অনুভূতি পর্ব ৫১

0
1968

অনুভূতি
পর্ব ৫১
মিশু মনি
.
৮৪.
পূর্ব, সায়ান ও আরাফ মেঘালয়কে দেখেই ছুটে এসে বুকে জড়িয়ে ধরলো। যেন কতদিন পর প্রাণের বন্ধুকে দেখছে ওরা। তিনজনই একসাথে নানান প্রশ্ন শুরু করে দিলো।

মিশু এসে দাঁড়ালো পিছনে। পূর্ব মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “পাত্র তো এসে গেছে মহারাণী। এবার আমাদের ট্রিট দেন।”

মিশুর করুণ মুখটা একটু স্বাভাবিক হলো। ও হাসার চেষ্টা করে বললো, “দিবো দিবো। রোদকে আসতে বলোনি তুমি? ও এখনো এলো না যে?”
-“এসে যাবে। আজকে অফিস শেষ করেই আসবে। দারুণ মজা হবে মনেহচ্ছে।”

আরাফ বললো, “মজা না ছাই। বাচ্চার আকিকা আর বিয়ে দুটোই একসাথে হলে না মজা লাগত।”

সবাই হেসে উঠলো শব্দ করে। রান্নাঘর থেকে আন্টি বেরিয়ে এসেছেন সেটা কারো খেয়ালই হলোনা। আন্টিও মুচকি হেসে বললেন, “তোমরা পারোও বটে। সায়ান,ডেকোরেশনের কাজ কদ্দুর হলো?”
-“এইতো আন্টি রকেট গতিতে চলছে। আজকেই ওরা বিয়ের গেট আর বাইরের লাইট লাগানো কমপ্লিট করে ফেলবে।”
-“আর ওয়েডিং প্লানার ঠিকঠাক মত কাজ করছে তো? দেখো কালকে থেকেই কিন্তু বাসায় গেস্ট আসা শুরু করবে। আমি চাচ্ছিলাম আজকেই যদি গেটের কাজটা রেডি হতো তবে ভালো হতো। আমার ভাবি আর ভাতিজিরা সবাই অনেক দিন পর আসবে।”

সায়ান আনন্দে লাফিয়ে উঠে বললো, “আন্টির কত্তগুলা ভাতিজি গো? আমার লাইনটা এবার ঠিক হবে তো?”
আন্টি হেসে বললেন, “সে হবে আশাকরি। মেঘালয়ের কাজিনের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর তাছাড়া ওর সুন্দরী শালিকা আছে।”
সায়ান একবার মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “নাহ, বাচ্চাকাচ্চা আর পালতে পারবো না বাবাহ। নিজে হাতে মানুষ করবো,পরে সেই বাচ্চাই আমায় ফেলে বড়লোকের হাত ধরে ভেগে যাবে। গেবন শূন্য!”

মেঘালয় ও ওর বন্ধুরা মুখ টিপে হাসলো। মিশু মন খারাপ করে মাথা নিচু করে ফেললো। যদিও ওর কোনো দোষ নেই প্রয়াসের ব্যাপারে। তবুও কথাটা ওকে উদ্দেশ্য করেই ছোড়া। একটু খারাপ তো লাগবেই। মিশু খেয়াল করে দেখলো মেঘালয় টাওয়েল পড়েই সোফায় বসে আছে। ও প্রসঙ্গ বদলানোর জন্য মেঘকে বললো, “প্যান্ট পড়বা না?”

মেঘালয় তৎক্ষণাৎ জবাব দিলো, “আমি কি ন্যাংটা আছি মনেহচ্ছে?”

বলেই ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটিয়ে তুললো। ওর বন্ধুরাও মিনমিন করে হাসছে। মিশু আবারো লজ্জায় পড়ে গেলো। এখন কি ওর শুধুই লজ্জা পাওয়ার সময়? একটু একাকীভাবে মেঘালয়ের সাথে কথা বলার সুযোগ পেতো যদি। বড্ড ইচ্ছে করছে একবার সরি বলতে,সবকিছু মিটমাট করে নিতে।

মা বললেন, “তোদের সাথে থাকাটা ঠিক হবেনা। মুরুব্বি আছি এটা তোদের হুশ থাকেনা।”
পূর্ব ফাজলামি করে বললো, “আন্টি মুরুব্বি? আপনাকে মুরুব্বি মনে করার কোনো মানে হয়? কোনো এঙ্গেল থেকে কেউ মুরুব্বি বলবে? এখনো দুইবার বিয়ে দেয়া যাবে।”

আন্টি লাজুক ভঙ্গিতে হাসলেন। ছেলেগুলো ভারি দুষ্টু। এখানে আকাশ থাকলে আরো বেশি দুষ্টুমি চলতো। মেঘের বাবাটা ছেলেপেলে কাছে পেলে একেবারে বাচ্চাছেলের মতন হয়ে যায়। লোকটা একা একা অফিসে কি করছে কে জানে! উনি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ফোন করার জন্য রুমে গেলেন। বিয়ের ত্রিশ বছর পরও ভালোবাসা আর কেয়ারনেসটা ঠিক আগের মতই আছে। স্বামীর ব্যাপারে উনি অনেক বেশি দূর্বল।

আন্টি চলে যাওয়ার পর সায়ান বললো, “মেঘ,রাতে হুইস্কি চলবে?”
-” MS ড্যানিয়েল”
-“বাসায় আছে?”
-“নাহ, খাইনা অনেক দিন। শুনলাম আমার শ্বাশুরিমা আসবেন আজ বাসায়। ওনার সামনে ওসব খাওয়া টাওয়া কেমন হয়ে যায়না?”

পূর্ব বললো, “তোকে কে খেতে বলছে ব্যাংজাদা? আমরা খাবো আর তুই ইয়ে খাবি,ইয়ে।”
-“আমি আবার কিয়ে খাবো ছাগলজাদা?”

পূর্ব একটু এগিয়ে এলো মেঘালয়ের কাছাকাছি। কিন্তু কাছে এসেও জোরে জোরেই বললো, “কেন? দুধ খাবি। অতি উপাদেয় খাদ্য। তোমার এখন দুধ খাওয়ার সময় বাবু, মদ খেলে বিয়ে হয়না।”

মিশু লজ্জায় নীল হয়ে উঠলো। ওর বন্ধুরা কি সব ফাজলামো শুরু করেছে। সায়ান বললো, “বুন্দু তুমি বিল দিবা,আমরা গিলবো। তোমার এখন ওসব খাওয়ার সময় না। তুমি এখন দুধচা খাবা,দুধকফি খাবা,ছানা,মিষ্টি, মধু এইসব খাবা।”

মেঘালয় হেসে বললো, “এইগুলা কি আমি জীবনে খাইনি যে আজকে নতুন করে খেতে হবে? আর আমার কি বাড়িতে দুধ দেয়া গরু আছে যে এইসব খাবার এভেলেবল?”
-“গরু না থাকুক কিন্তু.. থাক, বাকিটা আর বললাম না। আমি ভদ্র ছেলে।”

মিশু লজ্জায় আর তাকিয়ে থাকতে পারছে না। ছেলেগুলো বড্ড অশ্লীল কথা বলে। ও রুমের দিকে যেতে লাগলো এমন সময় মেঘালয় বললো, “আমার প্যান্ট টা পড়তে হবে। একটু বাইরে যাবো। তোরা বস আমি একটু আসছি।”

ওরা বসে রইলো। মিশু মেঘালয়ের কথাটা শুনে ধীরেধীরে মেঘের রুমের দিকেই যাচ্ছে। মেঘালয় দ্রুত হেঁটে মিশুর পাশ দিয়েই রুমে চলে গেলো। যাওয়ার সময় মিশুর হাতের সাথে ওর হাত হালকাভাবে স্পর্শ করলো। শিউরে উঠলো মিশু। ক্রমশই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছে। ওর ইচ্ছে করলো মেঘালয়ের হাত টেনে ধরতে। কিন্তু মেঘালয় একটু দাঁড়ালো ও না। সোজা গিয়ে রুমে ঢুকলো।

মিশু গিয়ে দরজায় দাঁড়ালো। দেখলো মেঘ প্যান্ট পড়ছে। ও ভিতরে গিয়ে বিছানার কাছে দাঁড়িয়ে বললো, “একবার কথাও বলা যায়না আমার সাথে?”

মেঘালয় কোনো জবাব দিলো না। মিশু আবার বললো, “তুমি কোথায় ছিলে এই কটা দিন?”
– “থানচি।”

মিশু অবাক হয়ে বললো, “থানচি! তুমি আমাকে রেখে একা একা থানচি ঘুরে এলে!”
মেঘালয় জবাব দিলোনা। মিশুর বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ওর কতদিনের ইচ্ছে থানচি যাবে। সময় হয়ে ওঠেনি যাওয়ার। মেঘালয় ওকে রেখে একাই ঘুরে এলো? এতটা স্বার্থপর কবে হলো মেঘ! খুব কান্না করতে ইচ্ছে করছে ওর। হাত কচলাতে কচলাতে বললো, “নাফাখুম গিয়েছিলে?”
-“হুম”
-“আমিয়াখুম?”
-“হুম”
-“সাতভাইখুম?”
-“হুম”
-“রেমাক্রি?”
-“হুম”

মিশুর গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। গলায় কথা আটকে যাচ্ছে এসে। সাজেকের পর মেঘালয় ওকে নিয়ে শিলং আর নীলগিরি দেখিয়ে এনেছে। মেঘালয় বলেছিলো এরপর থানচি নিয়ে যাবে ওকে। সব সুন্দরেরা নাকি ওখানে লুকিয়ে বসে আছে। অথচ নিজে একা একা ঘুরে আসলো! মিশু বাম হাতের পিঠে চোখ মুছে ঢোক গিললো।

মেঘালয় একবার ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো, “এত কাগজির রস দেখিয়ে লাভ কি? শরবত বানিয়ে খাওয়ালেও ভালো লাগতো। এমনিতেই আজকে খুব গরম লাগছে। যা দেখছি তাই হট লাগছে।”

মিশু হাসবে নাকি রাগবে বুঝতে পারলো না। মেঘালয় এই কথাটা বারবার কেন বলছে? একে তো সব ঘুরে এসেছে শুনে হিংসেয় জ্বলে যাচ্ছে মিশু। তার উপর এভাবে শুধু ফাজলামো করেই যাচ্ছে। রাগ করতেও পারছে না। শুধু মুখটা করুণ করে চেয়ে আছে মেঘালয়ের দিকে।
মেঘ জামাকাপড় পড়ার পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আচড়াতে লাগলো। গুনগুন করে গানও গাইছে। মিশুর খুব কান্না পাচ্ছে। একটু কষ্ট দিয়েছে বলে কি এতগুলা কষ্ট দিতে হবে? একা একা সব সুন্দর দেখে আসলো!

মেঘালয় চুল আচড়ানোর পর ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে সোজা বেড়িয়ে গেলো রুম থেকে। মিশুর দিকে একবার তাকালো ও না। মিশুর কান্না বেড়ে গেলো আরো। ও বিছানায় শুয়ে কাঁদতে লাগলো। কাঁদতে কাঁদতে মনেমনে খুব গালি দিতে লাগলো মেঘালয়কে। একবার ওকে বললে কি এমন হতো? মিশুও সাথে গেলে সব ঝগড়া মিটমাট হয়েই যেতো। এভাবে কষ্ট দেয়ার কোনো মানে হয়!

মেঘালয় ও বন্ধুরা মিলে গিটার নিয়ে বসেছে। বারান্দায় বসে গিটারে সুর তোলার চেষ্টা করছে মেঘালয়। আর বাকিরা প্লাস্টিকের বোলের উপর ঢোল তবলা বাজাচ্ছে। পূর্ব দুটো স্টিলের বাটি দিয়ে ঝুনঝুনি বাজাচ্ছে। বাজনা শুনে মিশু আর শুয়ে থাকতে পারলো না। বিছানা থেকে উঠে এসে দাঁড়ালো বারান্দার পাশে। মেঘালয় ওর উপস্থিতি টের পেয়ে গান শুরু করলো,

“তুমি তলে তলে টেম্পু চালাও আমি করলে হরতাল,
আমি করলে হরতাল ভাইয়া,আমি করলে হরতাল,
শুধু ডাইনে বামে ঘোরাও দেইখা তিতা হইলো প্রেমের ঝাল..”

এ আবার কেমন গান! মেঘালয় গান গেয়ে চলেছে আর বন্ধুরা সাথে তাল মিলাচ্ছে। মিশুর কান্না থেমেছে ঠিকই কিন্তু গান শুনে রাগ হচ্ছে রীতিমত।

“তুমি তলে তলে ভেসপা চালাও, আমি বসলে চাক্কা টাল..
এই ভেসপা তোমার ঠেলতে ঠেলতে খইসা গেছে জুতার ছাল..
ফুল কলিরে ফুলকলি..
fool বানাইয়া কই গেলি?
গন্ধ পাইয়া টাকার নেশায় আমারে থুইয়া দৌড় দিলি..
চোখেতে ধূলা দিয়া, বড়লোক করলা বিয়া..
এই জ্বালা মিটাবো আমি ডিজে গানের বেস দিয়া….
আর বলবোওওওওওওও..
আইজ আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়া….”

মিশু রাগে ফুঁসছে আর ওর বন্ধুরা মুখ টিপে হাসছে আর গান গাইছে। এটা কোনো গান হলো? অন্যসময় গাইলে মিশু খুব এনজয় করতো ব্যাপারটা কিন্তু আজকে মোটেও নিতে পারছে না। মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ও দাঁতে দাঁত চেপে রাগে ফুঁসছে শুধু।

সায়ান মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “আপা বসেন। আপনি উপস্থাপনা করেন আমাদের সংগীতানুষ্ঠানের?”

মিশু কিছু বললো না। এসে পাশে বসে পড়লো মেঘালয়ের। মেঘালয় গান শেষ করে বললো, “আজ আমার শ্বাশুরি মা আসবে নাকি?”
মিশু বললো, “সকালের বাসে উঠেছে, রাত হয়ে যাবে আসতে।”
-“রিসিভ করতে যাবো?”

সায়ান ও আরাফ বললো, “আমরা আছি কি করতে? তোর শ্বাশুরিমা মানে আমাদের ও শ্বাশুরিমা।”
মিশু হেসে বললো, “ওরা এখানেই এসে থাকবে?”
মেঘালয় বললো, “হুম। সব আয়োজন আমাদের বাসায়। ওরা অযথা তোমার বাসায় একা একা কি করবে?”

মিশু আর কিছু বললো না। বউ এ বাড়িতেই থাকবে ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে যায়। বাবা মাকে বলেছিলো কথাটা। কিন্তু আকাশ আহমেদ বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। বিয়ে এ বাড়িতেই হবে। বউ এখানে আছে তাতে কি এসে যায়? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বউকেও ওনাদের বাসায় এনে রেখে বিয়ে পড়িয়েছে। রবী ঠাকুর এক ঘর থেকে বের হয়ে হেঁটে হেঁটে অন্য ঘরে গিয়ে বিয়ের মণ্ডপে বসেছিলেন। অত বছর আগে ওরকম করা গেলে এখনও করা যাবে। লোকজন কি বললো তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এ জন্যই প্রথমদিন বিয়ে পড়ানো হবে,আর বৌভাত হবে দ্বিতীয় দিন। যাতে করে গেস্টরা শুধুমাত্র বৌভাতেই আসতে পারেন। মিশুর বাসায় আলাদা করে আয়োজন করতে গেলে অনেক ঝামেলা কারণ ওর কেউ নেই। একমাত্র মা ও ছোটবোন ছাড়া। আয়োজন করবে কে আর সবকিছু দেখাশোনাই বা কে করবে?

মিশু তন্ময় হয়ে এসব ভাবছিলো। মেঘালয়ের ফোনে টুংটুং করে মেসেজ আসছে। মেঘালয় ফোন বের করে দেখে মিটিমিটি হাসতে লাগলো। মিশু আসার আগেই ও সায়ানকে বলেছিলো, “দোস্ত একটা আইডিতে লগিন কর তো।”
-“কার আইডি?”
-“রিমিকা আহসান।”
-“রিমিকা কে?”
-“আজ থেকে তুই রিমিকা।”
-“আমি রিমিকা মানে?”

মেঘালয় এরপর সায়ানের ফোনে রিমিকার আইডি লগ ইন কর দিয়ে কনভারসেশন দেখতে বললো। মেসেজ গুলা দেখে হো হো করে হেসে উঠলো সায়ান। মেঘ ওকে বলে দিয়েছে যেন একটু পরপর রিমিকার আইডি থেকে ওকে মেসেজ পাঠায়। সায়ান এখন সেটাই করছে। এদিকে মেঘালয় ফোন নিয়ে রিমিকার মেসেজ রিপ্লাই করছে দেখে মিশু রাগে ক্ষোভে জ্বলে যেতে লাগলো।

মেঘালয় বললো, “জ্বলে?”

সবাই হেসে উঠলো। মিশু রেগেমেগে দাঁত কিড়মিড় করতে লাগলো। মেঘালয় বললো, “হিংসে হয়? আমার মত হতে চাও?”
পূর্ব বললো, “তবে দুধ খাও।”

বলেই ওরা আবারো হেসে উঠলো। মিশুর মেজাজ গরম হয়ে গেলো। ও মেঘালয়ের হাত থেকে ফোনটা নিয়ে মেসেজ গুলা দেখতে দেখতে প্রচণ্ড রেগে গেলো। ফোনটা হাতে নিয়ে একটু সরে এসে বললো, “ফোন আর দিচ্ছিনা।”

মেঘালয় বললো, “সেকি! মেয়েটা ওয়েট করবে রিপ্লাইয়ের জন্য।”
-“নিকুচি করি তোমার রিপ্লাইয়ের। আমার সাথে কথা বলছিলে একবারও এসে?”
-“তাহলে কি আমি ভূতের সাথে কথা বললাম এসে?”
-“ভালো করে কথা বলেছিলে একবার ও?”
-“আমি কি খারাপ করে কথা বলি? সায়ান, পূর্ব তোরাই বলতো আমি কি খারাপ করে কথা বলি?”

মিশুর আরো রাগ হলো। ও রাগে গজরাতে গজরাতে সেখান থেকে চলে গেলো। মেঘালয়ের ফোনটা নিয়েই গেছে সাথে করে। সায়ান ঝোপ বুঝে কোপ মারতে লাগলো। একের পর এক মেসেজ পাঠাতে লাগলো,
“Megh biyeta ki kono vabe cancel kora jayna? ami tmk onk love kori megh. trust me”
মিশু রিপ্লাই দিলো,
” বেহায়া মেয়ে, মেসেজ দেয়া বন্ধ কর নয়তো তোর ঘাড় মটকে রক্ত খাবো মা…”

মেঘালয়ের বন্ধুরা হেসে উঠলো ওর রিপ্লাই দেখে। একজন আর.জে কে বোকা বানাতে পেরে মজা লাগছে ওদের। সায়ান আবারো লিখলো,
“joto gali dao ar jai bolo. I just love you megh. tomar biye vangar bebosta krbo ami. dorkar hle uncle k bolbo. any how I need you. I only love you.”

মিশু রিপ্লাই দিলো, “তুই গু খাইয়া মর কুত্তি,, আরেকবার মেসেজ দিকে তোর দাঁতের জায়গায় দাঁত থাকবে না।”

আবারো হেসে উঠলো সবাই। মিশু দারুণ গালি দিতে পারে তো। ওরা হাসতে হাসতে একে অপরের গায়ে ঢলে পড়তে লাগলো। মেঘালয় বললো, “সায়ান কত ধানে যেন কত চাল?”
সায়ান বললো, “যত চালে যত ময়দা…”
– “হা হা হা”

চলবে..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে