গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০২)

0
3017
গল্প:-লাভ_স্টোরি পর্ব:-(০২) লেখা_AL_Mohammad_Sourav !! বউয়ের সামনে অন্য মেয়ের হাত ধরে রেস্টুরেন্টে বসে আছি তা দেখে বউ আমার জ্বলে পুরে বেগুন হয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে চলে গেছে। তখনি শ্যালোকে বলি আরে কি হলো হাতটা ছাড়েন আমার যেতে হবে? শ্যালো:- আমি যার হাত একবার ধরি তার হাত সহজে ছাড়িনা। তখনি আমার মোবাইলটা বাজতে আরম্ভ করেছে ক্রিং ক্রিং ক্রিং আমি রিসিব করে হ্যালো হ্যালো বলছি কোনো সারা শব্দ আসছেনা আরে আজিব ব্যাপার কথা বলছেন না কেনো?
ওপাস থেকে আমার নাম্বার তোমার মোবাইলে সেইব নাই? আর বুঝার বাকি রইলনা এইটা মীম তখন আমি বলেছি,, আমি: সেইব রাখবো কেনো? আপনি কি আমার গ্রালফ্রেন্ড নাকি আমার বউ আমি আপনার নাম্বার সেইব রাখবো? আর এত কথা বলার দরকার কি? আপনি আপনার পরিচয় দেন তানা হলে ফোন রেখে দিলাম। মীম: আমি তোমার বউ বলছি হাদারাম মানে মীম এবার চিনছো নাকি ভীতরে আসতে হবে? আমি: সরি আপনি রং নাম্বারে কল করছেন আমার বউ নেই। তবে মীম নামে একজনকে চিনি আর এবার বলেন কি হয়ছে? মীম: ঠিক আছে তুমি আমায় চিননা? আজ বাসায় আসো তোমার একদিন কি আমার একদিন এই বলে মীম ফোন কেটে দিলো আর আমি মনে মনে ভাবতেছি যাক ঔষধে কাজ হয়ছে। বউ আমার জ্বলেপুরে ছায় হচ্ছে আর তখনি,,, শ্যালো: সৌরভ কি ভাবছেন? কখন থেকে ডাকছি কোনো উত্তর দিছেন না যে? আর ফোনে কথা বলার সময়ে বউ বললেন যে বউটা আবার কে? আমি: কিছু না, আর রং নাম্বার ছিলো চলেন ওঠা যাক। শ্যালো: হ্যা চলেন যাওয়া যাক,, আমরা দুজন রাস্তায় হাটতেছে আর বাদাম খেতেছি। তারপর শ্যালো তার ড্রাইবারকে ফোন করে গাড়ি নিয়া আসতে বলছে। ক্রিং ক্রিং ক্রিং আবার কে ফোন করলো দেখি মীম এবার আর ফোন রিসিব করিনি কেটে দিলাম। আর ফোন আসলোনা এর মধ্যে শ্যালোর গাড়িটা এসে গেসে আমরা গাড়িতে বসলাম দুজনে অনেক কথা বললাম। কিছুক্ষন পর আমি বলছি। আমি:- গাড়িটা একটু সাইট করেন আমি নামবো। শ্যালো: কেনো এখানে নামবেন কেনো? আমি: এখানে আমার বাসা একটু ভীতরে। আমি হেটে চলে যেতে পারবো। শ্যালো: আচ্ছা বাই আমি ওকে বাই বলে নেমে পরলাম। কারন শ্যালোকে আমার শ্বশুড় বাড়ী দেখানো যাবেনা যদি যানে আমি বিবাহিত তাহলে আমার সাথে আর কথা বলবেনা একটু হেটে বাসায় আসলাম। বাসার ভীতরে ঢুকার সাথেই শ্বাশুড়ি বলে,,, শ্বাশুড়ি: বাবা কোথায় ছিলে এতক্ষন কখন বেরহলে বাসা থেকে। আমি: না মানে একটু কাজ পড়ে গেছিলো তাই দেরি হয়ে গেছে। শ্বাশুড়ি: ঠিক আছে রুমে যাও ফ্রেস হয়ে ডিনার করতে আসো। আমি: ঠিক আছে! এই বলে সোজা রুমে চলে আসলাম দেখি রুম ফাকা যাক বাচা গেলে সয়তানের নাতনি রুমে নাই। ক্লান্ত লাগছে তাই খাঠের উপর শরীরটা এলিয়ে দিলাম আর তখনি,, মীম এসে আমার বুকের উপর বসে পড়লো আর গলা চেপে ধরলো। আমি: আরে কি করছেন? মরে যাবো গলা ছারুন নিশ্বাষ নিতে কষ্ট হচ্ছে? মীম: তোকে মেরে ফেলবো আগে বল আমার সাথে এমন করলি কেনো? আমি: আমি আবার কখন কি করলাম?
মীম: আমি কল করলাম তখন না চিনার বান করলি কেনো? আর যখন পরে কল করলাম রিসিব করলি না কেনো? আমি: আরে আমি জানবো কিবাবে এইটা তুমি? আর তুমিতো রাসেলের সাতে ঘুরতে যাবা বলছো তাহলে আমি কেনো কাবাব মে হাড্ডি হবো বলো? মীম: আমি তোমাকে আমার নাম বলছিনা তখন তুমি না চেনার বান করছো। আর রাসেল চলে গেসিলো তাই তোমাকে ফোন করছিলাম। আমি: কি রাসেল তোমাকে বাসায় দিয়ে যায়নি? এর নাম ভালোবাসা? আর শ্যালোকে দেখো আমাকে নিজের গাড়ি করে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে এর নাম হলো ভালোবাসা। আর আমার উপর থেকে নামো কেমন কেমন জানি লাগছে আমার। মীম: কি কেমন লাগছে? আমি: এইটা তুমি বুজবেনা এবার নামো? মীম: আচ্ছা উঠতেছি। আর তখনি মীম আমার বুকের উপর পড়ে গেছে। এই প্রথম মীম আমার বুকের মাঝে আছে ইচ্ছে করছে মীমকে জড়িয়ে ধরি কিন্তু সাহোস হলোনা। মীম আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমিও তাকিয়ে আছি ওর ঠোটের তিলটা খুব সুন্দর লাগছে ইচ্ছে করছে একটা কিস করি আর তখনি। মীম: কি দেখছো এমন করে আর কারো চেহেরা দেখনি? আমি: না মায়াবতি দেখিনি এমন চেহেরা দিখেনি কখনো তাইতো তোমাকে দেখতেছি দু নয়ন বরে। মীম: কি হলো পাগল টাগল হয়ে গেলে নাকি? আমি: না পাগল হবো কেনো? তুমি সুন্দরি তাই বললাম তবে শ্যালো কিন্তু তোমার চেয়ে সুন্দরি। আর তখনি মীম আমার বুকের উপর থেকে উঠে গেলো আর কোন কথা না বলে রুম থেকে চলে গেলো।( দুর সালা মনে মনে নিজকে বকা দিতে লাগলাম এত কাছে পেলি কিছু করতে পারলিনা। আর শ্যালোর নামটা বলার কি দরকার ছিলো? ফ্রেস হয়ে ডিনার করতে গেলাম মীমের পাশাপাশি বসে ডিনার করলাম। আমার আগে মীম রুমে চলে আসছে এসে দেখি মীম তার বয়ফ্রেন্ড সাথে মোবাইলে কথা বলছে। তা দেখে আমি কিছু বলিনি একটু পর দেখি আমার মোবাইল বাজছে আরে শ্যালো ফোন করছে। যাক এখন আর খারাপ লাগবেনা। আমি বারান্দায় গিয়ে কথা বলছি প্রায় আধাঘন্টা কথা বললাম শ্যালোর সাথে। আর বলছে আগামীকাল ঐ রেস্টুরেন্ট আবার দেখা করতে কি জুরুরি কথা আছে নাকি। তবে আমার আর বুঝার বাকি রইলনা কি বলবে শ্যালো? আমি রুমে ঢুকে দেখি মীম এখনো কথা বলছে রাসেলের সাথে। আমি কিছু না বলে নিছে শুয়ে পরলাম। একটু পর শুনতে পেলাম মীম আমায় ডাকছে। মীম:- সৌরভ ঘুমিয়ে গেছো নাকী? আমি: বলো কি বলবে? মীম: মানে তেমন কিছু না তবে আমি জানি তোমার অনেক খারাপ লাগতেছে। কিন্তু কি করবো বলো? আমি রাসেলকে অনেক ভালোবাসি আমি ওকে না পেলে মরে যাবো। আমি: তখনি খাটের উপর উঠে মীমের মুখ চেপে ধরলাম। আর বললাম তুমি আর কোনো সময় মরার কথা বলবেনা। আমি তো বলছি তোমাকে তোমার সত্যি কারের ভালোবাসার মানুষের কাছে পৌছে দেবো। মীম আমার দিকে তাকিয়ে রইলো আর আমি হাত সরিয়ে নিলাম। মীম: অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। কি ব্যাপার তুমি এমন ভাবে মুখ ধরলে কেনো? আর আমি মরে গেলে তোমার কি? তোমার তো রাস্তা পরিস্কার হবে? আমি:- রাস্তা পরিস্কার হবে মানে? মীম:- তখন তুমি শ্যালোকে আপন করে পাবে আমার থেকে মুক্তি মিলবে তোমার। আমি:- আমি তো তোমাকে ভালোবেসিছি কিন্তু তুমি তো রাসেলকে ভালোবাসো তাহলে এখানে আমাকে মুক্তি তো তুমি আগে করে দিয়েছো? মীম:- হ্যা তা তো জানি তবে মরে গেলে আর ডির্ভোস এসবের জ্বামেলা হবেনা। আমি: তুমি মরলে কি আর বাছলে কি? আমার কিছুনা। তবে যতদিন তুমি আমার স্ত্রী ততদিন আমার দ্বায়িত্ব বোদ আছে সুতরাং আমার দ্বায়িত্ব আছে তোমাকে সেইব রাখা। মীম: একটা কথা বলবো? আমি: হুম বলো কি কথা? মীম: আমি যে রাসেলের সাথে কথা বলি দেখা করছি তোমার জেলাস ফিল হয় নাই? আমি: না আমার জেলাস ফিল হয়না, আর আমার তো শ্যালো আছে তোমার থেকে সুন্দরি। মীম: তার মানে তুমি শ্যালোকে লাভ করো? যাক তুমি যাও নিছে ঘুমাও। এই বলে মীম শুয়ে পরলো আর আমি নিছে শুয়ে পরলাম। তবে আজ অনেক ঠান্ডা লাগছে কিন্তু কি করার নিছে তো শুয়া লাগবেই। To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে