উড়ো পার্সেল পর্ব -৪

0
920

গল্প :#উড়ো_পার্সেল (পর্ব -৪)
লেখা:#নাজিফা_তাবাসসুম।
নিশাত এবং ঈশিতা দুজনেই দেখল, কালো হুডি পড়া একজন যুবক দৌড়ে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। ঈশিতা দৌড়ে সেই যুবকটির পিছু নিতে গেলে নিশাত তাকে থামিয়ে দিল। ভয়ে তারা দ্রুত বাসার উদ্দেশ্যে যেতে লাগলো। বাসার সামনে গিয়ে দরজার সামনে গিয়ে নিশাত আরো একটি পার্সেল আবিষ্কার করল!!
ঈশিতা প্রচন্ড উৎসাহের সাথে পার্সেলটা মেঝে থেকে হাতে তুলে নিল।
সে যতটা উৎসাহের সাথে বাক্সটা হাতে তুলে নিয়েছিল। পরক্ষনেই সে ততটাই হতাশ হয়ে গেল। দুই হাত দিয়ে বাক্সটা সে ঝাকাতে ঝাকাতে নিশাতের উদ্দেশ্যে বলল, বাক্সটা‌ এত হালকা কেন লাগছে? কিছু দেয়নি নাকি?
নিশাত বলল, আচ্ছা.. তোর সমস্যাটা কি বলতো? ফেলে দেতো পার্সেলটা। দরকার নেই। এত আগ্রহ কেন তোর?
ঈশিতা মন খারাপ করে পার্সেলটা হাতে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করল।
নিশাত তাকে বলল, যথেষ্ট হয়েছে ঈশিতা।এবার এসব বিষয় বাদ দে। এত মাতামাতি করার কি আছে? সামান্য একটা পার্সেল নিয়ে!!

বাসায় ঢুকেই নিশাত রাতের খাবার তৈরি করার জন্য রান্নাঘরে চলে। ঈশিতা সোফায় বসে বাক্সটি খোলার চেষ্টা করছে। বাক্সতে যেন হাজারটা স্কচটেপ লাগানো; স্কচটেপ খুলতে খুলতে সে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে। ঈশিতা বাক্স খুলে ছোট্ট একটা কার্ড পেল।

কার্ডটা উল্টেপাল্টে দেখতে দেখতে সে আবিষ্কার করলো, কার্ডে একটি ইমেইল এড্রেস দেওয়া আছে। একটি চিরকুটে লেখা,
“আমার ইমেইল এড্রেস”

চিরকুটটি দেখে ঈশিতা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল। সে এক মুহূর্তও দেরি না করে কার্ডটি নিয়ে দৌড়ে রান্নাঘরে নিশাতের কাছে চলে গেল।
নিশাত চুলায় ভাত বসাচ্ছিল। ঈশিতাকে রান্নাঘরে দেখে সে জিজ্ঞেস করল, কিরে! কি হয়েছে?

– “জায়ান আহমেদ, জায়ান আহমেদ”!!
– কিহ্… জায়ান, জায়ান করছিস? এখান থেকে যা তো।
– জায়ান…আর কেউ না!! তোমাকে গত তিন মাস ধরে যে মানুষটি উড়ো পার্সেল পাঠিয়ে আসছে সেই!!!

নিশাত এবার একটু সিরিয়াস হয়ে তার বোনের দিকে তাকালো। সে চোখ সরু করে বলল,তুই কিভাবে জানিস তার নাম?
ঈশিতা তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তার হাতে থাকা কার্ড টা নিশাতের হাতে ধরিয়ে দিল।
– দেখো আপু, এখানে ইমেইল এড্রেসে জায়গায় তার নামটা লেখা আছে তো। খেয়াল করে দেখো।

নিশাত তো এবার দেখতে পেল সেখানে “জায়ান আহমেদ” নামে একটি নাম লেখা।
সে অবাক হয়ে আপন মনে বলল, মানুষটি যেভাবে গত তিন মাস ধরে নিজেকে হাইড করে রাখল। আমি তো ভেবেছিলাম এত তাড়াতাড়ি সে নিজেকে রিভিল করবে না। এত সহজে কার্ড পাঠিয়ে নিজের ইমেইল এড্রেস পাঠিয়ে দিল!

ঈশিতা তাকে বলল, এত কি ভাবছো আপু?
– না। কিছু না।
– তাকে ইমেইল করবে?
– পাগল হয়েছিস!! কখনোই না।

ঈশিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিশাতের দিকে তাকিয়ে বলল, থাক…তোমার ই মেইল করার দরকার নেই। কার্ডটা আমাকে দিয়ে দাও।
– কেন?
সেটার উত্তর তোমাকে কেন দিব?কথাটি বলেই কার্ডটি আচমকাই ঈশিতা নিশাতের হাত থেকে হ্যাঁচকা টান মেরে নিয়ে নিজেদের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
ঈশিতার মূল উদ্দেশ্যই এখন ইমেইল করা।

নিশাত দরজার বাইরে থেকে তাকে চেঁচিয়ে ডাকতে থাকল, ঈশিতা দরজা খুল! দরজা খুল! খবরদার.. তুই কিন্তু তাকে ইমেল করবি না!

ঈশিতা প্রচন্ড কৌতুহলী হয়ে উঠলো। আজকে সে মেইল না করে ছাড়বে না। অনেকটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যেন হয়ে গেল। নিশাতের সমস্ত নিষেধ অগ্রাহ্য করে সে মেইল পাঠিয়ে দিল।
ঈশিতা মেইলে লিখলো,
“হ্যালো জায়ান, আমি নিশাত। আপনি কি আমাকে পছন্দ করেন?”

মেইল করার পর অনেকক্ষণ পার হয়ে যাবার পর কোন রিপ্লাই না পেয়ে। ঈশিতা হতাশ হয়ে দরজা খুলে দিল। দরজার অপরপ্রান্তে হিংস্র বাঘিনী হয়ে নিশাত যেন অপেক্ষা করছিল ঈশিতা জন্য। সে ঈশিতার হাত নিজের ফোন দ্রুত ছিনিয়ে নিল। নিশাত রেগে তার ছোট বোনকে কষিয়ে চড় দিয়ে যাবে এমন সময় তার হঠাৎই মনে পড়ে গেল , তার ফোনে এমবি কিংবা ব্যালেন্স দুটির কোনটিই নেই। তাই সে আর ঈশিতাকে মারল না।

– আপু, মারতে গিয়ে মারলে না কেন?
– তোকে অবশ্যই মারতাম। কিন্ত ই মেইল যায়নি বলে আজ তোকে ছেড়ে দিলাম।
– কে বলেছে মেইল যায়নি?
– ফোনে এমবি , ব্যালেন্স কোনটাই নাই তাহলে কিভাবে মেইল যাবে?
– আমি তো দেখলাম মেইল সেন্ড হয়ে গেছে।
– হয়নি।
– হয়েছে!!
-হয়নি!

দুই বোনের আবারো ঝগড়া বেঁধে যাবার জোগাড়। এমন সময় নিশাতের ফোনে টুং করে শব্দ হয়ে ওঠলো। যেমন শব্দ ফোনে মেসেজ আসলে হয়। নিশাত ঝগড়া থামিয়ে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকালো।ফোনের স্ক্রিনে ইমেইল থেকে ফিরতি একটি নোটিফিকেশন ভেসে উঠেছে।
ঈশিতা চাপা গলায় বলে উঠলো, আপু রিপ্লাই চলে এসেছে। নিশাতের চোখ বড় হয়ে গেল। তার বোন কি ইমেইল করছে সে এখনো জানে না। এরই মাঝে রিপ্লাই চলে এসেছে!!
নিশাত এবং ঈশিতা দুজনে রিপ্লাই দেখার জন্য ফোন নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে দিল। শেষ পর্যন্ত নিশাতই ফোন নিজের কাছে নিয়ে ফেলল।
জায়ান নামের সেই যুবক রিপ্লাই দিয়েছে….
সেখানে লেখা…
“হ্যালো ঈশিতা, আমি জায়ান। না, আমি তোমাকে পছন্দ করি না। আমি তোমার বড়বোন নিশাতকে পছন্দ করি। আশাকরি পরবর্তীতে তুমি নিশাতের অনুমতি ছাড়া তার মোবাইল ধরবে না।”

ইমেইলটি পরে নিশাত হতবিহবল হয়ে ঈশিতার দিকে তাকালো, ঈশিতার ও একই অবস্থা এই ঘটনায় সে ও হতভম্ব হয়ে গেছে।

নিশাত তাকে বলল, আমার ফোনে তো এমবি ছিল না। তুই কিভাবে ইমেইল সেন্ড করেছিস?

– এমবি লোন নিয়েছিলাম;কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সে কিভাবে বুঝল যে মেইলটা আমি করছি? তুমি করোনি?
নিশাত প্রচন্ড রেগে গর্জে উঠল ঈশিতার উপর চেঁচিয়ে বলল, আজকের পর থেকে যদি তুই আমার ফোনে হাত দিস তবে তোর হাত ভেঙে ফেলবো!!
ঈশিতা তার বড় বোনের রাগান্বিত বাণীতে কান না দিয়ে ঘরের এদিক সেদিক তাকাতে থাকল , সে বলতে থাকলো আমাদের ঘরে আবার ক্যামেরা ফিট আছে নাকি? সব খুঁজে দেখতে হবে। না হলে সে কিভাবে বুঝবে যে মেইলটা আমি করেছি!!
পরক্ষণে ঈশিতার চোখ গেল জানালার পাশে তারের উপর থাকা একটা কাকের দিকে। আরে এরকম হুবহু একটা ড্রোন ক্যামেরা সে তো রান্নাঘরে দেখেছিল!! এটা তো সেই একই দাঁড়কাক!

ঈশিতা নিশাত কে চুপিসারে ইশারা করে বারবার জানালার দিকে দেখাতে থাকলো নিশাত বিষয়টি লক্ষ্য করে জানালার দিকে তাকিয়ে দেখলো, সেখানে সত্যিই একটি কাক বসে আছে। তবে কাকটা দেখে তার কোন ড্রোন ক্যামেরা মনে হলো না।
ঈশিতা বুঝতে পারলো তার বোন তার কথা বিশ্বাস করছে না।
তাই সে বোনকে বিশ্বাস করানোর জন্যই হোক আর অন্য যে কোন কারণেই হোক, দ্রুত এক গ্লাস পানি নিয়ে এসে কাকটির দিকে ছুড়ে মারলো।
পরক্ষণেই কাকটি ঈশিতার সন্দেহকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে দাঁড় কাকটি কর্কশ শব্দে কা কা করতে করতে পাখা ঝাপিয়ে উড়ে গেল।
নিশাত তার ছোট বোনের এই অদ্ভুত কাণ্ডে হাসতে হাসতে ফেটে পড়লো।
নিশাত উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো। হাসির জন্য সে কথা বলতে পারছে না।
অনেক কষ্টে হাসির সামলিয়ে বলল, এই তোর ড্রোন ক্যামেরা?শেষ পর্যন্ত এই বেচারা নির্দোষ কাককে তুই ড্রোন ক্যামেরা বানিয়ে দিলি!

ঈশিতা বিমর্ষ হয়ে গেল। লজ্জায় সে বোনের সামনে মুখ দেখাতে পারল না। ঈশিতা দৌড়ে তার মা-বাবার রুমে চলে গেল। তার চোখে পানি চলে আসলো। সত্যি তো সে ড্রোন ক্যামেরাটাকে দেখেছিল। সেটা এখন কাক হয়ে গেল কি করে। তাছাড়া সে যে মেইল করেছিল সেটাই বা জায়ান আহমেদ বুঝলো কি করে!!

“এই মেয়েটি হেসে উঠলে যেন আমার পৃথিবী হেসে ওঠে… ওর হাসি এত সুন্দর কেন!! আমি আস্তে আস্তে ওর প্রেমে ডুব দিচ্ছি।”
আমি হারিয়ে যাচ্ছি… মৃদুস্বরে কথাগুলো জায়ান নিজেকে বলল। সে হাত থেকে বাইনোকুলারটা নামিয়ে টেবিলের উপর রাখল।
সে এখন নিশাতের বাসার সামনে আরেকটা বিল্ডিংয়ের এর ফ্ল্যাটে আছে। সেখান থেকে নিশাতকে দেখছে সে। এই সামান্য সময় টুকুই যেন তার জীবনের মহামূল্যবান সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল….

জায়ানের ফোন বেজে উঠলো। তার বাবা ফোন করেছে। জায়ান ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরল।
-হ্যালো, বাবা।
-দেড়টা বেজে গেছে…. বাসায় আসবে না?তোমার কিন্তু আড়াইটার আগেই বাসায় আসার কথা। কথাটা কিন্তু ভুলে যাবে না।
-আমি এখন আসতে পারছি না। দুটোর দিকে গাড়ি পাঠিয়ে দিও , বাসায় আসব। এই আধা ঘন্টা সময়টুকু আমার জন্য ছেড়ে দাও।
– ঠিক আছে দিলাম ছেড়ে। তোমার বিল্ডিংয়ের নিচে গাড়ি ওয়েট করছে। ঠিক দুটোই উঠবে কিন্তু,এক মিনিট দেরি যেন না হয়।

জায়ান আর কোন উত্তর না দিয়ে ফোনটা কেটে দিলো। বারান্দা দিয়ে বাসার নিচে দেখতে পেলো তার সেই কালো থাই গ্লাসের চিরচেনা গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে। সে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফোনটি রেখে দিতে যাচ্ছিল। এমন সময় খেয়াল করল নিশাত তাকে মেইল করেছে। জায়ান কৌতুহলী হয়ে মেইলটি পড়ল,

নিশাত তাকে লিখেছে, “আপনি কিভাবে বুঝলেন প্রথমে মেইলটি ঈশিতা করেছিল”?

জায়ান হেসে উঠলো। নিশাতের মেইল দেখে তার মন ভালো হয়ে গেল। সে লিখলো,
“আমি তোমার সব কিছুই জানি, তুমি কিভাবে লিখবে না লিখবে সেটাও জানি।অনেকটা সেভাবেই বুঝতে পেরেছি… ধরে নাও”!!

নিশাত সাথে সাথেই তার মেইলের জবাবটি দেখে অবাক হয়ে গেল। সে আরো কিছু লিখতে চেয়েছিল, কিন্তু আর লিখল না… ফোনের চার্জ শেষ। ফোন চার্জে দিয়ে নিশাত মুচকি হাসলো।
তার বুকের মাঝে এক অচেনা অনুভূতির ঝড় বয়ে যাচ্ছে… আচ্ছা এরই নাম কি প্রেম? সে কি প্রেমে পড়ে গেল!!
জীবনে প্রথমবার নিশাত হাজারো অচেনা অনুভূতি সাথে নিয়ে ঘুমাতে গেল।
পরদিন সকালে নিশাতের ঘুম ভাঙলো অজানা একরাশ আনন্দের অনুভূতি সাথে নিয়ে। আজ সকালটা তার দারুন ভাবে শুরু হলো। সকালে নিশাত তার মাকে দেখতে প্রথমে হসপিটালে গেল। ঈশিতা ঘুমিয়ে ছিল, তাই সে আর ঈশিতাকে ঘুম থেকে
তোলেনি।
হসপিটালে গিয়ে দেখল মা বেশ সুস্থ হয়ে গেছে আগের থেকে। নিশাতের আনন্দ হাজার গুনে বেড়ে গেল, তার মাকে আজ অনেকটা সুস্থ হয়ে বসে থাকতে দেখে।
রাহেলা বেগম আজ সকালে নিশাতকে এতটা হাসি খুশি দেখে বলল কি ব্যাপার তোর মন আজ এত ভালো কেন?
নিশাত হাজার চেষ্টা করেছিল তার মায়ের চোখের সামনে থেকে আনন্দ লুকিয়ে রাখতে। কিন্তু তার মা কিভাবে যেন বুঝে গেল।আসলে হয়তো মায়েরা এমনই হয়, তাদের কাছ থেকে কোন কিছু লুকানো যায় না।
নিশাত স্বাভাবিকভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করল। সে বলল, মা তোমাকে আজ সুস্থ দেখে খুব ভালো লাগছে। তাই হয়তোবা…
রাহেলা বেগম সন্দিহান চোখে তার বড় মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, আমার তো তা মনে হচ্ছে না। তোর ভিতরে কোন একটা ব্যাপার অবশ্যই আছে। আবারও কি কোন গিফট পেয়েছিস নাকি?
নিশাত তার মায়ের কাছ থেকে গত রাতের ঘটনাটা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলো। সে বলল, না মা। তেমন কোন ব্যাপার নেই। আর কোন গিফট আসেনি কালকে।

দুপুরের দিকে নিশাত বাসায় গেল। আজ তার মাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়নি। আরো হয়তো কয়েকদিন পর রিলিজ দেওয়া হবে। বাসায় অনেক কাজ পড়ে আছে। কাজ গুলো সেরে নিশাত কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এমন সময় সে শুনতে পেল কলিং বেল বেজে উঠেছে । ঈশিতা বাসায় নেই কোচিংয়ে গিয়েছে।
সে বাসায় একা। তাই সেই দরজা খুললো। দরজা খুলেই তার বিস্ময়ের সীমা থাকল না। মেঝেতে আরো একটি বাক্স পড়ে আছে। আর একটি উড়ো পার্সেল এসেছে তাহলে তার কাছে!!

নিশাত বাক্সটা খুলে একটা কাগজ দেখতে পেল। কাগজের এক পৃষ্ঠে বড় বড় করে লিখা,

” নিশাত তুমি কি আমার সাথে দেখা করবে?”

নিশাত লেখাটা দেখে কি করবে কিছু বুঝতে পারছেনা। সে কি সত্যিই দেখা করবে এই অচেনা মানুষটির সাথে?

চলবে,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে