অবহেলা পর্ব-০৩

0
3648

#অবহেলা (পর্ব ০৩)
#রনি_হাসান
.
.
.
মিমিঃ(এবার দেখ কেমন লাগে)
রুমে চলে আসলাম আজ চোখে কোনো বাধাই মানছে না।
কিছুক্ষন পর মিমি আসল
মিমিঃ(পশুটা আবার কান্না করতে জানে)
আমিঃমিমি সরি খুব বড় ভুল করে ফেলছি পারলে ক্ষমা করে দিও(কান্না করে)
মিমিঃ(কাদো আরো ও বেশি করে কাদো আমিও একদিন কেদেছি)
আমিঃভালো থেকো আর বিরক্ত করব না
এভাবে চলছে আমার দিন কাল। আমার মা কোনো ভাবে মানতে পারছে না। যে আমি এইকাজ করতে পারলাম কেমনে সেটা ভেবে কথা বলা একদম বন্ধ করে দিয়েছে। এমন কি সবাই
আমিঃমা তুমি কি আমার সাথে কথা বলবে না
মাঃতুই এই বাড়ি থেকে চলে যা। আর অশান্তি ভালো লাগছে না।
আমিঃসেটাই করব মা
দেখলাম ফারিয়া পড়ছে
আমিঃকেরে কি করস
ফারিয়াঃ……
আমিঃভাইয়ের সাথে কথা বলবি না
ফারিয়াঃএমন ভাই থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো
।আর তুমি যাও তো পড়তে বসছি বিরক্ত করো না তো
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে পড়
এখন কেউ তো কথা বলতে চাই না
দুপুরে সবাই খেতে বসছে আমাকে ছাড়াই
তারপর আমি গিয়ে বসলাম। মিমি সবার খাবার পরিবেশন করছে। কিন্তু আমাকে দেখছেই না। মিমিকে বললাম..! মিমিও সাড়া দিল না। মাকে বললাম কেউ সাড়া দিলো না। সবাই খাচ্ছে আর এদিকে কোনো খেয়াল নেই। তারপর টেবিল থেকে উঠে পড়লাম।
এভাবে প্রতিদিন আমাকে না ডেকে খেতে বসত। আমিও যেতাম না। যেখানে ডাকার মতো কেউ নাই সেখানে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়া অনেক ভালো। ভাইয়া বুঝতে পেরে সবার আড়ালে আমাকে টাকা দিতো। সে টাকা দিয়ে চলতাম
কেটেভাবে গেলো ৬মাস এই কয়েক মাসে একটা বার ও খুজ খবর নেইনি কেমন খেলাম না খেলাম। এতোটাই ঘিনা করতো আমাকে
আমিঃভাইয়া
ভাইয়াঃহ্যা বল
আমিঃভাইয়া আমি চাকরি করব
ভাইয়াঃকেন চাকরি কি দরকার
আমিঃতা না এভাবে চলতে আর ভালো লাগছে না তাই
ভাইয়াঃআচ্ছা তুই যখন বলছিস তখন একটা ব্যবস্থা করাই যা
আমিঃ ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়াঃভাইয়াকে ধন্যবাদ দিতে হই নাকি।
আমিঃনা এমনি আর কি। এবার আসি তাহলে
ভাইয়াঃশুন
আমিঃকি বলো
ভাইয়াঃধর (১০০০ হাতে দিয়ে)
আমিঃভাইয়া লাগবে না।
ভাইয়াঃ ধরতো এখন যা(জুর করে দিল)
(ভাইয়া আমাকে ছোটবেলা থেকে অনেক আদর করতেন)
রাতে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে যেতে হলো
দরজাই কয়েকবার নক করার পর মিমি খুলে দিল।
আমিঃতুমি এখানো ঘুমোই ও নি
মিমিঃ……
আমিঃ(মিমির সাথে কথা বলে এভাবে চুপ থাকে কোনো কথা বলে না)
আমিঃআচ্ছা থাক কথা বলতে হবে না।
ঘুমোতে গেলাম বৃষ্টিতে ভিজার কারনে মাঝরাতে এমন জ্বর আসছে।
সোফাতে আর ভালো লাগছিলো না জ্বরে। ভাবলাম
মিমিকে ডাক দিব। না থাক মিমি তো আমার সাথে কথাই বলে না তাহলে কেমনে সেবা করবে।এভাবে রাত কেটে গেলো। সকালে জ্বরের তাপমাত্রা ও বেরে গেছে অনেকটা
জ্বরের কারনে সারারাত ঘুমাতে পারিনাই ছটফট করছি
মিমি দেখেও না দেখার ভান করে চলে গেলো। একবারও জিজ্ঞেস করল না
কিছুক্ষণ পর ভাইয়া আসল
ভাইয়াঃরনি শুন
আমিঃহ্যা ভাইয়া বলো
ভাইয়াঃএকি তোর জ্বর আসছে মিমি কোথায়
আমিঃনা ভাইয়া তেমন কিছু না
ভাইয়াঃতুই চুপ থাক আমি দেখছি।
তারপর ভাইয়া আমার মাথাই পানি দিতে শুরু করল
কিছুক্ষন বাদেই মিমি কি জানে খুজতে আসলো
ভাইয়াঃমিমি
মিমিঃজ্বি ভাইয়া বলুন
ভাইয়াঃরনির জ্বর আসছে সেটা কি তুমি দেখো নাই
মিমিঃদেখেছি
ভাইয়াঃতাহলে ওকে এই অবস্থাই ফেলে ঘুরে বেরাচ্ছ
মিমিঃসরি ভাইয়া আমি কোনো পশুর সেবা করব না(বলে মিমি চলে)
ভাইয়া কিছুই বলতে পারল না।কারণ দোষটা তো আমার ছিলো।
এভাবে চলছিল আমার জীবন
কয়েক দিন
হঠাৎ করে মিমি মাথা ঘুরে পরে গেলো
তারপর তাকে হাস্পাতালে নেওয়া হলো।সাথে আমিও গেলাম।
কিছুপর ডাঃ বের হয়ে আসল
ডাঃ রোগী স্বামী কে
আমিঃ আমাকে বলুন ডাঃ…?
ডাঃ আপনি রোগীর কি হন
আমিঃ স্বামী
ডাঃ আগে মিস্ট্রি মুখ করার তারপর বলছি
আমিঃকিছু বুঝতে পারছি না
ডাঃ আরে আপনি বাবা হতে চলেছেন
আমিঃ সত্যি(খুশি হয়ে)
ডাঃইয়েস মিস্টার
তারপর বাড়ির সবাই জানল কিন্তু কেউ খুশি না
মিমির কাছে গেলাম
আমিঃমিমি আজ আমি অনেক খুশি..তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না
মিমিঃ(মিমির মুখে কোনো হাসি নেই)
আমিঃতুমি খুশি হওনি
মিমিঃনা
আমিঃকেন?
.
.
.
চলবে…………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে