কোনো একদিন পর্ব-২+৩

0
1998

#কোনো_একদিন
#পর্ব_২_৩
#কলমে_অপরাজিতা_ইসলাম

“আরে কি করছো মাসফি?আমাকে নিচে নামাও,নামাও বলছি।”

“একদম চুপ করে থাকো।একটাও কথা বলবে না তুমি বুঝেছো।”

“কথা বলবো না মানে?তুমি আমাকে কোলে তুলে নিলে কেন?আমার কি পা নাই?আমি তো হেটেই যাচ্ছিলাম।”

“আমার বউকে আমি যখন ইচ্ছা তখন কোলে নিবো।তাতে তোমার কি হ্যা?”

“আমা….”

আমি কথা শেষ করার আগেই মাসফি আমাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলো।আমি রুমের ভেতরের ডেকোরেশন দেখে অবাক হয়ে মাসফির দিকে তাকালাম।মাসফি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,

“হোয়াট?”

“এসব কি?এই রুম এমন ফুল আর ক্যান্ডেল লাইট দিয়ে সাজানো কেন?”

“কেন তুমি জানো না?আমরা বিয়ে যখন করেছি তখন তো বাসর ও করতে হবে।তাইনা?”

“এনাফ ইজ এনাফ মাসফি।সকাল থেকে তোমার অনেক বারাবাড়ি সহ্য করেছি।কিন্তু আর না,বুঝেছো?”

“কি এমন বারাবাড়ি করলাম বলো তো?এখনো তো কিছুই শুরু করলাম না।”

এই বলেই বাঁকা হেসে মাসফি আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।আমি পিছালাম না।কারণ,পেছানোর মতো কোনো জায়গা নেই।তাই শক্ত হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।মাসফি আমার কাছে এসে আচমকাই ঘাড়ে একটা বাইট দিলো।আমি ব্যাথায় চিৎকার করতে গেলেই ওও আমার ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিল।আমি এক মুহূর্তের জন্য যেন ফ্রিজ হয়ে গেলাম।কিছুক্ষণ পর ওও আমাকে ছেড়ে দিলে আমার কি হলো জানিনা,মাথা ঘুরিয়ে নিচে পড়ে গেলাম।এরপর আমার আর কিছুই মনে নেই।

___________________________

ধীরে ধীরে চোখ খুলে আমি চারিদিকে তাকালাম।চোখ খুলেই আমি নিজেকে বিছানার উপরে আবিষ্কার করলাম।পাশেই মাসফি বেশ গম্ভীর হয়ে বসে আছে।আর আমার সামনাসামনি বসে আছে মিসেস.হৃদি রাহমান।হৃদি আপু আমাদের পারিবারিক ডক্টর।আমাদের পরিবারের মেয়েদের যেকোনো কিছু হলেই হৃদি আপু চলে আসেন।মাসফি ও খুব ভালো করেই হৃদি আপুকে চেনেন।কারণ আমি নিজেই বেশ কয়েকবার হৃদি আপুর চেম্বারে মাসফিকে নিয়ে গিয়েছিলাম।তাই হয়তো আজও মাসফি হৃদি আপুকেই ডেকেছেন।

“মাসফি,তোমরা যে এভাবে হুট করে বিয়ে করবে সেটা কিন্তু আমরা কেউ ভাবিনি।তোমাদের তো পারিবারিকভাবেই সব ঠিক করা ছিল।তাহলে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন?”

“আসলে আপু আমার কি হয়েছিল জানিনা,কিন্তু মেহেক কে আমার আজকে বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি।তবে আমি ওকে আনুষ্ঠানিকভাবেই তুলে আনবো।”

“আচ্ছা সে যাইহোক,এখন আমি যেটা বলি সেটা শোনো।”

“জ্বি আপু বলুন।”

“মেহেকের জন্য আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিয়েছি।আপাতত সেগুলো নিয়ে এসে খাওয়াও।আর ওর কিছু টেস্ট করতে হবে।সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে।”

আমি মাসফির দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওও বেশ চিন্তিত হৃদি আপুর কথা শুনে।

“কেন আপু?মেহেকের কি এমন হয়েছে?”

“দেখো,এখনই আমি শিওর হয়ে কিছু বলতে পারবো না।আগে টেস্ট করাও।তারপর রিপোর্ট দেখে আমি তোমাকে বলতে পারবো যে মেহেকের এক্সাক্ট কি হয়েছে।তবে হ্যা,আমি এটুকু বলতে পারি যে আপাতত তুমি আর মেহেক ফিজিক্যালি ইনভল্ভ হবে না।এতে করে মেহেকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।এখন আমি আসছি।আগামীকাল বিকাল পাঁচ টার সময় রিপোর্ট নিয়ে আমার চেম্বারে এসো।”

এটা বলেই হৃদি আপু চলে গেলেন।আর মাসফি মেডিসিনগুলো আনতে গেল।আমি নিজেও চিন্তাতে পরলাম।হ্যা,আমি এখনই মাসফির সাথে ফিজিক্যালি এটাচ্ড হতে চাই না।কিন্তু আমার কি এমন হয়েছে যে আমরা ফিজিক্যালি এটাচ্ড হলে আমার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে? আমার এসব ভাবনার মাঝেই মাসফি হাতে কিছু খাবার আর মেডিসিন নিয়ে আসলো।খাবার আর মেডিসিন গুলো টি-টেবিলের ওপর রেখে আমাকে তুলে বসিয়ে বললো,

“তোমার একা খেতে হবে না।আমি খাইয়ে দিচ্ছি।”

“তার কোনো প্রয়োজন নেই।আমি একাই খেতে পারবো।”

“এতো বেশি কথা বলো কেন তুমি হ্যা?বললাম না আমি খাইয়ে দিবো।”

“কিন্তু…”

“আর একটাও কথা না।এখন হা করো।”

আমাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে ওও ধমক দিয়ে বললো,

“কি হলো,হা করো বলছি।”

আমিও চুপচাপ খেয়ে নিলাম খাবার গুলো।এরপর আমাকে মেডিসিন খাইয়ে দিয়ে মাসফি কিচেনে প্লেট রাখতে গেলো।তখনই আমার ফোনে কল আসলো।ফোন হাতে নিয়ে দেখি,আম্মু কল দিয়েছে।আমি রিসিভ করার আগেই মাসফি আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে আম্মুকে বললো,

“আসসালামু আলাইকুম আন্টি।মেহেক আমার সাথেই আছে।এক ঘন্টার মধ্যেই ওকে নিয়ে আমি আপনাদের বাসায় আসছি।আর আমার ফ্যামিলির সবাইকেও ডাকুন।জরুরি কথা আছে আমার সবার সাথে।”

এটুকু বলেই মাসফি কল কেটে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

“উঠে পড়ো।এখন আমরা বের হবো।”

“কোথায় যাবো এখন আমরা?”

“তোমাদের বাসায়।নাও চলো।”

আমি আস্তে করে উঠে মাসফির পেছন পেছন ফার্মহাউস থেকে বেরিয়ে গাড়ির সামনে এসে দাড়ালাম।মাসফি গাড়ির গেট খুলে দিলে গাড়িতে বসার পর ওও গাড়ি ঘুড়িরে আমাদের বাসার দিকে যেতে লাগলো।মাসফিদের ফার্মহাউস থেকে আমাদের বাসায় যেতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে।আজকে আমার সাথে সাথে যা যা হলো সবটুকু আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো।কোথায় থেকে কি হলো কিচ্ছু বুঝতেছিনা।মাসফির সাথে আমার প্রথম পরিচয়ের কথা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ গাড়ির হর্নের আওয়াজে আমি বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখলাম বাসায় এসে পড়েছি আমরা।

আমরা দুজন বাসার ভেতরে গিয়ে দেখলাম আমাদের দুই পরিবারের সবাই হলরুমে বসে আছে।সবাই আমাদের দিকে কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে আছে।মাসফির আম্মু মিসেস.রাইহানা চৌধুরী মাসফির দিকে তাকিয়ে বললেন,

“কি হয়েছে মাসফি?এতো তারাতাড়ি আমাদের সবাইকে ডাকার মানে কি?”

“সব বলবো মা।তার আগে বলো এখানে সবাই উপস্থিত আছে তো?”

“হ্যা,এখানে সবাই উপস্থিত আছে।এবার বল কি বলার জন্য আমাদের সবাইকে এখানে ডেকেছিস?”

এরপর মাসফি যা বললো তাতে সবাই বসা থেকে দাড়িয়ে গেলো।কারণ……?

চলবে?

বিঃদ্রঃ১ আমি অবশ্যই নেক্সট দিবো।দয়া করে নাইস,নেক্সট না বলে একটু গঠনমূলক কমেন্ট করবেন প্লিজ।কারণ,প্রথম পর্বেই আমি কোনো গঠনমূলক কমেন্ট পাইনি।

বিঃদ্রঃ২ আমার গল্পের প্রথম পর্ব পড়েই সবাই মনে হয় পুরো গল্পটা বুঝে ফেলেছেন?আমি এখন কিছুই বলবো না।কারণ,আমার গল্পের শেষ পর্বেই আপনারা আপনাদের যোগ্য জবাব পেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ❤️

#কোনো_একদিন
#পর্ব_৩
#কলমে_অপরাজিতা_ইসলাম

“আমি আর মেহেক আজকে বিয়ে করেছি কাজি অফিসে গিয়ে!”

মাসফির কথায় সবাই বসা থেকে উঠে দাড়ালো।সবার রিয়েক্শন গুলো এমন যেন কোনো অদ্ভুত কথা শুনেছে।একেকজনের চোখ সুপারির মতো বড় হয়ে গিয়েছে।এটা দেখে আমি মনে মনে হাসলাম একটু।একটু পর সবাই অবাকের রেশ কাটিয়ে আমাকে আর মাসফিকে একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগলো।আমি কোনোকিছু না বলে চুপ করে আছি।মাসফি সবাইকে বসতে বলে আমাকে নিয়ে সোফায় বসলো।তারপর শান্ত সুরে বললো,

“দেখো আমি জানি তোমরা সবাই অবাক হয়েছো।আর এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু মেহেক তো আমার ফিয়ন্সে।আর তাই আজ আমি ওকে বিয়ে করেছি।বিয়ে করার কারণ টা কেউ জানতে চাইবে না প্লিজ।কারণ এটা আমি বা মেহেক কেউ বলতে পারবো না।”

এটুকু বলেই মাসফি আমার দিকে তাকালো।আমি শুধু দাঁতে দাঁত চেপে মাসফির প্রত্যেকটা কথা শুনছি।আসলে সবকিছুর জন্যই নির্দিষ্ট কিছু সময় এবং কারণ থাকতে হয়।আমি চাইলেই মাসফির আজ সকালের কথাটা সবাইকে জানাতে পারি।কিন্তু এটা সঠিক সময় নয়।তাই এখন আমার চুপ করে থাকায় শ্রেয়।একটু পর মাসফির ছোট বোন মিহু বলে উঠলো,

“কিন্তু ভাইয়া তোদের হঠাৎ এই বিয়ের কারণটা তো আমাদের জানা প্রয়োজন তাইনা।”

মিহুর সাথে তাল মিলিয়ে আমার গুণধর ভাই তানভীর ও বললো,

“হ্যা তো মিহু ঠিকই বলেছে।”

তখনই আমার বাবা গম্ভীর সুরে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,

“বিয়ে যখন করেই ফেলেছো এখন আর কি করার।তবে আমি এখন ও বুঝে উঠতে পারিনি যেখানে আমরা সবাই রাজি তোমাদের বিয়েতে তখন এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছো?”

মাসফি সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরে বললো,

“বললাম তো এই কথাটা কেউ আমাদের জিজ্ঞেস করবে না প্লিজ আংকেল।”

এতোক্ষণ ধরে নিরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করা মিস্টার আরহাম চৌধুরী অর্থাৎ মাসফির বাবা মুখ খুললেন।

“আচ্ছা মানলাম এটা আমাদের তোমরা বলবে না।কিন্তু এখন তোমরা কি চাও সেটা বলো।”

“বাবা আমি চাই আগামী এক মাসের মধ্যেই মেহেক কে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার বউ হিসেবে গ্রহণ করতে।”

আমার আম্মু এইবার আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

“বিয়ে তো ইতোমধ্যেই করে ফেলেছো তোমরা।এখন আনুষ্ঠানিকভাবে যত তারাতাড়ি সম্ভব বিয়ে দেওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হবে।কিন্তু…?”

“কিন্তু কি মালিহা?”

মাসফির মায়ের কথায় আম্মু আবারো বললো,

“আমাদের বড় মেয়ে আর তার একমাত্র মেয়ে ইমিরা ইরজা এখনো সিংগাপুরে।”

“ওদেরকে আসতে বলো এখন।”

“হ্যা,কিন্তু এখন ওরা কিভাবে আসবে?লকডাউন তো।আর এখন বড় করে অনুষ্ঠানই বা কি করে করবো?”

আম্মুর কথায় এবার সবাই চিন্তায় পড়ে গেলো।কারণ সত্যিই তো এখন ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া রিস্কি।সবাই ভাবছে কি করা যায়।তখনই মিস্টার মাসফি চৌধুরীর ঘটে নতুন বুদ্ধি উদয় হলো।

“আরে তোমরা এতো চিন্তা করছো কেন।আগামী পাঁচ তারিখের পর তো লকডাউন উঠে যাবে।আর সেটা যদি না-ও হয় তবুও এই বিয়েটা হবেই সেটা যেভাবেই হোক।”

“আচ্ছা তোর এতো তাড়া কেন বল তো?”

“বাবা তুমি এভাবে বলছো কেন?আমি আর মেহেক এখন আইনত স্বামী-স্ত্রী।আর আমি চাই ওকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের বাসায় নিয়ে যেতে।”

“আচ্ছা ঠিক আছে।আমরা কথা বলে দেখছি কি করা যায়।আজকের মতো এসব কথা এখানেই শেষ হোক।পরবর্তী একদিন এসব নিয়ে আমরা কথা বলবো ঠিক আছে।”

“হ্যা সেটাই ভালো হবে এখন সবাই খেতে চলো।ডিনার টা করে নাও।”

“কিন্তু তানজিম আমাদের তো এখন যেতে হবে।”

মাসফির বাবার কথায় আব্বু বললেন,

“তোরা খেয়ে তারপর যাবি।”

“কিন্তু….”

“আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না আরহাম।এখন সবাই ডাইনিং এ চলো।”

এরপর সবাই ডাইনিং এ চলে গেলো।আর আমি রুমে চলে আসলাম ফ্রেশ হওয়ার জন্য।ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে বিছানায় মাসফিকে বসে থাকতে দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।আমি বিছানার উপর টাওয়েল টা ছুঁড়ে মেরে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম,

“কি সমস্যা?তুমি এখন এখানে কেন?যাও খেতে যাও।”

“হ্যা যাবো তার আগে শুনো আগামীকাল সকাল নয়টার মধ্যে রেডি হয়ে থাকবে।”

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,

“কেন?”

“কেন আবার?টেস্ট করাতে নিয়ে যাবো তাই।”

আমি ছোট্ট করে ‘ওকে’ বলে রুম থেকে বেরিয়ে ডাইনিং এ চলে আসলাম।কিছুক্ষণ পর মাসফি ও ফ্রেশ হয়ে এসে আমার পাশের চেয়ারে বসে পড়লো।সবাই টুকটাক কথা বলতে বলতে খাবার খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বসে থেকে মাসফিরা চলে গেলো।আজ মাসফিদের বাসা থেকে মাসফির বাবা,মা,ছোট বোন আর ওর চাচাতো ভাই সিয়াম এসেছিল।সিয়াম আজ একটা কথাও বলেনি কারো সাথে।এতোটা সময় একদম চুপ করে ছিল কিন্তু চলে যাওয়ার আগে আমার দিকে কেমন একটা চাহুনি নিয়ে তাকিয়ে ছিল।তারপর কোনো কিছু না বলেই হনহন করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।আমিও একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিজের রুমে চলে আসলাম।কিছুক্ষণ পর আম্মু আমার কাছে এসে বসলো।

“কিছু বলবা আম্মু?”

“তোদের এই হঠাৎ বিয়ের কারণ কি?”

“এখন এই কথাটা জিজ্ঞেস করো না প্লিজ।” মাসফি তো বলেই দিয়েছে যে এটা আমরা এখন কাউকে বলতে পারবো না।”

“কি হয়েছে মেহেক?তুই তো কখনো আমার কাছে কিছু গোপন করিস না।তাহলে আজ কি হলো?”

আমি আম্মুর গলা জড়িয়ে ধরে বললাম,

“আমি তোমার কাছে কোনো কিছুই গোপন করতে পারিনা আম্মু।এটা তো তুমি খুব ভালো করেই জানো।কিন্তু প্লিজ আজকের মতো মাফ করে দাও।কারণ আমি চাইলেও তোমাকে কিচ্ছু বলতে পারবো না।এখন তুমি যাও তো।অনেক ক্লান্ত লাগছে।ঘুমাবো আমি।”

আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বললো,

“আমি জানি আমার সন্তানেরা খারাপ কিছু করতে পারে না।আর আমার মেহেক তো কখনোই এমন করবে না।তবুও যা করবি ভেবেচিন্তে করবি ঠিক আছে এখন তুই ঘুমিয়ে পড়।আমি লাইট অফ করে দিয়ে যাচ্ছি।”

এটুকু বলেই আম্মু লাইফ অফ করে দরজা ভিরিয়ে চলে গেলো।আর আমি ঘুমাতে চেয়েও পারলাম।কারণ,আমার চোখের সামনে মাসফির সাথে প্রথম দেখা হওয়ার সেই ঘটনাগুলো ভাসছে।

সেদিন আমি….

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে