মন পায়রা পর্ব-১২

0
702

#মন পায়রা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১২

‘এমন একটা চরিত্রহীন ছেলেকে আমি কখনও বিয়ে করতে পারবো না কোনো এনগেজমেন্ট হবে না, আজ এনগেজমেন্ট হয়ে গেলে বিয়েও করতে হবে চাইলেও কেউ আটকাতে পারবে না তাই যা বলার আগেই সবাইকে জানানোর প্রয়োজন মনে হয়েছে আমার।’

সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পায়রার দিকে এখানে উপস্থিত সবাই মোটামুটি ইফাতকে চেনে তার সম্পর্কে জানে এমন একটা কথায় অবাক হওয়াই স্বাভাবিক।ইফাত পায়রাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে,

– কি বলছো এসব কে চরিত্রহীন?

– আপনি মি. ইফাত মির্জা।কি ভাবেন নিজেকে? সবকিছু আপনার ইচ্ছেতে হবে না এবার আর কিছু আপনার ইচ্ছায় হবে না কোনভাবেই আমি আপনাকে আমার জীবনে চাই না আমি।

এনায়েত মির্জা রাগান্বিত হয়ে,
– পায়রা কোনো প্রমাণ ছাড়া আমার ছেলের নামে এমন অপবাদ দিতে পারো না।

পলাশ শেখও তাল মিলিয়ে,
– ইফাতকে আমরা ভালো করেই চিনি এটাও জানি ও কেমন ছেলে তাই সবার সামনে আজেবাজে কথা না বলে আংটি পরেনে।

– আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বলছি না।

বলেই পায়রা স্টেজ থেকে নেমে সাবিহার হাত থেকে বক্সটা এনে ছবিগুলো বের করে বাবা আর এনায়েত মির্জার হাতে দিলো। সাবিহা জানে না বক্সে কি আছে পায়রা রাখতে বলেছিল তাই সেও রেখেছে।

এনায়েত মির্জা এবং পলাশ শেখের মুখে অন্ধকার নেমে এসেছে।ইতি বেগম,আসমা বেগমও দেখলো এবার ইফাত বাবার হাত থেকে ছবিগুলো নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে,
– বিশ্বাস করো এই মেয়েকে আমি চিনি না আর এভাবে! দেখেই বুঝা যাচ্ছে এডিট করা হয়েছে ছবিগুলো।

পায়রা উচ্চ কন্ঠে,
– এগুলো এডিট নয় আপনার চরিত্র যে খারাপ এগুলো না দেখলে জানতেই পারতাম না।

ইফাত পায়রার দুই বাহু ধরে,
– তুমি তো জানো আমি তোমায় কতটা ভালোবাসি তারপরেও কিভাবে এসবে বিশ্বাস করে ভুল বুঝছো? কেন এমন অপবাদ দিচ্ছো?

পলাশ শেখ এগিয়ে ইফাতকে পায়রার কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে,
– একদম আমার মেয়ের কাছে আসবে না আমি মানুষ চিনতে ভুল করেছি।

আবরারের থমথমে মুখে হাসি ফুটেছে অশমিও মহাখুশি।সুযোগ পেয়ে আবরার পলাশ শেখের কাছে গিয়ে,
– আমি আগেই বলেছি কিন্তু পায়রা বিশ্বাস করেনি যাক সঠিক সময়ে সবটা পায়রা জেনেছে।

এনায়েত মির্জা গম্ভীর মুখে,
– দেখো পলাশ যে যত যাই দেখাক এবং বলুক না কেন আমি কখনও আমার ছেলেকে অবিশ্বাস করবো না কারণ আমি জানি আমার ইফাত কেমন আমাদের উচিত ব্যাপারটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলা ছবিগুলোও যাচাই করা উচিত।

আবরার চেঁচিয়ে,
– আর কিসের কথা আপনাদের সঙ্গে? যা জানার সবাই জেনেই গেছ।

এনায়েত মির্জা ভেতরে ভেতরে রাগে ফুঁসছেন তার মুখের উপর এভাবে কথা বলার জন্য কিন্তু অতি কষ্টে নিজেকে শান্ত করে রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইফাতের কোনো দিকে খেয়াল নেই তার দৃষ্টি শুধু পায়রার দিকে স্থির। পায়রারও অনেক কষ্ট হচ্ছে ইফাতের দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না তার।

ইফাত আবারো পায়রার কাছাকাছি গিয়ে হাত ধরে,
– কে কি ভাবলো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা কিন্তু তুমি আমাকে ভুল বুঝতে পারোনা পায়রা।

– ভুল বুঝার কিছু নেই আপনাকে আমি আগে থেকেই পছন্দ করিনা তা আমি বলেছি আপনার জন্য ঘৃণা আরো বেড়ে গেছে লজ্জা থাকলে এই মুখ আমাকে আর দেখাবেন না রিকোয়েস্ট করছি।

ইফাত নাছোড়বান্দা পায়রার এক হাত চেপে ধরে রেখেছে পায়রা ছাড়াতেই পারছে না। ইফাত পায়রার গালে এক হাত রেখে,
– আমি তোমাকে ছাড়া আর থাকতে পারবো না আমাকে সময় দাও আমি প্রমাণ করে দিব ছবিগুলো মিথ্যে।

সঙ্গে সঙ্গে পায়রা জোরে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো ইফাতের গালে। সবার মধ্যে শরগোল বেঁধে গেছে যে যার সাথে কানাঘুষা করছে। ইফাতের চোখ রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে ঠোঁট জোড়া কাঁপছে আগেও একবার পায়রা তাকে থাপ্পড় দিয়েছিল কিন্তু তখন কোনো প্রতিক্রিয়া না হলেও আজ রাগ, কষ্ট আর লজ্জা ভেতরে হানা দিয়েছে সবার সামনে প্রিয় মানুষের এমন অপমান আর অপবাদ মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

ইফাতের দাদীও এখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি বসা থেকে উঠে তাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে,
– অনেক হয়েছে সবকিছু এতক্ষণ শুনছিলাম কিন্তু এখন যা হলো তা মেনে নেওয়ার মতো না শোন এনায়েত এই মেয়েকে কোনভাবেই আমার নাতির সঙ্গে বিয়ে দেবো না।

এনায়েত মির্জা ইফাতের দিকে একবার তাকিয়ে তারপর ক্ষিপ্ত স্বরে,
– হুম মা তোমার সঙ্গে আমিও একমত কাউকে কিছু বুঝানোর নেই আর।

পলাশ শেখও রেগে,
– আমরাও এই ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিবো না এনগেজমেন্ট হবে না।

আসমা বেগম স্বামীর দিকে তাকিয়ে,
– হুটহাট এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় সবটা পরিষ্কার ভাবে না জেনে সামান্য একটা কারণে এমনটা করা ঠিক হবে না বিয়ে তো আর এখনি হয়ে যাচ্ছে না সবেমাত্র এনগেজমেন্ট পরে না হয়

– তুমি থামো আর কিছু শুনতে চাই না।

– লোক হাসিয়ে….

আতিফা বেগম এগিয়ে এসে বোনের কাঁধে হাত রেখে,
– লোক হাসবে না তোরা চাইলে আজ পায়রার এনগেজমেন্ট হবে আমার ছেলে আবরারের সঙ্গে।

– আপা!

– আমার অনেক ইচ্ছে ছিল পায়রাকে নিজের বাড়িতে বউ করে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু তখন বলতে পারিনি এখন সঠিক সময় বলে দিলাম আশা করি কোনো আপত্তি নেই তোদের।

পলাশ শেখ কিছু না ভেবেই বললেন,
– হুম রাজি আবরার এদিকে এসে পায়রাকে আংটি পরিয়ে দাও।

আবরার হাস্যজ্জল মুখে এগিয়ে আসতেই আতিফা বেগম নিজের আঙ্গুল থেকে একটা আংটি খুলে আবরারের হাতে দিয়ে,
– যা পরিয়ে দে।

পায়রা ভাবতে পারেনি যে এমন একটা ঝামেলায় তাকে পড়তে হবে সে ব্যাপারটা অনেক সহজ ভাবে মিটে যাবে ভেবেছিল। আবরার পায়রার দিকে এগিয়ে গেল ইফাত চেঁচিয়ে,
– পায়রা তুমি এমনটা করতে পারো না আবরার তুমি কেন মাঝখানে আসছো?

এনায়েত মির্জা দ্রুত এসে ইফাতের হাত চেপে ধরে,
– ইফু ব্যস চল এখান থেকে।

– বাবা তুমি আটকাও অন্তত।

এনায়েত মির্জা ইনানকে এদিকে আসতে ইশারা দিলেন ছেলের কষ্ট নিজ চোখে সহ্য করতে পারছেন না তবে নিজের সম্মান বিসর্জন দিতেও তিনি রাজি নন।ইনান এসে ভাইকে ধরলো। পায়রা এক পলক ইফাতের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো বেশিক্ষণ তাকানোর সাহস নেই ওই চোখে। আবরার পায়রার আঙ্গুলে আংটি পরিয়ে দিলো, ইফাতের চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়তেই হাতের উল্টো পাশ দিয়ে মুছে ইনানকে সরিয়ে বেরিয়ে গেল বাগান বাড়ি থেকে। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল এই আশা নিয়ে হয়তো পায়রা আটকাবে কিন্তু সব আশা ভুল প্রমাণিত হলো।

এনায়েত মির্জা পরিবার নিয়ে ইফাতের পেছনে গেল কিন্তু ধরতে পারলো না ইফাত নিজের গাড়ি নিয়ে চলে গেছে।ইতি বেগম চিন্তিত হয়ে,

– আমার খুব চিন্তা হচ্ছে ইফাতের জন্য।

এনায়েত মির্জারও কম চিন্তা হচ্ছে না তারপরেও নিজেকে শক্ত করে আর বাকিদের সামলাতে,
– চিন্তা করতে হবে না বাড়িতে যেতে হবে গাড়িতে উঠো।

ইফাতের কানে পায়রার প্রত্যেকটা কথা বাজছে, চোখে ভেসে উঠছে সেই দৃশ্য গুলো মন অশান্ত হয়ে উঠেছে চোখ গুলো এখনও লাল হয়ে আছে ভেতরের আর্তনাদ চাপিয়ে রেখেছে কষ্টগুলো যেন আর সহ্য করা যাচ্ছে না। আজ কষ্টকে লুকাতে এক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করতে যাচ্ছে ইফাত, গাড়িটা থামালো এক বাড়ের সামনে ভেতরে প্রবেশ করে সোজা চলে গেল কাঁচের বোতল দিয়ে সাড়ি করা টেবিলের পাশে বোতল খুলে ইচ্ছে মতো খেতে থাকলো তৃষ্ণা মিটালো। তারপর কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে বসে আছে কষ্ট কিছুতেই কমছে না বরং বেশি মনে পড়ছে। নেশাও যেন আজ ইফাতকে গ্ৰাস করতে পারছে না বাড় থেকে বেরিয়ে আবারো গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।

চোখে আবছা দেখছে ইফাত তারপরেও অধিক কষ্টে গাড়ি চালাচ্ছে কিছু দূর যেতেই হঠাৎ করেই উল্টো পাশ থেকে একটা বড় ট্রাক এসে গাড়িটাকে জোরে ধাক্কা মা’র’লো।
______________

পায়রা ফ্লোরে হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে কান্না করছে ওই অচেনা নাম্বারে অনেক কল দিয়েছিল কিন্তু পায়রাকে ব্লক করে দিয়েছে। পায়রা নিজেকে দোষারোপ করে,

– আজ আমার জন্য ইফাতকে অপমানিত হতে হয়েছে কষ্ট পেতে হয়েছে আমি ইফাতের ভালোবাসাকে সবার সামনে ছোট করেছি কিন্তু কি করতাম আমার হাতে তো কিছু ছিল না এটা না করলে বাবার ক্ষতি হয়ে যেত।

একটু থেমে জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে,
– আমি ইফাতকে বুঝিয়ে বলবো আমি জানি উনি ঠিক আমাকে বুঝবে।

অনুষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফিরে পায়রা ঘরে এসে দরজা আটকে কান্না করছে এখনও পোশাক পাল্টায়নি।

আবরারের আজ আনন্দের দিন বিছানায় আধ শোয়া হয়ে চোখ বন্ধ করে গুনগুন করে গান গাইছে।অশমি চুপচাপ আবরারের পাশে বসে আছে, আবরার বোনের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে,
– কিরে মুখ এমন ফুলিয়ে রেখেছিস কেন?

– এসব তোর কাজ তাই না ভাইয়া?

– ছবিগুলোর বুদ্ধি আমার কিন্তু পায়রাকে দিয়ে ইফাতকে অপমান আরেকজনের বুদ্ধি।

– সে কে?

– একটা মেয়ে জানি না কিভাবে জেনেছে আমি ইফাতকে সহ্য করতে পারি না পায়রাকে পছন্দ করি। নিজেই আমাকে কল করে আমার সাহায্য চাইলো যেহেতু আমাদের লাভ হবে তাই রাজি হয়ে গেছি।

– কে মেয়েটা?

– জানি না চেহারাও দেখিনি শুধু ফোনে কথা হয়েছে এখন আবার আমার নাম্বার ব্লক করে দিয়েছে, তবে যাই হোক কাজ কিন্তু আমাদের মনের মতোই হয়েছে।

– আমাদের নয় তোর মনের মতো হয়েছে পায়রার সঙ্গে সহজেই তোর এনগেজমেন্ট হয়েছে কিন্তু ইফাতকে আমি কিভাবে পাবো?

– তোর ভাই আছে তো আমি বুঝে নিবো তুই ঘরে যা।

– আচ্ছা।

অশমি চলে যেতেই ঘরের দরজা আটকে আবরার বাঁকা হেসে,
– আমি ইফাতকে নিজের শত্রু মনে করি আর শত্রুর সঙ্গে নিজের আদরের বোনকে বিয়ে দিব একদম নয়।
_____________

ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই সবার মুখে চিন্তার ছাপ। ইফাতের দাদীকে জোর করে খাইয়ে ঘরে দিয়ে এসেছে ইতি বেগম।রাত ১:০০ টা বাজে কিন্তু এখনও ইফাতের কোনো খবর নেই ইনান আর এনায়েত মির্জা মিলে অনেকবার ফোন করেছে কিন্তু মোবাইল বন্ধ। ইফাতের বন্ধু, এসিস্ট্যান্ট আরাফকেও ফোন করে জিজ্ঞেস করা হয়েছে কেউ কোনো খোঁজ জানে না।ইতি বেগম কান্না করে দিয়েছেন ইনান অনেক বুঝিয়ে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে।

রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেছে এখনও ইফাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এনায়েত মির্জা উঠে দাঁড়ালেন ইনানের দিকে তাকিয়ে,
– তোর মা আর দাদীকে দেখিস আমি দেখি ইফুর খবর পাই কিনা।

– তুমি বাড়িতে থাকো বাবা এখন তোমাকে কোথাও যেতে হবে না আমি ভাইয়ার খবর নিচ্ছি।

কথার মাঝেই এনায়েত মির্জার মোবাইল বেজে উঠলো পরিচিত নাম্বার থেকে কল এসেছে। এনায়েত মির্জা রিসিভ করে কানে ধরতেই অপরপাশ থেকে বিচলিত কন্ঠে আরাফ বলল,

– স্যার একটা বড় এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে।

– কার এক্সিডেন্ট?

– ইফাত স্যারের এক্সডিন্ট হয়েছে একটা ট্রাক এসে স্যারের গাড়িতে ধাক্কা মা’রে। স্যারের অবস্থা খুব খারাপ দ্রুত আপনারা হাসপাতালে আসুন।

বলেই কল কেটে দিলো আরাফ।ইনান এগিয়ে এসে,
– কার এক্সিডেন্ট বাবা?

– ইফাতের এক্সডিন্ট হয়েছে আমাদের এখনি হাসপাতালে যেতে হবে।

ইতি বেগম কথাটা শুনেই কান্না করে দিলেন।ইনান মা’কে ধরে,
– মা এখন কান্না করার সময় নয় হাসপাতালে যেতে হবে।

দ্রুত তারা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল ইনান কাজের লোককে দাদীর খেয়াল রাখতে বলে গেছে।
আরাফ হাসপাতালে ইফাতের কেবিনের সামনে বসে আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইফাতের বাড়ির লোকজন চলে এসেছে সবাই আরাফের দিকে এগিয়ে যেতেই আরাফ বলল,

– স্যারকে ও.টিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ঢুকে গেছে অনেক রক্ত বের হয়েছে।

ইনান জিজ্ঞেস করল,
– ভাইয়ার খোঁজ তুমি পেলে কিভাবে?

– বড় স্যার রাতে কল দিয়ে জানাতেই আমি বেরিয়ে পড়ি স্যারকে খুঁজতে স্যারের গার্ডদের নিয়ে খুঁজতে খুঁজতে একসময় পেয়ে যাই আপনাদের বাড়ির কাছাকাছি এক্সিডেন্ট হয়েছে।

ইতি বেগম কান্না করেই যাচ্ছেন এনায়েত মির্জা কপালে হাত দিয়ে একপাশে বসে আছে স্ত্রীকে স্বান্তনা দেওয়ার অবস্থায় তিনি নেই যতোই কঠোর হোক না কেন ছেলেদের তিনি অনেক ভালোবাসেন। ইতি বেগম ইতোমধ্যে জ্ঞান হারিয়েছেন কাঁদতে কাঁদতে,ইনান দু’জন নার্সকে ডেকে আনে এখন তারাই ইতি বেগমকে দেখছে।

চলবে………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে