আড়ালে অনুভবে পর্ব-০৮

0
1980

#আড়ালে_অনুভবে
#সাদিয়া_আফরিন_প্রতিভা
#পর্বঃ৮

দীর্ঘ ১০ মিনিট যাবত প্রভার ক্লাসে যাওয়ার রাস্তা আটকে ওকে বিরক্ত করে যাচ্ছে নিরব।বারবার চুল ধরে টান দিচ্ছে।নিরব এর এমন কাজে রাগে ফুসছে প্রভা।কিছু বলতেও পারছে না,তাহলেই একটা ছবি দেখিয়ে ব্লাকমেইল করছে।ছবিতে প্রভা ফ্রেন্ডদের সাথে বত্রিশ টা দাত বের করে হাসছিলো।
প্রভার এমন রাগী লুক দেখে এবার নিরব মুচকি হেসে হাটা শুরু করলো।
রাগে গজগজ করতে করতে প্রভা পিছন থেকে বললো,
–নিজেকে কি হিরো মনে করেন নাকি মিঃ নিরব?

–উম হু,তোমার জামাই মনে করি গো.. (পিছন থেকে ঘুরে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বললো)

–এইযে শুনুন আপনার নামে আমি..আমি..হ্যা আমি আজাদ স্যার এর কাছে বিচার দিবো হুহ!

–আহারে ভয় পেয়ে গেলাম তো!এই এই তোরা সবাই দেখ আমি ভয় পেয়ে যাচ্ছি।হা হা হা.. তোমার ঐ জানের আজাদ স্যার আমার কথায় ওঠে আর বসে।বুঝলা?তাই এতো বকবক করো না তো। (নিরব)
কথাটা বলেই পিছন আবারো পিছন ঘুড়ে চলে যেতে লাগলেন তিনি।প্রভা কোমরে হাত গুজে বললো,
–এইযে মিঃ শুনে রাখুন,আমারো টাইম আসবে। তখন সবকিছুর রিভেঞ্জ নিয়ে ছাড়বো।মিলিয়ে নিয়েন।
প্রভার কথার কোন প্রতিউত্তর না করে বাকা হাসি দিয়ে চলে গেলেন উনি।প্রভা এখনো রাগে ফুসছে। এই লোকটার যেয়ে এতো কিসের প্রবলেম তাকে নিয়ে আল্লাহ ই যানে।ক্যাম্পাস, হোস্টেল,ক্লাসরুম সব যায়গায় বিরক্ত করে বেড়ায়। বড়লোক বাবার বেয়াদ্দপ ছেলে।ইনি যে কোন দুঃখে ডাক্তারি পড়তে এসেছে আল্লাহ মাবুদ যানে। এনার তো কোনো মাফিয়া গ্যাং এর লিডার হওয়ার দরকার ছিলো।
–কিরে প্রভা এভাবে কি দাঁড়িয়েই থাকবি আজকে নাকি ক্লাস এও যাবি? (পাশ থেকে কাধে হাত দিয়ে বললো আয়শা)

–হ্যা যাবো তো ক্লাস এ কিন্তু ঐ নবাবের বাচ্চা কে আমি দেখে নিবো।

–কি করবি রে?এক কাজ কর।অর্ণব স্যার এর কাছে বিচার দে।বেচারা স্যার এমনিতেই তোর উপর পুরো ফিদা। (আয়শা)

–কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয়না।তাই লেজ টাই কেটে ফেলা উচিৎ।

–মানে? (আয়শা)

–তোর অতো মানে না বুঝলেও চলবে।চল এখন। (অনেকটা জোড়ে বললো কথাটা)

–যাক বাবা,ভালো কথা বললেও এখন দোষ?ঠিক আছে আর কিছু বলবোই না তোকে হুহ। (আয়শা)

–আরে মেরি জানেমান,সুইটহার্ট,কলিজা,বেবি তুই রাগ করতেছিস কেন!আসলে ঐ চঞ্চল এর উপর রেগে ছিলাম তো তাই রাগ টা তোর উপর ঝেড়ে ফেললাম।সরি জানু!🥺

–এক মিনিট! এই চঞ্চল আবার কে? (আয়শা)

–আরে ঐ নিরব মোটেই নিরব না।তাই আমি ওর নাম চঞ্চল দিছি।😒

–হইছে বইন চল।

।।🌼
সোহার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় অঙ্কিত। সোহা টলমলে চোখ নিয়ে বলে ওঠে,
সোহা: সেদিন ঐ জানোয়ার কে বিয়ে করেছিলাম শুধুমাত্র তোমার জন্য।জেনে বুঝে ঐ নরকে পা দিয়েছিলাম শুধু তোমার জন্য।হ্যা তোমার জন্য। আমার ভালোবাসা মিথ্যে ছিলো না,আমি ঠকবাজ নই।ও ঐ শিশির আমাকে রোজ হুমকি দিতো,নিজের ব্যাপারে হুমকি দেওয়ায় আমি একটুও ভয় পাইনি।তারপর শুরু করলো তোমাকে নিয়ে হুমকি দেওয়া।তবুও আমি ওর জালে পা দেইনি।কিন্তু সেদিন ও তোমাকে বাড়ি ফেরার পথে সেন্সলেস করে কিডন্যাপ করে।সাথে আমাকেও। ও ও তোমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আমাকে হুমকি দেয় আমি যদি ওকে বিয়ে না করি তাহলে তোমাকে শেষ করে দেবে।সেদিন বাধ্য হয়ে তোমার প্রাণ বাচানোর জন্য বিসর্জন দিয়েছিলাম নিজেকে।সেদিনের কোনো ঘটনা তোমার মনে নেই কারণ তুমি অজ্ঞান ছিলে।
পরবর্তিতে আমি ভেবেছিলাম হয়তো বা ও আমাকে ভালোবাসে তাই এমনটা করেছে।যা হওয়ার তো হয়েই গেছে।কিন্তু না,আমার ধারণা ছিলো সম্পুর্ন মিথ্যে।ঐ জানোয়ার এর শুধুমাত্র হিংসে ছিলো তোমার প্রতি,আর সেই হিংসে থেকেই আমাকে বিয়ে করে।তারপর আমাকে নরক যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করে।দিনের পর দিন রাতের পর রাত আমাকে নিকৃষ্ট পশুর মতো খুবলে খেতো ঐ জানোয়ার টা।ওর বাড়িতে কেউ না থাকায় কেউ শোনেনি আমার আত্মচিৎকার। কিছুদিন যাওয়ার পর তো নিজের বন্ধুদের ও বাড়িতে নিয়ে আসতো।নিজেকে যেনো পতিতা মনে হতো আমার।নিজের দেহের বিনিময়ে আমি থাকছি,খাচ্ছি ব্যাস।কোনো প্রতিবাদ করতে গেলেই মারতো,খুব মারতো।তারপর একদিন জানতে পারি আমি প্রেগন্যান্ট। ভেবেছিলাম হয়তো বা নিজের বাচ্চার কথা ভেবে বন্ধ করবে এই অত্যাচার।তবে এবারো সব ধারণা মিথ্যে করে দেয় ও।আমি প্রেগন্যান্ট জানার পর ও বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি,সেই অবস্থ্যাতেও প্রতিদিন আমার উপর পশুর মতো ঝাপিয়ে পরতো।আমি যখন ৫ মাস এর প্রেগন্যান্ট তখন বুঝতে পারে আমি তো পুড়াতন হয়ে গেছি।আমার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বের করে দেয় বাড়ি থেকে।কিন্তু আমি যাবো কোথায়?বাড়িতে?মা-বাবা মেনে নেবে আমায়?নাহ,নেবেনা।একবার ভেবেছিলাম তোমার কাছে ফিরে যাবো।আমি যানতাম তুমি সবটা জানতে কখনো ফিরিয়ে দেবেনা আমায়। কিন্তু তখন আমি একা নই,আমার সঙ্গে রয়েছে আরেকটা প্রাণ।আমি চাইনি আমার জনহ তোমার জীবনটা নষ্ট হোক।তাই সেদিন এক বন্ধুর কাছে গিয়ে আশ্রয় চাই।অনেক কষ্টে একটা যব জোগার করি।তারপর এই পৃথিবীতে আসে মমি।ওর মুখের দিকে তাকিয়ে যেনো সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলাম আমি।এই বাচ্চাটা তো কোন দোষ করেনি!
শুরু হলো আমার নতুন জীবন।পড়াশোনায় বেশ ভালো হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি ই যব এ প্রমোশন হয়ে যায় আমার।মমি একটু বড় হওয়ার পর ই ওকে নিয়ে বিডিতে চলে আসি আমি।কিছু জমানো টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করি,আর প্রতিটা মুহূর্তে আমার পাশে ছিলো সুপ্তি।মেয়েটা আমায় অনেক সাহায্য করেছে।কখনো মনেই হয়নি ও আমার চাচাতো বোন।মনে হয়েছে ও আমার আপন বোন।

অঙ্কিত পাথর এর মতো দাঁড়িয়ে রইলো।চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে উঠেছে তার।এতকিছু হয়ে গেলো কিন্তু সে কিছুই জানে না।

সোহা: তোমার মনে নিশ্চই প্রশ্ন জাগছে তাই না? আমি কেনো আবারো তোমার সামনে এসে দাড়ালাম?কারণ টা শুধুমাত্র এটাই অঙ্কিত,আমি চাইনি তুমি আমাকে ঘৃণা করো।তুমি হয়তো বা এখন বলবে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে কিন্তু তার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই।

অঙ্কিত:সোহা..

সোহা:আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো,সকল পরিস্থিতিতে তুমি আমায় হাসিমুখে গ্রহণ করবে কিন্তু আমি চাইনা অঙ্কিত। আমি নিজের জীবনটা নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছি।আমার মেয়ে আমার কাছে সব,ওকে নিয়েই আমি বাকি জীবনটা পার করে দিতে পারবো।কিন্তু তুমি!তুমি কি করছো!লাইফ এ মুভ অন করো অঙ্কিত,প্রতি মুহূর্তে তোমার পাশে দাঁড়ানোর মানুষ আছে,হ্যা আছে।এমন একজন আছে যে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে তোমার সঙ্গ দেবে,দেখবে অনেক ভালো রাখবে তোমায়।
(দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সোহা)সুপ্তি তোমায় খুব ভালোবাসে অঙ্কিত। সেই ছোটবেলা থেকে।কিন্তু শুধুমাত্র আমার জন্য ও নিজের অঅনুভুতি কে দাবিয়ে রেখেছে।ওকে হারিয়ে যেতে দিও না অঙ্কিত,পস্তাবে তুমি।আজ বুঝবে না তবে হারিয়ে গেলে বুঝবে,কোন অমূল্য রত্ন হারালে তুমি।এখন ও সময় আছে,মুভ অন করো অঙ্কিত।মেয়েটাকে আর কষ্ট দিও না…

।।।🌼
–দেখলি চেলেঞ্জ তো আমি ই জিতে গেলাম তাহলে এরপর থেকে আর ওর দিকে চোখ তুলেও তাকাবি না!ওকে? (নিরব)

–ভাই তুই চ্যালেঞ্জ জিতলি ভালো কথা কিন্তু ওকে তো আর ভালো বাসিস না।তাহলে আমাকে কেনো বাধা দিচ্ছিস? (অর্ণব)

–ওকে তুইও ভালোবাসিস না। (ডোন্ট কেয়ার মুড নিয়ে বললো নিরব)

–আচ্ছা,আমি বাসিনা তাহলে কি তুই বাসিস? (অর্ণব)

–হাহ,আর ইউ জোকিং ভাই!ঐ মেয়েকে কিনা আমি ভালোবাসবো?নো ওয়ে। (নিরব)

–তুই তো ওকে ভালোবাসিস এটা সিওর। কিন্তু তোর এই ইগোর জন্য সেটা মানতে চাস না।তবে আমার বিশ্বাস একদিন ঠিক বুঝবি (মনে মনে বললো অর্ণব)
–তাহলে তো কথাই নেই।আমিও ওর পিছু ছাড়বো না। (অর্ণব)

–যা খুশি কর তুই আই ডোন্ট কেয়ার। (কথাটা বলেই রাগে ফুসতে ফুসতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করলো নিরব।)

।।।🌼
পার্কের বাহিরে আসার পর ই রোদেলা তার চোখের পানি মুছে বাকা হাসি দেয়।তখনি নিশাত পাশে এসে বলে,

নিশাত:ওয়ে হয়ে হয়ে,কি দিলা গো আপু।লাজাওয়াব..

রোদেলা: বইন রেএএএ,আমি যে কত কষ্ট কইরা কান্দার এক্টিং করছি তুই ভাবতেও পারবি না।আর ঐসব ইমোশনাল কথা বলতে গিয়ে আমার দাত ব্যাথা হয়ে গেছে।লাইক সিরিয়াসলি!একদম মনে হচ্ছিলো,আমি স্টার জলসার সিরিয়াল এর এক্টিং করতাছি হুহ..

নিশাত:থামো আপু,হাসতে হাসতে মইরা গেলাম আমি।কিন্তু নেক্সট প্লান কি?

রোদেলা:হাহ,মিঃআদ্রিয়ান আবরার রোদ্দুর এখনো এই রোদেলা কে ঠিক মতো চিনতে পারেনি। চান্দু,এইবার তুমি বুঝবা ঠ্যালা।তুমি যদি এই আমাকে কাছে পাওয়ার জন্য ছটফট না করেছো তবে আমার নাম ও রোদেলা জান্নার বৃষ্টি না।

ফ্লাসব্যাক–
রোদেলা খুশিমনে যাচ্ছে রোদ্দুর এর সঙ্গে দেখা করতে।ঠিক তখনি ওর সামনে এসে দাঁড়ায় নিশাত।
রোদেলা:আরে তুই!যাক ভালোই হলো তুইও এসে গেলি।বইন,আমি সিওর।আজকে তো তোর ভাই আমাকে প্রপোজ করবেই।

নিশাত:ভাইয়া তোমাকে প্রপোজ করতে ডাকেনি আপু।

রোদেলা:মানে!তাহলে কেনো ডেকেছে?

নিশাত:অপমান করতে।

রোদেলা:হোয়াট!আচ্ছা তোর ভাই কি দিয়ে তৈরি বল তো।আর কতোদিন ঘোড়াবে আমায়।আমি দেখতেও ওতোটা খারাপ না।

নিশাত:ব্যাপার টা সেটা না আপু।তোমার ভাইয়ার ব্যাপারে কিছু জানা দরকার।

রোদেলা:প্লিজ তুই বলিস না ওর জিএফ আছে!আমি তাহলে মরেই যাবো।

নিশাত:নেই তবে ছিলো।একটা মেয়ে ছিলো,নাম মেঘলা।সেই আপুটাও ঠিক তোমার মতো ভাইয়ার পিছনে পরে থাকতো।ভাইয়া বরাবরেই মেয়েদের তেমন পাত্তা দিতোনা।তেমনি মেঘলা আপুকেও না কিন্তু আপুর পাগলামি ভাইয়াকে বাধ্য করেছিলো তার প্রতি দুর্বল হতে।বেশ কিছুদিন সবকিছুই ঠিক ছিলো কিন্তু তারপর একদিন মেঘলা আপুকে একজন বিদেশি ছেলে প্রপোজ করে,ছেলেটা দেখতেও খুব হ্যান্ডসাম আর বিশাল ধন সম্পদের মালিক ছিলো।সেদিন লোভে পরে মেঘলা আপু ভাইয়াকে ছেড়ে চলে যায়।খুব আপসেট হয়ে পরেছিলো ভাইয়া কিন্তু পরবর্তিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়।আর ঠিক তখন থেকেই ভাইয়া মেয়েদের বিশ্বাস করতে পারেনা।

রোদেলা:কিন্তু সব মেয়ে এক হয় না নিশু।আমি ঐ মেয়েটার মতো নই।

নিশাত:সেটা আমি বুঝি,তুমি বোঝো।কিন্তু ভাইয়াকে কে বোঝাবে?

রোদেলা:আমি বোঝাবো।

ফ্লাসব্যাক ওভার—–

নিশাত:সব ই বুঝলাম কিন্তু তোমার নেক্সট প্লান কি?

রোদেলা:আমি বিয়ে করবো।

নিশাত:ওহ আচ্ছা।হোয়ায়ায়ায়ায়ায়াট!

রোদেলা:হুম ঠিক ই শুনেছিস।বিয়ে করবো আমি। আব্বু এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য মানাচ্ছে আমায়।আজ বাড়ি গিয়ে হ্যা বলে দেবো। যে ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে সে আমাকে খুব ভালো রাখবে।

নিশাত:আপু তুমি এসব কি বলছো?মাথা ঠিক আছে?

রোদেলা:আমি সজ্ঞানে বলছি নিশু।হয় আমি রোদ্দুর কে একেবারে পাবো নয়তো একেবারে হারাবো।আর তার জন্য এই সিদ্ধান্ত টাই ঠিক আছে।যদি আমার ভালোবাসায় জোড় থাকে তবে রোদ্দুর কিছু একটা করবে।আর যদি তা না হয়, তাহলে…. (কথাটা ভাবতেই বুক কেপে উঠলো রোদেলার।এবার সত্যঅকারের অশ্রু গড়িয়ে পরলো তার চোখ থেকে।যদি তার বিশ্বাস হেরে যায় তবে সে অন্যকারোর হয়ে যাবে।হারিয়ে ফেলবে রোদ্দুর কে।তবে এছাড়া যে আর কিছুই করার নেই।)

•••••🌼
মাত্র একটা ওটি এসিস্ট করে বেড়িয়ে এলো নিরব।গায়ে থাকা এপ্রোন টা খুলে হাতে নিয়ে বেড়িয়ে আসে হসপিটাল থেকে।কলেজ কেম্পাসে গিয়ে একটা ফাকা যায়গায় গাছে সঙ্গে শরীর,মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।ঠিক কিছুক্ষণের মাথায় একজন সামনে এসে ডাক দেয়,
–নিরব…
কণ্ঠস্বর শুনে চোখ খোলে নিরব।কিন্তু পিছনে তাকিয়ে কাঙ্ক্ষিত মামুষটিকে দেখতেই একরাশ বিরক্তি এসে ভর করে তার মাঝে।উল্টোদিকে ঘুড়ে বিরক্তির স্বরে বলে,
“তুমি!তুমি এখানে কেনো এসেছো?..”

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে