প্রতিশোধ পর্ব-২

0
1029

গল্পের নামঃ প্রতিশোধ (বাস্তব এবং রোমান্টিক মিশ্রিত)
লেখায়ঃ রুম্মান
পর্বঃ দুই

কিছুক্ষণ পর তার রুমে গেলাম।

যাওয়ার পর উনি বললেন,কাল অফিসের প্রয়োজনে একটা জায়গায় যেতে হবে। আর শুনুন কালকে আসার সময় এরকম অফিসিয়াল ফরমাল ড্রেসে না আসলেও হবে। একটু সেজেগুজে চোখে কাজল দিয়ে সুন্দর দেখে একটা শাড়ী পরে আসবেন।

আর আজকে অফিস শেষে আমার সাথে ডিনার করে যাবেন।

কিন্তু বস রাত করে বাসায় ফিরলে আমার জন্য একটু সমস্যা হয়ে যাবে। আমার ছেলেকে কি বলবো?

উনি বললেন একটা দিন কোন ব্যপার নয়। আপনি কিছু একটা বলে ম্যানেজ করে নিয়েন। বসের রুম থেকে নিজের ডেস্কে এসে বসে বসে ভাবছি, যেহেতু বস কাল অন্যরকম ভাবে আসতে বলছে তারমানে বস কোন পার্সোনাল প্রোগ্রামে আমাকে নিয়ে যাবে।

অফিস শেষ,

ইচ্ছা না থাকলেও বসের সাথে যেতে হচ্ছে ডিনারে। ডিনার শেষে যখন বাসায় ফিরছিলাম,

কেন জানি মনে হচ্ছিলো আমার ছেলে দেখে ফেলছে আমাকে। এটা ভেবে সারা রাস্তা ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরলাম।বাসায় এসে দেখি দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। আমার ভয়টা এখন আরও বেরে গেল।

তাহলে কি রাফাত সত্যি সত্যি আমাকে দেখে ফেলেছে?

আমার কাছে আরেকটা চাবি ছিল। সেটা দিয়ে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করলাম। এর কিছুক্ষণ পর রাফাত বাসায় ফেরে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায় গিয়েছিলি? কিছু না বলে সরাসরি ওর রুমে চলে গেল। আমিও ওর পিছু পিছু রুমে চলে যাই। রাফাত কি হয়েছে তোর?

এমন করছিস কেন। কি হয়েছে আমাকে বল। রাফাত এবার বলতে শুরু করলো এই তোমার অফিসের কাজ।

এই কারনেই মাঝে মাঝে এত রাতে বাসায় ফিরতে হয় তোমাকে।

ছেলের মুখে এমন কথা শুনে,,,

রেহানা বেগম অবাক হয়ে যায়। তিনি আর কিছু বলতে পারেন না। চুপচাপ ছেলের রুম থেকে উঠে নিজের রুমে চলে যায়। আমি রাফাতকে কিভাবে বুঝাবো যে আমার বস জোরপূর্বক আমার সাথে এমন করে।

রাফাতকে কিভাবে বলবো যে আমাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই চাকরিটা করতে হচ্ছে।

এইসব কথা চিন্তা করতে করতেই রেহানা বেগম ঘুমিয়ে যান। কারন কাল ভোরবেলা তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য আবার বের হতে হবে। অন্যান্য দিনের থেকে রেহানা বেগম আজকে একটু তারাতাড়ি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেছেন।

যেন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কেউ দেখতে না পায়।

হঠাৎ করে রাফাতের ঘুমটাও সেদিন ভেংগে যায়। এরপর পানি খাওয়ার জন্য যখন বাইরে বের হলেন, তখন দেখলেন অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে আলাদা পোশাক পড়ে এবং বেশ সেজেগুজে বের হচ্ছেন। রাফাতের বিষয় টা ভালো লাগলো না। তাই সেও সেদিন তার মায়ের পিছু পিছু বের হলেন।

কিছু সময় পর রাফাত দেখলেন তার মা অফিসের বসের সাথে দেখা করে তারা দুজন একসাথে রউনা দিলেন।

বস আমরা কোথায় যাচ্ছি? বস বললেন গেলেই দেখতে পারবেন। আচ্ছা রেহানা ম্যাডাম আপনাকে একটা কথা বলি?
জ্বি স্যার বলুন।

আপনাকে আজকে ভিষণ সুন্দর দেখাচ্ছে।
বসের মুখে এমন কথা শুনে রেহাবা বেগম একটু নড়েচড়ে বসলেন।

এরপর রেহানা বেগম যেটা শুনলেন সেটা শোনার জন্য রেহানা বেগম মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না।

রেহানা বেগম
চলুন আমরা আজকে একটু রোমাঞ্চ করি। আপনার সাথে আমি ফিজিক্যাল টাচে যেতে চাই। সবশেষে বললেন আমি আপনাকে বিয়েও করবো। মনে মনে তখন বলতে লাগলাম সব বড় লোকেরাই প্রথমে এমন বলেন। এরপর চাহিদা মিটে গেলে ছুড়ে ফেলে দেয়।

বসের মুখে এই ধরনের কথা শুনে,

রেহানা বেগম জেন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। কিছু সময় পর তারা একটা রিসোর্টে পৌঁছে যান।
এদিকে তাদের অনুসরণ করতে করতে রাফাতও চলে এসেছেন। রেহানা বেগম আবার জিজ্ঞাসা করলেন আমরা এখানে কেন? আমাদের প্রোগ্রাম কোথায়?

বস বললেন ভিতরে আসার পরেই বুঝতে পারবেন।এই বলে তারা ভিতরে চলে যায় এবং একটা রুমে প্রবেশ করেন। রেহানা বেগম এবার ভয় পেতে শুরু করেন এবং ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করেন এইখানে আমাদের কি কাজ?

পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে