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-০৭

0
2113

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ৭

শুভ্র এখনো আমার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। শুভ্রর কথা শুনে ওর ফুপিরা রেগে বললো।”

—-” শুভ্র এসব কি বলছিস তুই? একটা বাইরের মেয়ের জন্য,

বাইরের মেয়ে শুনে মামনিও রেগে গেলো। কিন্তুু মামনি কিছু বলার আগেই শুভ্র বললো!”

—-” ওয়েট কে বাইরের মেয়ে? এখনো তোমরা এসব কথা বলছো? তোমাদের সাহস অনেক মানতে হবে। এবার আমার কথা মন দিয়ে শোনো। রোজ কোন বাইরের মেয়ে না ওকে? তোমরা মেবি ভুলে গিয়েছো রোজ আমার কাজিন। আম্মুর বোনের মেয়ে রেড রোজ। আর এখন ওর আরো একটা পরিচয় আছে। ও এই চৌধুরী বাড়ির হবু বউ। আর ২দিন পর এই বাড়ির বউ হবে। আর আমি তোমাদের ওয়ার্ন করছি। খবরদার রোজকে নিয়ে আর একটাও বাজে কথা বলবে না,

মামনি শুভ্রকে থামিয়ে ওনাদের বললো।”

—-” শোনো আমি একটু রেগে গেলেও। আমার ভাগ্নিকে যা তা বলতে পারিনা। আর আমার ভাগ্নিকে বাইরের মেয়েও বলতে পারিনা। তোমরা আর দয়া করে অশান্তি করো না,

শুভ্র এবার রাহিকে বললো!”

—-” রাহি তুমি এসব কি করে জানো? ওইদিন তো তুমি কলেজে ছিলে না?”

রাহি আমতা আমতা করে বললো,

—-” আমি তোমার পিছনে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমাকে নিয়ে রোজ তোমাকে ডাউট করবে। যদি এরকম হয় তাহলে আমি সব সত্যি বলবো।”

এবার আমি মুখ খুলে বললাম,

—-” তা কোন সত্যি রাহি আপু? এটাই যে তুমি সেদিন আমাকে দেখে। ইচ্ছে করে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরেছিলে? যাতে করে আমি শুভ্রকে ভুল বুঝি?”

রাহি চমকে গিয়ে বললো!”

—-” এএএসব কককি বলছো?”

শুভ্র চোখ মুখ শক্ত করে বললো,

—-” রাহি তুমি ইচ্ছে করে এটা করেছিলে? হাউ ডেয়ার ইউ ড্যাম ইট? তুমি আর কোনদিন আমার সামনে আসবে না। তাহলে আমি তোমার কি অবস্থা করবো। তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। এখন এখান থেকে চলে যাও, গেট আউট।”

রাহি তাড়াতাড়ি চলে গেলো। কেন যেন মনে হচ্ছে ভয় পেয়ে চলে গেলো। রাহি কি কিছু লুকোচ্ছে? এরমাঝে মামনি আমার হাত ধরে বললো,

—-” রোজ তুই নিশ্চয় অবাক হয়েছিস তাই না?”

আমি মাথা নাড়লাম, মামনি হেসে বললো!”

—-” তোর বাবা, মা, রোদও সব জানে। আমি জানি তোরা খুব ভাল থাকবি। আর তুই আর শুভ্রতো একে অপরকে ভালবাসিস। আমরা তো ভেবেছিলাম তোরা রাজী হবি কি না। যাক ভালই হলো ২দিন পর তোদের বিয়ে। আজ মেহেন্দি, আগামীকাল গায়ে হলুদ, পরশুদিন বিয়ে,

আমি মিনমিন করে বললাম।”

—-” এত তাড়াতাড়ি কেন মামনি?”

মামনি মুচকি হেসে বললো,

—-” সবার ইচ্ছে রে মা। এখন যা গিয়ে রেস্ট নে। আমরা বিকেলে এখান থেকে কমিউনিটি সেন্টারে চলে যাবো!”

আমি হ্যা বলে উপরে চলে এলাম। একটুপর শুভ্র উপরে এসে ওর রুমে গেলো। আমি পা টিপে টিপে শুভ্রর রুমে এলাম। আমাকে দেখে শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” এখানে কেন এসেছিস?”

আমি ছলছল চোখে দাড়িয়ে ছিলাম। শুভ্রর কথা শুনে দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। শুভ্র যে অনেক অবাক হয়েছে এটা বুঝেছি। ফুপিয়ে কান্না করতে করতে বললাম।”

—-” তুমি আমাকে এত ভালবাসো কেন?”

শুভ্র চুপ করে দাড়িয়ে আছে। আমি শুভ্রকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম,

—-” তোমার আমার সাথে কথা বলতেই হবে। আমি জানি সেদিন আমি তোমাকে হার্ট করেছি। কিন্তুু বিশ্বাস করো সামিরের কথা রেগে বলেছিলাম। আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি!”

শুভ্র তবুও চুপ করে আছে দেখে। ওর বুক থেকে সরে বললাম,

—-” তুমি যদি আমার সাথে কথা না বলো। তাহলে আমি এই বিয়ে ভেঙে দেবো।”

ওমনি গালে ঠাস করে চর পড়লো। আম্মু গো বলে চেঁচিয়ে উঠলাম। তাকিয়ে দেখি শুভ্র দাতে দাত চেঁপে তাকিয়ে আছে। আমি শুকনো ঢোক গিললাম, শুভ্র রেগে বললো,

—-” কি বললি তুই? তুই এই বিয়ে ভেঙে দিবি? যা তো দেখি নিচে গিয়ে বল। আমিও দেখি তোর কত সাহস!”

মনে মনে বললাম জল্লাদ ইজ ব্যাক। এরপর মুখে হাসি ফুটিয়ে বললাম,

—-” এমা আমি মজা করছিলাম। তুমি কথা বলছিলে না কেন?”

শুভ্র একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললো।”

—-” তুই আমাকে রেখে চলে গেলি। এক মুহূর্তে আমার পুরো পৃথিবীটা থমকে গিয়েছিলো। তোকে আমি অনেক ভালবাসি রোজ। যদি এমন কোনদিন হয়। যে আমি কোন কারনে সব ভুলে যাই। তবুও আমি তোকে ভুলে যাবো না। আমার রক্তে মিশে আছিস তুই। কোনদিন আমাকে ছেড়ে যাস না প্লিজ। আমাকে প্রমিস কর কোনদিন কোন কারনে। তুই আমাকে ফেলে চলে যাবি না,

আমি শুভ্রকে আবার জড়িয়ে ধরলাম। শুভ্র এটা কেন বললো? যে যদি এমন কোনদিন হয়। যে আমি কোন কারনে সব ভুলে যাই। তাহলে কি শুভ্র ওর প্রবলেমটা জেনে গিয়েছে? শুভ্র আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। হঠাৎ আমার কাঁধ ভেজা লাগলো। তারমানে শুভ্র কাঁদছে? শুভ্রকে টেনে সামনে আনলাম। হ্যা শুভ্র কাঁদছে আমি অবাক হয়ে বললাম!”

—-” শুভ্র তুমি কাঁদছো কেন?”

শুভ্র আবারো একটা কথাই বললো,

—-” আমাকে কোনদিন ছেড়ে যাস না।”

আমি শুভ্রর চোখের পানি মুছে দিয়ে বললাম,

—-” মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছেড়ে যাবো না!”

শুভ্র আমার কপালে চুমু দিয়ে বললো,

—-” এবার তোর রুমে যা। যদিও এটাই তোর পার্মানেন্ট রুম। কিন্তুু বাইরের লোকেদের চিনিস তো? আমি চাই না তোকে নিয়ে কেউ আজে বাজে ভাবনা ভাবুক।”

আমি মুচকি হাসি দিয়ে চলে এলাম। বিকেলে আমরা এখান থেকে কমিউনিটি সেন্টারে গেলাম। আর আমাদের বাড়ি থেকেও সবাই এসেছে। বিয়ে অবশ্য বাড়িতেই হতো আমাদের। কিন্তুু আমি আর শুভ্র কাজিন হওয়াতে বিপত্তি হয়েছে। বিকজ আমার আর শুভ্রর রিলেটিভ সেম। বিশেষ করে শুভ্রর আর আমার মামা বাড়ি এক। তো ওনারা আমাদের বাড়ি আসবে? নাকি শুভ্রর বাড়ি যাবে? তাই কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে হচ্ছে। সবাই সবার রুমে চলে এলাম। কারন রাতে আবার মেহেন্দি। এখন যতটুকু পারি সবাই রেস্ট নিয়ে নিচ্ছি। তবে বেশীক্ষণ আর রেস্ট নিতে পারলাম না। ১ঘন্টা পরই সবাই এলো আমাকে সাজাতে। একটা সবুজ কালার লেহেঙ্গা পড়িয়েছে আমাকে। চোখে মোটা করে কাজল দেয়া। ঠোটে হালকা লাল লিপস্টিক। গলায় সবুজ স্টোনের নেকলেস। কানে বড় সবুজ কানের দুল। নিজেকে আয়নায় দেখে নিলাম। অতটাও খারাপ লাগছে না হি হি। সবাই আমাকে নিয়ে নিচে এলো। দারুন ভাবে সাজানো হয়েছে। রাত হওয়াতে ঝাড়বাতিগুলো বেশী জ্বল জ্বল করছে। নিচে আসতেই দেখলাম এক কোনায় দাড়ানো শুভ্র। শুভ্র সবুজ পাঞ্জাবি পড়েছে, সবুজের মাঝে। গোল্ডেন কালার স্টোন বসানো বুকের কাছে। সাথে ব্লাক কালার জিন্স প্যান্ট পড়া। চুলগুলো স্পাইক করা, হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি। ঠোটের কোনে মুচকি হাসি। আমাকে নিচে আনার পর শুভ্র এদিকে এলো। শুভ্র এদিকে আসতেই কাজিনরা বললো,

—-” শুভ্র ভাইয়া তুমি এখানে কেন এসেছো?”

শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো!”

—-” ওই কুটনির দল আমার বউয়ের কাছে আমি আসবো না?”

শুভ্রর মুখে বউ শুনে। মনের মাঝে যেন এক শীতল বাতাস বয়ে গেলো। আমি শুভ্রর বউ হতে চলেছি শুধুই শুভ্রর। এদিকে ওরা চেঁচামেচি করছে, শুভ্র শান্ত ভাবে বললো,

—-” আমি রোজকে মেহেদি লাগিয়ে দেবো।”

শুভ্রর কথায় চোখ কপালে তুলে বললাম,

—-” তুমি মেহেদি দিতে পারো?”

শুভ্র ভাব নিয়ে বললো!”

—-” কি মনে হয়?”

বলে আমার হাত ধরে স্টেজে নিয়ে এলো। এরপর এক হাতে আর্টিস্ট আরেকহাতে শুভ্র মেহেদি লাগাতে শুরু করলো। সবাই সিটি বাজাচ্ছে আমি হা করে তাকিয়ে আছি। আল্লাহ আমার হাতটা বুঝি গেলো। আর্টিস্ট আর শুভ্র একরকম চ্যালেঞ্জে আছে। কে আগে কত সুন্দর করে মেহেদি দিতে পারে? সবাই টাইম দেখছে অতঃপর ১ঘন্টা পর শুভ্র চেঁচিয়ে বললো,

—-” ইয়েস আই এম উইনার।”

শুভ্রর চেঁচানো শুনে হাতের দিকে তাকালাম। তাকিয়ে আমি থ এটা শুভ্র দিয়েছে? একটুপর আর্টিস্টের দেয়া হলো। দুটোই সুন্দর হয়েছে তবে শুভ্ররটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। ছেলে হয়ে এত ভাল মেহেদি দেবে ভাবতে পারিনি। ডিজাইনের মাঝে শুভ্রর নামও আছে। গান, বাজনার মধ্যে দিয়ে মেহেন্দি শেষ হলো,

পরেরদিন আজকে গায়ে হলুদ। সবাই এটা ওটা কাজ করছে। আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসে চিপস খাচ্ছি। দুরে শুভ্র সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। সবাই আমাকে সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আজকে আমাকে হলুদ লেহেঙ্গা পড়িয়েছে। সাথে সব ফুলের গয়না। ঠোটে খয়েরী লিপস্টিক, চোখে কাজল। সাজিয়ে স্টেজে নিয়ে এলো আমাকে। শুভ্র আগে থেকেই স্টেজে বসা। শুভ্র আজকে হলুদ পাঞ্জাবি পড়েছে। সাথে হোয়াইট কালার জিন্স প্যান্ট। হাতে হোয়াইট বেল্টের ঘড়ি। সিল্কি চুলগুলো কপালে পড়ে আছে। ঠোটের কোনে মিষ্টি হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি মনে মনে ভাবছি। এই ছেলেটা এত সুন্দর কেন? আর ওর ওই হাসি হায়। যে কোন মেয়েকে ঘায়েল করতে। শুভ্রর ওই হাসিই যথেষ্ট। ভাবনার মাঝে কখন যে স্টেজে এনেছে আমাকে বুঝিনি। শুভ্রর তুরিতে আমার ধ্যান এলো। শুভ্র ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। আর আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি। শুভ্র দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো!”

—-” কি গো রেড রোজ বেবি। আমাকে নিয়ে ভাবছিলে বুঝি?”

আমি ভেংচি কেটে বললাম,

—-” হু বয়েই গিয়েছে আমার।”

শুভ্র বড় শ্বাস নিয়ে বললো,

—-” এত মিথ্যে কি করে বলিস?”

আমি মুচকি হাসি দিলাম। একটুপর এক এক করে সবাই হলুদ লাগালো। আমাকে শুভ্র ভুত বানিয়ে ফেলেছে। কত বড় পাজী ছেলে ভাবা যায়? হলুদের পর্ব শেষ করে রুমে চলে এলাম। আজকে অনেক টায়ার্ড লাগছে। তাই বিছানায় শুতেই ঘুমিয়ে পড়লাম!”

লাল লেহেঙ্গা আর গা ভর্তি গয়না পড়ে বসে আছি। একটুপরই শুভ্রর সাথে আমার বিয়ে। আর একটুপর আমার জীবনটা পাল্টে যাবে। এখনো আমি আমার আম্মু, বাবার মেয়ে, ভাইয়ার বোন। আর একটুপর থেকে আমি হবো কারো বউ। কারো বাড়ির বউ যদিও তারা আমার আপন। কিন্তুু তবুও বুকের ভেতর খুব কষ্ট হচ্ছে। সবাইকে ছেড় চলে যেতে হবে ভেবে। যে বাড়িতে বড় হয়ে ওঠা, যাদের কাছে বড় হয়েছি। যেই বাবার হাত ধরে প্রথম হাটা শিখেছি। যেই আম্মুকে দেখে প্রথম কথা বলেছি। যেই ভাইয়ার কাধে চরেছি। সবাইকে ছেড়ে কি করে থাকবো আমি? ভাবতেই চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। একটুপরই আমাকে ধরে স্টেজে নিয়ে এলো। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করে দিয়েছে। শুভ্রকে কবুল বলতে বলার সাথে সাথে শুভ্র কবুল বলে দিয়েছে। এরপর আমার কাছে এলো আমি কিছু বলছি না। শুধু কেঁদে যাচ্ছি সমানে সবাই কবুল বলতে বলছে। অনেকক্ষণ পর আমি কবুল বললাম। এরপর রেজিস্ট্রি পেপারে সাইনের পালা। তখনো আমি সহজে সাইন করছি না। বুক ফেটে কান্না আসছে ভাইয়ার দিকে তাকালাম। ভাইয়া মুচকি হেসে বললো সাইন করতে। আমি জানি আমার মতো ভাইয়ারও কষ্ট হচ্ছে। এরপর আমি সাইন করে দিলাম। আমার আর শুভ্রর বিয়ে কম্পিলিট হলো। এখন বিদায়ের পালা নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না। ভাইয়াকে ধরে হাউ মাউ করে কেঁদে দিলাম। বাবা আর আম্মুও কান্না করছে। আমাকে ধরে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিলো। গাড়ি চললো শুভ্রদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। শুভ্র আমার বাম হাত শক্ত করে ধরে বললো,

—-” প্লিজ রোজ এভাবে কাঁদিস না। নিজের কাছে নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে। যদি পারতাম তোকে এক ফোটাও চোখের পানি ফেলতে দিতাম না। আমরা কালকে যাবো তো তোদের বাড়ি, প্লিজ ডোন্ট ক্রাই।”

শুভ্রর কথায় কান্নাটা কমিয়ে দিলাম। একটুপর শুভ্র দু হাতে মাথা চেপে ধরলো। গতকালও খেয়াল করেছি ব্যাপারটা। কিন্তুু কিছু বলার সুযোগ পাইনি। শুভ্রর হাত ধরে বললাম,

—-” কি হয়েছে? মাথায় পেইন হচ্ছে?”

শুভ্র মুচকি হেসে বললো!”

—-” তেমন কিছু না,

শুভ্র আমার মাথাটা ওর কাধে নিলো। আমিও চুপটি করে চোখ বুঝে নিলাম। গাড়ি এসে থামলো শুভ্রদের বাড়ির গেটে। পুরো বাড়ি ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো। গাড়ি থেকে নামতেই শুভ্র আমাকে কোলে নিলো। আমি অবাক হয়ে বললাম।”

—-” আরে কি করছো?”

শুভ্র দাত কেলিয়ে বললো,

—-” দেখে যা!”

এরপর আমাকে নিয়ে ভেতরে এলো। সবাই মিটিমিটি হাসছে আর আমার লজ্জা লাগছে। সব নিয়ম কানুন শেষে আমাকে শুভ্রর রুমে দিয়ে গেলো। রুম দেখে আমি থ সম্পূর্ণ রুম গোলাপ দিয়ে সাজানো। তাও এক দুই কালারের গোলাপ না। অনেক ধরনের গোলাপ দিয়ে সাজানো। কতক্ষণ পর কাজিনদের টাকা দিয়ে শুভ্র রুমে এলো। শুভ্র রুমে আসতেই আমি বিছানা থেকে নেমে ওকে সালাম করতে গেলাম। শুভ্র আমাকে ধরে হেসে দিয়ে বললো,

—-” সালাম করতে হবে না। তুই সবসময় আমার বুকের মাঝে আছিস। চল বেলকনিতে যাই।”

বেলকনিতে শুভ্রর কাঁধে মাথা রেখে আকাশ দেখছি। চাঁদের আলোয় বেলকনি আলোকিত হয়ে গিয়েছে। জ্যোৎস্না রাতে এভাবে ভালই লাগছে। এতদিন যে বয়ফ্রেন্ড ছিলো সে আমার স্বামী। শুভ্র আবার মাথায় হাত দিলো। ওর চোখ মুখ কেমন লাগছে তাই বললাম,

—-” শুভ্র তুমি ঠিক আছো? তোমার কি মাথা ব্যথা করছে?”

শুভ্র আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো!”

—-” হ্যা রে রেড রোজ আমি ঠিক আছি,

শুভ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি। কেন জানিনা মনটা অস্থির, অস্থির লাগছে।”

#চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে