মন পায়রা পর্ব-১০

0
689

#মন পায়রা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১০

‘দেখ পায়রা আমি ইফাতকে অনেক ভালোবাসি ইফাতও আমায় ভালোবাসতো কিন্তু মাঝখানে তুই এসে পড়ায় আমাদের সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেছে আমি অনেকবার তোকে বলার চেষ্টা করেছি বলতে পারিনি কিন্তু আজ না বলে উপায় নেই আমি চুপ থাকলে তোর আর আমার দু’জনের জীবন হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে।

একনাগাড়ে কথাগুলো বলে থামলো অশমি। পায়রা কপাল কুঁচকে অশমির দিকে তাকিয়ে আছে। সকাল হতেই আজ অশমি পায়রার ঘরে এসেছে আর তারপর পায়রাকে নিজের সামনে বসিয়ে একদমে কথাগুলো বলল।

পায়রা তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে অশমিকে ভালো করে দেখে নিয়ে,
– তারপর?

অশমি কিছুটা অবাক হয়ে,
– সবটাই তোকে বলেছি এর পর আবার কি?

– সবটা বলা শেষ?

– হুম।

পায়রা হো হা করে হেসে দিল পায়রার হঠাৎ এমন হাসি দেখে অশমি ভড়কে গেছে।অশমি ভিতু কন্ঠে,
– এভাবে হাসছিস কেন?

– তোর এসব বানানো কথা শুনে হাসি পাচ্ছে ইফাতের নামে এসব বলার আর মানুষ পেলি না।

– তোর আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না ঠিক আছে আমি প্রমাণ দিচ্ছি।

পায়রার হাসি মিলিয়ে গেল ভাবছে কি প্রমাণ দিবে অশমি। অশমি সাথে করে খামটা এনেছে,খামটা পায়রার দিকে এগিয়ে দিল পায়রা খামটার ভেতর থেকে ছবিগুলো ভালো করে দেখল। ছবিগুলোতে স্পষ্টভাবে ইফাত আর অশমিকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। মনে মনে অশমি হাসছে, পায়রা অশমির দিকে তাকিয়ে,

– এখানে কি সবগুলো ছবিই আছে?

– হ্যা সবগুলোই আছে।

পায়রা ড্রেসিং টেবিল থেকে একটা দেশলাই বক্স নিয়ে আসলো অশমি জিজ্ঞেস করল,
– এটা দিয়ে কি হবে?

– দেখতে থাক।

বলেই পায়রা ঘরের দরজা আটকে দিল তারপর ছবিগুলো খামে ভরে আগুন জ্বালিয়ে দিল।অশমি কাছে গিয়ে,
– কি করলি এটা ছবিগুলো পুড়িয়ে দিলি কেন?

– যাতে এসব অন্য কারো চোখে না পড়ে।

– তুই তোদের বিয়েটা ভেঙ্গে দিবি তো?

– তোর এই সস্তা এডিট করা কিছু ছবি দেখিয়ে আমার চোখে ইফাতকে খারাপ করতে চাস তুই?তুই কি ভেবেছিস এসব দেখালেই আমি ইফাতকে ভুল বুঝে বিয়ে ভেঙে দিব তাহলে বলতে হয় তোর ভাবনা ভুল।

– তুই আমাকে কিন্তু অবিশ্বাস করছিস পায়রা।

– আঙ্গুলটা যেহেতু তুই ইফাতের দিকে তুলেছিস সেহেতু তোকে অবিশ্বাস করাটাই স্বাভাবিক তোর যে ইফাতের উপর নজর আছে এটা আমি আগেই বুঝেছি তোর হাবভাব দেখে আর আজ তুই তার প্রমাণ দিলি।

পায়রা একটু থেমে আবার বলা শুরু করল,
– যে ছেলেটাকে এত অপমান আজেবাজে কথা বলার পরেও বারবার ভালোবাসি বলে পেছনে পরে থাকে শরীরে জ্বর নিয়ে মাঝরাতে গাড়ি চালিয়ে দেওয়াল টপকে পাইপ বেয়ে আমায় একটাবার চোখের দেখা দেখতে আসে তোর জন্য তাকে অবিশ্বাস করব ভাবলি কিভাবে?ইফাতকে তোর নাম বললেই তো ঠিক মতো চিনতে পারবে না আর তুই এসেছিস এসব ছবি নিয়ে আমার কান ভাঙাতে?

– হ্যা আমি ইফাতকে ভালোবাসি যেদিন প্রথম ইনানের জম্মদিনে দেখেছি সেদিন নিজের মন হারিয়েছে আমি এত সহজে ইফাতকে হারাতে চাই না তুই তো ইফাতকে পছন্দ করিস না তাহলে সরে আয়।

– সরতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনি সরতে দিলেন কোথায়? আমি অপছন্দ করি ইফাতকে নয় বরং ইফাতের ভয়ংকর রাগটাকে আমার প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসাকে,তোর কথায় আমি ইফাতকে নিজের থেকে দূরে সরাতে পারবো না বলতে গেলে আমি চাইলেও উনি আমাকে যেতে দিবেন না তাই আমাকে না বলে ইফাতের সঙ্গে কথা বল গিয়ে।

অশমি আর কিছু বলল না পায়রার কথাগুলো সেও বুঝতে পেরেছে চুপ করে উঠে গেল ঘর থেকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই পেছন থেকে পায়রা ডেকে,

– শোন অযথা ইফাতের কথা ভেবে কষ্ট পেয়ে লাভ নেই তুইও জানিস আমিও জানি সবটা আর হ্যা তোর ভাইকে বলে দিস ইফাতের পেছনে না লেগে নিজে যাতে ভালো কিছু করে তাহলে এমনিতেই সব জায়গায় সম্মানিত এবং সফল হবে।

অশমি নিজের বাড়িতে চলে গেল। আবরার অপেক্ষা করছে কখন অশমি আসবে এবং তার কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানবে।

অশমি বাড়িতে আসতেই আবরার হাস্যজ্জল মুখে এগিয়ে গিয়ে,
– কাজ হয়েছে?

অশমি ওখানে ঘটে যাওয়া সব কিছু আবরারকে বলে দিল।আবরারের খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই বিয়ে ভাঙ্গার সব উপায় শেষ।
_____________

‘আমারে তো ইফাত দাদু ভাইয়ের নিয়া আসার কথা ছিল কিন্তু এনায়েত নিয়ে আসলো ইফাত কই বউ?’

– অফিসে অনেক কাজের চাপ তাই আর কি ইফাতকে বলা হয়নি আপনার ছেলেই গেল আপনাকে আনতে।

– শুনলাম ইফাতের জন্য নাকি মেয়ে দেখছো?

– হ্যা মা আপনার নাতির নিজের পছন্দ করা মেয়ে আর দু’দিন পরেই এনগেজমেন্ট।

– একেবারে বিয়ে ঠিক করলেই হয়ে যেত আবার এনগেজমেন্ট।

– মেয়ের বাবা চাইছেন মেয়ের পড়াশোনা শেষ হলে বিয়ে দিতে তাই এখন এনগেজমেন্ট সেরে নিব পরে না হয় বিয়ে।

– আমগো সময় এসব আছিল না এখনকার যুগে কত কি নিয়ম।

ইতি বেগম হাসলেন।আজ গ্ৰাম থেকে এনায়েত মির্জার মা এসেছেন মূলত ইফাতের এনগেজমেন্টের কারণে।শহর ভালো না লাগার কারণে উনি নিজ ইচ্ছায় গ্ৰামে থাকেন এনায়েত মির্জা এবং ইতি বেগম অনেক চেষ্টা করেও উনাকে একেবারে এই বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেননি।

‘খালাম্মা গ্ৰাম থেকে এসেছে পায়রাকে নাকি দেখতে চেয়েছে তাই এনায়েত বলল পায়রাকে নিয়ে ওদের বাড়ি থেকে যেন ঘুরে আসি।’

– পায়রা কি যেতে রাজি হবে?

– আমি বললে ঠিক যাবে আর যাই হোক বাবার কথা পায়রা ফেলতে পারবে না।

পায়রা এদিক দিয়ে যাচ্ছিল পলাশ শেখ আর ইতি বেগমের কথা শুনে দাঁড়িয়ে গেল ঘরের ভেতরে ঢুকে,
– আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছে মনে হয়?

পলাশ শেখ পায়রাকে দেখে,
– ঠিক সময় এসেছিস।

– এবার বলো কি কথা হচ্ছিল?

– ইফাতের দাদী এসেছে তোদের বিয়ের খবর শুনে উনি তোকে দেখতে চাইছেন।

– আসতে বলো।

– উনি বয়স্ক মানুষ উনি আসবেন না তোকে নিয়েই ঘুরে আসবো।

– এখন আবার ওই বাড়িতে যেতে হবে!

– এখন না কাল যাবো।

– না গেলে হয় না বাবা?

– না বড়দের কথা শুনতে হয়।

– আচ্ছা।

পায়রা মুখ গোমড়া করে চলে গেল পলাশ শেখ ইতি বেগমের উদ্দেশ্যে,
– দেখলে কি সহজে রাজি হয়ে গেল।

– হুম বাবা ভক্ত হয়ে ভালো হয়েছে সামলানো তো যায় নাহলে কি যে হতো।
___________
রাতে বাড়িতে ফিরে ইফাত ফ্রেশ হয়ে দাদীর ঘরে চলে গেল।তার দাদী বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ইফাতকে দেখেই উঠে বসলেন ইফাত পাশে বসে,
– কেমন আছো দাদী?

– আলহামদুলিল্লাহ দাদু ভাই তুই কেমন আছিস?

– আমিও আলহামদুলিল্লাহ।

– অফিস থেকে সবেমাত্র ফিরলি নাকি?

– কিছুক্ষণ আগে আসলাম এসে ফ্রেশ হয়েই তোমার কাছে চলে আসলাম।

– শুনলাম তোর নাকি বিয়ে মেয়ে নাকি নিজে পছন্দ করেছিস?

– হুম।

– নতুন বউ পেয়ে আবার বুড়ো বউকে ভুলে যাস না।

– কি যে বলো না তুমিই তো আমার প্রথম বউ তোমাকে কি ভুলতে পারি?

ইনান ভেতরে এসে কথাগুলো শুনে ফুরণ কেটে,
– ওইটা তোর নয় আমার বউ লজ্জা করে না হবু বউ রেখে ছোট ভাইয়ের বউয়ের দিকে নজর দিতে?

ইনানের কথায় তাদের দাদী হেসে দিলেন ইফাত ব্রু নাচিয়ে,
– তোর লজ্জা করে না গার্লফ্রেন্ড রেখে অন্য একজনকে নিজের বউ দাবি করতে?

ওদের দাদী চমকে গিয়ে,
– ছোট দাদু ভাই তুইও প্রেম করিস!

ইনান দ্রুত কাছে গিয়ে,
– আস্তে কথা বলো দাদী তোমার পূত্র বধূ শুনলে বাড়িতে ঘুর্নিঝড় হয়ে যাবে।

ওদের দাদীও ঠোঁটে আঙুল রেখে,
– তোরটা তোর মা জানে না?

– না তবে সন্দেহ করছে।

ইফাত মজা করে,
– দাদী তুমি মা’কে বলে দিও তাহলে দুই ভাইয়ের বিয়ে একসঙ্গে হয়ে যাবে।

ইনান অসহায় কন্ঠে,
– নারে ভাইয়া আমার বেলা মা অনেক কঠোর বলে দিয়েছে যদি জানতে পারে তাহলে নাকি আমার ঘাড় থেকে পেত্নি নামাবে।

– সাবিহা তাহলে পেত্নি!

বলেই হাসতে লাগল ইফাত।ইফাতের সঙ্গে তাদের দাদীও তাল মিলালো।ইনান ইফাতকে রাগ দেখিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি ইতি বেগম ভেতরে প্রবেশ করে,

– গল্প পরে হবে এখন সবাই খেতে এসো।

ইতি বেগম শাশুড়িকে নিয়ে খাবার টেবিলের দিকে গেলেন দুই ভাইও পেছন‌ পেছন গেল। সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ গল্প করে যে যার যার ঘরে ঘুমাতে চলে গেল।
___________

ইতি বেগম সার্ভেন্টদের নিয়ে রান্নার তোড়জোড় করছেন।আজ শেখ পরিবারের সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে কারণ তার শাশুড়ি পায়রাকে দেখতে চেয়েছে।ইফাতকে নিষেধ করায় সে আর অফিসে যায়নি ইনান আগে থেকেই জানতে পেরে গেছে তাই ভার্সিটি না গিয়ে বসে আছে কখন সাবিহার দেখা পাবে সেই আশায়।

দুপুরের আগেই শেখ পরিবার চলে এসেছে পায়রার সঙ্গে ইফাতের দাদীর পরিচয় হয়ে গেছে।ইফাতের দাদীর পায়রাকে পছন্দ হয়েছে।পায়রা আর তার পরিবার বাড়িতে আসার পর ইফাত সব জানতে পেরেছে সবাই নিচে বসে গল্প করছে সাবিহা এদিক ওদিক তাকিয়ে ইনানকে খুঁজছে পায়রা চুপ করে বসে সবার কথা শুনছে। ইনান সবাইকে সালাম জানিয়ে বলল,

– পায়রা ভাবী আর সাবিহা তোমরা এখানে বসে আছো কেন? চলো উপরে যাই।

সাবিহা এতক্ষণে হাফ ছেড়ে বাঁচলো দ্রুত দাঁড়িয়ে,
– হ্যা চলো এখানে বসে থাকতে ভালো লাগছে না।

ইতি বেগম এসে,
– পায়রা আর সাবিহা তোমরা বরং ইনানের সঙ্গে যাও ভালো লাগবে।

সাবিহা পায়রার হাত ধরে,
– আচ্ছা আন্টি।

পায়রার ইচ্ছে হচ্ছিল না যেতে কারণ সে জানে উপরে গেলেই একা হয়ে যাবে সবার চোখের আড়ালে গেলেই ইনান আর সাবিহা উধাও হয়ে যাবে। ইনানের সঙ্গে দু’জনে উপরে চলে গেল পায়রার কথাই ঠিক হলো ইনান পায়রার দিকে হেসে তাকিয়ে,
– পায়রা ভাবী ওই বাম পাশেই ভাইয়ার ঘর।

পায়রা ব্রু নাচিয়ে,
– তো?

– ভাইয়া বাসায় আছে যাও গিয়ে গল্প করো সময় কেটে যাবে।

– ঢং রেখে বলে ফেলেন সাবিহার সঙ্গে আলাদা সময় কাটাবেন।

– এত সহজে বুঝে গেলে অথচ ভাইয়াকে বুঝলে না।

পায়রা এবার চোখ পাকিয়ে তাকাতেই ওরা দু’জন চলে গেল। পায়রা কিছুক্ষণ ভেবে নিচে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো পেছনে ঘুরে সামনে পা বাড়াতেই কেউ তাকে জোরে টেনে ঘরে নিয়ে দরজা আটকে দিল। পায়রা মানুষটির দিকে না তাকিয়েই বুঝে গেছে কে সে। পায়রা ইফাতের দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইফাতের মুখে হাসি।ইফাত দুষ্টুমি করে,

– কেমন লাগছে শশুর বাড়িতে মন পায়রা?

– একদম ভালো না।

– কেন কেন?

– শশুরের অভদ্র বাজে ছেলের‌ জন্য।

এই কথাটায় ইফাত যেন বেশ মজা পেয়েছে উৎসুক হয়ে,
– স্বিকার করলে আমি তোমার জামাই!

পায়রা এবার যেন আকাশ থেকে পড়লো অবাক হয়ে,
– কখন বললাম এ কথা?

– এখনি তো বললে, আমার বাবা তোমার শশুর হলে আমি তোমার জামাই লাগি জামাই বুঝছো।

পায়রার ইচ্ছে হচ্ছে নিজের গালে কয়েকটা চড় মা’র’তে মনে মনে আওড়াচ্ছে,’দূর না ভেবেই কি বলতে কি বলে দিলাম।

পায়রার সামনে তুড়ি বাজিয়ে,
– আমায় সামনে রেখে কি এত ভাবছো?

– কিছু না।

ইফাত বিছানায় বসে,
– দাঁড়িয়ে না থেকে বসো।

পায়রা ইফাতের থেকে দূরত্ব রেখে বসল। মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভেতরে কিছুটা সাহস জুগিয়ে,
– অশমির সঙ্গে কখনও আলাদা কথা হয়েছে আপনার?

ইফাত প্রশ্নসহিত দৃষ্টিতে,
– কে অশমি?

পায়রা অবাক হয়ে,
– আপনি অশমিকে চেনেন না?

ইফাত একটু ভেবে,
– এ নামে কাউকে চিনি বলে তো মনে হয় না।

– আবরার ভাইয়ার বোন ওই যে ফুচকা খেতে গিয়ে আপনার ঝাল লাগায় একটা মেয়ে এগিয়ে এলো আমার সঙ্গে রাগ করলো।

– ওই মেয়েটার নাম অশমি! এমনিতে কয়েকবার দেখেছিলাম নাম জানা হয়নি।

– অশমিকে কেমন লাগে আপনার?

– কেমন লাগে মানে তেমন ভাবে কখনও কথাই তো হয়নি।

পায়রা স্বস্তি পেল,ইফাত জিজ্ঞেস করল,
– ওই মেয়ের নাম কেন আসলো?

পায়রা হাসার চেষ্টা করে,
– এমনি কেন কোনো সমস্যা নাকি?

– না।

ইনান সাবিহাকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছে, সাবিহা চারিদিক ভালো করে দেখে,
– তোমার ঘরটা বেশ সুন্দর।

– ধন্যবাদ তবে পুরো ঘর মায়ের গুছানো।

– তুমি গুছাতে পারো না?

– পারি কিন্তু মা গুছিয়ে দেয়, বিয়ের পর তুমি গুছাবে।

– দেখা যাবে।
.
.
.
খাওয়া দাওয়া গল্প গুজব করে পায়রা আর তার পরিবার নিজেদের বাড়িতে চলে গেছে। পায়রা এখন পুরোপুরি ভাবে বিয়েতে রাজি।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে