এর বেশি ভালবাসা যায় না পর্ব-১০

0
1224

<<<<<এর বেশি ভালবাসা যয় না>>>>>

পর্ব::(১০)

Written::Ar Limat

এতকিছুর পরও রিয়া নেহালের সম্পর্ক আগের মতই চলছে।।রিয়াকে আবার ও ইমপ্রেস করতে পেরেছে কারন নেহালকে রিয়া অন্ধের মত বিশ্বাস করে ।।
এভাবেই টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ওদের রিলেশন।
একদিন রাজ আকাশ রনি পার্কে আড্ডা দিচ্ছিল হঠাৎ দেখল একটা মেয়ের সাথে খুবই অন্তরঙ্গ হয়ে বসে আছে নেহাল।।
রাজ ভাবল আজ ওকে ভাল করে শায়েস্তা করবে এ
জন্য উঠে দাড়াল ।
বাট আকাশ ওর হাত টেনে ধরল।
বলল রাজ এখন কিছুই করা যাবে না।
এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এর থেকে ভাল হবে এই মুহুর্তের কয়টা ছবি তুলে রাখি।।
হ্যা তাই হোক ।অনেক কৌশল করে কয়েকটা পিক উঠিয়ে নিল আকাশ।।
পরের দিন রিয়া ভার্সিটিতে আসলো।।
ক্লাস ও শেষ করল ।শেষ করে নেহালের সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসে বসেছে। খুব ভাব জমিয়ে কথা বলছে তারা। রিয়া নেহালে মগ্ন হয়ে আছে। এমন সময় খুব জোরে হাততালির আওয়াজ পেলো ওরা দুজনেই। রিয়া আর নেহাল সামনে তাকাতেই দেখলো আকাশ আর রনি ওদের সামনে দাড়িয়ে হাততালি দিচ্ছে আর কটু হাসি হাসছে। রিয়ার রাগ মাথায় উঠে গেলো। রেগে গিয়ে বললো..
– কি সমস্যা কি তোমাদের? একবার এ জ্বালাও তো আরেকবার ও.. আমাদের কি একটু শান্তিতে থাকতে দিবেনা?
– কতো যে শান্তিতে আছেন সেটা তো স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া কোনো প্রস্টিটিউড কে নিয়ে আর যাইহোক, শান্তিতে থাকা যায়না।
– কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
– সহজ কথা। এই ছেলের কথায়ই তো রাজকে আপনি অপমান করেছিলেন তাইনা? কিন্তু এ আদৌ আপনাকে ভালোবাসে তো?

– what the hell … মুখ সামলে কথা বলো। তোমরা ভালো করেই জানো আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি।
– আচ্ছা, তাহলে এই আপনার ভালোবাসার নমুনা তাইনা?.
সেদিনের পার্কে তোলা পিকগুলো রিয়ার সামনে ধরে বললো আকাশ ..
রিয়া হাতে না নিয়েই বললো..
– কি এগুলো?
– নিজেই দেখে নিন..
রিয়া পিকগুলো হাতে নিয়ে দেখতেই আকাশ ভেঙ্গে পরলো তার মাথায়। তারই নেহাল ওই রিনির সাথে লিপকিস করা আর জড়িয়ে ধরা অবস্থায়। রিয়া খুব তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে একবার নেহালের দিকে তাকিয়ে আবারও আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো ..
– তুমি কোথায় পেয়েছো এগুলো?
– যেখানেই পেয়েছি। সেটা আপনার দেখার বিষয় না। আপনি just পিকস গুলো দেখেন।
রিয়া নেহালের কাছে গিয়ে এক ঝটকায় বসা থেকে টেনে তুললো। নেহাল বেশ অবাক হয়ে রিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো
– কি হয়েছে? এমন করছো কেন রিয়া?
– এগুলো কি?. বেশ রেগে চিৎকার করে নেহালের
সামনে ছবিগুলো ধরলো রিয়া।
নেহাল ভয়ে ঢোক গিলছে। কি করবে এখন সে? আর কিই বা বলবে? সেদিন ওরা পিক তুলে নিবে ভাবতেও পারেনি নেহাল ।
রিয়া আবারও চেচিয়ে উঠলো..
– কি হলো কথা বলছো না কেন? কি এগুলো? তুমি না আমাকে ভালোবাসো? আর তুমিই তো বলেছিলে ওই রিনি তোমার ফ্রেন্ড তাহলে এগুলো?
নেহাল ঢোক গিলে বললো..
– ওরা তোমার আর আমার সম্পর্ক নষ্ট করতে উঠেপরে লেগেছে তুমি তো জানোই রিয়া। বিশ্বাস করো রিয়া, আমি এমন কিছুইই করিনি। এগুলো এডিট করা পিক..
– বাহ নেহাল , তুমি তো খুব ভালোই অভিনয় করতে পারো… তোমাকে তো এ্যাওয়ার্ড দেওয়া উচিৎ। আকাশ বলে উঠলো। নেহাল আবারও রিয়াকে বলতে লাগলো..
– রিয়া, সেই প্রথম থেকে রাজ আর এই ছেলেটা আমাদের পিছনে পড়ে আছে। বারবার আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে। তাই আজ এমন নাটক সাজিয়ে এনেছে। আজ তুমি যদি ওদের কথা বিশ্বাস করো তাহলে ওরা জিতে যাবে, তুমি হেরে যাবে রিয়া। তোমার আর আমার ভালোবাসা এই নাটকের ভীড়ে হে
হারিয়ে যাবে।
.
নেহালের বলা কথাটা রিয়ার মনে খুব দাগ কেটেছে। ও তো ঠিকই বলছে। এটা তো ওদের চক্রান্ত ও হতে পারে। ওরা তো প্রথম থেকেই আমাদেরকে পিছনে পড়ে আছে। হতেও পারে এরা ফটো এডিট করে আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চাইছে।
অনেক ভেবে রিয়া বললো..
– বাহ, রাজের সাথে থেকে থেকে তুমিও ভালোই নাটক করা শিখে গেছো। কিন্তু জেনে রাখো, তোমাদের ওই জ্বালে আমি পা দিবোনা। এই রিয়াকে ফাঁদে ফেলা এতো সহজ না
..
রিয়ার কথা শুনে আকাশ যেনো বোকাবনে গেলো। রিয়া নেহালের দিকে এগিয়ে গিয়ে নেহালের হাত ধরে বললো..
– আমাকে মাফ করে দাও নেহাল। ওই ছলনাময়দের কথা শুনে বারবার আমি তোমাকে ভুল বুঝি। আমাকে মাফ করো।
নেহাল বললো.. তোমার কোনো দোষ নেই রিয়া। আসলে আমাদের পবিত্র ভালোবাসাটা ওদের সহ্য হচ্ছে না। বলেই নেহাল আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বাকা হাসি দিলো। আকাশ অবাক চোখে তাকিয়ে থেকে বললো..
– আপনাকে খুব পস্তাতে হবে রিয়া চৌধুরী। আমি এখানে রাজের হয়ে ওকালতি করতে আসিনি ।তার আর তোমার প্রয়োজন ও নেই।কারন সে এখন তোমাকে ছাড়াই থাকতে পারে।আমি আসছিলাম আপনার একজন কল্যানকামী হয়ে।।বাট সেটাই আমার চরম ভুল হয়েছে।আপনি এতো মেধাবী একজন ছাত্রী হয়ে ও আসল আর এডিট এর মাঝে পার্থক্য বুঝতে পারছেননা। আমার ভাবতে ও অবাক লাগছে যে, আপনি কাঁচকে সোনা ভেবে আগলে রেখেছেন। অথচ আসল সোনার দেখা পেয়েও হাতছাড়া করছেন। এখনও সময় আছে। নিজেকে শুধরে নাও।
.. আকাশ পিকগুলো নিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে।
.তিনদিন পর ক্লাস শেষে রিমা আর মিম কোন কারনে পার্কের পাশ দিয়া যাচ্ছিল।।হঠাৎ দেখল নেহালের মত কেউ একজন একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আছে।।

একটু ক্লিয়ার হয়ে বুঝতে পারল সে নেহালই।।এ তাহলে রিয়াকে এভাবে ঠকাইতেছে।সাথে সাথে রিয়াকে ফোন দিল।।
হ্যালো রিয়া কই তুই ।এই তো বাড়িতে যাইতেছি ।
তুই দশমিনিটের মধ্যে পার্কের গেটে চলে আয় জরুরী বিষয়।।
ওকে আমি আসতেছি।
রিয়া এসে যেটা দেখল তাতে নিজের চোখকেও বিশ্বাসকরাতে পারছে না।।
নেহাল,,,,,,,,,,,,,,,,
এতক্ষনে খেলা থামল ওদের।
নেহাল অপরাধীর মতো রিয়ার সামনে দাড়িয়ে আছে। কিছুক্ষন আগে নেহাল আর রিনিকে খুবই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেছে রিয়া। সেটা সহ্য করতে না পেরে রিয়া রেগে গিয়ে প্রচন্ড জোরে নেহাল বলে চিৎকার দিয়ে উঠে। ঘটনার আকস্মিকতায় নেহাল আর রিনি ওরা দুজনই ঘাবড়ে যায়। রিনি তরিঘড়ি করে সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায়। কিন্তু নেহাল যেতে পারেনি। রিয়া প্রচন্ড রেগে আছে। রাগ সামলাতে না পেরে নেহালের কাছে গিয়ে ওর গালে ঠাসস ঠাসস করে দুইটা চর মারলো রিয়া। প্রচন্ড জোরে চিল্লাতে লাগলো সে..
– কি করেছিস কি তুই? তোর কোন চাওয়া আমি অপুর্ণ রেখেছি বলতে পারিস? কেন এমন করলি আমার সাথে? তোকে তো খুব বিশ্বাস করতাম তাইনা??? আর ওই রিনি, ও তো তোর just friend বলেছিলি…. just friend এর সাথেই তোর এই অবস্থা???
– ও আমার just friend না, ও আমার Girlfriend … খুব দৃঢ় কন্ঠে উত্তর দিলো নেহাল। .
নেহালের এই কথা শুনে রিয়ার রাগ আরো বেড়ে গেলো… রেগে গিয়ে বললো..
– ও তোর girlfriend? তাহলে আমি কে?
– কিছুই না..
– কিছুই না?. তাহলে এতোদিন আমাদের মাঝে কি ছিলো?
– তোমার সাথে আমার কিছুই ছিলোনা। তুমিতো আমার just money friend ছিলা..
রিয়া চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে নেহালের কথা শুনছে। কি বলছে এ?
– শুনো রিয়া, তোমাকে আমি কখনোই ভালোবাসিনি, আর বাসবোও না। তোমাকে just ব্যাবহার করেছি আমি। বুঝেছো? আর তোমার মতো একটা মেয়ে, যে কিনা কখনোই কারো কথা কানে নেয়না। সেই তোমাকেই অন্ধের মতো ব্যবহার করতে পেরে না খুব শান্তি পেয়েছি আমি। তুমি তো বলো, তোমাকে বোকা বানানো নাকি কারো সাধ্য নেই… সেই তোমাকেই আমি কতো বার বোকা বানিয়েছি… ভাবতেই আনন্দ লাগে আমার। বলেই একটা পৈশাচিক হাসি দিলো নেহাল।
রিয়ার চোখের কোনায় পানি জমে গেছে। গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা তার। তাও অনেক কষ্টে বললো..
– তার মানে, রাজের ব্যাপারে এতোদিন তুমি যা বলেছো সব মিথ্যা? . ওই রাজই সত্যি বলতো?
– হ্যাঁ তো.. ওই রাজতো সত্যবাদী, তাই সবসময় সত্য কথায় বলতো। কিন্তু আমিতো ওর মতো বোকা না, মিথ্যা বলে মানুষকে বোকা বানানোর টেকনিক আমি খুব ভালো জানি। তাইতো প্রতিবার অন্যায় করেছি আমি, আর শাস্তি পেয়েছে ওই রাজ… । বেচারা … বলেই আবারও হাসলো নেহাল।
..
রিয়া ছলছল চোখ করে তাকিয়ে আছে নেহালের দিকে।
-তার মানে ঐদিনের পিকগুলি সত্য ছিল।।
এতো উতলা হচ্ছো কেন বাবু? সবই বলবো…
হুম সবই সত্য ছিল।।
– কিন্তু তুমি তো সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শুধুমাত্র আমার কথা শুনেই ওদেরকে অপমান করেছ।আহ কি শান্তি যে পেয়েছি। তুমি তো আমার প্রেমে এতোটাই অন্ধ ছিলে যে আসল আর নকলের পার্থক্য ও বুঝতে পারলে না.. হাহাহা.. একটা শয়তানি হাসি দিলো নেহল।
.
রিয়া আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না। গিয়ে আবারও ঠাস ঠাস করে কয়েকটা চোখেমুখে বসিয়ে দিলো। চিৎকার করে বলতে লাগলো..
– কেন করেছিস এমন? ও তোর কি ক্ষতি করেছিলো?
– ও আমার কোনো ক্ষতিই করেনি। তারপরও ও তোমাকে ভালোবাসতো, আর তুমিও মোটামুটি ওর প্রতি দুর্বল ছিলে। ভয় ছিলো, তোমরা আমে দুধে এক হয়ে যাবে আর আমাকে আটির মতো দুরে ফেলে দিতে.. তাইতো এতো প্ল্যান করলাম… যেনো সাপ ও মরে আর লাঠিও না ভাঙ্গে… । কথাটা বলে আবারও পৈশাচিক হাসি দিলো নেহাল।
.
রিয়া এইবার শান্ত হয়ে বললো..
– আমি এতোদিন দুধ কলা দিয়ে কাল সাপ পুষেছিলাম। কিন্তু ভাবতেও পারিনি আমার পোষা কালসাপ আমাকেই একটু একটু করে বিষ দিচ্ছিলো। আর আজ পুরোপুরি ভাবেই ছোবল দিয়ে দিলো।
এই তোর কথা শুনে রাজের মতো একটা সহজ সরল ছেলেকে কতোই অপমান করেছি.. কষ্ট দিয়েছি। সেদিন আকাশ বলেছিলো আমি কাঁচকে সোনা ভেবে আগলে রাখছি। আজ কথাটা পুরোপুরি সত্য প্রমানিত হলো।
..
তবে শুনে রাখ, আমাকে কষ্ট দিয়ে, ওই রাজকে অপমান করে তুইও কোনো দিন শান্তি পাবিনা। যে মেয়েকে তুই নিজের গার্লফ্রেন্ড দাবী করছিস সেও তোকে ঠিক সেভাবেই ব্যাবহার করছে, যেভাবে তুই আমাকে ব্যবহার করেছিস। ও যদি তোকে সত্যি সত্যিই ভালোবাসতো তাহলে এই অবস্থায় তোকে এখানে একা ফেলে চলে যেতো না।
..
নেহাল রিয়ার কথাকে কোনো গুরুত্বই দিলোনা। উল্টো মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলো।
রিয়া চলে এলো সেখান থেকে।
.
রিয়া নিজের বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ছাদে গিয়ে বসলো। দুচোখ উপচে পানির পরছে তার। বুকটা ফেটে যাচ্ছে দুঃখে। যাকে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতো সে কিনা ওর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করেছে? ভাবতে পারছে না রিয়া। রাজের কথা আজ বড্ড মনে পড়ছে তার। কোনো দোষ না করেও ছেলেট বার বার সব অপমান মুখ বুঝে সহ্য করেছে। কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি সে। ও তো কোনো অন্যায় করেনি, শুধু নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসেছিলো। শুধু এই কারণে ছেলেটাকে কতোই না কষ্ট দিয়েছে ও।
আজ আকাশের কথাগুলো ও মনে পরছে তার… সেতো আমার ভালোর জন্যই কথাগুলো বলেছিল। কিন্তু আমি ভুল বুঝে ওকেও অপমান করেছি। নানান ধরনের কথা ভাবতে ভাবতে চোখে পানি জমা হয়েছে রিয়ার।
.
কিছুক্ষন পর কিছু একটা ভেবে রাজের বাবার নাম্বারে কল দিলো রিয়া। কিন্তু ফোন অফ। হয়তো নেটের জন্য এইরকম বলছে। আর কিছু না ভেবে তখনই রাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো রিয়া তাদের বাড়িতে। বিকেল হয়ে গেছে বাট রাজ বাড়ি আসতেছে না।
সেই কখন থেকে বসে আছে রিয়া। সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষা করল । কোন লাভ হলো না ।রিয়া ওর ফুফিকে বলে বাড়িতে চলে আসলো।। । আজ রাতটা যেন শেষ হয়তেছেনা রিয়ার।খুব কষ্টে কেটে গেল রাতটা।
.
পরেরদিন সকাল ১০টা বাজে রিয়া মন খারাপ করে ভার্সিটির গেটের পাশে নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। হটাৎই ওর কানে রাজের একটা কথা এসে পৌছালো। রিয়া তারাতা‌ড়ি করে মাথা তুলে সেদিকে তাকালো। একটা মেয়ের সাথে খুব হাসাহাসি করে ভিতরে ঢুকছে রাজ অর্থাৎ তিশা। মনে হচ্ছে ওদের মধ্যে খুব ভাব। রাগে গিজগিজ করতে থাকলো রিয়া।
.. রাজের নজর গেলো রিয়ার দিকে। রিয়া ওর দিকে অবাক চাহনিতে তাকিয়ে আছে। রাজ ওকে ইগ্নোর করে পাশের মেয়েটাকে বললো..
– ভিতরে এসো তিশা … এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই।
পাশ কাটিয়ে ভিতরে চলে গেলো ওরা…
..
রিয়া একদৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকলো………..
.
To be Continue …..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে