EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার পর্ব-০২

0
3778

# EX গার্লফ্রেন্ড যখন পুলিশ অফিসার ?
# লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
# পর্বঃ ২য়

সেই লোকটা আর কেউ নয় লোকটা হলো আমার মামা। মামা আমার কাছে আসতেই আমি সামিয়ার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলাম।

মামা আমার কাছে এসে আমাকে দেখার পর পিছনে ফিরে সামিয়ার কাছে যায়ে গম্ভীর গলায় বললেনঃ ওর দোস কী? ওকে বেধে রেখেছেন কেন?

সামিয়া আমতা আমতা করে বললোঃ আসলে স্যার এই ছেলেটা এই মেয়েকে ( নীলিমাকে দেখিয়ে দিয়ে) জোর করে তুলে নিয়ে যায়ে ওর বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়েছে।

মামাঃ জাস্ট সেটাপ আপনি কী জানেন এই ছেলে কে?

সামিয়া অবাক হয়ে বললোঃ না স্যার।

মামাঃ এটা হলো আমার ছেলে সাহিদ হাসান সাহি। আর ওর দোষ কী জানেন? দোষটা হলো, সে এই মেয়েটা কে তার বন্ধুর সাথে বিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করা থেকে বাঁচিয়েছে। আর তাকেই আপনারা বেঁধে রেখেছেন।( প্রচন্ড রেগে)

সামিয়া মাথা নিচু করে বললোঃ সরি স্যার আমরা বুঝতে পারিনি।
কনেস্টেবল ওনাকে ছেড়ে দিন।

এরপরে কনেস্টেবল এসে আমার রশি গুলো খুলে দিলেন।

মামার ফোনে একটা কল আসাই তিনি একটু সাইটে গেলো। আর আমি আমার বন্ধুদের জন্য মানে রাফি, নীলিমা, সিফাত,মিমি আর নীলিমার ফ্রেন্ড এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তবে আমি থানার মধ্যে একটা রুমে বসে আছি। মানে সামিয়ার কেবিনের সামনে বসে আছি। একটু পরে আমার ফ্রেন্ডদের অন্য একটা রুম থেকে বের করে নিয়ে আনলো। আমি বসা থেকে উঠতেই দেখি নীলিমার বাবা নজরুল চৌধুরী থানায় প্রবেশ করলো। আমাদের এই অবস্থা দেখে তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন। তিনি ভেবেছিলেন আমাদের আটকে রাখা হবে আর তিনি এসে আমাদের ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু না তিনি এসে আমাদের তার ভাবনার বিপরীত অবস্থায় পেলেন।

নজরুল চৌধুরী রেগে যায়ে সামিয়া কে বললেনঃ কী হলো ম্যাম আপনি এদেরকে ছেড়ে দিয়েছেন কেন?

সামিয়াঃ মানে,,

নজরুল চৌধুরীঃ কি মানে মানে করতেছেন? আমার মেয়েকে যারা জোর করে একজন ফকিরের বাচ্চার সাথে বিয়ে দিয়েছে আর তাদেরকেই আপনারা ছেড়ে দিয়েছেন।

নীলিমার বাবার কথা শুনে মেজাজ টা বিগড়ে গেলো। যা বলার আমাদের বলবে কিন্তু বাবা মাকে নিয়ে কথা বলায় রাগ উঠলো। কিন্তু নিজেকে ঠান্ডা রাখলাম।

হঠাৎ মামা পিছন থেকে রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললঃ মানে টা নাহয় আমিই বলতেছি মিস্টার নজরুল চৌধুরী।

নীলিমার বাবা মামাকে দেখে বললোঃ আরে স্যার আপনি এখানে? এসেছেন ভালো করেছেন। এই ছেলেগুলো আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে এসে জোর করে বিয়ে দিয়েছে।

নীলিমার বাবার কথা শুনে নীলিমা বললঃ না স্যার আমাকে কেউ জোর করে বিয়ে করে নি বা দেয় নি। আমি নিজ ইচ্ছায় করেছি।

নীলিমার বাবা নীলিমার উপর রেগে গিয়ে বললোঃ তুই চুপ কর?

মামাঃ কেন চুপ করবে মিস্টার নজরুল চৌধুরী? আপনাদের মতো কিছু স্বার্থপর পিতা মাতার জন্য নষ্ট হয়ে যায় হাজারো ছেলে মেয়েদের জীবন। আপনারা শুধু খুজেন অর্থ সম্পদ ওয়ালা ছেলেকে। কিন্তু আপনারা কখনো ভাবেন না যে, আমার মেয়ে তার কাছে যায়ে সুখে থাকবে না কষ্টে থাকবে।
আচ্ছা নজরুল চৌধুরী আপনি কি বলতে পারবেন আপনি যেখানে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সেখানে আপনার মেয়ে সুখে থাকবে? এমনকি তার জীবনটা টিকিয়ে থাকবে?

নজরুল চৌধুরীঃ মানে স্যার বুঝলাম না।

মামা চেয়ার টেনে নিয়ে বসতে বসতে বললোঃ মানে টা খুব সহজ মিস্টার নজরুল চৌধুরী। এইযে আপনার মেয়ে আর আপনার বর্তমান জামাই মানে রাফি দুজনেই একে অপরকে ভালোবাসে। আপনি যদি আপনার মেয়েকে আজ অন্য কোথাও বিয়ে দিয়ে দিতেন তাহলে আপনি আপনার মেয়েকে হারিয়ে ফেলতেন। মানে আপনার মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষটাকে না পাওয়ার জন্য আত্মহত্যা করতো। আপনি হয়তোবা ভাবতেছেন আমি এসব কি করে জানলাম?
এইযে ( আমাকে দিখিয়ে দিয়ে) এটা হলো আমার ভাগ্নে। সে আমাকে আপনার মেয়ের সম্পর্কে গতকাল বলে। আর এটাও বলে যে আপনার মেয়ে যদি রাফি কে না পায় তাহলে আত্মহত্যা করবে। আর আপনার মেয়েকে আত্মহত্যা এবং এই পৃথিবীতে সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে রাখতে গিয়ে আমার ভাগ্নে আজ পুলিশের হাতে বন্দী। তবে আপনি বলতে পারেন যে, আপনার মেয়ে আপনাকে এই বিষয়ে জানালো না কেন? এর উত্তরে আমি মনে করি আপনাকে না জানানো বা না বলাটাই উচিত। কারন, আপনার মেয়ে আপনাকে রাফির কথা বলেছিলো কিন্তু রাফি গরিব বলে আপনি মেনে নিতে পারেননি। আজও আপনি রাফি কে ফকিরের বাচ্চা উপাধি দিলেন।

মামার কথা শুনে নীলিমার বাবা নিচের দিক তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে তার ভিতরে অনুশোচনা বোধ কাজ করতেছে। আর সামিয়া সহ এই রুমে যত গুলো লোক ছিল সবাই মামার মুখের দিকে তাকিয়ে মামার কথা শুনতেছিলো।

মামাঃ শোনেন টাকা পয়সার মধ্যে সুখ শান্তি থাকে না। আপনার অনেক অর্থ সম্পদ আছে কিন্তু আপনার মেয়ে আপনার কাছ থেকে আলাদা বা অনেক দূরে যেখান থেকে আর ফিরবে না । তাহলে কি হবে আপনার এতো অর্থ সম্পদ থেকে যেখানে বাবা নামের ডাক টিই আর শুনতে পাবেন না। কী হবে এতো গাড়ি বাড়ি অর্থ সম্পদ থেকে যেখানে সন্ধ্যার পরেই বালিশে মাথা রেখে সন্তানের কথা ভেবে চোখের পানি দিয়ে বালিশ ভিজিয়ে? পরিশেষে আমি আপনার মেয়ে রাফির কাছেই সুখে থাকবে। সুতরাং তাদের কে মেনে নেওয়াই আপনার শ্রেয়।

মামার কথা শুনে সকলেই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। নীলিমার বাবা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে রাফির কাছে এসে রাফির হাত ধরে কান্না করতে করতে বললোঃ প্লিজ বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি না বুঝে এতো দিন তোমাকে অপমান করেছি। আমি এতদিন অর্থ সম্পদের মোহে পড়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি কখনো ভাবিনি আমার মেয়ে কার কাছে সুখে থাকবে আর কার কাছে দুঃখে থাকবে। কিন্তু আখতারুজ্জামান ( আমার মামার নাম) স্যারের কথা শুনে আমি বুঝতে পারলাম আমার মেয়ে তোমার কাছেই সুখে থাকবে। আর আমার মেয়ের সুখেই আমাদের সুখ।

রাফিঃ আংকেল আপনি আমার বাবার বয়সী আপনি আমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন কেন? আর আপনার জায়গায় যেকেউ হলে একই কাজ করতো। আমি আপনাকে আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি।

নীলিমার বাবা রাফি কে ছেড়ে দিয়ে এসে আমার মামাকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ স্যার আপনার জন্যই আজ আমি আমার মেয়েকে সঠিক ছেলের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

মামাঃ আমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই। ওদের কে মেনে নিলেই আমি খুশি হবো।

নীলিমার বাবাঃ ঠিক আছে স্যার।

এরপরে নীলিমার বাবা নীলিমার কাছে এসে নীলিমার হাত ধরে বললোঃ মারে আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি না বুঝে তোদের ভালোবাসা কে অপমান করেছি।

নীলিমা ওর বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ বাবা আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি। তুমি শুধু আমাদের মেনে নেও।

নীলিমার বাবাঃ হ্যাঁ রে মা নিয়েছি তোদের মেনে। রাফি বাবা তোমার বাবার নাম্বার দাও।

রাফিঃ এই নিন আংকেল।( একটা কাগজে লিখে দিয়ে)

নীলিমার বাবাঃ আংকেল কি হ্যাঁ আমাকে বাবা বলে ডাকবে।

রাফিঃ ঠিক আছে বাবা।

নীলিমার বাবাঃ গুড।

এরপরে নীলিমার বাবা আমার কাছে এসে বললোঃ বাবা সাহিদ তুমি আমাকে মাফ করে দাও। তুমি আমার মেয়ের সুখের জন্য এতো কিছু করেছো আর আমি ছিঃ

আমিঃ আংকেল এখানে ক্ষমা করার কিছুই নেই। আপনি ওদের মেনে নিয়েছেন এতেই আমি খুশি।

এরপরে নীলিমার বাবা সবার কাছ থেকে তার পূর্বের ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা চাইলেন। সবাই তাকে ক্ষমা করে দিলো।

এরপরে তিনি আরো কিছুক্ষণ কথা বলে রাফি আর নীলিমাকে তার বাড়িতে যেতে বলে থানা থেকে চলে গেলেন।
এরপরে মামাও কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনিও তার অফিসে গেলো।

এখন শুধু আমি, রাফি, নীলিমা, আমার বন্ধুরা আর সামিয়া রুমে আছি। রাফি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললোঃ দোস্ত তোকে যে কী বলে ধন্যবাদ দিবো তা খুঁজে পাচ্ছি না।

আমিঃ শালা ধন্যবাদ দিতে হবে না। এখন রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়ে কিছু খাওয়া। থানায় আসার সময় ভেবেছিলাম তারা কিছু খেতে দিবে কিন্তু তা না করে তারা রাগ নিয়ে বাঁচে না।( সামিয়া কে শুনিয়ে শুনিয়ে বললাম)
আমার কথা শুনে সামিয়া আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।

সিফাত হাসতে হাসতে বললোঃ আর একটু পরে তোর মামা আসলে পুলিশ ম্যাম তোকে সকালের নাস্তা করিয়ে দিতে।

আমি পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বললামঃ হা হা হা তোদের পুলিশ ম্যাম আমাকে মারবে।সাহস থাকলে আমার গায়ে একটু হাত দিতে বল।

আমার কথা শুনে সামিয়া আরো ক্ষেপে গেল। এখানে আর না থেকে তার কেবিনে চলে গেল।

সামিয়ার এরকম ব্যবহার দেখে ওরা কিছুটা অবাক হলো। আমি এই বিষয়টা এড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাফি কে বললামঃ কখন খাওয়াবি সেটা বল।

নীলিমা বললঃ ভাইয়া চলেন আমি আপনাদের খাওয়াবো।

সিফাতঃ তুমি থামো। আজকে আমরা রাফির থেকে খাবো।

রাফিঃ ঠিক আছে আমিই তোদের খাওয়াবো চল।

এরপরে আমরা সবাই থানা থেকে বের হয়ে আসলাম। আমি বের হয়ে এসে ওদেরকে বললামঃ তোরা চল আমি আসতেছি।

সিফাতঃ কোথায় যাবি আবার?

আমিঃ আসতেছি তোরা চল। ওদেরকে এই কথা বলে আমি আবার থানায় আসলাম। থানায় এসে সোজা সামিয়ার কেবিনে গেলাম।

রুমে ঢুকে দেখি মিস রুমে নেই। আমি একটা চেয়ার নিয়ে বসে পড়লাম। একটু পড়ে ম্যাম ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো।

আমাকে তার রুমে দেখে তেড়ে এসে আমার জামার কলার চেপে ধরে আমার মুখের কাছে মুখ নিয়ে এসে বললোঃ তোর সাহস কী করে হয় আমার অনুমতি ছাড়া আমার রুমে আসার।

আমি ওর ঠোঁট দুটোতে আমার ঠোট দুটি দিয়ে হালকা ছুয়ে দিয়ে বললামঃ এখনো তো তোর সেই তেজ ফুরায় নি দেখতেছি।

লক্ষ্য করলাম সামিয়ার ঠোঁট দুটি কাঁপতেছে আমি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে আবার চার ঠোট এক করে দিলাম।

সামিয়া ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু আমার শক্তির কাছে পেরে উঠতে পারতেছে না। প্রায় পাঁচ মিনিট পরে ছেড়ে দিয়ে বললামঃ এতো দেমাগ কিন্তু ভালো নয় বুঝেছিস।আর মিষ্টির স্বাদ টা কিন্তু অসাধারণ ছিলো। বলেই একটা চোখ টিপি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। মনে মনে ভাবতেছি আমাকে কষ্ট দেওয়ার ফলে এখন হাড়ে হাড়ে টের পাবি মিস সামিয়া,,, হা হা হা।

আমি থানা থেকে বের হয়ে বাহিরে এসে দেখি বন্ধুরা আমার জন্য অপেক্ষা করতেছে। আমাকে দেখে রাফি বললঃ কিরে কোথায় গিয়েছিলি?

আমিঃ একটু কাজ ছিল। চল তাড়াতাড়ি।

কেউ আর কথা না বাড়িয়ে তিনটা রিকশা নিয়ে রওনা দিলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে‌। আমি আর সিফাত এক রিকশায় রাফি আর নীলিমা এক রিকশায় । মিমি আর নীলিমার ফ্রেন্ড এক রিকশায়।

সাহিদ সামিয়ার রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে সামিয়া বিরবির করে বলতেছেঃ শয়তান ছেলে বলে নাকি আমার তেজ এখনো কমেনি। আমার তেজ আছে তাহলে আমাকে কিস করলি কেন? আমি কি সরকারি জিনিস। এখন তো দেখতে আগের থেকেও ভালো হয়েছিস।আবার বলে আমার মিষ্টির স্বাদ টা নাকি অসাধারণ ছেলে। শয়তান ছেলে ,,,,,,,,,,,,،( ইত্যাদি)

আমরা একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে রিকশা থেকে নামলাম।
ভাড়া মিটিয়ে রেস্টুরেন্টে ঢুকে ছয়জন মিলে একটা টেবিল বুক করলাম। একটু পরে ওয়েটার আমাদের অর্ডার নিতে আসলো। আমরা যে যার ইচ্ছা মতো অর্ডার করলাম।

খাওয়া দাওয়া শেষে রাফি বিল দিলো। এর পরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যে যার বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশা নিলো। রাফি আর নীলিমা নীলিমার বাসায় গেল। আসার সময় সিফাত কে বললাম, আমার বাইকটা ওর বাসা থেকে নিয়ে আসতে।

আমি বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই মামি এসে দরজা খুলে দিল। মামির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়লাম। কারণ গত রাতে ভালো ঘুম হয়নি। বালিশে মাথা দিতেই ঘুমিয়ে গেলাম। সন্ধ্যায় তিশার ডাকে ঘুম ভাঙলো। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা করে ছাদে গেলাম। ছাদে যায়ে দোলনায় বসতেই মনে পড়ে গেল তিন বছর আগের কথা। ডুব দিয়ে দিলাম তিন বছর আগের সেই অতীতে,,,,,

_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-
অতীতঃ——-

সাফিয়াঃ ভাইয়া ও ভাইয়া উঠো আর কতো ঘুমাবে? আজকে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে না?

আমিঃ হ্যাঁ,, আপু তুই যা আমি আসতেছি।

সাফিয়াঃ ঠিক আছে ।

এই কথা বলে সাফিয়া আমার রুম থেকে বের হয়ে গেল। ওহহ আপনাদের তো বলাই হয়নি সাফিয়া হলো আমার একমাত্র আদরের বোন। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা চার জন। মা বাবা, বোন আর আমি। বাবা হলেন এখানকার ( নওগাঁর ) একটা কলেজের প্রিন্সিপাল। আর মা গৃহিণী। আমি এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে। আর সাফিয়া এবার নবম শ্রেণীতে। এই নিয়ে আমাদের পরিবার‌।

আজকে শুক্রবার দুপুরে নামাজ পড়ে এসে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার বোনের ডাকে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আজকে নাকি তাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। ‌ আমিও নিয়ে যাই।

ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসলাম। নিচে এসে দেখি,,,,,,,

( চলবে)

??? কেমন হচ্ছে তা কমেন্ট করে জানাবেন। ???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে