আমি শুধুই তোমার সিজনঃ০২ পর্বঃ০১

0
3977

#আমি_শুধুই_তোমার?
#সিজনঃ০২
#পর্বঃ০১
#Arshi_Ayat

ইনান ইনশিরার হাত ধরে জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।ইনশিরা চাইলেও ওর থেকে হাত ছাড়াতে পারছে না।ইনশিরা ইনানকে একদম দেখতে পারে না।সবসময় অধিকার ফলাতে আসে।এই যেমন এখনও এমন করছে।একটা ছেলের সাথে সামান্য কথা বললেও রেগে আগুন হয়ে যায়।ইনশিরা ভেবে পায় না ছেলেটা এমন করে কেনো?ইনান টানতে টানতে একেবারে ভার্সিটির খোলা মাঠে এনে সজোরে কষিয়ে একটা থাপ্পড় দিয়ে দিলো ইনশিরাকে।ইনশিরা গালে হাত দিয়ে রেগে বলল”সমস্যা কি মারলে কেনো আমায়?”

“বেশ করেছি।তুই অনিকের সাথে এতো কথা বলিস কেনো?”

“তাতে তোমার সমস্যা কোথায়?”

“আমার অনেক সমস্যা।তুই বলবি কেনো কথা?কই আমি যখন কথা বলতে চাই তখন তুই আমাকে এড়িয়ে যাস কেনো?”

“আমার ইচ্ছা তোমাকে এতো কৈফিয়ত দিতে হবে কেনো?”

“তুই দিবি মানে একশোবার দিবি।”

ওদের এই কান্ড সবাই দেখছে আর মজা নিচ্ছে।কেউ কিছু বলছে না।ইনশিরা ইনানকে কিছু না বলে রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো।আর মনে মনে বলল”এই থাপ্পড়ের জবাব তোকে এমন ভাবে দেবো তুই কল্পনাও করতে পারবি না।শুধু ওয়েট কর।”

ইনশিরা বাসায় এসে আদ্রিকে কল করে বলল”হ্যালো।আদ্রি শোন।”

“হুম বল।”

“এই ইনানটা বড্ড বাড় বেড়েছে।খালি যখন তখন অধিকার ফলায়।আমি কি ওর বউ নাকি গার্লফ্রেন্ড।”

“কেন কি করছে তোরে?”

“পুরা ক্যাম্পাসের সামনে থাপ্পড় দিছে।”

“কি বলিস।” আদ্রি অবাক হয়ে বলল।

“হ্যাঁ ঠিকই বলছি।এবার তুই বল এর কি করা উচিত।”

“আমার মনে হয় ও তোকে ভালোবাসে।”

“ভালোবাসা মাই ফুট।ওর মতো উগ্র মেজাজীকে আমি ভালোবাসতে পারবো না।”

“কিন্তু যেভাবে বললি তাতে মনে হলো ও তোকে এতো সহজে ছাড়বে না।”

“ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে।”

“কি করব?”

“ভাইয়াকে বলে দিবো?”

“আরে না না।এইটা করিস না ওরে তো জানে মেরে দেবে তোর ভাই।”

“মরলে মরুক আমার কি।”

“তাও একটু দয়া কর ওর ওপর।আচ্ছা যা কাল আমি আসবো তারপর আমরা দুজন মিলে ওকে বুঝাবো।”

“বুঝবে না।মেন্টাল একটা।”

“বুঝবে।এখন বল আয়াশের কি অবস্থা?”

“জানি না আজকে আসে নি।তুই যে ওকে ভালোবাসিস বলে দিলেই পারিস।”

“না রে ও মিনহাকে ভালোবাসে আর আমাকে বন্ধু ভাবে।আমি পারবো না বলতে।”

“আরে কুটনামি করে ওর সাথে ব্রেকাপটা করায় দে।”

“পরে যদি ও জানতে পারে আমাকে ভুল বুঝবে।”

“জানতে পারবে না।হিন্দি সিরিয়াল দেখিস কি জন্য? একটু কুটনামিও করতে পারবি না!!”

“আচ্ছা কি করবো?”

“বলবো কালকে তুই আগে ভার্সিটিতে আয়।”

“ওকে আসবো।”

ইনশিরা ফোন রেখে শাওয়ার নিতে গেলো।

এদিকে ইনান বাসায় এসে রাগে জিনিস পত্র ভাঙা শুরু করে দিছে।বাসায় কেউ নেই।ওর বাবা মা মালয়েশিয়া গেছে ট্যুরে।কোথা থেকে যেনো আয়াশ এসে ওকে ধরে ফেলল তারপর বলল”কি হইছে?এমন করতেছিস কেন?”

“ও এমন করে কেন আমার সাথে? ”

“আজকে আবার কি করছে?”

“অনিকের গায়ে পড়ে কথা বলে আর আমি বলতে গেলে এড়িয়ে যায়।”

“তাহলে তুই ওর পিছনে ঘুরিস কেন?”

“তুইতো জানিস সেই ফার্স্ট ইয়ার থেকে আমি ওকে ভালোবাসি।”

“হুম এটা ওয়ান সাইড লাভ।সো বাদ দে।”

“আমি বাদ দিতে পারবো না।”

“তো কি করবি?”

ইনান বাকা হেসে বলল”ওকে বিয়ে করবো”

“কিভাবে?ও তো রাজি হবে না।”

“না হলে বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো।”

ইনানের কথায় আয়াশ হাসতে হাসতে শেষ।ইনান সোফায় বসতে বসতে বলল”এখন বল মিনহার কি খবর?”

“ওর কথা আর বলিস না।সকাল থেকে একবারও ফোন ধরে নি।”

“যা করবি বুঝে শুনে করবি।তুই জানের দোস্ত তবুও বলি মিনহা রে আমার অসহ্য লাগে।”

“এমন বলিস না দোস্ত কষ্ট লাগে।”

ইনান উঠতে উঠতে বলল”সত্যি তিতা হইলেও সত্যি।”

পরেরদিন ক্লাসে এসে ইনশিরা জানতে পারলো কারা যেনো অনিককে মেরে হসপিটালে ভর্তি করেছে।ক্লাস শেষে ও আর আদ্রি গেলো অনিকের সাথে দেখা করতে।আর এদিকে ইনান ক্যান্টিনে বসে হাসছে।আয়াশ চিন্তিত গলায় বলল”এইটা কি করলি তুই?এখন যদি ইনশিরা জানতে পারে তাহলে তো সমস্যা।”

ইনান ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল”জানতে পারবে না।”

অনিকে কে দেখে ইনশিরার বাসায় আসতে বিকেলে হলো।বিকেলের ভাইয়ের সাথে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসায় এসে পড়তে বসলো।তারপর রাতের খাবার পর।রাত ১১ টায় যখন ঘুমাতে গেলো তখন কে যেনো হাত দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরেছে।ইনশিরা চেষ্টা করেও হাতটা সরাতে পারছে না।

চলবে…

(সিজন ০১ এর মতো ০২ ও আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।সিজন ০২ টা থ্রিলার টাইপ হবে।হৃদয় গভীরে বন্ধ করে দিয়েছে তাই আপনারা কষ্ট পেয়েছেন আমি জানি।কিন্তু কষ্ট পাওয়ার কারণ নাই হৃদয় গভীরের কাহিনিটাই এখানে তুলে ধরবো এই চারজনের মাধ্যমে সাথে এদের ক্যামিস্ট্রি আর বায়োলজিতো আছেই?)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে