প্রেমের অগ্নি পর্ব-০১

0
2263

#প্রেমের_অগ্নি
#পর্ব_০১
#অধির_রায়

“কন্টাক্ট পেপার অনুযায়ী আজ থেকে তুই আমার রক্ষিতা৷ আমি যা বলবো তোকে তাই করতে হবে৷ আমার সাথে এক ঘরে রাত কাটাতে হবে৷ শুধু রাত কাটালে হবে না৷ আমার সাথে বেড় শেয়ারও করতে হবে৷” প্রেম একটা খাম প্রীতির দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলে৷
.
রক্ষিতা নামটা শুনে প্রীতির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। প্রীতি বসা থেকে ওঠে দাঁড়ায়৷ প্রীতির পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। প্রীতি অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,
“তোর সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি৷ ম্যামের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তুই ভুলে গেছিস?”
.
প্রেম মুচকি হেঁসে,
“প্রীতি রায় চৌধুরী খামটা খুলে দেখেন৷ আজ থেকে আপনার সব প্রপার্টি আমার নামে৷ আর আপনি নিজেই কন্টাক্ট পেপারে সাইন করেছেন৷ আপনি আমার বাসায় রক্ষিতা হিসেবে থাকবেন৷ আমার সব কাজ করবেন৷”
.
প্রীতি ক্ষেপে বলে উঠে,
“হোয়াইট। আমায় কি পাগলা কুকুরে কামড় দিয়েছে যে, ‘আমার সব প্রোপার্টি তোর নামে লিখে দিব৷’ তুই যদি এখন এখান থেকে বেরিয়ে না যাস তাহলে তোকে দারোয়ান দিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিব৷”
.
প্রেম প্রীতির চারপাশে রাউন্ড করে,
“কই আপনারা? এই দিকে আসেন৷ আমাদের ম্যাম কিছু বিশ্বাস করছে না৷”
.
প্রেমের ডাক শুনে দুইটা উকিল আর কয়েকজন পুলিশ বাড়ির ভিতরে আসে। উকিল কিছু কাগজ বের করে,
“আপনার সব সম্পত্তি নিজের ইচ্ছায় আপনার স্বামী প্রেম নিশাঙ্কে লিখে দিয়েছেন৷”
.
প্রেম প্রীতির দিকে চোখ টিপল দিয়ে,
“আপনারা এখন আসতে পারেন৷ আমাদের পারসনাল কিছু কথা আছে৷ দরকার পড়লে ডেকে নিব৷”
.
প্রীতি এতটায় রেগে আছে বলে বুঝানো যাবে না৷ প্রীতি রেগে প্রেমের গালে কষিয়ে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেয়৷ আর একবার হাত তুলতে নিলেই প্রেম প্রীতির হাত ধরে পিছন থেকে প্রীতিকে জড়িয়ে ধরে৷ প্রীতির কানে কামড় দিয়ে,
“তুই আমার কিছু করতে পারবি না৷ তোর হাত অনেক লম্বা হয়ে গেছে, কথায় কথায় মানুষের গায়ে হাত তুলা৷ দেখ তোর এই হাতের কি অবস্থা করি!”
.
প্রেম প্রীতির হাত অনেক জোরে চেপে ধরে৷ প্রীতি হাতে ব্যথা পাচ্ছে৷ তবুও কিছু বলছে না৷ চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে৷ সহ্য করতে না পেরে কাঁদো কাঁদো স্বরে,
“প্লিজ প্রেম আমার হাত ছেড়ে দে। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে৷”
.
আহা, তোর কষ্ট হয়৷ যখন তুই অন্যের গালে কষিয়ে চর বসিয়ে দেস তখন কোন কষ্ট হয় না৷ তোর এখন কষ্ট হচ্ছে।
.
প্লিজ প্রেম ছেড়ে দে!
.
প্রেম প্রীতিকে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দেয়৷ প্রীতি নিজের হাতে দিকে তাকিয়ে কান্না করে দেয়৷ প্রেম অনেক জোরে চেপে ধরাতে হাতে অনেক ব্যথা পাচ্ছে৷ আঘাত কৃত স্থান লালচে বর্ণ ধারণ করেছে৷ প্রীতি অনেক কষ্টে নিজেকে দাঁড় করায়৷ প্রীতিকে সাহায্য করতে কাজের লোক এগিয়ে আসলে প্রেম হাত দিয়ে ইশারা করে মানা করে৷ প্রীতি কান্না জড়িত কন্ঠে বলে উঠে,
“প্রেম তুই কেন আমার সাথে এমন করছিস? আমি তোকে বিশ্বাস করে আমার অফিসের ম্যানেজার বানিয়েছি৷ আজ তুই আমার পীঠে ছুরি বসিয়ে দিলি৷”
.
ড্রামা বন্ধ কর৷ আজ থেকে তুই আমাকে স্যার বলে ডাকবি৷ আর হ্যাঁ আমি তোর স্বামী হয়৷ স্বামীর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, তোর মা বাবা তোকে শেখায়নি?
.
প্রেম তুই কিন্তু বেশি কথা বলছিস৷ তুই এখানে আমার মা বাবাকে ডেকে আনছিস কেন? তোর মূল্যবোধ এতটা হ্রাস পেয়েছে আমার জানা ছিল না৷
.
প্রেম প্রীতির দিকে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে,
“মূল্যবোধ তোর আছে। সত্যি বলছি আমার আগে জানা ছিল না৷ আমার মাথা ধরে আছে৷ আমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আয়।”
.
হোয়াইট। আমি তোর জন্য চা বানাবো৷ তুই কি করে ভাবলি? তোর মতো দুই টাকার ছেলের জন্য প্রীতি রায় চৌধুরী চা বানাবে৷
.
হ্যাঁ তুই আমার জন্য চা বানাবি৷ তুই মনে হয় ভুলে গেছিস আমি তোর বর৷ আর এই প্রোপার্টির মালিক।
.
অন্যের জিনিস নিয়ে কেউ কোনদিন বড় হতে পারে না৷ আমি তোকে কথা দিচ্ছি৷ আমি তোর কাছ থেকে আবার সবকিছু কেঁড়ে নিব৷ তোকে তোর জায়গা বসিয়ে দিব৷
.
প্রীতি রাগ করে চলে যেতে নিলেই প্রেম প্রীতির হাত ধরে ফেলে৷ প্রীতির হাত ধরে টানতে টানতে রান্না ঘরে নিয়ে আসে৷ প্রীতিকে রান্না ঘরের ফ্লোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে,
“আজ থেকে তুই রান্না করবি৷ কাকে জায়গা দেখাবি তুই? তুই আগে এখান থেকে মুক্তি পেয়ে দেখা৷ আর হ্যাঁ আমার আমি যা বলি তাই করি৷ তুই কারো সাহায্য নিতে পারবি না৷”
.
প্রীতিকে রান্না করে রেখে এসে বাড়ির সকল সার্ভেন্টকে এক সপ্তাহের জন্য ছুটি দিয়ে দেয় প্রেম৷ সার্ভেন্ট ছুটি না নিতে চাইলে তাদের চারকি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়৷ যার ফলে তারা ছুটি নিতে বাধ্য হয়৷
.
প্রীতি অনেক কষ্ট করে ইউ টিউব দেখে দেখে প্রেমের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে আসে৷ প্রেম চায়ের কাপ ঠোঁট ছুঁয়ে,
“বাহ্ খেতে খুব ভালো হয়েছে৷ সেজন্য তোকে.. সরি! এখন তো আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে৷ আজ থেকে তুমি করে বলবো৷ এই দিকে আসো তোমার জন্য গিফট আছে।”
.
প্রেমের কোন কথা প্রীতির কানে যাচ্ছে না৷ প্রীতি এক ধ্যানে কিছুক্ষন আগের কথা ভাবছে৷ তার কাছে কিছুক্ষণ আগে সবকিছু ছিল৷ এখন সে পথের ফকির। কিন্তু সে কিভাবে পথের ফকির হলো? সে তো প্রেমকে তার সম্পত্তি লিখে দেয় নি৷
.
প্রেম ক্ষেপে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে উঁচু স্বরে বলে,
“কথা কানে যায় না৷ আমি কি বলছি? এই দিকে আসতে বলছি৷”
.
প্রেমের চিৎকারে প্রীতি ধীরে ধীরে প্রেমের কাছে আসে৷ প্রেম প্রীতির হাত ধরে চা কাপে চেপে ধরে৷ প্রীতির হাত গরম চায়ের কাপে রাখাতে প্রীতি অনেক জোরে জোরে চিৎকার করে৷ কিন্তু তার চিৎকার কারো কানে যাচ্ছে না৷ চোখ থেলে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে পড়ে যাচ্ছে। হাত ছেড়ে দেওয়াতে প্রীতি দ্রুত গতিতে কিচেনে চলে যায়৷ আর নিজের হাত ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখে৷
_______

রাতে প্রীতি ঘুমানোর জন্য নিজের রুমে আসতেই চিৎকার করে উঠে৷ প্রেম প্রীতির রুমের সব লাইট অফ করে রাখে৷ প্রীতি রুমে পা বাড়াতেই প্রেম প্রীতির সামনে কোথা থেকে লাফিয়ে পড়ে৷ প্রীতি অাবছা আলোয় প্রেমকে ভুত ভেবে চিৎকার করে।
.
নিজেকে শান্ত করে,
“প্রেম তুই আমার রুমে কি করছিস? বেরিয়ে যা আমার রুম থেকে। আমি তোর সব কথা মানবো বলো এসব মানবো না৷”
.
প্রেম লাইট অন করে রীতির সামনে আসে৷ প্রীতির কাঁধে হাত রেখে প্রীতির নাকের সাথে নাক ঘেঁষে দিয়ে,
“কামন প্রীতি৷ আমি বলেছি তুমি আমাকে স্যার বলে ডাকবে৷ স্যার বলে ডাকো উত্তর দিয়ে দিচ্ছি৷”
.
তোর মতো বাজে লোককে আমি স্যার বলে ডাকবো, তুই ভাবলি কি করে? মরে যাব তাও স্যার বলে ডাকবো না৷
.
তোমার খুব সাহস বেড়ে গেছে৷ আমি তোমার সাহসে ভয় পাচ্ছি না সুইটহার্ট৷ আমার কাছে এসব সাহসের ওষুধ আছে৷ তোমাকে এক ডোস দিলেই হবে৷
.
প্রেম প্রীতির গালে কষিয়ে চর বসিয়ে দেয়৷ প্রীতি নিজেকে সামলাতে না পারার জন্য ছিঁড়কে সোফায় পড়ে যায়৷ প্রেম প্রীতির চুল মুড়ি করে,
“সুইটহার্ট আমি যা বলবো তোমাকে তাই করতে হবে৷ আমার কথার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে বুঝতেই পারছো।”
.
প্রীতির চুল মুড়ি করে টানতে থাকে প্রেম৷ প্রীতি সহ্য করতে পারছে না প্রেমের অত্যচার৷ প্রীতি কান্না করে বলে উঠে,
“প্লিজ প্রেম আমার চুল ছেড়ে দে৷ আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে৷”

জোড়ে প্রীতির চুল টান দিয়ে আহ্লাদী স্বরে,
“সোনা বউ আমাকে স্যার ডাকো তোমাকে ছেড়ে দিব৷ তোমাকে আর কষ্ট দিব দিব না।”
.
প্রীতি আর কোন উপায় না পেয়ে প্রেমের কাছে হার মেনে নেয়৷ প্রীতি বাধ্য হয়ে বলে উঠে,
“প্লিজ স্যার আমাকে ছেড়ে দেন৷ আমি এমন ভুল দ্বিতীয় বার করবো না৷ আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে৷”
.
প্রেম চুলের মুড়ি ছেড়ে দিয়ে বেলকনিতে চলে যায়৷ প্রীতি ফ্লোরে বসে নিজের চুল সামনে এনে নিজের চুল দেখছে আর কান্না করছে৷ প্রীতি তার চুলকে খুব ভালোবাসে। লম্বা কালো কেশ প্রীতির সব কিছু৷

প্রীতি চোখের জল মুছে বিছানায় যাবে এমন সময় প্রেম বিছানায় এসে শুয়ে পড়ে৷ প্রেমকে নিজের বিছানায় দেখে প্রীতি ভয় পেয়ে যায়৷ সকালের কথা মনে পড়ে যায়৷ তার সাথে বেড় শেয়ারের কথা৷ প্রীতি উপরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে উঠে,
“হ্যাঁ সৃষ্টিকর্তা আপনি আমাকে এত বড় শাস্তি দিবেন না৷ আমি আমার সম্মান হারাতে চাইনা৷ আমাকে প্রেমের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেন৷”

প্রীতির চোখ থেকে অনবরত অশ্রু গড়িয়ে কপোলে বেয়ে পড়ে যাচ্ছে। প্রীতি আজ তার জীবনের সবকিছু হারিয়ে পথের ফকির। এখন নিজের সম্মান হারাতে চাইনা৷ তার কাছে এখন নিজের সম্মানটাই অবশিষ্ট আছে৷
.
প্রীতির দিকে একটা বালিশ ছুঁড়ে দিয়ে,
“সুইটহার্ট এতো ভয় পেতে হবে না৷ আমি তোমার কোন ক্ষতি করবো না৷ তবে হ্যাঁ আমি আমার বিছানায় কোন ফকিরকে জায়গা দেয় না৷ আমার সোনা বউ ফ্লোরে শুয়ে পড়৷ আর হ্যাঁ অন্য রুমে যাওয়ার চেষ্টা ভুলেও করবে না৷”
.
প্রীতি চোখ থেকে জল পড়ে যাচ্ছে না চাওয়া সত্ত্বেও। বালিশ নিয়ে ফ্লোরে শুয়ে পড়ে৷ প্রীতিকে কষ্ট দেওয়ার জন্য প্রেম এসির পাওয়ার অনেক বাড়িয়ে দেয়৷ প্রীতি শীতে কাঁপতে কাঁপতে ঘুমিয়ে যায়৷
_________

সোনালী রঙের আলো ছাড়িয়ে নতুন দিনের সূচনা করলেন সূর্যদেব। দক্ষিণ পূর্ব দিকের কাঁচের জানালা বেধ করে সূর্যের আলো রুমে ছাড়িয়ে পড়ছে৷ সূর্যের আলো প্রেমের চোখে পড়তেই প্রেম জেগে উঠে। প্রেম ঘুম থেকে উঠে দেখে প্রীতি ফ্লোরে জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে৷ প্রীতিকে এমন অবস্থায় দেখে প্রেমের একটু মায়া হয়৷ কিন্তু প্রেম সেই মায়া কাটিয়ে প্রীতিকে পা দিয়ে ডাক দেয়৷
.
প্রীতি ঘুম ঘুম চোখে বলে উঠে,
“কি হয়েছে? এভাবে বিরক্ত করো না৷ আর একটু ঘুমাতে দাও৷”

প্রেম এবার প্রীতিকে আস্তে করে একটা লাথি মারে৷ প্রীতি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে প্রেম অগ্নি দৃষ্টিতে প্রীতির দিকে তাকিয়ে আছে। প্রীতি ঘুম ঘুম স্বপনে বলে উঠে,
“এভাবে কেউ পা দিয়ে লাথি মেরে কাউকে ঘুম থেকে তুলে৷ মানুষের মিনিমাম একটা কমন্সেস থাকা দরকার৷”
.
নবাবজাতি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখো কয়টা বাজে৷ আমাকে অফিসে যেতে হবে৷ আমাকে কি তোর বাবা রান্না করে দিয়ে যাবে।
.
প্রীতি মাথা নিচু করে,
“আপনি সব সময় আমার মা বাবাকে এখানে টেনে আনবেন না৷ তারা আমার কাছে সম্মানিত ব্যক্তি। আপনি তাদের হাতে তৈরি করা বাড়িতেই দাঁড়িয়ে আছেন৷”
.
তোমার এসব কথা শুনার জন্য আমি বসে নেই৷ আমি যা বললাম তাই করো সুইটহার্ট। তা না হলে খারাপ হয়ে যাবে।
.
প্রীতি কথা না বাড়িয়ে রান্না ঘরে চলে আসে৷ প্রীতির সাথে প্রেমের কিসের শত্রু। যার জন্য প্রেম প্রীতিকে শাস্তি দিচ্ছে। প্রীতি তো প্রেমের কোন ক্ষতি করেনি৷ তাহলে কেন প্রেম প্রীতির সমস্ত প্রোপার্টি নিজের নামে করে নিল৷ প্রীতি ইউ টিউব দেখে দেখে কান্না করতে করতে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নেয়৷
.
প্রেম টেবিলে এসে দেখে প্রীতি ব্রেকফাস্ট সাজিয়ে রেখেছে। প্রেম চেয়ার টেনে বসে,
“আমাকে দিতে হবে না। নিজের খাবার নিজে খেয়ে নাও৷ বলা যায় না তো খাবারে কখন বিষ মিশিয়ে দাও!
.
প্রীতি প্রেমের কথা শুনে চোখে জল এসে পড়ে। টলমল চোখে খাবার খেয়ে নেয়৷ প্রেম বাহির থেকে খাবার অর্ডার করেছিল৷ সেসব খাবার খেয়ে নেয়৷

প্রীতি জীবনেও কল্পনা করতে পারিনি প্রেম এত নিচে নামতে পারে৷ অফিসের সবার সামনে প্রেম এমন কাজ কিভাবে করল?

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে