গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_৪

0
789

#Writer_Sumon.

গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_৪

রাবেয়াঃ- আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দেও আমি আর তোমাকে কষ্ট দিব না।

ফারহানঃ- এই ভাবে না ঘুষ লাগবে।

রাবেয়াঃ- আমি জানি তুমি মান বা না ওকে চোখ বন্ধ করো।
( মুখের কোণে ছোট্ট একটি হাসি ফুটে উঠলো)

ফারহানঃ- হুমমম করলাম এখন দেও…….

তারপর রাবেয়া চার ঠোঁট এক করে দিলো। সে কি মহূর্ত বলে বুঝাতে পারবো না। আমিও তাকে কিস করতে শুরু করলাম একসময় সে আমাকে ছেড়ে দিলো।

ফারহানঃ- এইটা কি হলো।
( মন খারাপ করে)

রাবেয়াঃ- আর একটু হলেইতো মরে যেতাম এইভাবে কি কেউ কিস করে রাক্ষস একটা। ???

ফারহানঃ- আমিতো কিছুই করি নাই। ???
( না বুঝার ভান করে বললাম )

রাবেয়াঃ- হুমমম লুচ্চা একটা মেয়ে দেখলেই খালি কিস করতে মন চায় তাই না।

ফারহানঃ- হুমমম তবে সব মেয়েদেরকে না শুধু তোমাকে দেখলেই কিস করতে মন চায়।

রাবেয়াঃ- হুমম দুষ্টু একটা…….???

ফারহানঃ- তাহলে আসো দুষ্টুমি করি….. ???

রাবেয়াঃ- এই না একদম না……. ???

আমরা কি সুন্দর রোমান্স করতিছিলাম আর তখনি কে যেন দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকলো। সালা আসার আর সময় পাইলো না রাগ উঠে যাচ্ছে আমার। তবুও আমি রাবেয়াকে বললাম।

ফারহানঃ- বাবু উনারা কে…..????

রাবেয়াঃ- বাবু উনারা হলেন আমার আব্বু আর আম্মু।

এইরে এরাই তাহলে আমার শ্বশুর আর শ্বাশুড়ি। আমি আবার কি ভাবছিলাম। আমার এই বেশি ভাবার অভ্যাসটা আর গেলো না। ????

ফারহানঃ- আন্টি আংকেল আসসালামু আলাইকুম?

আংকেলঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম। বাবা তুমি এখন কেমন আছো…..?????

ফারহানঃ- আংকেল এখন একটু ভালো আছি। কিন্ত আপনাদের দেখে আরো ভালো হয়ে গেলাম।
( একটু পাম দিলাম আরকি??)

আংকেলঃ- বাবা আমাকে তুমি ক্ষমা করে দেও। আমার জন্য তোমার এই অবস্থা। আসলে আমি জানতাম না যে তুমি আমার মেয়েকে এতো ভালোবাসো। আমিই ওকে তোমার সাথে যোগাযোগ করতে দেইনি।
( আমার হাত ধরে বললো)

ফারহানঃ- আরে আংকেল আপনি আমার গুরুজন।আপনি আমার কাছে ক্ষমা কেন চাইছেন।আংকেল আপনাকে একটা কথা বলি আসলে আমার আর রাবেয়ার ফেসবুকে পরিচয় এটা কোন বড় ব্যাপার না। ভালোবাসা কখন কোন সময় কার সাথে হবে কেউ বলতে পারবে না। আমাদের ফেসবুকে পরিচয় হয়েছে তো কি হয়েছে। আমি আপনার মেয়েকে খুব ভালোবাসি। ভালোবাসতে গেলে প্রয়োজন বিশ্বাস আর দুটি মনের মিলন। আমি যদি কিছু ভূল বলে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


আংকেলঃ- না বাবা ক্ষমাতো আমার চাওয়া উচিত। আচ্ছা বাবা তুমি সুস্থ হও তারপর না হয় তোমাদের বিয়ের কাজটা সেরে ফেলবো।

ফারহানঃ- আপনি যেইটা ভালো মনে করেন সেইটাই হবে।

আংকেলঃ- ওকে বাবা তাহলে আমরা এখন আসি।

এই বলে আংকেল আর আন্টি চলে গেলো। আমি এতক্ষন রাবেয়ার দিকে একদম তাকাই নায়। আমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখি যে ও একদম লজ্জায় লাল হয়ে গেছে……. ☺☺☺☺।

রাবেয়াঃ- ওই আম্মু আর আব্বুর সামনে কি এগুলো বলতে হবে।

ফারহানঃ- আরে বাবু একটা গান আছে শুনছো…..

“” পেয়ার কিয়া তো ডার না কেয়া ‘”””””

রাবেয়াঃ- সবসময় খালি মাথায় সয়তানি বুদ্ধি ঘুরাঘুরি করে নাকি। তোমাকে তো আমি…… ???।

এই বলে রাবেয়া আমাকে ইচ্ছে মতো মারতে লাগলো। রাবেয়াতো আমাকে মারেই যাচ্ছে ছাড়ার কোন নাম নাই। আমি ওকে কিছুতেই আটকাতে পারছিনা।।

ফারহানঃ- আরে আরে কি করছো লাগছে তো। আমিতো একটু মজা করছিলাম।
তখনি আমার মাথায়টা একটা বুদ্ধি আসলো আমি অজ্ঞান হওয়ার অভিয়নয় শুরু করলাম।

আমি যখন হঠাৎ চুপ হয়ে গেলাম তখন রাবেয়া বলতে লাগলো।

রাবেয়াঃ- বাবু কি হলো তোমার……????
( কান্না মাখা কন্ঠে বললো)

ফারহানঃ- চুপচাপ……..????

রাবেয়াঃ- ওই বাবু উঠো না প্লিজ আমি আর করবো ন।
( এই বার কান্না করেই দিলো)

ফারহানঃ- তাও চুপচাপ………????

রাবেয়া এই বার জরে জরে কান্না করতে লাগলো। ও যখনি ডাক্তার কে ডাকতে তখনি আমি ওর হাতটা ধরলাম।

ফারহানঃ- আরে কি করছো আমি ঠিক আছে। তারপর আমি ওর হাত ধরে টান দিলাম। সে ভার সামলাতে না পেরে আমার বুকের উপর পরে গেলো তারপর আমি ওকে জরিয়ে ধরলাম। আমি জানি ওকে ছেড়ে দিলে ও আমাকে মারে ফেলবে। কিন্ত একি কান্ড এই মেয়েতো কান্না করতেছে।???

রাবেয়াঃ- আমাকে কষ্ট দিতে তোমার খুব ভালো লাগে তাই না……..?????
( কান্না করতে করতে বললো)

ফারহানঃ- আরে কি করছো তুমিতো জানো আমি একটু মজা করি এতে কান্না করার কি আছে।

রাবেয়াঃ- তাই বলে কি এইরকম মজা করে কেউ।

ফারহানঃ- ওকে বাবু আনাকে ক্ষমা করে দেও। আমি আর এমন মজা করবো না।

রাবেয়াঃ- না এভাবে না আমার ঘুষ লাগবে।

ফারহানঃ- এখনি দিতে হবে।

রাবেয়াঃ- হুমমম এখনি।

ফারহানঃ- আমার খুব লজ্জা করতেছে।

রাবেয়াঃ- ওলে বাবা লে এখন ছোট বাচ্চা হয়ে গেলা একটু আগে যে আমাকে কিস করলা তখন।

ফারহানঃ- ওকে চোখ বন্ধ করো। তারপর আমি ওর কপালে একটি ভালোবাসার পরশ একে দিলাম।

সেদিনকার মতো রাবেয়া আমাকে খিলিয়ে দিলো। আমাকে ঔষুধ খিলিয়ে দিলো। তারপর আমার পাশে শুয়ে পরলো।আমরা দু’জন দুজনকে দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরলাম।

কাল সকালে আমাকে রিলিজ দেওয়া হলো। আমাকে রাবেয়া আমার বাসায় নিয়ে আসলো।
এই ১ দিনে রাবেয়া আমার অনেক সেবা যত্ন করেছে। এই জন্য তার প্রতি আমার মনে ভালোবাসা আরো বেশি হয়ে গেলো।

আমি আর রাবেয়া বাসায় ঢুকে অবাক হয়ে গেলাম……

#অসমাপ্ত………….

গল্পটি লাগলে লাইক আর কমেন্ট করবেন এবং পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পর্বটি এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।



আমার গল্প পাঠকদের উদ্দেশ্য বলছি। আপনাদের জন্য রইলো আমার পক্ষ থেকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা । আশা করি সবারই ঈদটি ভালো কাটবে।


ঈদ মোবারক……… ?????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে