গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(১০)

0
3268

গল্প:-একটু_অধিকার পর্ব:-(১০)
লেখা:- AL Mohammad Sourav
!!
যদি বাড়িতে থাকতে চাস তাহলে তোর বউকে ডির্ভোস দিতে হবে! এখন বল তুই কি করবি বউ নিয়ে থাকবি নাকী এই বাড়িতে আমাদের সাথে থাকবি? আম্মার কথাটা শুনে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম! কি করবো এখন? তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে! তখনি আমি বলি!

আমি:- আম্মা আপনাদের সাথে তো ২৫টা বছর কাটিয়েছি! আপনাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছি! আপনি মা আপনার রিন শুধ করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু আপনি যখন আমাকে দুইটা অপশন দিয়েছেন আমি একটা বেচে নিলাম। সেইটা হলো তসিবাকে কারণ যেই মেয়েটা আমাকে বিশ্বাস করে আমার সাথে এই বাড়িতে এসেছে তাকে ঠকানো ঠিক হবেনা।

আম্মা:- ঠিক আছে তাহলে এই মুহূর্তে তুই আর তোর বউ বাড়ি ছেড়ে এখুনি চলে যাবি।

ভাবি:- আম্মা আপনি কি বলছেন এসব ভাই কেনো যাবে বাড়ি ছেড়ে? আর এত রাত্রে ওরা যাবে কোথায় এখন?

দাদি:- বড় বউ তুমি চুপ থাকো! সৌরভ যেহেতু ওর বউ নিয়ে থাকতে চায় তাহলে এখানে আমাদের কি বলার আছে। সৌরভ তুই এখুনি বেড়িয়ে যা তোর বউ নিয়ে।

আমি:- ভাবি তুমি চিন্তা করোনা আমি তসিবাকে নিয়ে অনেক সূখে থাকবো! তসিবা তুমি একটু দ্বাড়াও আমি আমার কাপড় গুলি নিয়ে আসছি। তসিবা দাঁড়িয়ে আছে আমি গিয়ে আমার কাপড় গুলি ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়েছি। ব্যাগ নিয়ে বেড়িয়ে এসেছি! মনটা খারাপ করে নিচে নেমেছি। তসিবা দাঁড়িয়ে আছে আমি ওর কাদের উপর হাত রেখে ওকে নিয়ে বেড়িয়ে আসতেছি তখনি ভাইয়া বাড়ির ভিতরে ঢুকছে।

ভাইয়া:- কিরে এত রাতে কোথায় যাচ্ছিস? শ্বশুড় বাড়িতে যাওয়ার জন্য মন ছটফট শুরু করছে নাকী?

আমি:- ভাইয়া ভাবির আর মা বাবা, দাদির খেয়াল রাখিস! চলে যাচ্ছি আমি বাড়ি ছেড়ে তসিবাকে নিয়ে।

ভাইয়া:- কি বলছিস মজা করছিস নাকী? তোর তো আজকে শ্বশুড় বাড়িতে যাওয়ার কথা! সেইটা বল শ্বশুড় বাড়িতে যাচ্ছি।

ভাবি:- সাহেদ শুনো সৌরভ আর তসিবা এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

আম্মা:- বড় বউ তুমি এদানিং একটু বেশি অধিকার ফলাচ্ছো! তোমাকে বারুন করেছি তাও কেনো কথা বলছো?

ভাইয়া:- আম্মা আমি যা শুনছি তা কি সত্যি সৌরভ আর তসিবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে কেনো?

দাদি:- সাহেদ তুই সবে মাত্র এসেছিস রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।

ভাইয়া:- তুমি চুপ থাকো আমাদের সংসারে সব নষ্টের মুল তুমি। আমার ভাই বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়। সৌরভ দেখি ব্যাগ দে বলে ভাইয়া আমার হাত থেকে ব্যাগটা নিয়ে গেছে। আরে বোকা তোর বাড়ি তোর ঘর তুই কেনো বাড়ি ছেড়ে যাবি! আর যদি যেতে হয় তাহলে দুই ভাই এক সাথে যাবো।

আম্মা:- সাহেদ সৌরভকে বলছি তসিবাকে ছেড়ে দিতে কিন্তু সে তসিবাকে নিয়ে থাকবে। আমি চাইনা তসিবা এই বাড়িতে থাকুক।

ভাইয়া:- সৌরভ যদি তসিবাকে নিয়ে সূখে থাকে তাহলে আপনি আমি কেনো ওদের মাঝে ভিলেন হতে যাবো। আচ্ছা আম্মা সত্যি করে বলেন তে আমাদের আপন মা তো আপনি?

আম্মা:- সাহেদ তুই এইটা কি বলছিস? তোদের আপন মা আমি না।

আমি:- আমারো কেনো জানি মনে হচ্ছে আপনি আপন মা না আমাদের। যদি আপন মা হতেন তাহলে আমাদের সাথে এতটা খারাপ আচরন করতেন না!

আম্মা:- তুমি শুনছো তোমার দুই ছেলে আমাকে কি বলছে?

আব্বা:- সেইটা তোমাদের ব্যপার! তবে আমি যদি কিছু বলি তাহলে তুমি আর মা দুজনে আমাকে চুপ করিয়ে দাও।

ভাইয়া:- সৌরভ তুই একা যাবি কেনো গেলে আমি আর তোর ভাবি সহ এক সাথে যাবো। আচ্ছা আম্মা তসিবাকে মেনে নিলে কি এমন সমস্যা হবে তোমাদের শুনি?

আম্মা:- আছে অনেক সমস্যা! আর তাছাড়া সৌরভ তিন মাস অপেক্ষা করলে ওর কি সমস্যা হত শুনি?

আমি:- তিন মাস কেনো তিন মিনিট আমি তসিবাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা! বিয়ে করেছি কি আলাদা থাকার জন্য নাকী?

আম্মা:- দেখছিস ওর কথাবার্তা! সৌরভ জীবনে কোনো দিন আমার মুখে মুখে তর্ক করছে বল? এখন তর্ক করে এক মাত্র এই মেয়েটার জন্য! সৌরভের বউ সৌরভকে জাদু টুনা করছে তানা হলে হঠাত করে এতটা বউ পাগল হয়ে গেলো কেনো?

দাদি:- আমারো তাই মনে হচ্ছে! মেয়েটা যতদিন ধরে আমার সাথে থাকে রাতে কি সব বির বির করে আর হাত পা নাড়া চাড়া করতে থাকে। আমার মনে হচ্ছে জাদু টুনা করছে।

আমি:- হ্যা করছে তাতে সমস্যা কি? স্বামী যদি বউকে না ভালোবাসে তাহলে স্ত্রীর অধিকার আছে জাদু টুনা করে কাছে রাখার। আমাকে জাদু করছে তসিবার ভালোবাসা।

ভাইয়া:- এত কথা না বাড়িয়ে এখন বলেন সৌরভ আর তসিবাকে কোনো শর্ত ছাড়া এই বাড়িতে থাকতে দিবেন কিনা?

আম্মা:- নাহ দিবোনা!

ভাইয়া:- ঠিক আছে তাহলে আমি চলে যাচ্ছি আমার বউ নিয়ে। তোমরা শ্বাশুরী আর বউ মিলে বাড়িতে থাকো!

আব্বা:- তোরা যাবি তাহলে আমি থেকে কি করবো আমিও চলে যাবো তোদের সাথে? তখনি দাদি আর মা দুজনের মধ্যে আস্তে আস্তে কি সব কথাবার্তা বলছে!

আম্মা:- অনেক হয়ছে সমস্যা নেই তোরা সূখে থাকলে আমার কোনো কিছু বলার নেই। সৌরভ আমি তসিবাকে মেনে নিলাম কিন্তু আমার একটা কথা আছে!

আমি:- আবার কি কথা?

আম্মা:- রাত অনেক হয়ছে এখন বলতে পারবোনা সকালে বলবো! আমার এখন ঘুম পাচ্ছে বাকি কথা সকালে বলবো। এখন সবাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।

আমি:- যা বলার এখুনি বলো নতুন করে আর কোনো বাহানা শুনতে চাইনা?

ভাইয়া:- সৌরভ রাত্রটা যেতে দে এর পর নতুন কিছু বললে আমরা আমাদের কাজ করবো। যা এখন রুমে গিয়ে রেস্ট নে।

আমি:- ঠিক আছে! ধন্যবাদ ভাইয়া বলে জড়িয়ে ধরেছি। ভাইয়া আমাকে শান্তনা দিয়ে চলে গেছে। তসিবা এসো রুমে যাবো তখনি দাদি বলে।

দাদি:- শুন সৌরভ তসিবা আমার সাথে থাকবে আজকের রাত্রিটা।

আমি:- আমার বউ তোমার সাথে থাকবে কেনো? তসিবা এসো তো বলে তসিবার হাত ধরে টেনে নিয়ে এসেছি! দাদি আম্মা চেয়ে চেয়ে দেখছে আর ভিতরে ভিতরে জ্বলছে। রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়েছি তখনি তসিবা কান্না শুরু করে দিয়েছে। কি হলো কান্না করছো কেনো?

তসিবা:- আমার জন্য আপনার মা দাদির সাথে ঝগড়া করছেন! আমি আপনাকে অনেক ঠকিয়েছি আমাকে ক্ষমা করে দেন প্লিজ। তখনি আমি তসিবাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছি।

আমি:- দূর বোকা এইটা তো আমার কর্তব্য তোমাকে আমি আগলে রাখবোনা তো কে রাখবে?

তসিবা:- তাই বলে নিজের মা দাদির বিরুদ্ধে গিয়ে?

আমি:- যারা তোমার আমার ভালোবাসার মাঝে আসবে সবার বিরুদ্ধে! তা আমি কি তোমাকে কিস করতে পারি সেই অধিকারটা কি পেয়েছি নাকী এখনো বাকী আছে? তখনি তসিবা আমাকে আরো শক্ত ভাবে জড়িয়ে ধরেছে আমার বুকের হার্টবির্ট বাড়তে আরম্ভ করেছে।

তসিবা:- কি হলো কিছু বলছেন না যে?

আমি:- কি বলবো?

তসিবা:- না বললে কিছু করেন!

আমি:- হ্যা তাই ভালো বলে ওর মাথায় কিস করেছি। তসিবা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কি হলো তাকিয়ে আছো কেনো?

তসিবা:- চুলে কিস করলে হবে? বলে আমাকে নিয়ে সোজা খাটের উপর! আজ অনেক দির পর তসিবার সাথে আমার প্রথম আশা পুরুণ হলো তসিবাকে একদম আপন করে কাছে পেয়েছি। তসিবা আমার বুকের উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা শুয়ে আছে।

আমি:- তসিবা উঠো ফ্রেশ হবে। তসিবার কোনো শব্দ পাচ্ছিনা! তসিবা ঘুমে ভিবোর হয়ে আছে আমি তসিবার কপালে গালে কিস করছি। তসিবা নরে চরে চোখ মেলেছে।

তসিবা:- কি হলো থামলেন কেনো আদর করতে কৃপনতা করছেন দেখি। নাকী মা না করছে আদর করতে।

আমি:- কি বললে তুমি বলে তসিবাকে ঝাপটে ধরেছি দুজনে কিছুটা দুষ্টমি করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। দুজনে এক সাথে সিঁড়ি দিয়ে নামতেছি। যখনি নিচে গেছি তখনি চেয়ে দেখি সবাই দাঁড়িয়ে আছে। সবার কাছে যখন গেছি ঠিক তখনি দেখি বিন্তি ও তার বাবা মা এসেছে।

আম্মা:- এসেছেন মহারানী আসেন মা বিন্তি বল তো বিয়ের দিন তোকে তসিবা কি বলছে তখনি বিন্তি এমন কথা বলছে শুনে আমি সহ সবাই তসিবার দিকে তাকিয়ে আছি! To be continue,,,

( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।)
Facebook Id link ???

https://www.facebook.com/shohrab.ampp

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে