কাছে_আসার_গল্প পর্ব ৮

0
3322

কাছে_আসার_গল্প পর্ব ৮
লেখা আশিকা

আমি শাশুড়ি মা এর কাছে গেলাম
–মা আমি কিচ্ছু পারি না। আমাকে সব কিছু শিখাই দাও।
— আরে তোমাকে এখন কিচ্ছু করতে হবে না। আস্তে আস্তেই সব শিখে যাবা মা।
— না এখনি শিখাই দেও মা।
প্লিজ মা আসো বলেই মাকে নিয়া রান্না ঘরে গেলাম..
কাজের মেয়ে শেফালি আসছে…
মা আমাকে বললেন
–আমার হিমেল নিজের কাজ নিজে করতে প্রছন্দ করে, কাজের মেয়ের হাতের রান্না সে খেতে পারে না। তাই আমিই রান্না করি।
মনে মনে বলি ফুটানি তো ভালোই
এখন সাহেবের জন্য সব আমাকেই করতে হবে।
আমি মার সাথে রান্না করছিলাম।
বাবা ডাকছেন তাই মা তার রুমে গেলেন একটু, কিন্তু কারো পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে..
আমার মন বলছে হিমেল আসছে…
হু হিমেল আসছে, আমাকে পিছন থেকে হিমেল জড়িয়ে ধরেছে..
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


— ছাড়ো কি হচ্ছে এইসব??
— এখন থেকে যে কাজগুলা করলে তোমার অসহ্য লাগবে সেইগুলা আমি বেশি বেশি করবো।
আমি চুপ করে রইলাম।
আসলে আমি উত্তর দেবার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।
দেখো মা আসছে..
বলতেই আমাকে ছেড়ে দিয়ে পিছন দিকে তাকায়..
আমি খিল খিল করে হেসে উঠি…
হিমেল মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে
— নাহ, তোমার হাসিটা কিউট…
এল্টাইম এইভাবেই হাসিখুশি থেকো….
আমি ওর দিকে তাকাই, চোখাচোখি হতেই আমি চোখ সরিয়ে নেই….
— আচ্ছা আপনি কি এখান থেকে যাবেন??
— যদি না যাই???
— আমিইইইই চলে যাচ্ছি আপ্নিই রান্না করেন তাহলে…
— এই মেয়ে তুমি কি ভাবছো আমি রান্না পারি না, হু…
তোমার মত??
কিছুই তো শিখো নাই
— আসলেই আমি কিচ্ছু পারিনা।
প্লিজ আপনি এখন যান নইলে মা আমাকে এতক্ষণ যা শিখাইলো সব ভুলে যাবো….
যাও যাও বলে ওকে আমি রান্নাঘর থেকে বের করে দিলাম…

আজকে খেতে বসে সবাই আমার প্রশংসা করেছে, আসলেই আমি ইম্প্রেসড এত তাড়াতাড়ি মা যেভাবে বলেছে ওইভাবেই রান্না করেছি।
হিমেল দুপুরে খাওয়ার পর বাহিরে গেছে এখনো আসে নাই।

৮ টা বাজছে এখনো আসে না।
আচ্ছা আমি এতো উতলা হচ্ছি কেনো হিমেলের জন্য।
কলিংবেলের শব্দ হচ্ছে হিমেল
আসছে…
ওর হাতে অনেকগুলো শপিং ব্যাগ। মনে হয় শপিং এ গিয়েছিলো।
আমি ওকে টেবিলে আসতে বললাম খাওয়ার জন্য।
ও বলল তুমি যাও আমি আসছি…
সবাই একসাথে খাওয়া শেষ করে যার যার রুমে গেলাম।
আমি বিছানায় বসলাম।
হিমেল আমাকে একটা ব্যাগ থেকে একটা পিংক কালার শাড়ী বের করে বলল
দেখো তো প্রছন্দ হয় কিনা….
— খুব সুন্দর।
— প্লিজ একটু শাড়ীটা পরো না।
— আসলে আমি শাড়ী পরি না।
হিমেল রাগে শাড়ীটা বিছানায় ফেলে দিলো।
আর সোজা ব্যালকনিতে চলে গেলো…
বুজলাম এখন তার রাগ ভাংগাতে হবে…
আমি ব্যালকনির দরজা লাগিয়ে দিলাম।
এইবার অনেক সুন্দর করে শাড়ী টা পরে নিলাম।
আর হালকা একটু সাজলাম।
এইবার ব্যাল্কনিতে গিয়ে হিমেলের পিঠে হাত রাখলাম.

হিমেল হাতটা সরিয়ে দিলো।
হিমেলের সামনে দাড়ালাম…
কি খোকা বাবুর এতে রাগ..
হিমেল আমার দিকে তাকিয়ে থাকে পলকহীন ভাবে…
— এইযে, মিস্টার কথা নাই কেনো??
এইভাবে তাকিয়ে কি দেখেন??
— আমার ঢংগি বউকে দেখি, আমাকে রাগাতে খুব ভালো লাগে না।
বলেই শক্ত করে আমার হাতটা চেপে ধরে….
–উহু লাগছে
— সরি
— তুমি কোনদিন শোধরাবে না।
আমার কি মনে হয় জানোতো, তুমি একদিন আমার হাতটাই ভেংগে দিবা।
— এই তুমি এটা বলতে পারলা??
— চলো রুমে যাই, এখানে খুব ঠাণ্ডা।
— হুম চলো
আমি বিছানা ঝাড়ু দিচ্ছি, হিমেলটা খুব বিছানা এলোমেলো করে,
আমার এলোমেলো বিছানা একদম সহ্য হয় না।
— কি ম্যাডামের বিছানা গুছানো শেষ??
বলেই হিমেল আরাম করে বিছানায় বস্লো।
আমিও একপাশে বসলাম।
হিমেল আমার সাথে তার ক্যাডেট লাইফের গল্প শোনাচ্ছিলো…
আমি অবাক দৃষ্টিতে শুনছিলাম।
আর মনে মনে ভাবছিলাম
কেমন দুষ্টুরে..

আমিও তাকে আমার বন্ধু বান্ধব ইউনিভার্সিটির গল্প শোনালাম।
একপর্যায়ে আমি বলি আমার ভালো লাগছে না।
— এইভাবে দূরে দূরে থাকলে আমারোও ভালো লাগে না।
হিমেল আমার কোমর জড়িয়ে ধরে একবারে তার কাছে এনে বসায়।
গল্প করতে করতে সে আমার শরিরে বার বার টাচ করতে থাকে।
আমি তার চোখের দিকে তাকাই দেখি
লাল চোখ,
এই চোখের ভাষা অন্যরকম।
হিমেল কি করতে চাইছে??

উত্তেজনায় আমার শরীর কাপতে লাগল।
হিমেল আর রিস্ক নিলো না সরাসরি আমার ঠোটের দিকে তার ঠোট এগিয়ে দিলো,
— হিয়া তোমার ওই গোলাপি ঠোটের মাঝে আমি চিরতরে হারাতে চাই..
হিমেল আমার সামনে বসে তার দুই হাত দিয়া আমাকে ধরে আছে…
আমি আমার মুখটা অন্যপাশে সরিয়ে বললাম
হিমেল না প্লিজ আই নিড টাইম…
বলেই ওর দিকে তাকালাম
বাট হিমেল আজকে আর তার মাঝে নাই।
তার দিকে তাকাতেই সে আমার ঠোট পুরোটাই দখল করে নিলো।
আস্তে আস্তে চুমু গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগল…

আমি পিছন থেকে হাত দিয়ে তাকে সরাতে চাইছি…
কিন্তু পারছি না..
সে আমাকে বিছানায় ফেলে দিলো…
তার সাথে টানা হ্যাচড়া করে আমি ব্যার্থ হলাম।
আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে…
এইবার আমার চোখে নিঃশ্বব্দে জল গড়িয়ে পড়ছে…
হিমেল এই আদর কেনো আমার মনে দাগ কাটছে না??
কেনো নিতে পারছি না??
কেনো পারছি না কো অপারেট করতে??
চলবে…..

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে