Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"এক মুঠো প্রেম রঙ্গনাএক মুঠো প্রেম রঙ্গনা পর্ব-০৯

এক মুঠো প্রেম রঙ্গনা পর্ব-০৯

#এক_মুঠো_প্রেম_রঙ্গনা
লাবিবা ওয়াহিদ
| পর্ব ০৯ |

————————
নওরি মূলত পালিয়েছিলো বারান্দা দিয়ে। মাহি বড়ো সেই টিনটা রাতে গিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলো এবং ফ্রিশাকে নিয়ে চলে গেছিলো। নওরি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে খুব কষ্টে সেইখান দিয়ে বের হয়েছিলো। সেই ছাদের দরজা ছিলো বন্ধ। নওরি চিন্তায় পরে যায়। কীভাবে বের হবে এখন? মাহি দরজা কেন লাগিয়ে দিয়ে গেলো?

পরিশেষে উপায়ন্তর না পেয়ে বাড়ির সাথে লাগোয়া আম গাছটির দিকে ছুটে যায়। নওরি দেয়াল টপকাতে জানে। মাঝেমধ্যে-ই সৎ মায়ের ভয়ে তাকে দেয়াল টপকাতে হয়েছিলো। সেই অনুসারে ভেবেছিলো গাছও হবে দেয়ালের মতোই। এজন্য পন্থা না পেয়ে গাছের ডাল বেয়ে ধীরে ধীরে নামলো।

তবে যতটা সহজ ভেবেছিলো সবটা ততটা সহজ ছিলো না। হাতে পায়ে অসংখ্য চট পেয়েছিলো সে। প্রথমে ব্যাগটি ফেলে। অতঃপর লাফ দিতে গিয়ে কু!কুর চলে আসে, যার ফলে আরেকটুর জন্যে মুখ থুবড়ে পরেনি। ভয়ে এবং কাটা স্থানের জ্বালায় রীতিমতো কাঁপছিলো নওরি। থরথর করে।

কু!কুরটা চলে যেতেই নওরি আল্লাহ্’র নাম নিয়ে লাফ দেয়। লাফ দিতে গিয়ে হাঁটু এবং পা ছিলে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে কোনো রকমে ব্যথা গুলো সহ্য করে নিয়েছিলো সে। আশেপাশে তাকিয়ে নির্জন রাস্তা দিয়ে ছুটে চলে নওরি। মাহি বেশ দূরেই অপেক্ষা করছিলো ফ্রিশাকে নিয়ে।

শুকিয়ে যাওয়া ক্ষ’ত গুলোকে দেখতে দেখতে নওরি অতীতে বিচরণ করছিলো। মানুষের সময় কতটা বিপরীত হলে এইরকম ঝুঁকি নেয়। মাহির কথা বড্ড মনে পরছে তাঁর। বাবাকেও ভীষণ মনে পরছে। কেমন আছে ওরা?

নওরি ফোন হাতে তুলে কল দিতে চাইলো মাহিকে। কিন্তু তাঁর মনে পরলো সিমে রিচার্জ করা নেই। এখন? এখন তাহলে কী হবে? নওরি ব্যস্ত ভঙ্গিতে আশেপাশে চাইলো। নিদ্র’র কথা মাথায় আসলো। কিন্তু নিদ্র কোথায়?

আশেপাশে খুঁজলো নিদ্রকে। নিজের রুমে আসতেই দেখলো ফ্রিশা একুরিয়ামে হামলা চালিয়েছে। একুরিয়ামের ঢাকনার উপর বসে নখ দিয়ে ঘঁষছে! নওরি দ্রুত ভঙ্গিতে ফ্রিশাকে কোলে তুলে নিলো। কী কেলেঙ্কারি বাঁধাচ্ছিলো ফ্রিশাটা। ফ্রিশা যেন তাও ছুটতে চাইছে একুরিয়ামের দিকে। নওরি না পেরে ধমক দিলো। ফ্রিশা মুখ ভার করে চুপসে রইলো। হুট করে কোল থেকে নেমে ঘরের কোণায় চলে গেলো। নওরি ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে ফ্রিশাকে কোণা থেকে কোলে নিয়ে বাহিরে বেরিয়ে আসলো। এবং ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে বললো,
–“আন্টিকে বলে দিবো যেন দ্রুত-ই এই রুম থেকে একুরিয়ামটা সরিয়ে ফেলে। মাছের এত লোভ ভালো না ফ্রিশা। খাওয়াবো আমি তোকে। টাটকা তাঁজা মাছ।”
–“মিঁয়্যাও!”

নওরি লিভিংরুম অতিক্রম করতে গিয়ে দেখলো নূরজাহান তাঁর বড়ো ছেলে তুষারের সাথে ভিডিও কথা বলতে ব্যস্ত। অন্য সোফায় নূরজাহানের স্বামী সৈকত সাহেব পত্রিকা পড়ছেন এবং ফাঁকে ফাঁকে চা খাচ্ছে। চা খেতে গিয়ে সামনে নজর যেতেই নওরিকে দেখতে পেলো। নড়েচড়ে বসলেন সৈকত সাহেব। হালকা গলা খাঁকারিও দিলেন। নওরি ইতস্তত সহিত সালাম দিলেন সৈকত সাহেবকে। তিনি চায়ের শূণ্য কাপটি টি-টেবিলে রাখতে রাখতে থমথমে গলায় বললেন,
–“ওয়া আলাইকুম আসসালাম।”

নূরজাহান নওরিকে দেখতেই চমৎকার হাসলেন। মুহূর্তে-ই পিছের ক্যামেরা দিয়ে নওরিকে দেখিয়ে বলে,
–“ও হচ্ছে নওরি। এই নওরি, এদিকে আয়! আমার বড়ো ছেলের সাথে পরিচিত হয়ে যা।”

নওরি জানে না পিছের ক্যামেরা ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে নূরজাহানের বলা বাক্যে ভীষণ হকচকালো। সে মোটেও প্রস্তুত নয় নূরজাহানের বড়ো ছেলের সঙ্গে পরিচিত হতে। নওরি ধীর গলায় শুধায়,
–“না, না আন্টি। আপনি কথা বলুন, আমি নিদ্রকে খুঁজছি।”

বলেই কোন রকমে পালালো নওরি। দূর দেশের এক লোকের সাথে আবার কিসের পরিচয়? এমনিতেই সৈকত সাহেবের অসন্তোষ ভাব, নওরি ইতিমধ্যেই বেশ ভীত।
–“ওটাই তোমার বান্ধুবীর মেয়ে?”
–“হ্যাঁ। খুব সরল মেয়েটা। ওর মধ্যে যেন আমার বান্ধুবীর প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে।”

——————-
নিদ্র মুখ ভার করে বসে আছে। নওরি নিদ্র’র পাশে বসে নিদ্রকে দেখছে। হঠাৎ কী এমন হলো যে চঞ্চল নিদ্র’র গালে হাত? অতশত না ভেবে নওরি মৃদু স্বরে প্রশ্ন ছুঁড়লো,
–“কী ব্যাপার?”
–“নিদ্র ভাইয়াকে ভেবেছিলাম ব্লেকমেইল করবো কিন্তু সেই সুযোগ ভাইয়া দিলো না!”

নওরি চমকালো, হকচকালো। তাঁর স্মরণে এলো গত রাতের অব্যক্ত সময়টুকু। ইরা’দ ব্লেকমেইল নিয়ে কিছু বলেছিলো। হ্যাঁ, মনে পরেছে। কিন্তু গতকালের বেপরোয়া ব্যবহার এবং আজকের গম্ভীর স্বভাব কোনোটাই মেলাতে পারছে না সে। মুহূর্তে-ই মস্তিষ্কে হানা দিলো ইরা’দকে নিয়ে থাকা কঠিন জট। এই জটে খুলতে গেলে নওরি যেন আরও আটকা পরে যাচ্ছে।

নওরি কী গতকালের কথা বলবে? নাহ, বলার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে পুণরায় কথা উঠবে এ বিষয়ে। পাঁচ কান হলে তো আরও বিপদ। এই পরিবারে আশ্রয় নিতে এসে নিজের দুর্নাম ছড়াতে চাচ্ছে না সে। এখনো তাঁর অনেক কিছু করার বাকি।

নওরি যখন ভাবনায় মশগুল তখন অসাবধানবশত তাঁর হাতাটা কিছুটা উঠে যায়। যার ফলে বেরিয়ে আসে চুড়িতে পাওয়া আ!ঘাতের কালচে দাগ। এখনো সেই দাগ নওরির হাতে কিঞ্চিৎ দৃশ্যমান। নিদ্র অকারণ বশত সেদিকে তাকাতেই অনায়াসেই সেই দাগ গুলোকে চিহ্নিত করে ফেললো। উৎকন্ঠা হয়ে নওরির হাত টেনে বলে,
–“তোমার কী হয়েছে নৌরি ফুল? হাতে কীভাবে ব্যথা পেয়েছো?”

নওরি নিদ্র’র পানে ভয়াতুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দ্রুত হাত আড়ালে নিয়ে নিলো। নিদ্র তখনো উত্তেজিত। নওরি সবসময় ফুল হাতার জামা পরে। তাই তাঁর ক্ষ!ত চিহ্ন, কালচে দাগ গুলো আড়ালে থাকে। কিন্তু তাও সাবধানের মার নেই। তাইতো নওরি দুহাতের হাতা টেনে-টুনে হাতের মুঠোতে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু এমতাবস্থায় এভাবে ধরা খাবে কে জানতো? মিথ্যার সুরও নওরির গলা দিয়ে বের হচ্ছে না। মহা ঝামেলায় ফাঁসলো তো।

যখন নিদ্র নওরিকে প্রশ্ন করতে ব্যস্ত। তখন হুট করেই ইরা’দ রুমে প্রবেশ করলো। নওরি চমকে তড়িৎ উঠে দাঁড়ায়। ইরা’দ ভাবেনি যে নওরি নিদ্র’র সাথে এই রুমে অবস্থান করবে। তাই সেও কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরে। নওরি একবার নিদ্র’র দিকে তো তাকাচ্ছে তো একবার ইরা’দের দিকে। ইরা’দকে দেখতেই নিদ্র অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে ফেলেছে। ইরা’দ পরিস্থিতি স্বভাবিক করতে ব্যস্ত ভঙ্গিতে শুধায়,
–“অসময়ে চলে এসেছি বোধহয়! আপনি থাকুন, আমি আসছি।”

নওরি অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে,
–“না, না। আমি যাচ্ছি।”

বলেই নওরি সময় ব্যয় না করে বেরিয়ে পরলো। অদ্ভুত অস্বস্তি হচ্ছে তাঁর। তীব্র অস্বস্তি। এই অস্বস্তি কাটাতে রুম ত্যাগ করতেই হবে। নওরি নিজের রুমে এসে দরজার সাথে পিঠ ঠেকালো। অস্বস্তি কাটছে না যেন। হঠাৎ কী মনে হতেই চমকালো নওরি।
–“এক মিনিট। উনি কী ‘আপনি’ সম্বোধন করলো? গতকাল না তুমি করে বললো? আজ হঠাৎ…?”

———————
নওরির যাওয়ার পানে তাকিয়ে ইরা’দ ফিরে তাকালো। গাল ফুলিয়ে বসা নিদ্র’র দিকে তাকালো। ধীর পায়ে কয়েক ধাপ এগিয়েও গেলো। সপ্তপর্ণে নিদ্র’র পাশে বসতেই নিদ্র নাক কুচকে বললো,
–“একদম কথা বলবে না আমার সাথে।”
–“আচ্ছা বললাম না। শুধু লিটল নিদ্রার কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছি!”

নিদ্র ঘুরে তাকালো ইরা’দের পানে। পিটপিট করে ইরা’দের দিকে তাকিয়ে বলে,
–“কিসের প্রশ্ন? তুমি তো আমার চাইতেও বড়ো, আমি তো পড়ি মাত্র ওয়ানে। আমি কী করে উত্তর দিবো?”

ইরা’দ হাসলো। শব্দহীন হাসি। নিদ্র মাথাভর্তি চুলে আলগোছে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে লহু কন্ঠে শুধায়,
–“এমন কখনো হয়েছে, তুমি আমার থেকে কিছু চেয়েছো আর আমি দেইনি?”
–“একদম না?”
–“বরং না চাইতেও বেশি পেয়েছো, তাইতো?”

নিদ্র ইতিবাচক মাথা নাড়ায়। ইরা’দ পুণরায় দৃঢ় কন্ঠে বলতে লাগে,
–“আমি কখনোই তোমায় তুষারের অনুপস্থিত বুঝতে দেইনি। সবসময় তোমার সব সখ, আহ্লাদ, চাওয়া আমি পূরণ করেছি। এমতাবস্থায় তুমি কী চাও তোমার নিদ্র ভাইয়াটা কারো সামনে মাথা নিচু করুক?”
নিদ্র মুখটা ভার করে বলে,
–“না।”
–“তাহলে তোমার কী প্রয়োজন আমাকে ব্লেকমেইল করার? এমন তো না যে আমি তোমার চাওয়া গুলো পূরণ করি না।”
নিদ্র পিটপিট করে ইরা’দের দিকে তাকিয়ে ভার গলায় বললো,
–“আমি বুঝতে পারিনি ভাইয়া। ভুলেই গিয়েছিলাম তুমি আমার বেস্ট নিদ্র ভাইয়া। আসলে আমি লামিয়া এবং ইমাদের কথায় ফেঁসে গেছিলাম। ওরা বলে তোমায় নাকি কেউ ব্লেকমেইল করতে পারে না, এমনকি আমিও না। এজন্য….”

মাথা নিচু হয়ে নিদ্র’র। ইরা’দ নিদ্রকে নিজের সাথে জড়িয়ে আলতো স্বরে বলে,
–“আচ্ছা ঠিকাছে। কিছু হয়নি। ভুলে যাও সব।”
নিদ্র কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ বলে ওঠে,
–“আমার নৌরি ফুলের খুব কষ্ট নিদ্র ভাইয়া।”

——————-
–“ফাউন্ডেশন হবে সারিফা? যেটা আমার গায়ের সাথে যেকোনো মিশে যাবে?”

নওরির হঠাৎ কন্ঠস্বরে সারিফা চমকে দরজার দিকে তাকালো। নওরি কাচুমাচু ভঙ্গিতে দরজায় পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সারিফা অস্ফুট স্বরে বললো,
–“হবে, কিন্তু হঠাৎ?”

নওরি ফোঁস করে লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে ধপধপ পায়ে সারিফার দিকে এগিয়ে এলো। অতঃপর স্বল্প শব্দে বললো,
–“হাতের দাগগুলো খারাপ দেখায়।”
–“কই দেখি।”

নওরি জুবুথুবু অবস্থায় হাতা তুলে সারিফাকে দেখালো। সারিফা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রয় নওরির হাত জোড়ার দিকে। আলতো স্বরে বললো,
–“আন্টিকে বলিও না সারিফা। অনুরোধ রইলো।”

——————–
দুপুর বেলা। মেঘলা আকাশ। শীতল হাওয়ায় চারিপাশ মুখোরিত। কাঠফাটা রোদের বদলে ঠান্ডা পরিবেশ সত্যি হৃদয়ে প্রশান্তি দেয়ার মতো। ঘামে চুপচুপে হওয়া ব্যস্ত মানুষগণ আলিঙ্গন করে নিচ্ছে এই ঠান্ডা মৌসুমকে। আকাশে কুঞ্জ কুঞ্জ কালো, রূপালী রঙের মেঘে আবৃত। মাঝেমধ্যে প্রবল বেগে গর্জে উঠছে মেঘ।

ইরা’দ ফোনে কথা বলতে বলতে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলো। সুন্দর এই পরিবেশ উপলব্ধি করতেই সে ফোন কেটে সেখানেই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়। চোখ বুজে। ধুলোমাখা, ব্যস্ত শহরের গন্ধ নিতে নিতে সে ক্লান্ত। প্রাকৃতিক ঘ্রাণ উপভোগ করতে চায় সে। প্রবলভাবে, প্রখরভাবে।

হঠাৎ কী মনে হতেই চোখ মেলে তাকালো। মাথা ঘুরিয়ে উপরের বারান্দার দিকে তাকালো। মুহূর্তে-ই যেন থমকালো, বিমূর্ত হলো। এ কোন নারীকে দেখছে সে? এই নারীতে কী তাঁর সর্বনাশ লিখন? তাহলে কেন হৃদপিন্ড তীব্র শব্দে ওঠা-নামা করছে? কেন? ভেঁজা চুলে, হাসি-মাখা, স্নিগ্ধ রূপের নওরিকে দেখে ইরা’দ যেন স্থির হয়ে রইলো। প্রবল বাতাসে নওরি উম্মুক্ত চুলগুলো অসমান্তরাল, খোলাখুলি ভাবে উড়ছে। এরকম এক দৃষ্টি নজরবন্দি করে ফেললো ইরা’দ। অনুভব করলো খুব অল্প সময়েই এই মেয়ের প্রতি তাঁর আলাদা মোহ কাজ করছে। কিন্তু এই মোহ কতটুকু মানানসই? আবেগের বয়স ছেড়ে এসেছে আরও আগেই। তাহলে? এই অনুভূতির নাম কী?

খোলামেলা পরিবেশ নওরি উপভোগ করার পূর্বেই হঠাৎ নজর গেলো নিচে। ইরা’দকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো যেন। দ্রুত ভেতরে চলে গেলো নওরি। ভেতরটা কাঁপছে তাঁর। এর মানে কী এতক্ষণ ইরা’দ এখানেই দাঁড়িয়েছিলো?

নওরির ভয়াতুর দৃষ্টি এবং ছুটে পালানো ইরা’দকে হাসালো। নিরব, প্রাণখোলা হাসি। ইরা’দ আরও কিছু মুহূর্ত বারান্দার দিকে তাকিয়ে ঘুরে সামনের দিকে ফিরলো। হাত দুটো রেলিঙ এ প্রসারিত করে মেঘে আবৃত আকাশের পানে তাকালো। কিছু সময় অতিবাহিত হলো। পরিবেশ শান্ত, শৃঙ্খল। ইরা’দ মেঘ জমায়িত আকাশের পানে স্থির দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গুণগুণিয়ে গেয়ে উঠলো,

–“সোহাগের হাওয়ায়, মেঘেদের ডানায়
এই মন বেখেয়ালে,
অন্তরালে স্বপ্ন রেখে যায়!”

হঠাৎ নিদ্র’র কথা মনে পরলো। গান থামিয়ে গভীর ভাবনায় বিভোর হয়ে পরলো ইরা’দ।
–“আমার নৌরি ফুলের খুব কষ্ট নিদ্র ভাইয়া!”

কিসের কষ্ট? এইটুকুনি মেয়ের আবার কিসের কষ্ট? বিষয়টি বেশ ভাবাচ্ছে ইরা’দকে।
–“ফুলেদের আবার কষ্ট আছে? হয়তো আছে, নয়তো সময়ের ব্যবধানে তাঁরা কেন শুকিয়ে যায়? তাদের পাঁপড়ি’রা কেন ঝরে যায়? কিন্তু… মেয়েটা তো নিতান্তই এক পিচ্চি।”

————————-
~চলবে, ইন-শা-আল্লাহ্।
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ