অনুভূতির সংমিশ্রণ পর্ব এক + দুই

0
3319

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(ছদ্মনাম)

পর্ব এক + দুই

?

রেষ্টুরেন্ট ভর্তি মানুষের সামনে ইমরেত ভাইয়া আমাকে ধুমাইয়া একটা থাপ্পর মেরে দিয়েছে..আমি গালে হাত দিয়ে চোখ নিচু করে দাড়িয়ে আছি,আরেক হাত দিয়ে চোখের জল মুছছি..

পুরো নাম আদ্রিশ চোধুরী ইমরেত..দেখতে মাশাল্লাহ তাদের বংশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ সাথে লম্বার দিক দিয়েও..বয়স ২৮ উনার..অলওয়েজ গম্ভীরমুখের আর ফর্মার লুখে থাকা উনার অভ্যাস..কথা এতোবেশি কম বলে যে সব কথার উনার হ্যা বা না এর মধ্যে শেষ..উনার কথার হেরফের যদি হয় উনার বাড়িতে তাহলে ত ওইদিন যুদ্ধ লেগে যায়..দেশের সফল ব্যবসায়ী+ডাক্তার হওয়ার সুবাদে তিনি বিভিন্ন বিজনেসম্যানদের কাছ থেকে তার মেয়ের জামাই হওয়ার অনেক প্রস্তাব ও পেয়েছে কিন্তু উনি মনে হয় সালমানের খানের পথ অনুসরণ করতে চান অর্থাৎ আজীবন সিঙ্গেল থাকার পণ করে বসে আছেন।।

আমি ফারাহ আক্তার নিধি..বয়স ১৯ এইবার অনার্স প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট.. আমার বাবা মায়ের সাথে গ্রামে ছিলাম..কিন্তু গ্রামে যে মেয়েরা থাকে তাদের খুব দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়..ওখানকার এক জমিদারের ছেলে রকি আমাকে একদিন স্কুল যাওয়ার পথে দেখেছিলো,সেই থেকে প্রচুর ডিস্টার্ব করতো..যেখানে সেখানে মারামারি করতো কেও আমার সাথে কথা বলতে আসলে,ওর ভয়ে কেও আমার সাথে মিশতো না..একদিন রকির বাবা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে,নাকচ করে দিতে পারছে না এই প্রস্তাব করলে আমার বাবা মায়ের গ্রামে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে তবুও বাবা না করে দিতেই জমিদার সাহেব কিছু না বলে চলে যান কিন্তু তার ছেলে রকি এসে অনেক ঝামেলা করে,নানান হুমকি দিয়ে যায়..বাবা মা উপায়ন্তর না আমাকে তার খালাতো বোনের ছেলের কাছে অর্থাৎ এই যমরাজ লোকটার কাছে ক্লাস টেনে পাঠিয়ে দেন।।

পরিচয় ত হলো..এইবার চলুন এতো সৃজনশীল থাপ্পড় খাওয়ার রিজনটাও জেনে আসি??

ফ্ল্যাশব্যাক,

ফ্রেন্ডদের সাথে কলেজ শেষে আড্ডা দিতে রেষ্টুরেন্টে এসেছি..আমরা মোট ১০ জন ছিলাম তার মধ্যে আমাদের ছেলে ফ্রেন্ড ছিলো ৪টা আর আমি সহ মেয়ে ছিলাম ৬টা..সবাই খুব মজা করতে করতে রেষ্টুরেন্টে আসছি,খাবারের টেবিলে বসে খাবার অর্ডার দিয়ে বসে আছি।।

আমি রেষ্টুরেন্টে আসলেই চাওমিন খাবোই খাবো..চাওমিন খাইয়ার জন্য আমি টাকা খরচ করি না,হেটে বাড়িতে চলে আসি..আমি চাওমিন অর্ডার দিয়ে,বাকিরা তাদের অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন গল্পগুজব করতে ব্যস্ত ছিলো..

আমি বরাবরের মতো চঞ্চল স্বভাবের মেয়ে..প্রচুর কথা বলতে ভালোবাসি তবে কেও যদি ক্লোজ হয়ে যায় তবে নাহলে আমি অপরিচিত দের কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকি।।

রেষ্টুরেন্টটা ফাইভ স্টার হওয়ার সুবাদে নামীদামী বিজনেসম্যানরা এখানে মিটিং এ আসেন..বড়লোক বাপের পোলারা ছুচকি মাইয়া পটাইয়া কেও ডেটেও আসে…কিন্তু ভাই প্রেমে পরতে পারলাম না কেন এখনো এই নিয়া আফসোস করি,তার মানে এই না যে আমার ব্যাচেলর লাইফ খুব দুঃখের..আমি আমার ব্যাচেলর লাইফ নিয়ে খুব খুশি কিন্তু আশেপাশের পুতুপুতু কোন প্রেম দেখলে মনে হতো “আজ যদি কোন বফ থাকতো”কিন্তু পরক্ষনেই ভেবে ফেলি যাক আল্লাহ বাচাইছে এমন আপদ কোন জীবনে নাই।।

ওয়েটার চাওমিন নিয়ে আসা দেখে আমি খুশিতে গদগদ হয়ে গেছি কারন চাওমিন দেখলে আমার মাথা ঠিক থাকে না তবে সবসময় না যখন ক্রেভিংস জাগে আর কি..আজ ক্রেভিংস জাগছে যে চাওমিন খাবোই খাবো।।

ওয়েটার এদিকে আসতে দেখে আমি হাত বাড়িয়ে চাওমিন নিতে যাবো ওমনে এক পিচ্চি বাচ্চা কই থেকে দৌড়িয়ে এসে আমার পায়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে নিজে ত পরছে পরছে আমারে নিয়ে পরেছে সাথে আমার চাওমিন ফালাই দিয়েছে।।

“আমার চাওমিন” নিচে বসে নিধি বললো

উপরে তাকিয়ে দেখলো স্যুট পরা এক লোকের মাথায় চাওমিন পরে গেছে..লোকটি যখন ঘুরে তাকালো,নিধির কলিজা গলার কাছে চলে আসছে..কারন,চাওমিনটা আর কারোর মাথায় না যমরাজের মাথায় থুক্কু ইমরেতের মাথায় পরেছে..

নিধিকে তার ফ্রেন্ড শামীম তুলে উঠালো..নিধি উঠে দাড়িয়ে পরলেও চলার শক্তি নাই..ইমরেতের চোখে দিয়া মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে..সামনে এসে নিধিকে এক থাপ্পড় দিলো..ব্যস পুরা রেষ্টুরেন্টের মানুষ ফ্রিতে সিনেমা দেখে নিলো।।?

বর্তমান,

এইটা হলো আমার থাপ্পড় খাওয়ার কাহিনী..বাপ মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ার সুবাদে কখন জীবনে মার খাওয়ার সুযোগ হয় নি..কিন্তু যেদিন থেকে ওদের বাড়িতে এসেছি কখনো সোজা মুখে এই কুমড়াপটাশ আমার সাথে কথা বলে নি..অলওয়েজ রেগে রেগে কথা বলে মনে হয় ওর কোন পাকাধানে মই দিয়েছি আমি?

একে ত থাপ্পড় খাওয়ার জন্য গালটা ভীষণ জ্বলছে কান্না আসছে খুব,কেদেও যাচ্ছি চোখ ও মুছছি আবার চাওমিন আমার পরে গিয়েছে দেখে আরো ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতে লেগেছি?

চলবে?

অনুভূতির সংমিশ্রণ?

তৃধা মোহিনী(ছদ্মনাম)

পর্ব দুই

?

বাসায় আসছে নিধি কিন্তু ভিতরটা ধুকপুক করছে ভীষনভাবে কারন মার খেয়েছে বাইরে ঠিকই কিন্তু বাড়ি ত উনারই, আবারো যদি থাপ্পড় মারে??

থাপ্পড়ের কথা মনে হতেই অটোমেটিক গালে হাত চলে গেলো নিধির..কোনরকমে ভিতরে আসলো সে।।

পিছন দিক থেকে দুইটা পিচ্চি হাত নিধির কোমর ধরে বললো,”ফুপি ধরে ফেলেছি”?

নিধি ফিক করে হেসে দিয়ে বললো,”কে এমন দুঃসাহস করলো”?

“আমি এই বাড়ির রাজকন্যা ” বলেই সামনে এসে নিজের দুই হাত কোমরে রেখে বললো।।

নিধি বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে এই পাক দিয়ে বললো,”কেমন আছে আমার রাজকন্যা?? ”

“হুহ??বলবো কেন??সকালে না দেখা দিয়ে তুমি চলে গিয়েছিলেন কেন?” পিচ্চি বলে উঠলো

“সরি পরি!!আমি আসলে যখন তোমার ঘরে যায়,তখন তুমি ঘুমিয়েছিলে..তাই আমি না ডেকে চলে আসি” নিধি মাসুমের মতো মুখ করে বললো।।

“আচ্ছা আচ্ছা থাক আর আমাকে ইমোজির মতো ব্ল্যাকমেইল হবে না” পিচ্চিটা বললো

“ইমোজি আবার কি??” নিধি অবাক হয়ে বলে উঠলো

“ও মা তুমি ইমোজি চিনো না??মা যখন রাগ করে বাবা তখন এইভাবে ইমোজির মতো ব্ল্যাক মেইল করে” পিচ্চি বললো

এতোক্ষনে নিধি বুঝতে পারলো ও কিসের কথা বলছে।।

“মামুনি ওটা ইমোজি না ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল হবে” মাথায় হাত দিয়ে।।

“ওই হলো ব্ল্যাকমেইল আছে ত নাকি” মুখ ভেংচিয়ে বললো পিচ্চি

“মাহিইই” পিছন থেকে ডাক পরলো

পিচ্চি অর্থাৎ মাহি আমার জামার পিছনে লুকিয়ে পরলো আর বললো,
“প্লিজ ফুপি বাচাও?”

সামনে এসে ২৮ বছর বয়সী নারী আসলো..ইনি হলেন ভাবী অর্থাৎ ইমরেতে ভাইয়ারর ভাবী,মেহবুব ভাইয়ার বউ..ইমরেত ভাইয়ারা দুই ভাই..বড়টার বউ হচ্ছে মেহবুব ভাই..মেহবুব ভাইয়ের বউয়ের নাম স্মৃতি ভাবী..ভীষনভাবে ভালো উনি

“এই নিধি মাহিকে কে দেখছো??নুডুলসের প্যাকেট খুলে গার্ডেনে যেয়ে ছড়িয়ে আসছে..আজ ওর একদিন কি আমার একদিন”ভাবী বলে উঠলো

নিধি কিছু বলতে যাবে তার আগেই ভাবী খপ করে মাহির হাত সামনে টেনে নিয়ে আসলো।।

রাগী চোখে মেয়ের দিকে তাকালে,মাহি টুপ করে তার মায়ের গালে চুমু খেয়ে বললো,” সরি মা”

এরকম কাজ করলে কেও কি আর রেগে থাকতে পারে??স্মৃতি ভাবী ও হেসে দিলো।।

মায়ের হাসি দেখে মাহি এক দৌড় দিলো।।

“আরেহ!!আস্তে বাবা” স্মৃতি বললো।।

নিধি মা মেয়ের মুহূর্ত উপভোগ করছিলো..ইশ সে যখন গ্রামে থাকতো তার মায়ের সাথে কতোই না দুষ্টামি করতো?

“তুমি ওমন গালে হাত দিয়ে আছো কেন??” স্মৃতি ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো।।

নিধি কি বলবে বুঝতে পারছে না,ভ্যাবাচেকা খেয়ে বসে আছে আর বলবেই বা কি যা তার গুনধর দেবর সামনে থাপ্পড় মেরেছে??

“ইয়ে মানে আজ র‍্যাগ ছিলো কলেজে,কাকে র‍্যাগ দিছিলো কে জানে থাপ্পড় আমি খেয়েছি” নিধি ইনিয়ে বিনিয়ে বলে উঠলো

স্মৃতি গালের হাত সরিয়ে দেখলো,পাঁচটা আঙ্গুলের দাগ একদম বসে গেছে,ফর্সা মুখে মনে হচ্ছে লাল রক্ত জমাট বেধে গেছে।।

“একি!!কত জোড়ে মেরেছে তোমাকে??পুরা গালের কি অবস্থা” স্মৃতি আতকে উঠে বললো।।

“আজ তোমার ভাইয়া আসুক..কোন বেয়াদবের দল এই হাল করেছে,ভার্সিটি যেয়ে সব কয়টার খবর নিতে বলবো” স্মৃতি ভাবী রেগে গিয়ে কথাগুলো বললো।।

তারপর আমার হাত টানতে টানতে ডাইনিং এর চেয়ারে বসিয়ে আইসপ্যাক ধরে থাকলো..আসলে ভাবী আমাকে প্রচুর ভালোবাসে..আমার সব প্রয়োজন উনি এক নিমিষে বুঝে যান..ক্লাস টেন থেকে আছি এই বাসাই কিন্তু উনি আমার মায়ের মতোন সব জিনিসের খেয়াল রাখে..আসলে মেহবুব ভাইয়া আর ইমরেত ভাইয়ার মা বাবা মারা যাওয়ার পর স্মৃতি ভাবী সংসার টা সামলে রেখেছে..এতো নামীদামি মানুষ হয়েও এক চুল পরিমাণ অহংকার নেই..এমনকি স্মৃতি ভাবীর ফ্যামিলি ও অবেক হাই ক্লাস,কিন্তু তাদের পিতামাতার মন একদম পানির মতো পরিষ্কার কোন ভেজাল নেই।।

রাতেরবেলা,

ইমরেত হসপিটালের ডিউটি সেরে বাসায় আসছে..মেহবুব ভাই ও অফিস থেকে ফিরে এসেছে..মাহি বসে আছে আর সবার জন্য অপেক্ষা করছে।।

ফ্রেশ হয়ে দুই ভাই নামলো..স্মৃতি খাবার সার্ভ করছে,যে যার চেয়ারে অবস্থান করলো।।

“নিধি কই?” মেহবুব দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করে বসলো।।

“নিধির খুব জ্বর,আমি খাবার খাইয়ে ওষুধ খাওয়াইয়ে আসছি” স্মৃতি বললো।।

“সেকি!!জ্বর হলো কিভাবে??” মেহবুক অবাক হয়ে বললো।।

“মার খেয়ে জ্বর আসছে” স্মৃতি বললো

“কে মেরেছে???”মেহবুক একটু মৃদু চিৎকার দিয়ে বললো।।

” আমি মেরেছি” ইমরেত গম্ভীরমুখে হয়ে বললো

আর কি বলবে দুজন চুপ হয়ে থাকলো..কারন,ইমরেত শাসন করে নিধিকে একটু বেশিই?

“কেন মেরেছো ফুপি কে তুমি??” মাহি চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো

“কারন,তোমার ফুপি ভুল করেছে..এখন কথা না বলে চুপচাপ খাও?” ইমরেত খাবার মুখে গুজে দিয়ে বললো।।

মাহি মুখ ভেঙচি দিয়ে তার মায়ের হাত থেকে খাবার খাচ্ছে।।

গভীর রাতে নিধির মনে হলো তার গালে কেও হাত বুলিয়ে নরম স্পর্শ পাচ্ছে কিন্তু জ্বরের জন্য চোখ খুলতে পারছে না সে..জোর দিয়ে যখন চোখ খুললো অন্ধকার ঘরে কিছুই দেখতে পেলো না..ঘরের দরজা ও ত লক করা কে বা আসবে??

“আপনি খুব খারাপ ইমরেত ভাইয়া..আপনার হাতের মার খাওয়ার জন্য আমি জ্বরে ভুগতেছি দেইখেন আপনার বউ হবে যখন ওর হাতে মার খেয়ে আপনিও জ্বরে ভুগবেন?” নিধি জ্বরের ঘোরে বিড়বিড় করে বলছে

নিধির জ্বরের ঘোরে বিড়বিড় বলাটা কারো কানে যেতেই ব্যক্তিটি অন্ধকারে মধ্যেই বাকা হাসি দিলো।।

সকালবেলা,

নিধির ঘুম ভাঙলো বেলা বারোটা জ্বর কমলেও শরীরের দূর্বলতা এখনো যায় নাই..মনে হচ্ছে কতই না চালের বস্তা তুলেছে যে শরীরটা ভার হয়ে আছে।।

ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো..স্মৃতি ভাবী বসে বসে কাজ দেখিয়ে দিচ্ছে নতুন মালীদের,পুরোনো মালি চলে গিয়েছে বয়স হওয়ার কারনে আর পারছে না কাজ করতে এইজন্য।।

“তুমি ডাইনিং যাও, আমি আসছি” স্মৃতি ভাবী বললো

নিধি মাথা নাড়িয়ে চলে গেলো।।

কিছুক্ষন বাদে সামনে পরোটা দিলো ভাবী কিন্ত মুখে দিতেই তিতা লাগলো..মনে হয় জ্বরের মুখে এইজন্য..

খেতে পারলাম না তখন ভাবী স্যুপ করে দিলো।।

মাহিও স্কুলে গেছে নইত ওর সাথে মজা করা যেতো।।

কল বাজছে, দেখলাম শামীম ফোন দিয়েছে।।

“বল” নিধি বললো

“আসিস নি যে কলেজ??” শামীম বললো

“জ্বর হয়েছে রে এইজন্য আসে নি” নিধি ক্ষীন কন্ঠে বলে উঠলো

এদিকে একটা আননোন নাম্বার থেকে নিধির ফোনে কল এসেই চলছে..নিধি দেখেও এভোয়েড করলো,যেহেতু চিনে না দেখেও কি হবে।।

বেশকিছুক্ষন কথোপকথন চললো।।

যে ব্যক্তিটি ফোন দিয়ে বারবার ওয়েটিং পাচ্ছিলো সে রাগে স্বজোরে গ্লাস ভেঙে ফেললো।।

সন্ধ্যাবেলা,

নিধি আরামসে শুয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে,নিউজফিডে এটা সেটা ফানি ভিডিও দেখছে আর হাসছে একটু পর পর।।

ইমরেত নিধির রুমে এসে যখন দেখলো নিধি ফোনে কি দেখছে আর হাসছে তখন নিধির কাছে এসে ফোনটা নিয়ে স্বজোরে ফেলে টুকরো টুকরো করে দিলো।।

“আল্লাহ আমার ফোন?” নিধি তড়িঘড়ি ফোন তুলতে গেলে ইমরেত হ্যাচকা টান দিলো।।

“যেহেতু কাজের সময় তোমাকে পাওয়া যায় না,ফোন ও তোমার কাছে থাকবে না” ইমরেত দাত চেপে কথাগুলো বলে হনহন করে বেরিয়ে পরলো।।

নিধির চোখে জল এসে গেছে..কেন তাকে দেখতে পারে না এই লোক??কি করেছে সে তার??

ভাঙা ফোন হাতে নিয়ে বসে বসে কাদছে নিধি।।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে