তৃণকান্তা পর্ব-০৯

0
1201

তৃণকান্তা
পর্ব : ৯
– নিশি রাত্রি

রাহেলা ড্রইংরুমে বসে আছে। মাথাটা কেমন ক্যানক্যান করছে। একটা কড়া লিকার দিয়ে চা খেলে মনেহয় ক্যানক্যানানি টা বন্ধ হতো। ড্রইংরুম থেকে অনেকটা চেঁচিয়ে কাজের মেয়ে শায়লাকে ডাকলেন,
– শায়লা!
রান্নাঘরে হাড়িপাতিল ধুচ্ছিলো শায়লা। রাহেলার ডাক শুনে সেখান থেকে পরনের জামাটাতে হাত মুছতে মুছতে দৌড়ে বেরিয়ে এলো শায়লা।
– জি খালাম্মা?
– আমাকে এককাপ চা দিস তো। কড়া লিকার দিয়ে।
– দিতাছি খালাম্মা।
– শোন।
– কন খালাম্মা।
– আচ্ছা যা থাক।
রাহেলার জন্য চা নিয়ে আসতেই দেখলো মাইশা রুম থেকে বেরিয়ে এসেছে । মাইশাকে দেখেই শায়লা বললো,
– আপা আপনারেও চা দিমু? না কফি?
– না থাক আমি করে নিবো। তুমি যাও।
– আমি কইরা দেই কন।
– না থাক। তুমি টিভি দেখো।
বলে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো মাইশা। চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে আর আর মাইশাকে দেখছে রাহেলা। আগের থেকে অনেকটা, অনেকটা বললেও কম হবে পুরোপুরিভাবে নিজেকে বদলে নিয়েছে মাইশা। ড্রইংরুম থেকেই দেখা যাচ্ছে মাইশাকে। মাত্রই গোসল করে বেরিয়েছে মেয়েটা। চুল বেয়ে এখনো টুপটাপ পানি পড়ছে। সবসময় উল্টাপাল্টা চলাচল। এই রাতের বেলা কেউ গোসল করে? রাহেলা অনেকটা কঠোর স্বরে বললো,
– চুল গুলো হয় মুছ নয়তো বেঁধে রাখ। চুলের পানি পরলে কোমড় ব্যাথা করবে।
নিঃশব্দে চুলগুলো খোঁপা করে নিলো মাইশা।
এখানে অবাক হওয়ার কথা থাকলেও বিন্দুমাত্র অবাক হয়নি রাহেলা। মেয়েটা আগের মতো চেঁচামেচি করে না। আগের মাইশা হলে এখন নিশ্চয়ই বলতো,
‘ কোন ডাক্তার তোমাকে এইসব বলেছে মা? যতোসব। কই পাও এইগুলো। আজাইরা ভ্যালুলেস কথাবার্তা। কেনো যে নানাভাই তোমারে লেখাপড়া করাইছে আল্লাহ জানে। ‘
কিন্তু আজ এমন কোনো কিছুই বলে নি।

কারো সামনে তূর্যকে রেখে তাকে যদি প্রশ্ন করা হয়,
‘ পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ কে? ‘
সে মুখে বলুক কিংবা চোখের ইশারায়, নিঃসন্দেহে বলবে তূর্য। আজ হাসি যেনো ঠোঁট থেকে নড়ছেই না তার । সারাক্ষণ গুনগুনিয়ে গান গাইছে। ছেলের এমন অদ্ভুত আচরণে অনেকটা ভরকে গেলো আশা। আশা নিজেই নিজেকে বলছে,
‘ ছেলেটা পাগল টাগল হয়ে গেলো নাকি? ‘
কিন্তু কে কি বলছে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই তূর্যের।
রাত প্রায় দশটা। ভিডিও কলের মাধ্যমে দুইভাই মিলে জমিয়ে আড্ডা। তূর্যের বিয়ের কথা শুনে তুহিন অবাক হয়ে বললো,
– আর ইউ সিরিয়াস? তুই সত্যিই বিয়ে করে ফেলেছিস?
– আমি কি তোকে মিথ্যা বলছি? শোন ভাই! তুই ফাজলামো করে বললেও আমি সেটা সিরিয়াস ভাবে নিয়েছি। তোর কথামতো একদম ফিনিশড। নো টেনশন ডু ফুর্তি। যাস্ট চিল ব্রো।
– অনলি চিল না বাশ খাওয়ার জন্যও রেডি থেকো। বাবার কানে গেলেই বাবা হাইপার হবে। তবে যাই হোক একদিক দিয়ে ভালোই হলো। তুইতো এই পনেরোদিনেই দেবদাস হয়ে যাচ্ছিলি।
বলেই হো হো করে হেসে উঠলো তুহিন।
– আমি যাস্ট তোকে বুঝাতে পারবো না ওকে দেখার পর আমার ঠিক কেমন লাগছিলো। ওকে আচ্ছামত ওয়াশ করতে পারলে বোধহয় আমি শান্তি পেতাম। এমনিতেই টেনশন তারউপর চেহারা বানিয়ে রেখেছে বাংলার পাঁচের মতো। আচ্ছা শোন আজ রাখছি কাল কথা হবে।
– ওকে রাখ। বি কেয়ারফুল। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাস কিন্তু।
– তুই তো আমার সব তোকে জানাবো না কাকে জানাবো বল। লাভ ইউ ভাই। মিস ইউ।
– মিস ইউ টু।
– তাড়াতাড়ি চলে আয়।
– হুম। খুব শীঘ্রই।
বলেই কল কেটে দেয় তুহিন। মনেমনে আল্লাহকে একটা ধন্যবাদ দেয় তুহিন। তার ছন্নছাড়া ভাইটার সুখ যেনো মহান আল্লাহ এই মেয়েটাতেই দিয়ে দিয়েছিলো।

ফোন রেখে একটা তৃপ্তিময় হাসি হাসলো তূর্য। আজ থেকে মাইশা তার। চিরদিনের জন্য তার। পৃথিবীর শ্রেষ্ট বন্ধনে বেঁধে ফেলেছে তাকে। মাইশা চাইলেও তাকে ছেড়ে যেতে পারবে না। যদিও সে হলফ করে বলতে পারে মাইশা কখনোই তাকে ছেড়ে যাবে না। যাবে কিভাবে? যে মেয়েটা নিজেই তাকে প্রণয়ের বাঁধনে বাঁধতে এসেছিলো সে কিভাবে ছেড়ে যাবে?

সেদিন বুকভরা অভিমান নিয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছিলো মাইশা। নতুন ভোরের সাথে নিজেকে অন্য এক রূপে ধরা দিয়েছিলো তূর্যের কাছে। সেদিন চলে যাওয়ার পর তূর্য নিজেও বাসায় চলে আসে। তূর্য প্ল্যান করে সামনের শুক্রবারে নদীর ওই জায়গাটাতে গিয়েই প্রণয়ের নিবেদন করবে মাইশাকে। মাইশা কতোটা অবাক হবে তা ভেবেই কাটিয়ে দিয়েছিলো পুরো রাতটি। কিন্তু সকালবেলাই যে তারজন্য এতো বড় চমক অপেক্ষা করছিলো কে জানতো। সকালবেলা ঘুমের মধ্যেই কেউ কানে সুরসুরি দেয়। তূর্য বিরক্তি হয়ে চোখ খুলতেই অবাক তূর্য। নীল শাড়ি, নীল চুড়ি, খোলা চুল, ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক নিয়ে তার সামনে বসে আছে মাইশা! ভ্রম ভেবে চোখ মুরিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে তূর্য। কিন্তু চুলে স্পর্শ পেতেই লাফিয়ে উঠে সে। তূর্য এমন ধরমরিয়ে লাফিয়ে উঠতেই খিলখিলিয়ে হেসে উঠে মাইশা। মাইশার হাসির শব্দ শুনে আর সেটা তার ভ্রম মনেহলো না। তবে সেন্ডু গেঞ্জির সাথে শর্টস পরা দেখে তূর্য নিজেও কিছুটা লজ্জা পেলো। মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে,
– তুমি এখানে?
– হুম চলে এলাম।
– ওকে। কিন্তু আমার রুমে কি করছো?
– ডেটিং।
– ডেটিং? এই তুমি মাকে এইকথা বলে রুমে ঢুকেছো?
– হুম।
– সর্বনাশ। একেইতো নাচনে বুড়ি তার উপরে ঢোলে বারি। আজ আমার দিন শেষ।
বলে উঠতে যাওয়ার আগেই তূর্যের গলায় সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরে মাইশা। অনেকটা অবাক হয় তূর্য। সাথে সাথে মাইশার কপালে হাত রেখে টেম্পারেচার চেক করে,
সব তো ঠিকই আছে।
তূর্যের কান্ডে শব্দ করে হেসে উঠলো মাইশা । শব্দ করে হাসতেই মাইশার মুখ চেঁপে ধরে তূর্য।
– আরে কি করছো কি? নিজেও মরবে আমাকেও মারবে।
মিষ্টি হাসলো মাইশা। মাইশার চোখের দিকে তাকিয়ে মাইশাকে বুঝার চেষ্টা করলো তূর্য। কিন্তু বড্ড অচেনা লাগছে এই মাইশাকে। মিনিট খানেক চুপ থেকে মাইশা বললো,
– তোমার মাকে আমার খুব ভালো লাগে। আমার মায়ের মতো ক্যাঁচক্যাঁচ করে না। আন্টির জন্য তোমাকে বিয়ে করবো। করবে আমাকে বিয়ে?
মাইশার কথা শুনে বিন্দুমাত্রও স্তব্ধ হলো না তূর্য। মাইশার কথা সিরিয়াসলি ভাবার কিছুই নেই। মাইশা প্রায় সময়ই এমন দুষ্টুমি করে থাকে। প্রায়ই যখন কোনো কাপল দেখে বলে,
‘ তূর্য চলো না আমরাও ওদের মতো প্রেম করি।’
আবার মাঝেমাঝে হাঁটতে বের হলে,
‘ তূর্য আমার না প্রেম প্রেম পাচ্ছে।
আবার যখন আশেপাশে কেউ ফুল নিয়ে ঘুরে,
‘ তূর্য আমার না তোমাকে প্রপোজ করতে ইচ্ছে করছে। করি? ‘ এমন অদ্ভুত টাইপ কথা সবসময়ই বলে।আজও তেমন দুষ্টুমিই করছে তাই তূর্য হেসে বললো,
– আজ্ঞে মহারাণির যা ইচ্ছা।
– আম সিরিয়াস তূর্য।
মাইশার চোখের দিকে তাকিয়ে এটা মাইশার কি ধরনের দুষ্টুমি সেটাই বুঝার চেষ্টা করলো তূর্য।
– অনেক হয়েছে দুষ্টুমি আমার অফিসে লেট হচ্ছে ।
– ইয়েস অর নো।
– দুষ্টুমি করো না তো। তুমি বসো আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
এবার অনেকটা শান্ত গলায় মাইশা বললো,
– আমার সবকিছুতেই তুমি হেয়ালিপনা খুঁজো তূর্য। আমার কোনো ইম্পরট্যান্স নাই তোমার কাছে।
মাইশার কণ্ঠ কেমন ভারী শুনালো তূর্যের কাছে। তূর্যের গলা থেকে হাত দুটো ছাড়িয়ে চলে যেতে নিলেই মাইশার হাত ধরে আটকে দেয় তূর্য। তার দিক ফিরাতেই দেখলো মাইশার
চোখ দুটো টলমল করছে। যেনো চোখ বন্ধ করলেই কপোল গড়িয়ে পড়বে অভিমানের মুক্ত জল। তূর্যের দিক না তাকিয়ে অন্যদিক তাকিয়ে আছে মাইশা। হাত দিয়ে তার দিকে ঘুরাতে চাইলেও কিছুটা অনড় মাইশা। দুহাতে মুখটা চেঁপে ধরে তার দিকে নিতেই দেখলো মাইশা কাঁদছে। তার ঠোঁট দুটো কাঁপছে। নাকটা কেমন ফুলে উঠছে। মাইশার চোখের পানি মুছে দিয়ে,
– পারবে আমার যন্ত্রণা সহ্য করতে? আমার রাগ হজম করতে?
কোনো জবাব নেই মাইশার। সে তখনো ফোঁপাচ্ছে।
– কি হলো?
– জানি না।
মাইশার কণ্ঠজুড়ে অভিমান যেনো তার পুরো বিস্তৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
– তুমি পারবে না। আমি জানি।
– হ্যাঁ পারবো না। আমাকে তো তোমার মানুষই মনে হয় না। একটা গবেট মনেহয় তোমার। ফিলিংলেস কোথাকার। তোমার সাথে পরিচয় হওয়াটাই আমার ভুল ছিলো। ডিসগাসটিং। অনেকটা চেঁচিয়ে কথাগুলো বলে ফোঁপাতে ফোঁপাতে নিজেকে ছাড়িয়ে রুমের দরজাটা খুলে জোড়ে শব্দ করে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যেতেই পিছু ছুটলো তূর্য। মাইশা যে পাগল নিজের ক্ষতি করতে দ্বিতীয় বার ভাববে না। মেইন দরজার কাছে যাওয়ার আগেই হাত ধরে আটকে দেয় তূর্য। চুড়ির হাতে চেঁপে ধরতেই মাইশা চেঁচিয়ে বললো,
– ছাড়ো আমাকে। একদম ঢং দেখাতে আসবে না।
– তুমি এভাবে…!
কথাটা শেষ করতেও পারলো না তূর্য তার আগেই ধরে রাখা হাতটা দরজার সাথে বারি দিয়ে চুড়িগুলো ভেঙ্গে ফেললো মাইশা। চুড়ি গুলো কাচের ছিলো বলে অনায়াসে সবগুলো চুড়িই ভেঙ্গে গেলো। মাইশার এমন কাজে হতবাক তূর্য। রাগে এক চড় বসিয়ে দিলো মাইশার গালে।
অনেকটা চেঁচিয়ে বললো,
– এসব কি পাগলামো মাইশা?
– একদম সিমপ্যাথি দেখাতে আসবে না আমাকে।
– নিজেকে টর্চার করা কই থেকে শিখছো? লেখাপড়া করো কি জন্য? এইসব পাগলামির জন্য? মায়ের খোঁজে আশেপাশে তাকাতেই দেখলো কোথাও তার মা নেই। তূর্যের বুঝতে বাকি নেই মা কোথাও বেরিয়েছে।
নিজেকে শান্ত করে বললো,
– লিসেন, এই সম্পর্কটা শুরু করেছো তুমি আর শেষ একমাত্র আল্লাহর দেয়া মৃত্যুতেই হবে। তার আগে একটু তিড়িংবিড়িং করলে মেরে হাত পা ভেঙ্গে একদম ঘরে ফেলে রাখবো। কথাটা মনে থাকে যেনো। কথাটা বলতে দেরি হলেও তূর্যকে জড়িয়ে ধরতে দেরি হলো না মাইশার। যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে সে । তূর্যকে জড়িয়ে ধরেই কাঁদতে লাগলো। মাইশার মুখটা উপরে তুলতেই কান্না কান্না কণ্ঠে মাইশা বললো,
– ভালোবাসি।
– ভালোবাসিতো পাগলি।
বলে মাইশার কপালে চুমু খেয়ে আবারো বুকে জড়িয়ে নেয় তূর্য। যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো ভালোবাসার নতুন অধ্যায়। যে এমন প্রণয়ে আসক্ত সে কিভাবে মুক্ত পাবে সে প্রণয়ের বেড়াজাল থেকে? একজন ধূমপায়ী ব্যাক্তি কি চাইলেই খুব সহজে বিরত থাকতে পারে ধূমপান করা থেকে?

চা নিয়ে রুমে চলে এলো মাইশা। এসি টা ছেড়ে রিলেক্স মোডে চায়ের কাপটা নিয়ে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফ্লোরে বসলো। যেখানে সেখানে বসে পড়াটা মাইশার একটা বদ অভ্যাসও বটে। তার জন্যও কম বকা শুনেনি মামির। এই স্বভাব নাকি ফকিরের থাকে। মাইশার যেনো পা ভেঙে বসতে পারলেই তার শান্তি। চা খেতে খেতে আজকের দিনটা ভাবছিলো মাইশা। তারমধ্যেই ভ্রাইভেটের কাঁপুনি শব্দ কানে ভেসে এলো। আশেপাশে তাকিয়ে মোবাইলটা খুঁজতে লাগলো মাইশা। কিন্তু কোথাও নজরে পরলো না মোবাইলটা। অনেকটা বিরক্ত হয়েই খুঁজাখুঁজি বন্ধ করে যখনি চায়ের মগ হাতে নিতে যাবে তখনি হ্যান্ডব্যাগটা নজরে এলো। তাৎক্ষণিক মনেহলো,
ব্যাগ থেকে তো মোবাইলই বের করা হয়নি। উঠতেও বড্ড আলসেমি লাগছে। নিশ্চয়ই তূর্য। ছেলেটা বড্ড একটা আপদ। নিজের বেলা ষোলো আনা চাই তার। যেমনটা আজও করেছে। এতোবড় একটা কাজ করেও বিন্দুমাত্র টেনশনের ছাপ নেই তার মুখে। নতুন প্রেমিকের মতো বিহেভিয়ার করছে।
খাটে হেলান দিয়ে চোখটা বুঝতে গেলেই তূর্যের কথা মনেহলো,
” উল্টাপাল্টা কিছু করলে ঠিক বাসায় চলে আসবো। মনে থাকে যেনো।; ”
তড়িঘড়ি করে লাফিয়ে উঠলো মাইশা।
ব্যাগের মধ্যে মোবাইল খুঁজতে লাগলো। কিন্তু কোন সাইডে যে রেখেছে কে জানে। কিছুক্ষণ খুঁজাখুঁজির পর মোবাইল বের করতেই চোখ যেনো তার অবস্থান ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। পঁয়তাল্লিশ মিসডকল!
কপাল চাপড়ে
” হায় আল্লাহ কপালে যে কি আছে আল্লাহই ভালো জানে। ”
কল ব্যাক করতে যাওয়ার আগেই বাইকের হর্ণ বেজে উঠলো।
চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে