অধিকার পর্ব-০৪

0
3603

#অধিকার
#চতুর্থ_প্রহর
#লিখাঃ #Yasira_Abisha (#Fatha)

আমি মানুষ চিনতে কাচা হলে ও,, এই মেয়েটার একটা জিনিস মনে হয় বুঝতে পারছি,, সে ভিষণ পরিমাণে আহ্লাদী। তার কথা বলা, আচার আচরণে, ভাব ভংগিমায় তা স্পষ্ট ভাবেই ফুটে উঠেছে। বেশ করে তার বর্তমান আচরণ গুলো দেখলে যে কেউ এটা বলতে বাধ্য হবে,,
.
ইরাদ- দুপুরে খেয়েছেন?
ঘুমো ঘুমো কন্ঠে উত্তর দিলো,
রুহি- উহুম।
-ঠিক বুঝতে পারছি না।
-দুপুরে খাইনিইইইইইই
-কেন?
-ঘুমি দিবো তাই
-খেয়ে ঘুমান।
-উহুম,পরে খাবো। ঘুমাই ইট্টু খানি,,
এই বলেই মেয়েটা আবার ব্ল্যাংকেট মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পরলো,,
আমি ঘর থেকে বেড় হয়ে গেলাম, একটু হাসি পেলো তার এমন কান্ড দেখে।

.

আমার ঘরে এসে শুয়ে আছি,, খুব ইচ্ছে করছে মাহিরাকে দেখতে। কিন্তু সে যেদিন ডিভোর্স পেপারস দিয়েছিলো সেদিন আমি এতটাই ভেঙে পরেছিলাম যে আত্নহত্যার মত জঘন্যতম অপরাধ ও করতে চলে গিয়েছিলাম। তখন যদি আব্দুল্লাহ দাদাভাই আর সুরাইয়া দাদু উপস্থিত না থাকতেন বাসায়,, তাহলে হয়তো আমি মরেই যেতাম।
সেদিনই তারা মাহিরার সব গুলো ছবি তুলে স্টোর রুমে রেখে দিয়েছিলো,, আর আমার মোবাইল থেকেও সব ডিলিট করিয়ে দিয়েছিলো। আমি পাগলের মত হাউমাউ করে শুধু কেদেছিলাম। কলিজাটা ফেটে যাচ্ছিলো আমার।
আচ্ছা ভালোবাসার মানুষ হারালে কি অনেক কষ্ট হয়? নাকি আমারই এমন লাগে?
এর থেকে কি মরে গেলে কষ্ট কম লাগে?
এখন অনেক বেশি খারাপ লাগছে এখন,
কত দিন হয়ে গেলো মাহিরার ঘুমন্ত মুখটা দেখিনা.. কত দিন হয়ে গেলো মাহিরার সাথে কথা হয়না..
আচ্ছা আমি কি আর কোনোদিন মাহিরার ঘুমন্ত মুখটা দেখতে পারবো না??
কখনো কি আমরা আর একসাথে পাশাপাশি বসে একান্ত সময় কাটাতে পারবো না??
কিন্তু আমিতো এখন আর তার আপন না। সে তো আর আমার কেউ না। আমি তার জন্য পরপুরুষ। সে আমার জন্য পরনারী। আমরা অনেক অনেক দূরের। আর কখনো এই জনমে আমরা এক হতে পারবো না। আচ্ছা আমার মধ্যে কি সমস্যা ছিলো?? আমি বাবা হতে পারবো না এটা জানার আগেই আমার বউটা আমাকে রেখে অন্য জনকে তার মন দিয়ে ফেলেছিল..
হয়তো আমি যে তাকে কতটা ভালোবাসি এটা বুঝাতেই পারিনি।
হয়তো তামিম আমার চেয়ে বেশি তাকে বুঝতে পারে।
কিন্তু আমি জানি, আমার থেকে বেশি তামিম তাকে ভালোবাসতে পারেনা। কারণ আমার ভালোবাসা ছিলো সবার মত ছিলো না। আমার ভালোবাসা ছিলো নিখাঁদ। আমি চাই মাহিরা সুখী হোক।
আমার মন থেকে তাকে আমি আজও বেড় করতে পারছিনা। যদিও আমি জানি সে আমাকে ধোকা দিয়েছে। আমার তাকে ভালোবাসা উচিত না।

আচ্ছা আমি কি একবার তাকে একটা ফেইক আইডি খুলে দেখবো? আমার যে অনেক দেখতে ইচ্ছা করছে ওকে..
একবার দেখতে তো ক্ষতি নেই।
নাকি আমার অবস্থা এমন হয়ে যাবে যে দেখলে আবার তার কন্ঠ শুনতে ইচ্ছা করবে?
তখন কি করবো? আমি এই ৩ মাসে একটা বার ও তো মাহিরার সাথে কথা বলিনি অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। এমন করলে আমার হবেনা। নিজেকে বুঝিয়ে রাখতেই হবে। মনটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে,,
পুরুষ মানুষের তো কাদতে হয়না, আমিও কাদবো না,, তবে ২দিন ধরে যে ব্যাস্ততা ভর করেছে তা আমার জন্য ভালো হয়েছে।

.

কখন যেন ঘুমিয়ে পরেছি আমার খেয়াল আসছে না,, মাত্র চোখ খুললাম।
ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি রাত ৯টা বাজে।
মেয়েটা খেয়েছে কি না কে জানে? একবার দেখে আসি,, অসুস্থ মানুষ।
নিচে এসে তার ঘরের দিকে পা বাড়াতেই দেখি সে তার বেডরুমে বসে নামাজ পড়ছে,,
কি নিষ্পাপ দেখাচ্ছে! হু হু করে মোনাজাতের সময় কি যে কান্না করছে,, একদম কাল রাতের মত কান্না,,
মনে হচ্ছে তার মনেও না বলা একটা কষ্ট আছে, না বলা অভিযোগ নিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়েছে,,
তার মনেও একটা ঝড় আছে, যেই ঝড়কে সে কোনো মতে দমিয়ে রেখেছে।
নামাজ শেষ করে সে চোখ মুখ মুছে উঠে আমার সাথে চোখাচোখি হতেই মিষ্টি একটা হাসি দিলো, মনে হলো এইমাত্র একটা হাসির মুখোশ সে পরে নিলো।
আমি তাকিয়ে বললাম
– ওড়না দিয়ে কেন নামাজ পড়লেন?
ওয়ারড্রোবের ২য় ড্রওয়ারেই জায়নামাজ আছে।
-জ্বি, আমি জানতাম না তাই।
-আচ্ছা, দুপুরে তো খান নি?
-ওপস, আমি ভুলেই গিয়েছিলাম খাওয়ার কথা।
-মানুষ খাওয়ার কথা ও ভুলে যায়?
-হুম, অনেক সময় মানুষ নিজের অসত্বিত্ত ও ভুলে যায়। সেই তুলনায় খাওয়ার কথা ভুলে যাওয়া বড় ব্যাপার না।
কথাটা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো সে।
আসলেও তো কথা টা ঠিক। আমি তো নিজেই ভুক্তভোগী।
তারপর আমাকে আবার কিছু বলতে না দিয়ে সে নিজেই বলল
-চলুন এখন খেতে আসেন।
অনেক দেরী হয়ে গেছে।
দুপুরে তো ঠিক মত খান নি।
আর আমিই বা যা দিয়েছি
এও কোনো খাবার দুপুরের??
এর মধ্যে আবার অর্ধেক খেয়েছেন.. টিফিন বক্স দেখে তো আমার একদম রাগই লাগছিলো। কিন্তু কি করার?
তখন তো আপনি ঘুমি দিচ্ছিলেন,,

এত গুলো কথা বলতে বলতে সে আমার আগে আগে ডাইনিং এ চলে এসেছে।
আমি মুচকি হাসছি।
তার কথা শুনে,, যে কোনো মানুষের মায়া কাজ করবে,,
আমার যথেষ্ট কিউট লাগছে একে।
ইশারা দিয়ে আমাকে টেবিলে বসতে বলে প্লেটে খাবার বেড়ে দিচ্ছে।
ইরাদ- অপনি বসুন।
রুহি- আপনি শেষ করুন তারপর খাই, আপনি আমাকে থাকতে দিয়েছেন আপনার বাসায়। এখন যদি আমি ঠিক মত আপনার যত্ন না করি কি ভাবে হবে? নাহ এমন করলে তো চলবে না।
-রুহি,, শুনুন,, খেতে বসুন।
– হ্যাঁ আগে আপনি খান,,
এবার আমি উঠে দাঁড়িয়ে সোজা রুহিকে একটানে চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে বললাম
-চুপ,, একদম চুপ একটা কথা বলবেন না আর।
আমি অসুস্থ না, আপনি অসুস্থ আর আগে আপনি খেয়ে নেবেন এখন। তারপর মেডিসিন নিবেন এরপর আমি খাচ্ছি। আর একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো? আপনি খান নি কেন কিছু এখনো?
আর আপনি অসুস্থ, সময় মত না খেলে হবেনা।
সে অসহায় হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, চোখে একদম পানি চলে এসেছে।
তবুও খাচ্ছেনা।
এবার আমি আর কড়া কন্ঠে কথা বললাম না
আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম
-কি হয়েছে, কাদছেন কেন? আমাকে বলুন।
-আমি আসলে নিজের হাতে খেতে পারিনা। ভালো লাগেনা। তাই খিদে পাচ্ছিলো না আর একা একা খাওয়ার অভ্যাস ও তো নেই আমার এইজন্য।
কথা গুলো বলেই বাচ্চাদের মত ঠোঁট উল্টিয়ে কান্না শুরু করে দিলো সে।
– আরে আরে কাদছেন কেনো? সরি সরি। আমি তো জানতাম না।
দেখি কোনো ভাবেই সে কান্না থামাচ্ছেনা। মনে হচ্ছে পুরোনো কোনো স্মৃতি মনে পরে গেছে তার।
তাই আমি একটু ইতস্তত বোধ করলেও ভাত মেখে নিজ হাতে তার মুখের সামনে তুলে ধরলাম।
-হা করুন।
সে আমার দিকে প্রশ্ন বোধক নজরে তাকিয়ে থেকে হা করলো।
তারপর তাকে খাওয়াতে খাওয়াতে একপর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম
-আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
মুহুর্তেই তার চেহারা আবার ম্লান হয়ে গেলো,,
যেন তাকে এই প্রশ্ন টা জ্বরের থেকে বেশি কাবু করে ফেলেছে,,
আমি নিজেই বোকা হয়ে গেলাম তাকে কথাটা জিজ্ঞেস করে,,
কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে থেকে সে আমাকে বললো
-আমাকে এসব জিজ্ঞেস করবেন না প্লিজ।
আমি কিছু বলতে বা মনে করতে চাইনা।
তার আওয়াজে ফুটে উঠলো তার মনের বেদনা।
তাকে খাওয়ানোর পরে ঔষধ খাইয়ে আমার সামনে বসিয়ে রেখে আমিও খেয়ে নিলাম।
মেয়েটা চুপচাপ বসে আছে।
মাঝে শুধু একটা প্রশ্ন করলো আমাকে
-আচ্ছা আপনার পরিবারে কে কে আছেন?
-আমার কেউ নেই আমি একা।
তার পর থেকে আবারও পিন ড্রপ সাইলেন্স।

এদিকে রুহিকে যখন ইরাদ খাইয়ে দিয়েছিলো তখন সে ভালোভাবে ইরাদকে দেখেছে,, এর আগে ওত ভালোভাবে রুহির ওকে দেখা হয়নি,,
বেশ করে ইরাদের খাওয়ার সময়ও সে ইরাদের দিকে ভালো মত তাকিয়ে ছিলো,, যেন খুটিয়ে খুটিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলো।
খাওয়া শেষে ইরাদের কড়া নির্দেশ রুহি চুপচাপ বসে থাকবে চেয়ারে আর ইরাদ নিজে সব কিচেনে রেখে আসবে। যেই কথা সেই কাজই হলো।
রুহি চুপচাপ লক্ষি মেয়ের মত সব শুনলো,,
আর তা ছাড়া কাল তো বুয়ার ও ছুটি শেষ তাই কাজের চাপ ও নেই একদমই।
রাতে খাওয়া শেষে যে যে তার রুমে চলে এসেছে।
সারা বাড়িতে ২ জন মাত্র মানুষ কিন্তু কারো চোখেই ঘুম নেই, ঘড়ির কাটায় ১০ঃ৩০ টার মত বেজে গেছে।
২জনই একে অপরের কথা ভাবছে,, না চাইতেও কি যেন তাদের একে অপরের কথা ভাবাচ্ছে,,

এদিকে আকাশ আজকে স্বচ্ছ, চাঁদ আজকে ঝকমক করছে,, আলোতে মুখোরিত চারিদিক।
রুহি ব্যালকনিতে এসে দাঁড়িয়েছে শো শো বাতাস বইছে,,
সে ভাবছে ছেলেটা অনেক গম্ভীরমুখো,,, কিন্তু হলেও মনের দিক দিয়ে অনেক ভালো,, তা নাহলে তার সাথে পরিচয় না থাকা স্বত্তেও থাকতে দিয়েছে,, এত যত্ন করছে। আজকালের দিনে এমন লোক হয়?
অজানা অচেনা কারো জন্য এতটা করে?
তবে এত সুন্দর ছেলেটা ,,বড় বড় চোখ, মুক্তোর মতো মানিক, সরু নাক, সুন্দর কালো চুল- ব্যাক ব্রাশ করা, জীম করা ফিগার,, ফর্সা, বেশ করে একটু রাগলে আরো আকর্ষণীয় দেখায়। আর তার,, কি সুন্দর মুচকি হাসি,, দেখলে দেখতেই ইচ্ছে করার মতন,, আচ্ছা তাকে প্রাণ খুলে হাসলে কেমন লাগবে?? ভালোই লাগবে মনে হয়?
হ্যাঁ তা তো লাগবেই। কিন্তু কেন সে এত ম্লান থাকে?
কেনই বা সে এতটা গম্ভীর হয়ে থাকে?কোনো বড় কারণ কি আছে এর পেছনে? মন বলছে হ্যাঁ। কারণ এত ভালো মনের মানুষ কখনো এতটা গম্ভীর হয়না,,
তার কি মনে কোনো কষ্ট আছে? যা সে নিজের মত করে চেপে রেখেছে? একা একটা মানুষ উনি। মনে অনেক কষ্ট জমা থাকতেই পারে।
আচ্ছা যেই মানুষটা আমার জন্য এত করছে আমার কি উচিত তার মনটা ভালো রাখার? হ্যাঁ আমার মনে হয় উচিত।
রুহি নিজের সাথে প্রায় এভাবে কথা বলে। আজও বললো।

ইরাদের আজ রাতেও ঘুম নেই চোখে কিন্তু আজ সে পুরোনো স্মৃতি মন্থন করছেনা,,
বরং ভাবছে রুহির কথা,,
-মেয়েটার জীবনে কোনো বড় ধরনের কষ্ট আছে,, যা ইরাদ ভালোভাবেই বুঝেছে কিন্তু তার একটা বাচ্চা বাচ্চা মন আছে,, এই মনটা কি মরে যেতে দেওয়া উচিত? ইরাদের ইচ্ছে করছেনা। কারন মেয়েটা কাল থেকে এসে কত কিছু করছে এই অসুস্থ শরীর নিয়েও। তার কতটা কৃতজ্ঞতা বোধ কাজ করে মনে। ইরাদ তো তেমন কিছুই করেনি তার জন্যে তারপরেও মেয়েটা কত লক্ষি,, বেশ করে তার আচার আচরণ কতটা ভদ্র। ছোটদের মত ছলা কলা করে । এই মেয়েটার মনে কষ্ট না থাকলে সে অনেক ভালো থাকতে পারতো,, আর এরকম একটা মানুষের দরকার অনেক এই কঠিন দুনিয়ায়। যে কালো অন্ধকারের মাঝেও নিজের স্বচ্ছতা দিয়ে আলোকিত করে তুলবে,, এবং একজন্য তাকে মন খুলে বাচতে দিতে হবে তো। আর এই সুখ টুকু ইরাদের মনে হচ্ছে দেওয়া উচিত,, কারণ ইরাদের বিরান মরুভূমির মতো জীবনের মধ্যে মেয়েটা একটা ঠান্ডা সাগর হয়ে এসেছে,, তার হাসি দেখলে একটা তৃপ্তি কাজ করে ইরাদের,, কাঠ ফাটা রোদে একটা ছায়ার মত লাগে মেয়েটাকে,, যে ৩ মাসে একটাবার ও হাসেনি তাকে একটু হাসাতে পেরেছে মেয়েটা তার আচরণের মাধ্যমে, এই কথা গুলো মনের কোনে উঁকি দিচ্ছে ইরাদের কারণ কথা গুলো তো অস্বিকার করার মত না,, আর যেই জীবনের বাচার কোনো অবলম্বন নেই সে কি পারে না একজনের সাহারা হতে? আর এই মানুষটা শান্তিপূর্ণ করে ফেলে আশপাশ শুধু মাত্র নিজের উপস্থিতির মাধ্যমে।
আমার জীবনের তো কোনো গতি নেই তবে একটা নিষ্পাপ মনের মেয়েকে ভালো রাখার জন্য আমার যা যা করা দরকার আমি আমার সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করে যাবো,,
নাই বা থাকলো কোনো অধিকার,, নাই বা হলাম আপন কেউ, নাই বা কোনো সম্পর্ক হলো আমাদের কিন্তু অধিকারের আশা না করেই তার ভালো রাখার একটা কারণ হতে চাই, পবিত্র একটা কারণ। এই সিদ্ধান্ত আজ ইরাদ নিয়ে ফেললো।

কালকে পর্যন্ত দুইটা অচেনা মানুষ আজকে নিজেদের ভালো রাখার কথা ভাবছে। নতুন দিনের সূচনায় তারা নিজেদের ভালো থাকা আর একজনের মধ্যে খুঁজে বেড় করবে। কিন্তু কোনো অধিকারের আশায় না। অধিকারবিহীন একটা সুখ নিয়ে আসতে চাচ্ছে ২টা মনভাঙা মানুষ একে অপরের জন্য শুধু একটু ভালো থাকার আশায়। ঘন কালো মেঘের মাঝে এক চিলতে সোনালী ঝিকিমিকি রোদ এনে দেওয়ার আশায়।

(অধিকারের আসল প্লট এখনো শুরু হয়নি পুরোপুরি,, মাত্র তো ইরাদ রুহি নিজেদের নিয়ে ভাবা শুরু করছে,, টান অনুভব করছে,, সামনে আরো অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে