গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব ০৬

0
2830

গল্পঃ ফুল শর্য্যায় ছ্যাকা পর্ব ০৬
লেখকঃ #রাইসার_আব্বু

—–আচ্ছা মহারানী ঠিকঅাছে বলে ফোনটা রেখে অফিসের জন্য রেডি হয়ে মনে মনে ভাবছি আজ হঠাৎ কথায় কি হলো দরজা লগ করা একবার ভাবলাম ডাক দিবো না দিবোনা কিনাতু কেনো জানি কয়েকবার ডাকার পরও কোনো কথা আসছে না ভেতর থেকে তাই আমার কাছে ডপলিকেট চাবি দিয়ে লক খুলতেই দেখি কথা বিছানা থেকে নিচে পড়ে অাছে তাই দৌড়ে গিয়ে বিছানায় তুলতেই সময় কথায় গায়ে হাত পড়তেই দেখি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে এদিকে প্রচন্ড জ্বরে কথা সেন্সলেন্স হয়ে গেছে তাই কি করবো বিছানায় তুলে মাথায় পানি দিলাম তাও দেখছি কথায় জ্ঞান ফিরেনি কিছু না ভাবতে পেরে একটা এমবুলেন্স করে হসপিটালে নিয়ে গেলাম!!!এদিকে জ্বর ১০৪ ডিগ্রি আপ হয়ে গেছে ডক্টর বলল কথাকে কয়েকদিন হসপিটালে থাকতে হবে!!

——– কথাকে ইমাজেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে শুনলাম কালকে নাকি কথাকে কেবিনে দিয়ে যাবে!!!

——– এইযে মিস্টার আপনি পেশেন্ট এর কি লাগেন!! (ডাক্তার)

——– জি আমি ওনার কথাটা বলতে গলাটা ধরে এলো!!

——– কি বলছেন না যে কি লাগেন পেশেন্ট এর?? (ডাক্তার)

——– জি আমি ওনার হাসবেন্ড!!!!!

——– শুনেন এই ওষধগুলো বাহিরে আছে একটু জলদি নিয়ে আসেন এই বলে পেসক্রিপশন ধরিয়ে দিলো ডাক্তার!!

—— ডাক্তার এর কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনটা নিয়ে বাহিরে থেকে ওষধগুলো নিয়ে একটা ডাক্তার এর কাছে দিলাম।!!!(আমি)

——- শুনেন রাজ আপনার স্ত্রীকে কেবিনে রিলিজ করা হয়েছে আপনি এখন যেতে পারেন আপনার স্ত্রীর কাছে!??? (ডাক্তার)

——— এদিকে ডাক্তারের কথা শুনে কথার বেডের কাছে গেতেই দেখি একটা পূণির্মা চাদে যেনো গ্রহণ লেগেছে চাদটি যেনো তার সমস্ত জোৎসা হারিয়ে কেমন মায়াবী লাগতেছে কথাকে??

——- আমি এখানে কেনো আর আমি এখানে কিভাবে এলাম?? (কথা)

——- কাল সকালে আপনি সেন্স লেন্স হয়ে গেয়েছিলেন তাই আপনাকে হসপিটালে এডমিন করা হয়েছে ডক্টর বলেছে আপনাকে ৩ দিন হসপিটারে থাকতে হবে!! (আমি)

——– সজিবকে বলেছিস আমার অসুস্হতার কথা???( কথা)

——- জি বলেছিলাম আর মামা মামীকে জানায় নি এমনি তারা অসুস্হ মানুষ যদি চিন্তা করে?? ( আমি)

—- ঠিক আছে!! (কথা)

—–নার্স এসে কথাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে দিলো!!!

——– এদিকে দেখি মায়া পরিটা ঘুমিয়ে গেছে হঠাৎ পকেটে থাকা ফোনটা বাজতেছে??

—-এদিকে ফোনটা পকেট থেকে বের করে নাম্বারটা দেখেই ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি বিকেল ৫টা বাজে আর রাইসা তো বলেছিল যে আমার সাথে লান্চ করবে !!

——– তাই ভয়ে ভয়ে ফোনটে ধরলাম আর ফোনটা ধরতেই ফোনের ওপাশ থেকে হ্যালো রাজ তুমি কোথায় প্লিজ বাসায় আসো রাইসা দুপুর থেকে কিছুই খাচ্ছে না রুমের দরজা বন্ধ করে রাখছে দরজা খুলছে না প্লিজ তুমি বাসায় এসো??? (অপরিচিতা)

——- হসপিটালে নার্সকে কথার দেখাশুনার কথা বলে একটা সিএনজি করে রাইসাদের বাসায় গেলাম!!

——- বাবা রাজ কেমন আছো!! ( অপরিচিতার বাবা)

——– জি স্যার ভালো আছো আপনি কেমন আছেন!!!?? (আমি)

——- শোন রাজ এইটা অফিস না কেমন আর আমাকে আঙ্কেল বলে ডেকো তাহলেই খুশি হবো?? (অপরিচিতার বাবা)

——– জি আঙ্কেল!!( আমি)

—— শোন রাজ বুড়িটা রাগ করেছে দেখো তো বুড়িটার রাগ ভাঙ্গাতে পারো কিনা!! (অপরিতার বাবা)

———- জি আঙ্কেল আমি দেখছি এই বলে রাইসার রুমের কাছে গেতেই রাইসা জানালার কাছে ছিলো সেখান থেকে চলে গেলো ভিতরে!!

—– তাই ভয়ে ভয়ে ডাকদিলাম মহারানী দরজাটা খুলো না প্লিজ!! (আমি)

——- আমি কারো মহারানী না বুঝলেন আপনি চলে যান ( রাইসা)

——- প্লিজ মামনি আমার একটা কথা শুনো!!! (আমি)

——– আমি কারো কথা শুনবো না আমার কথা তো কারো মনে পড়েনা!! (রাইসা)

——- কে বলছে মহারানীর কথা মনে পড়েনা সবসময় মনে পড়ে!! (আমি)

——– হুম ছাই পড়ে তোমার সাথে কথা নেই??? ( রাইসা)

——– সত্যি রাইসার বাবাই টা পচা রাইসা কে কষ্ট দেই!!! (আমি)

—– সাবধান খুন করে ফেলবো রাইসার বাবাই অনেক ভালো মাঝে মাঝে দুষ্টমি করে??? (রাইসা)

——— তাহলে মামনি দরজাটা খুলো প্লিজ (আমি)

—– না না দরজা খুলা যাবোনা!! ( রাইসা)

——– তাহলে আর কি করবো আইসক্রিম আর পুতুলটা আমার ছোট্ট আপি আদিবাকে দিয়ে দেয় কেমন??? (আমি)

——– কথাটা বলতেই দেখি দরজা খুলে ওই বাবাই কি বললা তুমি হু মহারানীর জিনিস অন্যকে দিবা এই বলে সামনে দাড়ালো!!?? (রাইসা)

—— কি করবো তুমি দরজা খুলোনা তাই আদিবাকে দিয়ে দিবো যানো আদিবা আপুটা না অনেক সুইট কতো সুন্দর করে কথা বলে!! (আমি)

—– অ্যা – অ্যা করে কেদে দিলো রাইসা আর বলতে লাগলো আদিবা সুইট না ওই মিষ্টি কথার মাঝে আমি লবণ দিবো আর আমি পচা যাও তোমার সাথে কথা নাই তোমার সুইট না লবণ আপি ওর কাছে যাও আমি তো তোমার কেউ না এই বলে আরো বেশি করে কাদতে লাগলো!! (রাইসা)

——-এদিকে মিথ্যা বলেও তো আরো বিপদে পড়লাম রাইসা তো কেদে একদম শেষ তাই বললাম কে বলছে আমার মহারানী পচা আমার মহারানী কতো ভালো মহারানী আদিবা নামে কোনো সুইট আপি নেই তোমাকে রাগানোর জন্য বলেছিলাম বুঝলা আর কেদোনা তুমি কাদলে আমি কাদবো??? ( আমি)

——– না বাবাই তুমি কাদবানা কেমন আর আমি অভিমান করবো না হু তুমি আমাকে কষ্ট দিবানা বলো প্রমিজ করো যদি আমাকে কষ্ট দাও তাহলে ওই নীল আকাশের সন্ধ্যা তারা হয়ে যাবো বলো বাবাই আমাকে কষ্ট দিবানা???? (রাইসা)

——- আচ্ছা মহারানী এমন কথা কেনো বলো তুমি তোমার বাবাইকে রেখে কোথাও যেতে পারবেনা আর আমি প্রমিজ করলাম মহারানীকে কষ্ট দিবোনা ??? ( আমি)

—– ওকে বলবোনা বাবাই চলো অনেক ক্ষুধা লাগছে খায়নি সাথে মমও জানো আমি মমকে বলেছি বাবাই আসলে তুমি একটু পড় আসবে তুমি থাকলে বাবাই কে বকা দিতে পারবো না!!ঠিক বলেছিনা বাবাই!!? (রাইসা)

—— হুম মহারানী ঠিক বলেছো!! (আমি)

—— মা কোথায় গেলে বাবার সাথে আর লুকোচুরি করো না এখন আসো খুব ক্ষুধা লাগছে?? ( রাইসা)

—— এদিকে রাইসার কথা শুনে অপরিচিতা আসতেই রাইসার একটা খেলনা গাড়িতে বাজতেই একটা শর্ক বুকের ওপর ভারী কিছু অনুভব করছি এদিকে কোমরটা তো গেলেই সাথে আঙ্কেল যদি দেখে তাই যখনি ওঠতে যাবো দেখি অপরিচিতা কি মায়াবী চোখ নিয়ে করুণ ভাবে চেয়ে রয়েছে জানিনা এই কাজল কালো চাহনির মাঝে কি অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে তাই নিজে নিজে চোখটা সরিয়ে নিলাম!!

——- কি মজা কি মজা মা বাবাই এর উপরে পড়ে গেয়েছে?? (রাইসা)

—— এদিকে রাইসার কথা শুনে অপরিচিতাকে উঠতে বললাম এদিকে অপরিচিতা ওঠে কেমন জানি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো!!

——- সরি তোমার কোথাও লাগিনিতো?? (আমি)

—— না লাগেনি ভুলটা হয়েছে আমার তাই সরি আমার বলার উচিত ছিল?? (অপরিচিতা)

—– হি হি হি শুনেছি আল্লায় যা করে ভালোর জন্যই করে তাই সরি বলা লাগবেনা চলো বাবাই মম তুমিও চলো খাবো এখন?? (রাইসা)

—– হুম চলো( অপরিচিতা)

—— হঠাৎ খাবার টেবিলে রাইসাকে খাইয়ে দিবার সময়ও দেখি অপরিচিতা লজ্জায় লাল হয়ে আছে লজ্জা পেলে যে মেয়েদের এতো মায়াবী দেখায় আজ না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করতে পারতাম না!! এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ৭ টা বাজে হঠাৎ কথায় কথা মনে পড়তেই মনটা জানি কেমন করে ওঠলো তাই রাইসাকে পাপ্পি দিয়ে হসপিটালে এসে পড়লাম এসে দেখি কথা এখনো শুয়ে আছে তাই কথায় বেডের কাছে গিয়ে বসলাম কিছুক্ষণ পর কথায় ঘুম ভেঙ্গে যায়!!

—— তুমি এখানে কি করছো???( কথা)

—- কিছু না ভালো লাগতেছেনা তাই বসে আছি আপনি কিছু খাবেন!!??( আমি)

—–কথা আমার কথা শুনে হ্যা সূচক জবাব দিলো!!

—–তাই ঝুড়িতে রাখা একটা আপেল কেটে কথাকে দিলাম এভাবে কাটলো তিনটা রাত আর প্রতিটা রাত কথায় পাশে বসে কাটিয়েছি আল্লার কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমার জীবনটাকে সুস্হতা দান করে!!!

——— শুনেন মিস কথা সাতদিন পর আবার আসবেন কিছু টেস্ট করাতে হবে আর এখন আপনারা বাসায় যেতে পারেন!!(ডাক্তার)

—– হসপিটাল থেকে রিলিজ হওয়ার পথে রাস্তার এক সাইডে দেখি জীম দাড়িয়ে আছে তাই জীমের সাথে দেখা করে ওর পড়াশোনা আর ওর মার জন্য কিছু টাকা দিয়ে গাড়িতে করে বাসায় আসলাম!!

—– এই তুমি কি করছো এই শরীরে রান্না ঘরে কেনো যাচ্ছো ( আমি)

——- কেনো কি হয়েছি আমি রান্না করতে পারবো নিজেরটা তাও তোর মতো এতিমের রান্না করা খাবার খাবোনা ( কথা)

—– হুম ঠিক আছে শুনেন আপনাকে আগামী পাচদিনের মাঝে ডির্ভোস দিবো কিন্তুু একটা শর্ত আছে.
—– এদিকে শর্তের কথা শুনে কথা অনেকটা বিচলিত হয়ে পড়ে!!!!

——- কিছু বলছেন না যে!!? (আমি)

——- আচ্ছা বলো কি এমন শর্ত বাজে কিছু শর্ত দিবেনা!! (কথা)

——- সেটা আমার বিষয় আপনি শর্তে রাজি কিনা বলেন!!!!?? (আমি)

—— আচ্ছা বলো এমন কি শর্ত??( কথা)

——- ওকে প্রমি??? (আমি)

——– হ্যা প্রমিজ!! (কথা)

——খুব বেশি কিছু না এই পাচটা দিন আমি চাই তুমি আমার সাথে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করবে??? (আমি)

—– কি বলছিস তুই তোর মতো এতিমের সাথে রাত কাটানো আমার সম্ভব নয় (কথা)

——– চুপ করবেন আমি আপনার সাথে রাত কাটাতে চাইনি এবং কি স্বামীর কোনো অধিকারো ফলাতে চাইনি কারণ আমি জানি একটা লন্ডন পড়ুয়া মেয়ের সাথে আমার মতো এতিমের যায়না!!!(আমি)

—–তাহলে তুই কি চাস?? (কথা)

—— শুনেন আমি চাই পাঁচটা দিন আপনার একটা বন্ধুর মতো সারাক্ষণ পাশে থাকতে আর আপনি তো অনেক অসুস্হ আর হ্যা আশা করি পাঁচদিনের মাঝে আপনি সুস্হ হয়ে যাবেন আর পাঁচদিনের মাঝে আপনার ডির্ভোস লেটারটাও পেয়ে যাবেন!!! (আমি)

——আচ্ছা আমি শর্তে রাজি কিন্তুু তুই আমার কাছে সাম্বীত্ব ফলাতে আসবিনা?? ( কথা)

——- জি আমি কখনো স্বামীত্ব ফলাতে আসবোনা কিন্তুু আপনি আপনার শর্ত লঙ্গন করছেন?? (আমি)

——– মানে আমি আবার কি শর্তে লঙ্ঘন করলাম?? ( কথা)

——- এখন থেকে তুই নয় তুমি মনে থাকবে?? (আমি)

——- আচ্ছা ঠিক আছে!! (কথা)

—– হুম ঠিকআছে চলো খাবে!!!?? ( আমি)

—— হুম চলো (কথা)

——- এদিকে বিয়ের প্রথম আজ আমরা দুজন মিলে ব্রেকফাস্ট করলাম কেমন জানি ভালো লাগা কাজ করছে?!!

—– ক্রিং ক্রিং ক্রিং ফোনটা বাজছে!!!!

—- ফোনটা ধরতেই বাবাই বাবাই শুভ সকাল তুমি কেমন আছো বাবাই ( রাইসা)

—– জি মহারানী ভালো আছি তোমাকেও শুভ সকাল ( রাইসা)

—— বাবাই তুমি এওো কিপটে কেনো?? (রাইসা)

——– তাই বুঝি মহারানী তো আমি কি কিপটস করলাম তুমি কি বলবে আমায়?? (আমি)

—– না বলা যাবেনা?? ( রাইসা)

——- প্লিজ বলোনা মহারানী?? (আমি)

——- তুমি আমাকে শুভ সকাল বললে কিন্তুু একটা পাপ্পিও দিলেনা আর মমেরর কথা তোমার মনেই থাকেনা তুমি মমের সাথে ফোনে কথা বলোনা এখন কথা বলবে কেমন আর এখন সবার আগে আমাকে দুইটা পাপ্পি দিবা???? (রাইসা)

——- আচ্ছা মামনি তোমাকে পাপ্পি দিচ্ছি ওম্মা ওম্মা!!! কিন্তুু কোনো রিয়েক্ট নেই পাশে থেকে রাইসার কন্ঠ শোনা যাচ্ছে কি মজা কি মজা বাবাই মমকে পাপ্পি দিয়েছে বাবাই আর মম বোকা হি হি??? (রাইসা)

———- এদিকে রাইসার কথা শুনে কি বলবো ফোনের ওপাশ থেকে কোনো শব্দ আসছেনা শুধু রাইসার কথা শুনা যাচ্ছে!! তাই ফোনটা কেটে দিলাম!!( আমি)

——- কি ফোন করেছিল তোমায়???( কথা)

——- রাইসা ফোন দিয়েছিলো!!! (আমি)

—– ও ও তোমার নিয়ে তাই না?? (কথা)

———- জি!! আচ্ছা আমি আসি কেমন লেট হয়ে যাচ্ছে অফিসের??? (আমি)

——- হুম দেখে যেয়ো??? (কথা)

——— অফিসে গিয়ে আজকেও আরেকবার শর্ক খেলাম আজকেও কে জানি কয়েকটা গোলাপ আর একটা চিরকুট রেখে দিয়েছে আমি বুঝতেছিনা কি যাচ্ছে আমার উপর দিয়ে প্রতিদিন কে এমন করে ডেস্কে ফুল রেখে যায় তাই ফুল গুলো সরিয়ে চিরকুট টা হাতে নিলাম।!!!

——- সেদিনের মতো চিরকুটে আজকেও কিছু লেখেছে!!

—- সবারি তো ইচ্ছে করে একজন কেউ হাতটা রাখো হাতের বাজে মেঘ হয়ে এসে অন্ততকাল আমারি থাকো সবারি হয় ইচ্ছা পূরণ আমায় কেনো হয়না একা এমন দুঃখ অনেক দুজন কেনো হয়না!
ইতি” রাজকুমার হীনা রাজকুমার

——- চিরকুটটা পড়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখছি পিছনের ডেস্কে পাখির দিকে তাকিয়েও দেখি পাখি মনোযোগ সহকারে কাজ করছে!!!!

——— রাজ তুমি আমার ডেস্কে একটু আইসো তো যদি ফ্রি থাকো ( অপরিচিতা)

—— ঠিক আছে আপনি যান আমি আসতেছি??
**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”**

——- আচ্ছা রাজ আমি তোমার চেয়ে ছোটই হবো আর তুমি আমার খুব ভালো একটা বন্ধু তুমি করে বললেই খুশি হবো?? ( অপরিচিতা)

———–আচ্ছা ঠিকআছে তুমি যাও আমি আসতেছি???

—– হুম ঠিকআছে!!! (অপরিচিতা)

——- এদিকে অনলাইনে একটা মেইল বিদেশে পাঠিয়ে অপরিচিতার রুমে গিয়ে নক দিলা??!!( আমি)

—– রাজ ভেতরে আসো!!! (অপরিচিতা)

——-ভেতরে এসে বসতেই!!

—– রাজ তোমাকে কিছু বলতে চাই বিষয়টা ব্যক্তিগত তার পরও তুমি যদি কিছু না মনে করো তাহলে বলতে পারি (অপরিচিতা)

—— আচ্ছা তুমি বলো কি এমন কথা?? (আমি)

—— জানো রাজ জন্মের পর আমার মেয়েটাকে কখনো এইভাবে হাসি খুশি দেখেনি যা এতদিন তোমার সাথে মিশে হাসি খুশি থেকেছো জানো মাঝে মাঝে অনেকটা দুষ্টমি করে যেমন আজ সকারে যা কোনো ভাবেই ভালো দেখায় না আর আজকের সকালের বিষয়টার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী কি করবো বলো মেয়েটার মৃত্যুর দিন গুনতে হচ্ছে তাই রাগ করে কিছু বলতেই পারিনা!! কেদে দিয়ে ( অপরিচচিতা)

—- কি বলো তুমি এইসব অপরিচিতা যদি আমার মেয়ে হতো তাহলে এমন করলে আমি কি করতাম শুনো রাইসার মৃত্যুর কথা কখনো বলবে না রাইসার কিচ্ছুু হবেনা ( আমি)

—– রাজ বাস্তবকে আমাদের মেনে নেতেই হবে কি করবো বলো কতো জায়গায় খুজেছি কোথাও কিডনি মেনেজ করতে পারিনি (অপরিচিতা)

——শোনো অপরিচিতা রাইসার কিছুই হবেনা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো কেমন?? (আমি)

——— হুম সেটাই!! (অপরিচিতা)

——– বিকেরে অফিস শেষ করে যখন রওনা দিবো ঠিক তখনি কে যেনো পিছন থেকে হাত ধরে ফেললো!! তাই পিছন দিকে তাকাতেই দেখি পাখি!!

—— ওই পাখি কি ব্যাপার হঠাৎ হাত ধরেছে কেনো?? ( আমি)

—— কই ছিলা কালকে অফিসে আসো নি আমার বুঝি টেনশন হয়না ( পাখি)

কি বলো এইসব শোনে আবারো বলছি তুমি আমার ভালো একটা ফেন্ড জাস্ট এইটুকু?? ( আমি)

—— শোনো রাজ আমি তোমার ফেন্ড হয় তাহরে অপরিচিতা ম্যাডাম কি তোমার বউ হয় ওমনভাবে খাইয়ে দাও কথা বলো?? ( পাখি)

———- ঠাস ঠাস ঠাস কি বলো তুমি next time এ আমার সাথে কন্টাক্ট করার চেষ্টা করবানা না ( আমি)

—– ঠিক আছে রাতে বুঝবা!! (পাখি)

—— মানে কি বলছো এইসব কিছু বুঝতেছিনা ( আমি)

—– সময় হলে ঠিকই বুঝবা এই বলে চলে গেলো( পাখি)

——-রাতে বাসায় এসে দেখি কথা শুয়ে পড়েছে মনে মনে ভাবছি কথাকি খেয়েছে ভাবতে ভাবতে ডাকদিলাম!!!

——–কথা তুমি কি খেয়েছো?? (আমি)

——— না আমি খাইনি তুমি খেয়ে নাও কেমন মাথাটা জানি কেমন করছে!”! (কথা)

——— আমি কি তোমার রুমে আসবো??

—- আচ্ছা আসো?? (কথা)

—— এদিকে একটা ডিম বাজি করে কথায় জন্য খাবার নিয়ে গেলা!!!

—- কথা ওঠো এই খাবার খেয়ে নিয়ো কেমন?? (আমি)

—— তুমি খেয়ে নাও আমি খাবো না আমার হাতে ব্যাথা পাইছি তাই খাবো না!! (কথা)

——— এদিকে কথার হাতের দিকে তাকাতেই দেখি ব্যান্ডেজ মনে হয় অনেকটা কেটে গেছে!! তাই বললাম আচ্ছা তুমি হা করো আমি খাইয়ে দিচ্ছি!!!

—— না বললাম তো আমার ক্ষিধা নেই???কথা

——– কথা এমন করো কেনো আমি বলছি হা করো??

——- রাজ বেসি হয়ে যাচ্ঝে কিন্তুুু কি জানি বলতে গিয়েও থেমে গেলো?? (কথা)

——- কথা শর্তে কিন্তুু এই কথা ছিলনা!!! (আমি)

—– আচ্ছা আমি হা করলাম খাইয়ে দাও??( কথা)

—— এদিকে কথাকে খাইয়ে দিচ্ছি হঠাৎ কথা বলে ওঠলো তুমি খাবে না সব আমাকেই খাইয়ে দিচ্ছো?? (কথা)

—– জানো কথা আমি অফিসে খেয়ে এসেছি!! (আমি)

—– রাজ তোমার চোখ বলছে তুমি মিথ্যা বলছো?? (কথা)

——- আচ্ছা তুমি খেয়ে নিয়ো নাও পড়ে আমি খাবো কেমন!!

—-এদিকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ডায়রিটা লেখছিলাম হঠাৎ অপরিচিতা ফোন দেওয়াতে বারান্দার চলে আসি বারান্দাতে অনেক ক্ষণ কথা বলাতে রাত অনেক হয়ে যায়!!

——– ঘুম জড়ানো চোখে বিছানায় আসতেই কি যেন আবছা আবছা দেখে যায় কুলবালিশ মনে করে শুয়ে পড়তেই অ্যা করে চিল্লানি দেয় এদিকে কথাকে দেখলাম পাশের রুমে ঘুমিয়ে গেয়েছে তাই নির্ঘাত এটা ভূত হবে তাই ভয়ে চিল্লানি দিয়ে রুমের বাইরে এসে বলতে লাগলাম ভূত ভূত???

—– রাজ কি হয়েছে চিল্লাও কেনো কি হয়েছে!!! ( কথা)

——— এদিকে কথাকে বললাম জানো আমার রুমে না ভূত কথাটা বলতে গলাটা ধরে এলো???

——- মানে কি বলছো ভূত মানে আমার কিন্তুুু ভয় লাগতেছে হঠাৎ এমন সময় আমার ঘরে কি জানি ভাঙ্গায় শব্দ হলো এদিকে শব্দটা হতেই বুকে ভারী কিছু অনুভব করলাম দেখি কথা ছোট্ট বাচ্চার মতো আকড়ে ধরে আছে অনেক ক্ষণ নিরবতা হঠাৎ করে কথা নিজেকে আমার বুক থেকে ছাড়িয়ে নিলো!!!

—— রাজ ভূত থাকার কথা না তো মনে হয় ঘুমের ঘরে স্বপ্ন দেখোছো চল দুজন একসাথে তোমার রুমে যায়!!? (কথা)

——– আচ্ছা চলো গুড আইডিয়া এই বলে দুজনে রুমে গিয়ে দেখি একটা গ্লাস পড়ে আছে তার কাছে একটা বিড়াল!!!

——- রাজ তুমিও না এখনো কি ছোট যে বিড়ালকে দেথে ভয় পেতে হয় তোমার ভূতটা হচ্ছে বিড়াল!! এখন শুয়ে পড়ো আর চিল্লাচিল্লি করো না?? (কথা)

——- আচ্ছা ঠিকআছে বলে রুমের দরজাটা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম চোখে ঘুম আসতেই কে জানি মুখ চেপে ধরেছে!!
চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে