প্রতিশোধ পর্ব-৪

0
853

গল্পের নামঃ প্রতিশোধ (বাস্তব এবং রোমান্টিক মিশ্রিত)
লেখায়ঃ রুম্মান
পর্বঃ চার

কাগজটিতে লেখা ছিল,,,

“রাফাত আমি যা করেছি সবটা নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে করেছি”। শুধু মাত্র তোর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি এমন জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছি। পারলে আমাকে মাফ করে দিস।

“রাফাত লেখাটি পড়া শেষ করে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয়”।

এরপর বেশকিছু দিন যাবার পর রাফাত সিদ্ধান্ত নেয়, আমি আমার মায়ের প্রতিশোধ নেব। রাফাত চিন্তা করে মায়ের অফিসের বস তো অনেক প্রভাবশালী। থানা কেস করে কোন কাজ হবে না। তাই রাফাত ভাবতে থাকে কিভাবে প্রতিশোধ নেওয়া যায়।

ভাবতে ভাবতে রাফাতের মনে পড়ে যায় তার মা একদিন বলেছিল তার বসের একটা সুন্দরী ফুটফুটে মেয়ে আছে। তাই রাফাত এবার তার মায়ের বসের মেয়ের সাথে প্রেমের ফাদ পাতে। এবং সেই ফাদে রিমি পা দেয়।”রিমি হচ্ছেন আমার মায়ের বসের মেয়ে”।

“রাফাত অনেক ভালো ছাত্র ছিল”। আর দেখতেও বেশ হ্যান্ডসাম ছিলো। তাই যে কোন মেয়েই রাফাতের প্রেমে পড়ে যেত। “তাই রাফাত এবার সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় রিমির সাথে”। প্রথম দিকে রিমি সেরকম ভাবে পাত্তা না দিলেও পরিবর্তিতে রাফাতের প্রেমে ঠিকি পড়ে যায়।

এভাবে রিমির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জরিয়ে যায় রাফাত।রিমির সাথে প্রতারণা করার ইচ্ছা না থাকলেও, রাফাত তার মায়ের আর্তনাদের কথা গুলো মনে করে নিজের মধ্যে প্রতিশোধের জ্বিদ তৈরী করেন।

“এদিকে হঠাৎ করে রেহানা বেগমের মৃত্যুর কথা শুনে জিসান সাহেব একটু ভয় পেয়ে যান”। তিনিও আসলে ভাবতে পারেন নি যে, গল্পের মোরটা হঠাত করে এভাবে ঘুরে যাবে।

এরপর,,,,
বেশ কিছুদিন রাফাত আর রিমি তাদের সম্পর্ক কন্টিনিউ করতে থাকেন। রাফাতের ইচ্ছা না থাকলেও সে রিমির সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় চালিয়ে যেতে থাকে। রিমি যেন কোনভাবে সন্দেহ না করতে পারে, সেজন্য প্রায় সময় তারা দেখা করতো। এখানে ওখানে ঘুরতে যেত। রিমিকে দামি দামি গিফট দিত। রেস্টুরেন্টে তারা প্রায় সময় খাওয়া দাওয়া করতো।

“একদিন রিমি বললো”,
“রাফাত আমি তোমার বাসায় যেতে চাই। আংকেল আন্টির সাথে দেখা করতে চাই। আমাদের সম্পর্কের কথা জানাতে চাই”। এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে আর ভালো লাগছে না।

“শোনা বাবু এখন তোমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। আব্বু আম্মুর মাঝে ঝামেলা চলছে। প্রায় সময় শুনতে পাই তারা রুমে ঝগড়া করছেন”। এখন তুমি বলো এই মুহুর্তে কি তাদের এই কথাগুলো বলা উচিত?

“আচ্ছা যখন তোমার আব্বু আম্মুর মুড ঠিক থাকবে তখন কিন্তু আমাকে বলবে। তখন তোমাদের বাসায় যাব।
ঠিক আছে শোনা। চলো এবার তোমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি”।

বাসায় ফিরে রাফাত রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছে কিভাবে রিমির বাবাকে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে ফেলানো যায় যে পরিস্থিতিতে আমাকে পড়তে হয়েছিল। রাফাত এইসব কথা ভাবতে ভাবতে তার এক ফ্রেন্ডের কথা মনে পড়ে যায়। প্রায় দুই বছর আগের ঘটনা।

” রাফাতের বন্ধু রাফাতকে একদিন বলেছিল দোস্ত আমি একটা ভুল কাজ করে ফেলেছি”। “রাফাত এবার জিজ্ঞাসা করলো কি করেছিস বল আমাকে”। রাতুল বলতে অসস্তিবোধ করে এবং বলতে লজ্জাও পাচ্ছে। তবুও একটা মুহুর্তে এসে রাতুল বলেই ফেললো।

রাতুল এবার বলতে শুরু করলো,
রাফাত জানিস আমি একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করি। মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে কিন্তু আমি ওকে মন থেকে ভালোবাসি না। আমি শুধু ওর সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে ওকে ছেড়ে দেব। রাতুলের এমন কথা শুনে রাফাত হতভম্ব হয়ে যায়। রাতুলের কথার প্রতিউত্তরে কি জবাব দেবে বুঝতে পাছে না রাফাত।

যখনি রাফাত কিছু একটা বলতে যাবে তখন আবার রাতুল বলা শুরু করলো। “রাতুল এবার বলতে লাগলো মেয়েটার সাথে আমি বেশ কয়েকবার শারিরীক সম্পর্ক করেও ফেলি। এরপর মেয়েটিকে কৌশলে এড়িয়ে চলতে থাকি। একটা সময় আমাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায় যেটা আমি চাচ্ছিলাম”।

পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে