অন্যরকম তুই পর্ব-১৭+১৮

0
1588

#অন্যরকম তুই💘
#পর্বঃ১৭
#লেখিকাঃDoraemon
অনন্ত খুব জোরে থাপ্পড় দেওয়ার কারণে অহনা শব্দ করে কেঁদে যাচ্ছে। দুই হাত দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বাচ্চাদের মতো কেঁদেই যাচ্ছে। অহনার কান্না দেখে অনন্তের বুকটা কস্টে ফেটে যাচ্ছে৷ অনন্ত অহনার কাছে বসে অহনার মাথায় রাখতেই অহনা অনন্তের হাত সরিয়ে নেয়৷ অনন্ত মনে মনে বলল
–এটা আমি কি করলাম! একই তো মেয়েটার জ্বর আবার হার্ট দূর্বল তারওপর আমি ওকে এভাবে মারলাম। আমি আসলেই একটা অমানুষ। নাহলে অহনাকে এভাবে মারতে পারতাম না।
অহনা কাঁদতে কাঁদতে অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আপনি খুব পঁচা। আপনি আমাকে এভাবে মারতে পারলেন? আমার গালে খুব ব্যথা লাগছে।
অনন্ত লক্ষ্য করল অহনার গালটা থাপ্পড়ের ফলে লাল হয়ে আছে। অনন্ত অহনার আরো কাছে এসে অহনার লাল হওয়া গালে একটা চুমু দিয়ে দিল। অহনা অবাক হয়ে অনন্তের দিকে তাকিয়ে রইল। অনন্ত অহনার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল
–সরি অহনা আমাকে তুই ক্ষমা করে দে৷ কিন্তুু তুই আর কোনোদিন তোর মরার কথা বলবি না। কেন আমাকে এভাবে রাগিয়ে দিস তুই? আমার এসব কথা শুনতে ভালো লাগে না তুই জানিস না?
অহনা এবার আরো কাঁদতে লাগল। আবারও অনন্তকে জাপটে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। অহনার আবারও জড়িয়ে ধরায় অনন্ত আবারও অবাক হয়। অনন্ত অহনার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–কান্না কি থামাবি নাকি আবার থাপ্পড় খাবি?
অহনা তাও কেঁদেই যাচ্ছে। অনন্তকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অহনা কেঁদেই যাচ্ছে। অহনা এবার কাঁদতে কাঁদতে অনন্তকে বলল
–আমি মনে হয় আর বেশিদিন বাঁচব না স্যার। আমার শ্বাস নিতে ভীষণ কস্ট হয়৷ আপনি পারলে আমাকে ভুলে অন্য কাউকে বিয়ে করে সুখী থাকবেন। আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না। তাহলে শুধু শুধু আমার জন্য কস্ট পাবেন না। আমি জানি আপনি আমাকে ভুলতে পারবেন।
অনন্ত এবার ধমক দিয়ে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তুই একদম চুপ থাক। তোর কিছু হতে দিব না আমি। সবচেয়ে ভালো ডাক্তার দিয়ে আমি তোর চিকিৎসা করাব। তোর কিছু হবে না। তুই আমাকে ভালো না বাসতে পারিস কিন্তুু আমি তোকে ভালোবাসি।
অহনা শান্ত গলায় অনন্তকে বলল
–আমার মতো একটা হার্টের রোগীকে কেন আপনি এত ভালোবাসেন স্যার?
অনন্ত এবার থমকে গেল। অনন্ত মনে মনে বলল
–তারমানে অহনা যানে ওর অসুখের কথা! কিন্তুু কেন আমাকে অহনা কিছু বলল না? কেন?
অহনা অনন্তকে জড়িয়ে থাকা অবস্থাই বলল
–কি হলো বলুন না কেন আমাকে এত ভালোবাসেন?
অনন্ত অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–ভালোবাসতে কোনো কারণ লাগে না অহনা। হঠাৎই আমার মনের ভিতর তুই ঢুকে পড়েছিস। আমার তোকে খুব ভালোলাগত। কিন্তুু ভালোলাগাটা যে কবে ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়েছে তা আমার নিজেরই অজানা।
অনন্ত অহনাকে নিজের থেকে ছাড়াতে চাইলে অহনা আবারও অনন্তকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷ অহনার কান্ড দেখে অনন্ত অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–যে তুই আমাকে আগে সহ্য করতে পারতি না সে তুই কিনা আমাকে এখন এভাবে বার বার জড়িয়ে ধরছিস! আমি কি এটা সপ্ন দেখছি নাকি বাস্তবে আমার সাথে এমন হচ্ছে?
অহনা মুচকি হেসে অনন্তকে বলল
–আপনাকে জড়িয়ে ধরেছি তারমানে এই না যে আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমি আপনাকে খুব ঘৃণা করি৷ কিন্তুু আপনার বুকে মাথা রাখতে আমার কেন জানি না খুব ভালো লাগছে।
প্লিজ আমাকে আরেকটু আপনার বুকে থাকতে দিন৷ আমাকে আবার পাগল বেহায়া মেয়ে মনে করবেন না কিন্তুু হুম।
অনন্ত অহনার কথায় হেসে ফেলল৷ অনন্ত অহনাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অনন্ত নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল৷
অহনা অনন্তের বুকের ভিতরের কস্টটা অনুভব করতে পারছে। অহনা উপরে তাকিয়ে দেখল অনন্ত কাঁদছে। অহনা অনন্তের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে অনন্তকে বলল
–কি হলো আপনার চোখে পানি কেন? এত রাগী মানুষের চোখে জল মানায় না। কাঁদবেন না প্লিজ।
অনন্ত অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তুই একদিনে বদলে গেলি কি করে অহনা? আমার সাথে নাটক করছিস নাতো?
অনন্তের কথায় অহনা খুব জোরে হাসতে লাগল৷ হাসতে হাসতে অহনা অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–হ্যা আমি নাটকই করছি। আপনার মতো রাগী দানব স্যারকে কি ভালোবাসা যায় নাকি? আপনিও না কত বোকা। হা হা হা আমি বদলাই নি৷ আর আপনাকে ভালোওবাসি নি। এটা তো আমি একটু আগেই আপনাকে বললাম। এখন যান আমার জন্য খাবার নিয়ে আসুন। আমার ভীষণ খিদে পেয়েছে।
অনন্ত অহনার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মুচকি হেসে অহনার জন্য খাবার আনতে চলে গেল। অনন্ত সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে মনে বলল
–আমি এখনও জীবিত আছি আর আমি ভাবতেও পারি নি জীবিত থাকা অবস্থায় আমি তোর চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতে পাব অহনা। হ্যা তুই আমাকে ভালোবাসিস। কিন্তুু তুই তা স্বীকার করতে চাস না। কতদিন আমি বেঁচে থাকব জানি না কিন্তুু যতদিন বেঁচে আছি মরার আগে আমি তোর মুখে একবার ভালোবাসি কথাটা শুনতে চাই। জানি না তুই মুখ ফুটে কোনোদিন আমায় ভালোবাসি বলবি কিনা কিন্তুু মন জিনিসটা কিছুতেই মানতে চায় না। যে আমি ভালোবাসা বিশ্বাস করতাম না সে আমিই কিনা অহনার মুখে ভালোবাসি শুনার জন্য পাগল। নিয়তি কি আমাদের কোনোদিনও এক হতে দিবে?
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই অনন্ত অহনার জন্য খাবার নিয়ে চলে আসে। অনন্ত ঘরে এসে দেখল অহনা আবার কাঁদছে। অহনাকে কাঁদতে দেখে অনন্ত খুব রেগে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তুই আবারও কান্না শুরু করে দিলি? তোকে না আমি বললাম এভাবে কাঁদবি না।
অনন্তের ধমকে অহনা চুপ হয়ে গেল। অনন্ত হাতে প্লেট নিয়ে ভাত আর মাছ নিয়ে মেখে অহনার মুখের কাছে খাবার নিয়ে বলল
–এবার খুব বড় করে হা কর তো দেখি? ছোট করে হা করলে মার খাবি কিন্তুু৷
অনন্তের কথায় অহনা একটু হেসে চোখের জল ফেলে হা করল এবং অনন্ত অহনাকে খাইয়ে দিতে লাগল৷ খাওয়া শেষ করার পর অহনা অনন্তের কোলে শুয়ে পড়ল। অনন্ত মুচকি হেসে অহনার মাথায় হাত বুলাতে লাগল৷ অহনা অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আপনি আবার শিক্ষক জীবনে ফিরে আসুন স্যার। আপনাকে কলেজের ক্লাসে আবার আমি দেখতে চাই৷ আপনাকে ছাড়া কলেজটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে৷ আপনি আবার কলেজে ফিরে আসবেন তো স্যার?
অহনার কথায় অনন্ত থমকে যায়।



#চলবে…..

#অন্যরকম তুই💘
#পর্বঃ১৮
#লেখিকাঃDoraemon
অহনার কথার কোনো উত্তর অনন্ত দেয় নি। অনন্ত এখনো চুপ করে আছে। অনন্তের চুপ করে থাকা দেখে অহনা আবারো অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–কি হলো স্যার কিছু বলছেন না কেন? আপনি আবার আপনার শিক্ষক জগতে ফিরে আসবেন তো? আবার ফিরে আসুন না প্লিজ??
অনন্ত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তোর জন্য যে পেশাটা ছেড়েছি সেই পেশায় আমি আর ফিরে যেতে পারব না অহনা৷ আমাকে তুই জোর করিস না। আমি তোর এই কথাটা রাখতে পারব না। তোকে ভালোবেসেই আমি আমার শিক্ষক পেশাটা ছেড়েছি৷ আমি আমার ভালোবাসার অপমান করতে পারব না। আর আমি আমার কথারও খেলাপ করতে পারব না।
–কেন স্যার আমিই তো আপনাকে বলেছিলাম এই পেশাটা ছেড়ে দিতে এখন আমিই আপনাকে বলছি ফিরে আসতে তাহলে আপত্তি করছেন কেন? ফিরে আসুন না প্লিজ? এমন করছেন কেন?
অনন্ত মুচকি হেসে অহনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
–আমি চাই না তুই আবার আমার আগের রূপটা দেখে আমাকে ভয় পাস। আমার থেকে দূরে চলে যাস। আমি শিক্ষক পেশায় যাওয়া মানেই আবার তুই আমার ভয়ংকর রূপটা দেখে আমাকে ভয় পাবি৷
অহনা এবার অনন্তের কোল থেকে উঠে পড়ে সোজা অনন্তের মুখের সামনে সোজাসুজি বসল। অহনা এক দৃষ্টিতে অনন্তের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। অহনার এভাবে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে অনন্ত কিছুটা অবাক হয়।
–কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? আমি কি আগের থেকে বেশী অসুন্দর হয়ে গেছি নাকি যে এভাবে হাবলার মতো তাকিয়ে আছিস?
অনন্তের কথা শুনে অহনা অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আপনি দেখতে এত সুন্দর কেন? কি আছে আপনার মধ্যে?
অহনার কথা শুনে অনন্ত ৪২০ ভোল্টের শক খেল। অনন্ত কখনো আশা করে নি অহনাও তাকে অন্যান্য মেয়েদের মতো এমন প্রস্ন জিজ্ঞেস করবে! অনন্ত এবার ধমক দিয়ে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তোর কি মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে নাকি অহনা? কোন কথা থেকে কোন কথায় যাচ্ছিস তার কি কোনো খেয়াল আছে তোর?
–আমিতো ঠিকই বলছি। এত সুন্দর না হলেও আপনি পারতেন। এত সুন্দর ছেলে আমাকে ভালোবাসে এটা দেখতে বড্ড বেমানান লাগছে।
–অহনা তুই কি ঠিক আছিস?
–হ্যা আমি ঠিকই তো আছি৷
অনন্ত এবার রেগে অহনার দু বাহু ঝাকিয়ে চিতকার করে বলল
–তুই কি বলছিস তা কি তুই বুঝতে পারছিস অহনা?
অহনার এবার ধ্যান ফিরল। অহনা স্বাভাবিক হয়ে নিজের কথাগুলো মনে করে নিজেই লজ্জা পেতে লাগল। অহনা মনে মনে বলল
–হায় আমার কপাল! আমি এই দানবটাকে এসব বলেছি! ছিহ্ ছিহ্ ছিহ্ শেষে কিনা আমি এসব বললাম! আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এবার তো স্যার আমাকে কেটে কিমা বানিয়ে দিবে!
অনন্ত রাগী গলায় অহনাকে বলল
–তুই যেন কি বলছিলি আমি তোর সাথে বড্ড বেমানান আরো কি বলছিলি আমি এত সুন্দর কেন?
মাথাটা কি তোর মঙ্গল গ্রহে ঘুরতে গিয়েছিল অহনা?
অহনা একটা মরা মরা হাসি দিয়ে অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আই এম সরি স্যার! আমার ভুল হয়ে গেছে।
অনন্ত অহনার আরো কাছে এসে অহনার মুখের কাছে মুখ এনে অনন্ত অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তুই আমার জন্য একদম পারফেক্ট অহনা। নিজেকে ভুলেও বেমানান ভাববি না। আর আমি দেখতে সুন্দর সেটা আমি জানি এটা তোকে বিশ্লেষণ করে বলতে হবে না। আমার থেকে তুই হাজার গুণে সুন্দরী বুঝেছিস তুই?
অহনা অনন্তের কথায় অবাক সাথে ভয় পেয়ে যায়। অহনা মনে মনে বলল
–সুন্দরী তাও আবার আমি! জীবনেও কেউ আমাকে সুন্দরী বলল না। আর উনি যে কি দেখে আমায় ভালোবাসলেন একমাত্র খোদাই জানেন! পৃথিবীতে কি মেয়েদের অভাব পড়েছে শেষে কিনা আমার মতো গরীব বিশ্রী মেয়েকেই উনার পছন্দ হলো। ভাবা যায় এগুলা।
অনন্ত একটু মুচকি হেসে বলল
–ভালোবাসা এমনিতেই হয় অহনা। ভালোবাসা কোনো কিছু বিচার করে হয় না। তুই যেটা ভাবছিস তা নয়। আমি তোকে আগেও বলেছি।
অহনা চোখ বড়বড় করে মনে মনে ভাবতে লাগল
–আমার মনের কথা উনি বুঝলেন কি করে?! উনি কি শিক্ষকের সাথে সাথে জ্যোতিষীও ছিলেন নাকি!
–কি হলো আবার কোন দুনিয়ায় চলে গেলি তুই?
অহনা একটা শুকনো হাসি দিয়ে অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–স্যার আমি এই দুনিয়ায় এখনো আছি। পরকালে কিছুদিন পর চলে যাবো আরকি!
অহনার কথা শুনে অনন্ত আবার রেগে গিয়ে অহনাকে ঠাসস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। অহনা বিছানায় ছিটকে পড়ে। অহনা ভাবতেও পারে নি অনন্ত তাকে আবার মারবে। অহনা গালে হাত দিয়ে কান্না করতে থাকে। অনন্ত দাঁতে দাঁত চেপে অহনাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–তুই কি বললি তুই পরকালে চলে যাবি? তোর পরকালে চলে যাওয়ার এতই শখ!
অনন্ত অহনার কাছে এসে অহনার দু হাত বিছানায় শক্ত করে চেপে ধরে। অহনা ছুটাছুটি করার চেস্টা করছে। অহনা ভয়ে কান্না করতে করতে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
— স স্যার আমি ওই কথাটা আর কোনোদিনও বলব না। আ আমাকে এ এভাবের মতো ক্ষমা…
অহনাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে অনন্ত অহনার ঠোঁটজোড়া নিজের ঠোঁটের সাথে মিলিয়ে নেয়। অহনা অনন্তের কাছ থেকে ছুটতেও পারছে না। কারণ অনন্ত অহনার দু হাত চেপে ধরেছে। কিন্তুু অদ্ভুত বিষয় হলো অহনার ঠোঁটে কোনো ব্যথা লাগছে না। অনন্ত যখন অহনাকে ছাড়ল তখন অহনা অনন্তের কাছ থেকে দূরে সরে অন্য দিকে তাকিয়ে হাঁপাতে লাগল৷ তারপর অহনা অনন্তের দিকে তাকিয়ে চিতকার করে অনন্তকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আপনি খুব বাজে স্যার৷ খুব বাজে। অসভ্য, ইতর, বেয়াদব, ফাজিল সব আপনি। আমার সাথে আপনি সবসময় এমন কেন করেন? এজন্য আমাকে আপনি আপনার বাসায় এনেছেন? আমি আজই আপনার বাসা ছেড়ে চলে যাব। আপনার পেশা চাকরি নিয়ে আপনি জাহান্নামে যান৷ আমি আপনাকে খুব খুব খুব ঘৃণা করি।
অনন্ত অহনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে অহনা আবারো অনন্তকে বলল
–কি হলো আবার আমার দিকে অসভ্যের মতো তাকিয়ে আছেন কেন? লজ্জা করে না আপনার?
–তুই উল্টো পাল্টা কথা বললে আমার কাছ থেকে এই শাস্তিই পাবি অহনা। আর বাসা থেকে যেতে চাইলে তোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখব। যতদিন না তুই পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছিস ততদিনে তুই আমার বাড়িতে আমার ঘরেই থাকবি। তোকে এক কথা বার বার বলে আমি হয়রান হয়ে গেছি। এখন চুপচাপ ঘুমিয়ে পর।



#চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে