Monday, October 6, 2025







স্বপ্ন?পর্ব-৪/৫/৬

স্বপ্ন?4/5/6
#অনামিকা_সিকদার_মুন
.
.
.
হঠাৎ ফোনের রিংটোন বেজে ওঠায় সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পকেট থেকে ফোনটা বের করে রিসিভ করে বললো,
—আমি কিছুক্ষণের মধ্যে আসছি।
.
.
—নীল তোর কি হয়েছে বলবি? সেই এসেছিস পর থেকে দেখছি কেমন অন্যমনস্ক হয়ে আছিস । কি হয়েছে তোর??
নিঝুম একটু কড়া গলায় বললো । নীল কেমন এক দৃষ্টি নিয়ে নিঝুমের দিকে তাকালো । কিন্তু কোনো উত্তর দিলো না । গত তিন ঘন্টা থকে নীল এমন চুপচাপ অন্যমনস্ক হয়ে বসে আছে। শুধু তা না, অনেকটা বেখেয়ালিও হয়ে ছিল। অফিসে এসে ফাইল চেক করতে গিয়ে ভুল করছিল। অতিরিক্ত গরম কফি মুখে দিয়ে ঠোঁট পুরে ফেলেছে। চেয়ার থেকে উঠতে গিয়ে চেয়ারের পায়ার সাথে বারি খেয়েছে। নিঝুম আর নীলের কেবিনের মাঝে শুধুমাত্র একটা কাঁচ দিয়ে দেয়াল করা । যার কারণে এসবই নিঝুম খেয়াল করেছে নিজের কেবিনে থেকে। এখন আবার নীল ফাইল দেখা রেখে কেবিনে রাখা সোফায় গিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে আছে। নিঝুম আর থাকতে না পেরে নীলের কেবিনে আসে। এসেই জিজ্ঞেস করে যে ওর কি হয়েছে । নীল কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে নিঝুমের দিকে । তারপর দৃষ্টি ফিরিয়ে টি-টেবিলের উপর রাখা কফির মগ হাতে নিয়ে চুমুক দিতে নিলেই নিঝুম আবার বলে উঠে,
—কফির মগটা খালি নীল ।
নিঝুম নীলের হাত থেকে কফির মগটা নিয়ে নিল । নীল নিজের মাথা এপাশ ওপাশ করে একটা ঝাঁকি দিয়ে নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে এসে নিঝুমের পাশে এসে বসে বললো,
—ভাইয়া শুন….
—না বললে শুনবো কিভাবে??
নীল একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
—কিভাবে যে বলবো সেটাই ভাবছি ।
নিঝুম নীলের কাঁধে হাত রেখে বললো,
—কি হয়েছে রে? এত আপসেট দেখাচ্ছে কেন তোকে?
—ভাইয়া গত এক সপ্তাহ আগে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি । একটা কার এক্সিডেন্ট করেছি আমি আর তখন একটা মেয়ে আমাকে বাঁচাচ্ছে । আমি কথা বলতে চাইলে মেয়েটা কেমন জানি আড়ালে চলে যেতে চাচ্ছিল ।
—হুম তো??? এখানে প্রবলেম কি হয়েছে?
—স্বপ্নের সেই মেয়েটাকে আজ আমি দেখেছি ভাইয়া ।
বলেই নীল চোখ বন্ধ করে পিছনে সোফায় মাথা এলিয়ে দিল । নীল চোখ বন্ধ করতেই ওর চোখে অনুর সেই মিষ্টি চেহারাটা ভেসে ওঠে ।
নিঝুম ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে । নিঝুমের নীলের কথাগুলো ঠিক হজম হচ্ছে না। কিভাবে সম্ভব এটা! স্বপ্নে দেখা মানুষ বাস্তবে!! তার মতো শেষে কিনা তার ভাইও স্বপ্নের কবলে পড়েছে । তার স্বপ্নের মতোই কোনো মেয়ে এসে তার ভাইয়ের স্বপ্নে বিচরণ করে । তাকে তো আজ দু’বছর যাবৎ জ্বালাচ্ছে এই স্বপ্ন । আর এখন সেই স্বপ্নই হানা দিচ্ছে তার ভাইয়ের কাছে । আচ্ছা তার ভাইয়ের দেখা মেয়েটা বাস্তবে আছে, তাহলে কি তার দেখা স্বপ্নের মেয়েটাও বাস্তবে আছে?? একগাদা ভাবনার মাঝে ডুবে গেলো নিঝুম।
নিঝুম আর নীল আপন দু’ভাই। নীল নিঝুমের আড়াই বছরের ছোট। বলতে গেলে পিঠাপিঠি দুজন । নিঝুম গ্রেজুয়েজন কমপ্লিট করে বাবার বিজনেস সামলাচ্ছে । আর নীলের গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করতে এখনো ছয় মাস বাকি । নীল পড়াশোনার পাশাপাশি ওর ভাইকেও হেল্প করে । ওরা দু’ভাই-ই একে অপরের সাথে খুব ফ্রি। যেকোনো কথা নীল যেমন নিঝুমের কাছে শেয়ার করে তেমনি নিঝুমও নীলের কাছে সব শেয়ার করে । নিঝুমের স্বপ্নের বিষয়টাও নীল জানে । কিন্তু নীলের সাথেও এমন একটা ঘটনা ঘটবে বিষয়টা কেমন জানি আজব আজব লাগে।
—এই ভাইয়া আমার চিন্তা এখন তোকে পেল নাকি?
নীল নিঝুমের কাঁধে ঝাঁকিয়ে বললো । নিঝুম ভাবনার মাঝে ডুবে গিয়েছিল । নীলের ডাকে নিঝুমকে ভাবনার সাগর থেকে উঠে বাস্তবে আসতে হয় ।
—হু… না কিছু না….. কিছু না । আচ্ছা তোর সাথে দেখা কিভাবে হয়েছে ঐ মেয়ের?
—আমি গাড়ি নিয়ে আসছিলাম । রাস্তায় হঠাৎ…
নীল একে একে রাস্তায় ঘটা সব কাহিনি বললো । এদিকে নীলের কথা শুনে হা হয়ে আছে নিঝুম ।
—জানিস ভাইয়া প্রথম যখন ঐ স্বপ্নে দেখা মেয়েটা আসে ওকে দেখে আমার মনে হচ্ছিল আমি ৮৮০ ভোল্টের ঝটকা খেয়েছি। প্রচন্ড অবাক হয়ে গিয়েছিলাম । বোকার মতো তাকিয়ে ছিলাম মেয়েটার দিকে ।
নিঝুম মুচকি হেসে বললো,
—কিন্তু আমার তো ঐ ধানি লঙ্কার কাহিনীটা বেশি মজা লেগেছে । কি কান্ডটাই না করেছে । আমার ভাই মি. এটিটিউড কিং নীলের গাড়ির কাঁচ পাথর ছুয়ে ভেঙে দিয়েছে । আর তিনি কিছুই না বলে তাকে এমনি এমনিই ছেড়ে দিল । লাইক সিরিয়াসলি!!!!
বলেই নিঝুম শব্দ করে হেসে উঠলো। আর এদিকে নীল তো লজ্জায় ভেতরে ভেতরে যায় যায় অবস্থা । কিন্তু উপরে মুখের ভাবটা এমন দিয়ে রেখেছে যেন কিছুই হয় নি । এটা আর এমন কি । নীলের এমন রিয়েকশন দেখে নিঝুমের হাসির মাত্রা আরও বেড়ে গেল।
.
.
ভার্সিটির পিছনের পুকুর পাড়ে বেঞ্চিতে বসে অছে অনু। আর নিশি রাগে লাল হয়ে এখনো সমানে বকছে ওই ছেলে মানে নীলকে। সাথে অনুকে বকা তো ফ্রিতে দিচ্ছে । অনু মুখ গোমরা করে বসে আছে । কোনো বাচ্চা ভুল কাজ করে ফেললে তার জন্য তার মা বাচ্চাকে বকা বা শাসন করলে সেই বাচ্চাটা যেমন মুখ লটকিয়ে ছলছল নয়নে তাকিয়ে থাকে অনুকে দেখতে এখন ঠিক তেমন লাগছে । নিশি অনুকে অন্যকিছুর জন্য না, বকা দিচ্ছে রিকশায় কেন ও সাবধানে বসলো না তার জন্য । যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটতো । তখন কি হতো! তার উপর অনু নিশিকে ওখান থেকে নিয়ে আসার জন্য টানাটানি করছিল। কথা বলতে দিচ্ছিলো না নাহলে ওই বেত্তমিজ ছেলেকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়তো ।
নিশি এমথা ওমাথা পায়চারি করছে আর বকা দিচ্ছে অনুকে ।
—আপি শো….
অনু নিশিকে ডাক দিতে নিলেই নিশি চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
—খবরদার অনু…. একদম ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের ট্রাই করবি না । তোকে আমি ভালো মতো চিনি ।
নিশি অনুর দিক থেকে অন্যদিকে ফিরে গেলো । এই সুযোগে অনু চুপ করে উঠে নিশির পিছনে গিয়ে একটা লাফ দিয়ে নিশি গলা ধরলো। ঘটনার আকস্মিকতায় নিশি আর নিজের টাল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেল । আর অনু যেহেতু নিশির গলা জড়িয়ে ধরে ছিলো সেহেতু অনু যে নিশির সাথে পড়বে না তা তো হতেই পারে না । নিশি আর অনু দু’জনেই ধরাম করে নিচে পড়ে গেলো । যদি ওরা কাঁচ হতো তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই কয়েক টুকরা হয়ে যেত……….
.
.
.
চলবে?
(ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন)
.
#স্বপ্ন?
#অনামিকা_সিকদার_মুন
#পর্ব_৫
.
.
.
নিশি অনুর দিক থেকে অন্যদিকে ফিরে গেলো । এই সুযোগে অনু চুপ করে উঠে নিশির পিছনে গিয়ে একটা লাফ দিয়ে নিশি গলা ধরলো। ঘটনার আকস্মিকতায় নিশি আর নিজের টাল সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেল । আর অনু যেহেতু নিশির গলা জড়িয়ে ধরে ছিলো সেহেতু অনু যে নিশির সাথে পড়বে না তা তো হতেই পারে না । নিশি আর অনু দু’জনেই ধরাম করে নিচে পড়ে গেলো । যদি ওরা কাঁচ হতো তাহলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই কয়েক টুকরা হয়ে যেত । নিশি আর অনুর জায়গায় অন্য কেউ হলে এতক্ষণে ” ওমা গো, ওবাবা গো। আমি শেষ। মাজা গেল রে” এই সেই বলে তোলপাড় কান্ড বাধাতো। কিন্তু নিশি আর অনু তার পুরোই উল্টো । ওরা দু’জন পড়ে গিয়ে একে অপরের মুখের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেসে দিল । হাসতে হাসতেই ওরা দু’জন সোজা হয়ে উঠে বসলো । কিন্তু ওদের হাসি থামার নামই নিচ্ছে না । নিশি অনু দু’জন দু’জনকে জড়িয়ে ধরলো ।
তখনই কোথা থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসে আযান । নিশি আর অনুকে ডাকতে এসেছিল ও । কিন্তু এসে ওদের দু’জন কে এভাবে মাটিতে বসে একে অপরের গলা জড়িয়ে হাসতে দেখে বেআক্কল হয়ে গেল । নিজের ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো,
—তোরা এভাবে মাটিতে বসে আছিস কেন??
হঠাৎ কারো আওয়াজ শুনে নিজেদের হাসি খানিকটা থামিয়ে সেদিকে ফিরে তাকায় নিশি আর অনু । তাকিয়ে দেখে আযান ওদের দিকে ভ্রু জোড়া কুঁচকে তাকিয়ে আছে । আযানের চেহারার ভঙ্গিমা দেখে নিশি হাসতে হাসতে বললো,
—শোক পালনের প্রাক্টিস করছি । দু’দিন পর তুই যখন মারা যাবি তখন তো আমাদেরকেই এসব করতে হবে তাইনা ? এজন্য আগে থেকেই প্রাক্টিস করে রাখছি ।
একথা বলা শেষ করেই নিশি অনুর দিকে হাই ফাইভ মারার জন্য তুলে দিল । অনুও হাসতে হাসতে হাই ফাইভ মারলো । আযান মুখ বাকিয়ে বললো,
—তোদের মতো বন্ধু থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। তোদের মতো বন্ধু থাকলে আর শত্রুর প্রয়োজন হবে না ।
—আমরা টু ইন ওয়ান।
আযানের কথা শেষ হতে না হতেই অনু টুক করে কথাটা বলে ফেললো। তারপর আর কি!!!! দু’বোনের আবার হাসির রোল পড়ে গেলো । আযানের আজকে একটু অবাক লাগছে অনুকে হাসতে দেখে। কারণ অনু এভাবে শব্দ করে খুব কমই হাসে । ওর হাসির সীমানা মুচকি হাসি পর্যন্তই বদ্ধ । পাঁচ বছরের বন্ধুত্বের মাঝে আজ দ্বিতীয় বার অনুকে এত হাসতে দেখছে । আজ কেমন প্রাণ খোলা হাসি হাসছে । অনুকে এভাবে হাসতে দেখে আযানেরও ও খুব ভালো লাগছে । সাথে নিশিরও। নিশিও সম্পূর্ণ লুকিয়ে লুকিয়ে অনুর হাসি দেখছিল। যাতে অনু টের না পায়।
— মানুকে মাটিতে বসে গলা জড়িয়ে কাঁদতে দেখেছি কিন্তু গলা জড়িয়ে হাসতে দেখি নি জীবনেও ।
আযান ভেংচি কেটে বললো ।
—দেখিস নি তো আজ দেখে নে। একমাত্র আমরা…..
নিশির কথা কেড়ে নিয়ে আযান বললো,
—হ তোদের মতো পাগলদের দ্বারাই এসব সম্ভব ।
আযানের কথা শুনে নিশি তেড়ে যাচ্ছিল কিছু বলার জন্য কিন্তু তার আগেই আযান আবার বললো,
—ওই শাঁকচুন্নির কোম্পানি শোন যেটা বলতে এসেছিলাম কিন্তু তোদের পাগলামির পাল্লায় পরে ভুলে গিয়েছিলাম । অনুষ্ঠান আর আধ ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়ে যাবে । তোরা গিয়ে রেডি হয়ে নে ।
এইকথা বলেই আযান একটা ভোঁ দৌড় মারলো । কারণ এখানে থাকলেই বিপদ । কখন না জানি শাঁকচুন্নি বলার অপরাধে মাইর দেওয়া শুরু কখন দেয়।
নিশি আর অনু ভার্সিটিতে এসে শুনে অনুষ্ঠানের সময় আরো দুই ঘন্টা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওরা জানতো না। যখন ওরা শুনে যে আরো দুুই ঘন্টা সময় আছে তখন দু’জনেই হাফ ছেড়ে বাঁচে । তখনই নিশি অনুর হাতটা ধরে পুকুর পাড়ে নিয়ে আসে । আর তারপরে কাহিনীটুকু তো জানাই ।
আযানের কথাতে নিশি আর অনুর রেডি হওয়ার কথা মনে পড়ে । তার সাথে আযানের বলে যাওয়া শাঁকচুন্নি কথাটা । নিশি নাক ফুলিয়ে বলে,
—ওই শয়তানের নানাকে আরেকবার পেয়ে নেই । কি হাল যে করবো ।
অনু নিশির হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো আর বলতে থাকলো,
—যা করার পরে করিস । এখন আগে চল । রেডি হতে হবে । আর তোর অনেক টাইম লাগে রেডি হতে ।
নিশি অনুর পাশ থেকে লাফ দিয়ে সামনে এসে বলে,
—এই পরমানু শুন না ।
অনু চোখ রাঙ্গিয়ে নিশির দিকে তাকালো । নিশি হেসে দিয়ে বললো,
—আমার পিচ্চি বোন মিষ্টি অনু । এবার হলো?
অনুও হেসে দিল এবার ।
—আমার মেকআপটা তুই করে দিবি পিলিজ পিলিজ না করিস না ।
নিশি বাচ্চাদের মতো বায়না করতে করতে বললো ।
—এটা তো নতুন কিছু না আপি । আমাকেই করে দিতে হবে আমি না বললেও কি তুই শুনবি নাকি ।
—হিহিহি ।
নিশি অনু গল্প করতে করতে চলে গেলো রেডি হতে ।

আধঘন্টা পর নিশি আর অনুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো । প্রথমে তেলওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় । তারপর আবৃত্তি । এরপর গানের পালা । অনু পার্ফমেন্স লাস্ট পার্ফমেন্সের আগেরটা । অনু আযানের সাথে “ভালোবাসি আমি যে তোমায়” গানটা ডুয়েট গেয়েছে । আর সবশেষে ছিল নাচের পালা ।
নিশি ভার্সিটিতে নাচের জন্য ফেমাস ছিল । শুধু ভার্সিটিতে না স্কুলেও সব সময় প্রথম হতো । নিশির নাম যখন মাইকে এলাউন্স করা হয় তখন প্রায় সবাই হৈ হৈ করে উঠে । মিউজিক বেজে উঠে……
.
…..কি জানি কি মন্ত্র দিয়া…হায়…

তখনই নিশি স্টেজে এন্ট্রি নিল ।

….কি জানি কি মন্ত্র দিয়া জাদু করিলো….
…..সোনা বন্ধে…..
সোনা বন্ধে আমারে দিওয়ানা বানাইলো ।

.
ফুল গানে নিশি নাচের প্রতেকটা স্টেপ বাই স্টেপ নেচে গেলো । অনেক হৈহুল্লোড়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয় । প্রায় রাত আটটা বেজে যায় অনুষ্ঠান শেষ করে বের হতে হতে । আকাশের অবস্থা তেমন ভালো না । ঠান্ডা বাতাস বইছে একটু পর পর । মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় ঝুমঝুম করে নেমে আসবে এক পশলা বৃষ্টি । আর ভিজিয়ে দিবে পুরো শহর । নিশি আর অনু রিকশা খুঁজছে । কিন্তু একটা রিকশাও পাচ্ছে না । আজ যেন রিকশারও সংকট না অতিমাত্রায় সংকট পড়েছে । অগত্য নিশি আর অনুকে রিকশার আশা ছেড়ে দিয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিতে হলো । নাহলে সারারাত রিকশার আশায় এখানেই কাটাতে হবে । নিশি আর অনু গল্প করতে করতে যাচ্ছিল, তখনই…….
.
.
.
চলবে??

(ভুলত্রুটি গুলো ক্ষমা করবেন)
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


#স্বপ্ন?
#অনামিকা_সিকদার_মুন
#পর্ব_৬
.
.
.
আকাশের অবস্থা তেমন ভালো না । ঠান্ডা বাতাস বইছে একটু পর পর । মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় ঝুমঝুম করে নেমে আসবে এক পশলা বৃষ্টি । আর ভিজিয়ে দিবে পুরো শহর । নিশি আর অনু রিকশা খুঁজছে । কিন্তু একটা রিকশাও পাচ্ছে না । আজ যেন রিকশারও সংকট না অতিমাত্রায় সংকট পড়েছে । অগত্য নিশি আর অনুকে রিকশার আশা ছেড়ে দিয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিতে হলো । নাহলে সারারাত রিকশার আশায় এখানেই কাটাতে হবে । রাত বেশি না হলেও শুনশান চারপাশ । খুব বেশি লোকের চলাচল চোখে পড়ছে না । ঢাকার শহরে পরিবেশ এত শান্ত খুব কমই দেখা যায় । মেঘলা আকাশ । হালকা শীতল মিষ্টি বাতাস । শুনশান চারিপাশ তার মাঝে নিশি আর অনু গল্প করতে করতে ফিরে যাচ্ছে নিজের নীড়ে । হঠাৎ করে নিশি অনুকে উদ্দেশ্য করে আফসোসের স্বরে বললো,
—জানিস অনু আজ মনে হচ্ছে কেন একটা প্রেম করলাম না জীবনে ।
নিশির কথা শুনে অনু ফিক করে হেসে দিল । কিন্তু কিছু বললো না । অপেক্ষায় রইলো নিশির পুনঃরায় কিছু বলার । অনুকে হাসতে দেখে নিশি সিরিয়াস ভঙ্গিতে বললো,
—তুই হাসছিস??
অনু হাসি চাপিয়ে মুখে সিরিয়াস ভাব এনে বললো,
—কই আপি না তোহ্। আমি একদম হাসি নি ।
নিশি তেড়ি লুক দিয়ে বললো,
—হাহ্ তা তো দেখতেই পারছি ।
—তা আপি বললি না তো তোর হঠাৎ প্রেম করার ইচ্ছে জাগলো কেন??
নিশি মুখ খানিকটা গোমড়া করে বললো,
—এমন রোমান্টিক একটা পরিবেশ অথচ হাত ধরে এই নিরব রাস্তাটায় হাটার মানুষ নেই । চোখে চোখ রেখে,তাকিয়ে মানুষ নেই । মনে হচ্ছে কেন যে নেই?? থাকলে খুব একটা মন্দ হতো না ।
অনু হাসছে নিশির কথা শুনে । কারণ আজ পর্যন্ত নিশিকে যে-ই প্রপোজ করেছে তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছে নিশি । আজ পর্যন্ত কারো সাথে সম্পর্কে জড়ায় নি । আর আজ সেই মেয়ে আফসোস করছে যে কেন সে এমনটা করলো না । এটা ভেবেই হাসি পাচ্ছে অনুর।
অনুর হাসিকে পাত্তা না দিয়ে নিশি আনমনেই বললো,
—ইস এখন যদি বৃষ্টি নামতো ।
নিশি একথা বলতে না বলতেই আকাশ গর্জে উঠে গুড়ু গুড়ু শব্দে । পলক পড়তে না পড়তেই ঝুমঝুম করে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে আকাশের মন ভার করে থাকা মেঘগুলো । অনু নিশির হাত ধরে দৌড় লাগায় । আশ্রয় নেয় এক বন্ধ টং দোকানের ছায়ায় । নিশি অনুর হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বলে,
—অনু ছাড় না । আমি ভিজবো ।
অনু নিশি হাত তো ছাড়লোই না আরো শক্ত করে ধরে বললো,
—একদম না আপি । ভিজলেই তোর জ্বর আসবে । তখন আমারই ঝামেলা । আমি তোকে দিব না ভিজতে ।
নিশি অসহায়ের মতো চেহারা বানিয়ে অনুর দিকে তাকালো । অনু নিশির দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিল । কারণ অনু জানে যখন নিশি কথায় যখন পারবে না তখন অসহায়ের মতো চেহারা করে ইমোশনালি ব্লাকমেইল করে অনুকে নিজের কথায় রাজি করানোর চেষ্টা করবে । অনু প্রতিবার নিশির কাছে হেরে যায় । বরাবরের মতো এবারও হারবে । অনু অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে নিশির দিকে ফিরে তাকাতেই দেখে নিশি ওর পাশে নেই । বিচলিত হয়ে যায় অনু নিশিকে নিজের পাশে না দেখে । এদিক সেদিক তাকিয়ে খুঁজতে শুরু করে ।
এদিকে নিশি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অনেকটা দূরে এসে পড়ছে । রুমঝুম রুমঝুম মাতাল করা এক মিষ্টি গানের মতো শব্দের মতো ঝরছে অধর ধারায় এই বৃষ্টি । আর বৃষ্টিবিলাসী হয়ে সেই বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা দু’হাত মেলে নিজের মাঝে জড়িয়ে নিতে চাইছে নিশি । যেন একটা ফোটা পানিও মাটিতে পড়তে দিবে না । সবটা জড়িয়ে নিবে নিজের মাঝে । মেঘের ডাক শুনে যেমন বৃষ্টির আভাস পেয়ে ময়ূর নাচে তেমনি নিশি বৃষ্টির আনন্দে এলোমেলো এক ছন্দে নেচে যাচ্ছে । নিশির নুপুরের ছনছন আওয়াজটা ততটা তীব্র না । ওর বৃষ্টি ভেজা পায়ের নুপুরের ছনছন আওয়াজটা মিলিয়ে যাচ্ছে ঝুম বৃষ্টির আড়ালে আবডালে । কিন্তু সেই মিলিয়ে যাওয়া আওয়াজটাও বাতাস যেন ঠিকই পৌঁছে দিয়েছে একজনের কানে । আর নিশির সেই নুপুরের আওয়াজ তার বুকের ধুকধুক ধুকধুক আওয়াজটা বাড়িয়ে দিয়েছে আরও ।

নীলকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল নিঝুম । কিন্তু মাঝরাস্তায় আসতেই হঠাৎ নীল কেনো জানি গাড়ি থামাতে বলে । গাড়িয়ে থামার সাথে সাথেই নীল কিছু না বলে গাড়ি থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায় । পিছন ডেকে ছিল নিঝুম । কিন্তু কোনো উত্তর দেয় নি নীল। বৃষ্টির জন্য নিঝুম গাড়ি থেকে বের হয়ে নীলের পিছনে যেতে পারে নি । তাই গাড়িতেই বসে ছিল নিঝুম । চোখ বুঝে সিটের সাথে হেলান দিয়ে ছিল নিঝুম । খানিক সময় পর ছমছম ছমছম একটা আওয়াজ শুনে চোখ মেলে তাকায় নিঝুম । গাড়িতে বসেই আশেপাশে তাকিয়ে খুঁজতে শুরু করে এই আওয়াজের উৎস । খুঁজতে চোখে পড়ে একটা অবয়ব । যে বৃষ্টি পানি নিয়ে মেতে আছে । একা একাই খেলছে বৃষ্টির পানি দিয়ে । প্রথমে নিঝুম ভাবতে লাগলো এই বৃষ্টির মধ্যে একা একা ভিজছে?? কে এই মেয়ে । উঁকি ঝুকি মেরে মেয়েটার মুখ দেখার চেষ্টা করলো । মেয়েটা স্থির হয়ে ছিলো না। লাফালাফি দাপাদাপি করতছিল । এমন করতে করতেই অনেকটা নিঝুমের গাড়ির কাছে চলে এসেছিল । এতে নিঝুমের সুবিধা হয় । মেয়েটার মুখের দিকে তাকায় নিঝুম । স্পষ্ট দেখতে পারছে না । তাই জানালার কাঁচটা নামিয়ে তাকায় মেয়েটার দিকে । মেয়েটার মুখ দেখে স্তব্ধ হয়ে গেল নিঝুম। কাকে দেখলো ও এটা!! হাত দিয়ে চোখ ডলে আবার ভালো করে তাকালো। না এবারও সেই একজনকেই দেখছে নিঝুম । কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব??? সেই স্বপ্নকন্যা ওর সামনে??? যাকে আজ দু’বছর ধরে প্রতি রাতে দেখে। যার জন্য নিঝুমের ঘুম পর্যন্ত ছেড়ে গেছে নিঝুমকে । স্তব্ধতার সাথে মুগ্ধতাও জেঁকে ধরেছে নিঝুমকে । ওর স্বপ্নকন্যার এই বৃষ্টিবিলাসী রূপ ওকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মুগ্ধতার সাগরে । সাথে অবাক হওয়া তো আছেই। নিঝুম কখনো কল্পনাও করে নি যে বাস্তবে ওর স্বপ্নকন্যা আছে । নিজের অজান্তে নিঝুম গাড়ি থেকে বেরিয়ে একপা দু’পা করে এগিয়ে যায় ওর স্বপ্নকন্যার দিকে ।

নিশি হঠাৎ খেয়াল হয় যে অনুকে তো ও সেই টং দোকানে রেখে ভিজতে ভিজতে অনেকটা দূরে এসে পড়ছে। ওকে এখনি ফিরে যেতে হবে । অনু নিশ্চয়ই চিন্তা করছে। নিজের বোকামিতে নিজেই বিরক্ত হয়ে যায় নিশি। এমন ভুল ও করলো কিভাবে!!!! ফিরে যাওয়ার জন্য নিশি উল্টো দিকে ফিরে দৌড় লাগাতে যায় । আর তখনই কারো বুক গিয়ে ধাক্কা খায়। কার সাথে ধাক্কা লাগলো সেটা দেখার জন্য মাথা উচু করে মানুষটার মুখের দিকে তাকাতেই নিশি দেখে এক জোড়া চোখ । যার গভীর এক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে……
.
.
.
চলবে??
(বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন। )
.
আগের পর্বের লিংক?

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=476557246351112&id=100019905212756

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ