আকাশ জুড়ে তারার মেলা পর্ব-১৩

0
1028

#আকাশ_জুড়ে_তারার_মেলা
#পর্ব_১৩
#লেখিকা_N_K_Orni

নির্জন নেহাকে নিয়ে বেশ কিছুটা দূরে চলে এলো। নেহা এবার ওকে জিজ্ঞাসা করল,

— ভাইয়া আপনি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এলেন?

— আসলে তোমার কাছে কিছু শোনার আছে নাবিলার ব্যাপারে। আচ্ছা নাবিলার কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে? আসলে বিয়েতে প্রথমে ওর অনেক আপত্তি ছিল। আর বিয়ের তারিখও পিছিয়ে দিতে বলেছিল। এজন্য শুনছি।

— এসব কথা আপনাদের আরও আগে শোনা উচিত ছিল। এখন শুনে কি বা করবেন? আজকে তো ওর বিয়ে আর একটু পরে হয়তো বিয়েটাও হয়ে যাবে। এখন এসব কথা শুনলেই বা কি হবে?

— আমি আগে এই কথা শুনিনি কারণ বাবা যদি জানতে পারেন যে ওর বয়ফ্রেন্ড আছে তাহলে তিনি ওইদিনই ওর বিয়ে দিয়ে দিবেন। এজন্য কেউই এসব শুনিনি। আর আজকে শুনছি অন্য কারণে। ওর যদি কোনো বয়ফ্রেন্ড থাকে তাহলে ওকে বুঝিয়ে বলো যে বিয়েটা মেনে নিতে আর সেই ছেলের কথা ভুলে যেতে। তোমরা ওর ফ্রেন্ড তাই তোমরা বোঝালে ও ঠিক বুঝবে।

যেহেতু নাবিলা সবার সাথে টাইমপাস করে তাই সে আর এটাকে রিলেশনের মধ্যে ধরল না। সে বলে উঠল,

— ওর কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই।

নেহার কথা শুনে নির্জনের মুখে হাসি ফুটে উঠল।

— ওহ। আর তোমার?

বলেই নির্জন নেহার দিকে তাকাল।

— তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই?

নেহা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠল,

— না, আমারও নেই।

নেহার কথা শুনে নির্জন মুচকি হাসল। তানিশা একা একা হাঁটছে আর বারবার ঘড়ি দেখছে। নেহা এখনো আসছে না দেখে সে বেশ বিরক্ত হচ্ছে। সে আশেপাশে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,

— ধুর! এই নেহা আসে না কেন? নির্জন ভাইয়ার সাথে এতো কি কথা বলে? আমি একা একা আর কতক্ষণ হাঁটবো? একা একা হাঁটতে কারো ভালো লাগে নাকি?

তানিশা বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর নেহা ওর কাছে ফিরে এলো। তানিশা ওর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে বলে উঠল,

— কিরে এতোক্ষণ নির্জন ভাইয়ার সাথে কি এতো কথা বললি?

— তেমন কিছুই না। ওই নাবিলার বিষয়ে একটু কথা বলছিলেন।

— ওহ।

নাবিলার বিয়ে শেষ হওয়ার পর তানিশা তার বাসায় চলে গেল। সে বাসায় যেতেই তিনা এসে দরজা খুলে দিল। তিনা ওর দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,

— আপু তুই তো তোর বান্ধবীর বিয়েতে গেলি। আমার ফ্রেন্ডরা যে কবে বিয়ে করবে?

তানিশা ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,

— তোর ফ্রেন্ডদের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। তাই তোকে আরও এক দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে।

তিনা ছোট ছোট চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,

— কিন্তু আমার দুই ক্লাসমেটের এক বছর আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।

— তাহলে তুইও বিয়ে করে ফেল।

— সেটা হচ্ছে না। আগে তোর বিয়ে হবে তারপর আমার।

তানিশা ওর দিকে একবার তাকিয়ে ওর রুমে চলে এলো। রুমে এসে তানিশা জামাকাপড় বদলে ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমিয়ে পড়ল। সন্ধ্যার পর সে ঘুম থেকে উঠল। সে হাত মুখ ধুয়ে এসে বারান্দায় চলে গেল। সে বারান্দায় বসে আছে হঠাৎ তার ফোনে একটা কল এলো। তানিশা ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখল অচেনা নম্বর থেকে কল এসেছে। তারপর সে ফোনটা ধরে কানের কাছে নিতেই ফোনের অপর পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠল,

— তুমি তানিশা, তাই না?

নিজের নাম শুনে তানিশা ভাবল হয়তো তার পরিচিত বা অল্প পরিচিত কেউ।

— তানিশার নাম্বারে কল দিয়ে বলেন যে আমি তানিশা কিনা?

— না তুমি অন্যকেউও হতে পারো। এটা যে তানিশার নাম্বার সেটা তো আমি নিশ্চিত না। তাই জিজ্ঞাসা করে নিলাম।

— ওহ। তা আপনি কে? আমরা কি একে অপরকে চিনি?

— আমি তোমাকে চিনি। কিন্তু তুমি আমাকে চিনো না।

— আমি যেহেতু আপনাকে চিনি না, তাহলে আপনি আমাকে দিছেন কেন? আপনি অপরিচিত কারো সাথে কথা বলি না।

— তো এখন আমরা পরিচিত হয়ে নেই।

— আমি আগ্রহী নই।

— কিন্তু আমি তো আগ্রহী। আমার সাথে কথা বলতে সমস্যা কোথায় তোমার?

— অনেক সমস্যা। এতো মানুষ থাকতে কেন আপনি আমার সাথে পরিচিত হতে চান?

— আচ্ছা সত্যি কথাটা বলি তাহলে। আসলে আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই তোমার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। আর আজকে তোমার ফোন নাম্বার জোগাড় করেছি। তাই আর দেরী না করে আজকেই কল দিয়েছি।

— তো আমি কি করব?

— আমি তোমাকে আই লাভ ইউ বলেছি। তা তোমার কোনো রিয়েকশন নেই? বয়ফ্রেন্ড আছে তোমার?

— না। কারণ আমি কারো সাথে রিলেশনে জড়াতে চাই না। তাই আপনার ক্ষেত্রেও একি উত্তর।

— বিয়ে তো নিশ্চয়ই করবে? আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।

— এভাবে বললেই হয়ে যায় না। আর আমি আপনাকে চিনি না জানি না বিয়ে করে ফেলব। এসব বলে কোনো লাভ নেই। আমার বাবা আমাকে যার সাথে বিয়ে দিবে আমি তাকেই বিয়ে করব।

— তোমার বাবার পছন্দ করা ছেলেও তো তোমার অচেনাই হবে।

— তাতে কি? সে তো আর খারাপ হবে না। আমার বাবা আমার জন্য নিশ্চয়ই ভালোটাই ঠিক করবেন।

— তার মানে তুমি বলতে চাইছো আমি খারাপ?

— উহু! আমি সেটা বলিনি। কিন্তু আপনি ভালো না খারাপ সেটা তো আর আমি জানিনা।

— আচ্ছা।

তানিশা আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই অপর পাশের ব্যক্তি কল কেটে দিল। তানিশা ফোনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,

— এইসব অদ্ভূত লোকজন কেন আমাকেই কল দেয়?

বলেই সে ওখান থেকে উঠে রুমে চলে গেল। পরদিন সকালে তানিশা কলেজে গেল। নিজের রুমে দাঁড়িয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ইফাদ। একটু পরে ফাহিম তার দরজায় নক করল।

— আসব?

ইফাদ একবার দরজার দিকে তাকালো তারপর বলে উঠল,

— হুম এসো।

ফাহিম ভেতরে আসতেই ইফাদ বলে উঠল,

— ফাহিম আজকে কোনো মিটিং রেখো না। আর যদি থাকে তাহলে সেটা বাদ দিয়ে দেও। আজকে বিকালে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। আর সেখানে তুমিও আমার সাথে যাবে।

— স্যার আমি একটু হলেও বুঝতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই তানিশা ম্যামের সাথে দেখা করতে যাবেন।

ইফাদ হালকা হেসে বলল,

— না। ওর বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাব।

— এতো তাড়াতাড়ি!

— হ্যাঁ। কালকে ওর সাথে কথা বলে যা বুঝলাম তাতে এটা করাই ভালো হবে।

— আচ্ছা। আন্টিকে নিয়ে যাবেন না? উনি কি এই বিষয়ে জানেন?

— মাকে আমি আগেই জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আজকে মাকে সাথে নিয়ে যাব না। আমি আগে ওনাদের সাথে কথা বলে দেখি। তারপর মাকে নিয়ে যাওয়া যাবে। আগে থেকে কিছু ভাবাই ভালো না।

— ওহ। তাহলে স্যার আমি আসি। আপনি তৈরি হয়ে আসেন।

বলেই ফাহিম চলে গেল। ইফাদও তৈরি হয়ে বেরিয়ে গেল।

————

সন্ধ্যায় ইফাদ তার রুম অন্ধকার করে বসে আছে। তানিশার বাসা থেকে আসার পর থেকে সে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়ে রুম অন্ধকার করে বসে আছে। এখনো জামাকাপড়ও বদলায়নি। সে বারবার একটু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়েই ভাবছে।
বিকালে ইফাদ তানিশার বাবার কাছে যায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। প্রথমদিকে সব ঠিকই ছিল। এক পর্যায় তানিশার বাবা বলে উঠলেন,

— তোমার বাবা মা কি করেন?

ইফাদ হালকা হেসে বলল,

— আমার মা আমার নানার পারিবারিক ব্যবসা দেখতেন। আমি পড়ালেখা শেষ করে এখন ওটাই দেখাশোনা করছি। তাই মা এখন বাসায়ই থাকেন। আর আমার.. আমার বাবা নেই। আমার মা সিঙ্গেল মাদার। বাবা আর মায়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে।

ইফাদের কথা শুনে আজাদ সাহেব কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। তারপর বলে উঠলেন,

— দেখো ইফাদ তুমি অনেক ভালো ছেলে। তোমার আর্থিক অবস্থাও আমাদের থেকে অনেক ভালো। কিন্তু আমি তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারব না।

— কারণ কি জানতে পারি আঙ্কেল?

— আমি যদি তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেই তাহলে তুমি যে আমার মেয়েকে মাঝপথে ছেড়ে চলে যাবে না এর কি নিশ্চয়তা আছে? তোমার বাবা যেভাবে তোমার মাকে ছেড়ে চলে গেছেন তুমিও তো সেভাবে আমার মেয়েকে ছেড়ে চলে যেতে পারো?

— কিন্তু আমার বাবা যেটা করেছে সেটা আমি কেন করতে যাব? একজনের ভুলের জন্য কেন আমি এসব ভোগ করব?

— সেটা আমি জানিনা। কিন্তু আমি তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিব না। তুমি বরং অন্য কাউকে খুঁজে নেও।

— আপনি আমার কথাটা শোনেন। আমি…

— আমি তোমার আর কোনো কথা শুনতে চাই না। আমি আমার মতামত বলে দিয়েছি। এবার তুমি তোমার যা ইচ্ছা তাই করো।

বলেই আজাদ সাহেব ওখান থেকে উঠে চলে গেলেন। একটু আগের কথা ভাবতেই ইফাদের আবার রাগ উঠে গেল। সে উঠে গিয়ে সামনে থাকা টেবিলে জোরে একটা লা*থি দিল। নিজের রুমের বারান্দায় উদাস হয়ে বসে আছে তানিশা। সে ভাবতে পারেনি ফোনের সেই ব্যক্তি সরাসরি তার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসবে। আর তার বাবাও যে এমন একটা কারণে না করে দিবে সে সেটাও ভাবেনি। তাই এসবের জন্য সে বারবার নিজেকেই দায়ী করছে। তানিশা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুমে চলে গেল।

পরদিন সকালে তানিশা কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলো। সে তার বাড়ির পরের রাস্তায় আসতেই তার সামনে ইফাদ এসে দাঁড়াল। তানিশা তাকে দেখে ভ্রু কুচকে বলে উঠল,

— আপনি এখানে কেন এসেছেন? বাবা তো কালকেই বলে দিয়েছেন সব।

— তানিশা তুমিও কি ওই কারণেই আমাকে…

— না। বাবার আপনাকে পছন্দ না বলেই আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারব না। আমি আপনাকে আগেই বলে দিয়েছি যে বাবা আমাকে যেখানে বিয়ে দিবেন আমি সেখানেই বিয়ে করব।

— আমি তোমাকে ভালোবাসি তানিশা। আমি তোমাকে কখনোই ছেড়ে যাব না। বাবার ভুলের শাস্তি আমাকে কেন দিচ্ছো?

— আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না।

বলেই তানিশা ওখান থেকে চলে গেল। আর ইফাদ ওর যাওয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আজাদ সাহেব ওনার রুমে বসে আছেন। তখন মিসেস তাসনীম ওনার কাছে এসে বলে উঠলেন,

— কালকের ছেলেটা তো ভালোই ছিল। তাহলে কেন ওকে না করে দিলে?

— যা করেছি আমি ভালোই করেছি। ওই ছেলেটার মা ডিভোর্সি, তার বাবা নেই। ওই রকম পরিবারে আমি আমার মেয়েকে দিব না।

আজাদ সাহেবের কথা শুনে মিসেস তাসনীম মুখ বাঁকিয়ে মনে মনে বললেন,

— হুহ! ছেলেটার অনেক টাকা আছে। ওখানে তানিশা ভালোই থাকত। এই লোকের যত সমস্যা। ডিভোর্সি তো কি হয়েছে?

— আমি কি আর এমনি এমনি বলছি? মেয়ের তো বিয়ের বয়স হয়েছে। এখন তো বিয়ে দিতেই হবে।

— হ্যাঁ দিতে হবে কিন্তু ওই রকম পরিবারে না।

মিসেস তাসনীম কিছুক্ষণ ভেবে বলে উঠলেন,

— আচ্ছা আমার এক বান্ধবীর ছেলে আছে। তারও বিয়ের বয়স হয়েছে। ছেলেটা কিন্তু ভালোই। আর তার পরিবারও তোমার মনের মতোই।

আজাদ সাহেব কিছুক্ষণ ভেবে বলে উঠলেন,

— আচ্ছা তাহলে কালকে ওনাদের আসতে বলো। কথা বলে দেখি ওনারা কেমন?

— আচ্ছা।

মিসেস তাসনীম মনে মনে বললেন,

— যাক এর কথায় তো রাজি হলো। রিফারা অনেক বড়োলোক। ওই ছেলেটার মতো না হলেও মোটামুটি অনেক টাকাই আছে।

এসব ভেবে তিনি মনে মনে হাসলেন। পরদিন বিকালে মিসেস তাসনীমের বান্ধবী তার পরিবার নিয়ে তানিশাদের বাসায় এলো। ওনার ছেলে রোহানকে আজাদ সাহেবের বেশ পছন্দ হয়ে গেল। তিনি রোহানের সাথে তানিশার বিয়ে দিবেন বলে ঠিক করলেন। সন্ধ্যার পর রোহান ও তার পরিবার চলে গেল। পরদিন সকালে তানিশা কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলে সে আবারও ইফাদের মুখোমুখি হলো। ইফাদ তানিশাকে দেখে বলে উঠল

— তানিশা তুমি প্লিজ তোমার বাবাকে বোঝাও। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমি কখনো তোমাকে ছেড়ে যাব না।

— আমার বাবা রোহান নামের একজনের সাথে আমার বিয়ে ঠিক করেছেন। আপনার জন্য ভালো হবে আপনি আমাকে ভুলে যান।

বলেই তানিশা ফোন বের করে তাকে রোহানের ছবি দেখালো। ইফাদ তানিশার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে অফিসে চলে গেল। প্রতিদিন তানিশার জন্য অপেক্ষা করায় এখন আর সে আগের মতো ঠিক সময়ে অফিসে আসতে পারে না। ইফাদ ওখানে গিয়ে ফাহিমকে ডেকে রোহানের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলল। ইফাদ এতো তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়তে চায় না। তাই সে এভাবে প্রতিদিন তানিশার জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু তানিশা প্রত্যেক বারের মতোই তাকে একি কথা বলে।

এদিকে ইফাদের এই অবস্থা ইফাদের মা মিসেস আরিয়া একদমই মেনে নিতে পারছেন না। তাই একদিন তিনি ঠিক করলেন তিনি তানিশার বাসায় গিয়ে তার বাবার সাথে কথা বলবেন। তিনি সেদিন বিকালে তানিশার বাসায় গেলেন। আজাদ সাহেব ওনাকে একই কথা বললেন যেগুলো তিনি ইফাদকে বলেছিলেন। অনেক রিকুয়েস্ট করার পরও তিনি ওনাকে না করে দিলেন। মিসেস আরিয়া হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে এলেন। আজাদ সাহেবের কথায় তিনি ভালো করেই বুঝতে পারলেন যে ওনার ডিভোর্সি হওয়ার জন্যই আজাদ সাহেব এই প্রস্তাবটা না করে দিয়েছেন।

চলবে,,,

( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। )

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে