আমার_অভিমান_তোমাকে_নিয়ে পর্ব-২১+২২

0
409

#আমার_অভিমান_তোমাকে_নিয়ে(21)

“বেরিয়ে যাও আমার বাড়ী থেকে”

তাহসান সাহেবের কথা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় আদাভান। এমন কিছুই তার কল্পনায় ছিলো তবুও কেনো জানো মেনে নিতে পারছেনা এই সিদ্ধান্ত। এখানে আসার আগেই কল্পনা করেছিলো এই যাত্রাই হয়তো তাদের শেষ যাত্রা হবে। কখনও চাইলেও হয়তো আর অরুনিকার কাছাকাছি থাকা হবেনা তার, ঘুম জড়ানো আদুরে কন্ঠ শোনা হবেনা, সকালের স্নিগ্ধ সদ্যস্নাত তার প্রাণপাখিকে দেখা হবেনা। হবেনা সে হাজারো রাত জাগার কারণ। এতো না পাওয়ার মাঝেও পাবে অরুনিকার মুখের হাসি। অরুনিকার সুখের জন্য নিজের না পাওয়াগুলো নতশিরে মেনে নিতে পারে সে। দূর থেকেই দেখবে প্রাণোচ্ছল তার প্রাণপাখিকে। ভালোবাসার জগতে যদি কিছু প্রাপ্তি থাকে, তা হলো বেদনা।

“বেদনার গরল হাসি মুখে করে পান,
লিখে দিলাম সুখের জোৎস্নাতে তোমার নাম।”

অরুনিকা ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদাভানের যাওয়ার পানে। চোখজোড়া ভীষণ জ্বালাপোড়ার সাথে অশ্রুপাতে ব্যাস্ত। একদিকে এতদিন পর নিজের পরিবারকে ফিরে পাওয়া তো অপরদিকে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলা। দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাঝে প্রবাহিত সময়ের সাথে অদৃশ্য হয়ে যায় আদাভান। ধরা ছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার আগে সবকিছু উপেক্ষা করে দৌড় দেয় অরুনিকা। কিন্তু ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে।

হাঁটু মুড়ে দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে অরুনিকা। বাবা মাকে ফিরে পেতে গিয়ে আদাভানকে হারাতে হবে তা কখনো ভাবেনি। নিজের ভাগ্যের উপর দোষারোপ করেও কোন লাভ নেই, কারণ এটা সত্যি যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই সম্পর্ক থেকে মুক্তি চেয়ে ছিল অরুণিকা। কান্নায় ভেঙে পড়ে সেখানেই জ্ঞান হারায় সে।

আদাভানকে একা বাড়িতে ফিরতে দেখে বারবার উঁকি ঝুঁকি মেরে পিছনে কারোর আসার অপেক্ষা করেন আনিকা আহসান। মূর্ছা পরা আদাভানের চেহারা আর সময়ের সাথে সাথে অরুণিকার অনুপস্থিতিতে ভয় জেঁকে ধরে তাকে।

“আদাভান! অরুনিকা কোথায়”

মায়ের উৎকণ্ঠাপূর্ণ কন্ঠ শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না আদাভান। একপ্রকার ঝাঁপিয়ে পড়লো মায়ের কোলে। আনিকা আহসানও পরম মমতাময়ী হাতে আঁকড়ে ধরেন ছেলের মাথা। বিস্ময়ে তিনি হতবাক, এতগুলো বছরে ছেলেকে কখনো কাঁদতে দেখেননি। শেষ কান্না ছিল যেদিন পিতা নামক মানুষের ছায়া ওর মাথা উপর থেকে সরে গেছিল। বাবারা নাকি বটগাছের ন্যায় সন্তানকে ছায়া প্রদান করেন। শত ঝড়, ঝাপটা, আঘাত নিজের গায়ে মেখে সন্তানের শেষ রক্ষা করে যায়। অথচ সেই ছায়া থেকে ছোটো কালেই বঞ্চিত হয়েছিল আদাভান। অতীত মনে হতেই বুকটা হাহাকার করে ওঠে তার।
______________

সদ্য নবম শ্রেণীতে পড়া আদাভান বরাবরের মতো স্কুলে প্রথম স্থান অধিকার করে বেশ খোসমেজাজে বাড়ি ফিরছে। সদ্য কিশোরে পদার্পণ করা আদাভানের চোখে রয়েছে নতুন স্বপ্ন। দুই চোখ ভরে স্বপ্ন সাথে রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। বাড়িতে ঢুকতেই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায় সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে। আব্বু বলে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরায় খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করেননি সেই মানুষটি। অথচ এতগুলো বছর পর বাবাকে চোখের সামনে দেখে আবেগে আপ্লুত আদাভান। বাবাকে ছেড়ে দৌড়ে যায় মায়ের কাছে। রুমের দরজা খুলতেই বিধ্বস্ত আনিকা আহসানকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে মাত্র ফাঁ*স দিতে যাওয়ার মুহূর্তে ছেলেকে দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন আনিকা আহসান। ভয় আর লজ্জা তুই জেঁকে ধরে তাকে। ছেলের সামনে এভাবে অপ্রস্তুতভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাননি তিনি কখনো। চোখ মুখ মুছে এগিয়ে এসে দাঁড়ান আদাভানের সামনে।

“আম্মু! কি হয়েছে তোমার? আব্বু এসেছো তো। তুমি এসব কি করছিলে আম্মু?”

“হ্যাঁ বাবা তোমার আব্বু এসেছে তো। কথা হয়েছে আব্বুর সাথে?”

কোনোরূপ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মায়ের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় আদাভান ড্রয়িংরুমে। আব্বুর পাশে আরও এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখে বিস্ময়ে হতবাক আদাভান। কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে যায় আব্বুর কাছে, ছোট্ট দুই হাতের মাঝে তোর হাত রেখে প্রশ্ন করে,

“উনি কে আব্বু?”

“তোমার নতুন আম্মু”

হাসান সাহেবের এমন সাবলীল উত্তর শুনে কেঁপে ওঠে আদাভান। মনে মনে আওড়ায় “নতুন আম্মু”। ছোট হলেও ব্যাপারটা বোঝার মতো বয়স হয়েছিল তার। বিস্ফোরিত নয়নে দুই কদম পিছিয়ে হাসান সাহেবের দিকে তাকিয়ে ফিরে আসে আনিকা আহসানের কাছে।

“আম্মু তুমি এজন্য আ*ত্ম*হ*ত্যা করছিলে?”

আদাভানের কথায় অবাক নয়নে তাকায় ড্রয়িং রুমের সবাই।

কুড়ি বছরের সংসার জীবনে একজন যোগ্য স্ত্রী, যোগ্য বৌমা, যোগ্য মা হাওয়ার চেষ্টা অনবরত চালিয়ে গেছেন তিনি। স্বামীর প্রতি কখনও এতটুকুও অভিযোগ করেননি কখনও। তবে কেনো তার ভাগ্যের লেখন এমন হলো? কেনো স্বামীকে পরনারীতে আসক্ত হয়ে হলো? কই তিনি তো কোনো কোনো পুরুষের দিকে চোখ তুলে তাকাননি? অথচ আমাদের সমাজ কতো সহজে সব দোষ চাপিয়ে দেয় নারী জাতীর উপরে। পুরুষ পরনারীতে আসক্ত হওয়ার পিছনে অধিকাংশ মানুষই দায়ী করেন স্ত্রীকে। কিছু মানুষ সমাজের চাপে পড়ে মুখ বুঁজে মেনে নেয় স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে, আবার কিছু মানুষ নিজের আত্মসম্মানের কাছে হেরে না গিয়ে, সমাজের পরোয়া না করে বেরিয়ে আসেন সেই ঠুনকো সম্পর্ক থেকে। যে সম্পর্ক থাকাকালীন অন্য নারীর প্রয়োজন পরে সে সম্পর্কে না থাকে ভালোবাসা, না থাকে সম্মান। এমন অধম রূপে নিজেকে প্রকাশ না করে বেরিয়ে আসেন সেই নামমাত্র সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন আনিকা আহসান। শয়তানের প্ররোচনায় গিয়ে আদাভানের কথা একবারও চিন্তা না করে সেদিনের নিতে যাওয়া ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আজও অনুতপ্ত তিনি।

সেদিন থেকেই আদাভান ঘৃণা করে হাসান সাহেবকে। ভাগ্যক্রমে আনিকা আহসানের নামে এই পৈতৃক বাড়ি লিখে দিয়েছিলেন তার শশুর। নাহলে সেদিন ছেলেকে নিয়ে পথে বসতে হতো তাকে। সমাজ নামক নোংরা মানুষিকতার কিছু মানুষের তোপের মুখে বারবার পড়তে হয়েছিলো তাকে। কিন্তু আদাভান সবসময় ছিলো তার পাশে ঢাল হিসেবে।

অতীত থেকে ফিরে এসে ছেলের মাথায় হাত বুলান তিনি।
“আদাভান, বাবা কি হয়েছে বল আমাকে।”

“আম্মু অরু চলে গেছে আম্মু। আর ফিরবেনা অরু”

“কি বলছিস এসব, কোথায় গেছে অরু মা?”

“আম্মু অরুনিকা ওর আব্বু আম্মুর কাছে আছে। আমি দিয়ে এসেছি ওনাদের কাছে। ওনাদের ছেড়ে অনেক কষ্টে ছিলো আম্মু আমার অরু। ভালোবাসলেই পেতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই তাইনা! আমি দুর থেকেই আমার অরুকে ভালোবাসবো, সবসময় আগলে রাখবো। যদি কখনও ওনারা নিজে থেকে আমার হাতে অরুকে তুলে দেন সেদিনই আমি অরুকে ফিরিয়ে আনবো, তার আগে নয়।”

চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে যায় আদাভান নিজের রুমের দিকে।

চলবে?

#আমার_অভিমান_তোমাকে_নিয়ে(22)

দুইদিন পর অরুনিকা আজ কলেজে গেলো। ক্যাম্পাসে এদিকে ওদিক চোখ বুলিয়ে কাউকে খুঁজে ব্যার্থ হয়ে হাঁটা ধরলো আদাভানের কেবিনের দিকে।

নিজের চেয়ারে বসে ফোনে কিছু একটা দেখে মুচকি মুচকি হাসছে আদাভান। এতটাই মনোযোগে ফোনে কিছু করছে যে দরজা খোলার আওয়াজে বিরক্ত বোধ করলো। বিরক্তির রেশ নিয়ে সামনে তাকাতেই হকচকিয়ে গেলো আদাভান। অরুনিকাকে দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে একটু শুকনো কেশে ভেতরে আসার জন্য বললো।

“আপনি আস্তে না বললেও আমি আসতাম ভেতরে।”

“পারমিশন ছাড়া কারোর কেবিনে প্রবেশ করা উচিত নয়”

“এভয়েড করছেন কেনো?”

“আমি কখন এভয়েড করলাম?”

সামনে পড়ে থাকা কিছু পেপারস চেক করতে করতে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো আদাভান। চেয়ার ছেড়ে উঠে আদাভানের একদম সামনে চলে গেলো অরুনিকা। আদাভান আড়চোখে সবটা লক্ষ্য করেও নিজের মতোই কাজ করে যাচ্ছে। রাগটা যেনো এবার তরতর করে বেড়ে গেলো অরুনিকার। আদাভানের চেয়ার ঘুরিয়ে মুখোমুখি আনে অরুনিকা। চেয়ারের দুইপাশে দুই হাতে ভর দিয়ে একদম ঝুঁকে যায় আদাভানের দিকে।

“ভুলে যাবেন না আমি সেই রাগী, জেদি অরুনিকাই আছি। চাইলেই অনেক কিছু করার ক্ষমতা রাখে এই অরুনিকা। মাত্র দুই দিন পেরোতেই উধাও হয়ে গেলো আপনার ভালোবাসা? নতুন কাউকে ভালোলেগে গেলো বুঝি? যেখানে আপনার আমাকে কল দেওয়ার কথা সেখানে আমি কলের উপর কল দিয়ে যাচ্ছি। অথচ নো রেসপন্স। কী ভেবেছেন আপনি নিজেকে? আমাকে এভাবে এভয়েড করবেন আর আমি রাতের ঘুম উধাও করে শুধু আপনার কথা ভাববো? আপনার সাথে কথা বলার জন্য ছটফট করবো? তবে শুনে রাখুন এসবের কোনোটাই আমি করবোনা। আপনি আমাকে মনে না করলে আমিও করিনা। মনে রাখবেন।”

কথাগুলো বলেই যেভাবে এসেছিলো ঠিক সেভাবেই বেরিয়ে গেলো অরুনিকা। আদাভান এখনও শকের মধ্যে আছে। অরুনিকার এই রূপ আগেও দেখেছে সে তবে এবারে কিছু একটা তো ভিন্ন ছিলো। চোখের ভাষার সাথে মুখের কথার কোনো মিল ছিলোনা। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবারো চোখ রাখলো ফোনের উপর, সেখানে ফুটে উঠেছে হলুদ চুড়িদারে এক মেয়ের আবছা অবয়ব। পিছন ফিরে থাকায় চেহারা বোঝা যাচ্ছেনা।

আদাভানের কেবিন থেকে বেরিয়ে এতক্ষনের আঁটকে রাখা শ্বাসটা ছাড়ে অরুনিকা। অরুনিকার জেদ হেরে গেছে আদাভানের প্রতি ভালবাসার কাছে। জেদী অরুনিকা বহু কষ্টে নিজেকে আঁটকে রেখেছে। মন চাইছে ছুটে গিয়ে জরিয়ে ধরতে আদাভানকে। জড়িয়ে ধরে অধিকার খাটিয়ে বলতে আদাভান শুধুই অরুনিকার। ভেঙ্গে ফেলতে সব অভিমানের পাহাড়। পালাক্রমে বাড়তে থাকা অভিমান অরুনিকাকে আদাভানের থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। অরুনিকার চিল্লিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে, আমি ভালো নেই আদাভান, তোমাকে ছাড়া আমি ভালো নেই। আমার প্রতিটা নির্ঘুম রাত আমার ভালোবাসার সাক্ষী। আমার প্রতিটা নিউরোনে ছড়িয়ে পড়েছে আপনার নাম। আপনার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাকে প্রতিনিয়ত গলা টি*পে হ*ত্যা করতে আসছে।
________________

বিকালের দিকে নূর মাত্র রেডী হয়ে বসে অপেক্ষা করছে আদিলের জন্য। আজ অনেকদিন পর বাইরে বেরোচ্ছে তাও নিজের ইচ্ছেতে। হটাত রুমে ফুফিকে ঢুকতে দেখে ঘাবড়ে যায় নূর। এই মানুষটার সামনে আসলেই গুছালো সবকিছু অগোছালো হয়ে যায়। বেডে ওনার বসার জন্য জায়গা করে দিয়ে দাড়িয়ে পড়ে নূর।

“কোথায় যাওয়া হচ্ছে এই বিকাল বেলা?”

“একটু বাইরে যাবো ফুফি”

“তোমার শাশুড়ি জানে?”

“নাহ, আসলে…..”

“নিজেকে কি বাড়ীর কর্তৃ মনে করতে শুরু করেছো? বাইরে যাবে ভালো কথা কাউকে বলারও প্রয়োজন মনে করোনা দেখছি। আমার কথা নাহয় বাদ দিলাম, তোমার শাশুড়িকে তো বলতে পারতে?”

“ফুফি আসলে….”

“থাক থাক আমাকে আর এত সম্মান দিতে হবেনা।”

“হটাত করেই উনি ফোন করে বললেন রেডি হয়ে থাকতে, তাই সময় পাইনি কাউকে বলার।”

“বাবাহ! বউকে নিয়ে দেখি ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে। কই মা, ফুফুকে নিয়ে তো যেতে দেখিনি কোনো সময়। বউ এসে মাথা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে একেবারে দেখি। কি একেবারে বউ তাকে নিয়ে আবার ঢং, যত্তসব।”

দরজা চাপিয়ে দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে নূর। প্রতিনিয়ত এসব কথায় দিনে দিনে শেষ হয়ে পড়ছে। এতো দুঃখ কেনো তার কপালে। আদিলের সাথে খুব একটা কোথাও যেতে চাইতোনা নূর। পাশে আদিলের উপস্থিতি বারবার তাকে মনে করিয়ে দেয় আদিত্যের কথা। অনেক চেষ্টা করেও আদিত্যের আর কোনো খোঁজ পায়নি নূর। কান্নাগুলো দলা পাকিয়ে গলায় আঁটকে গেছে। কান্নার এক পর্যায়ে পিঠে কারোর স্পর্শে চমকে ওঠে নূর। পিছন ঘুরে আদিলকে দেখে বুকে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নূর। আদিলও পরম আবেশে জড়িয়ে ধরে নূরকে। নূরের কান্না কিছুতেই সহ্য হয়না আদিলের। বুকের মধ্যে ভীষণ জ্বালাপোড়া করে। তবে আজ অদ্ভুত এক শান্তির আভাস পাচ্ছে আদিল নূরের ছোঁয়ায়।

“নূর তুমি ঠিক আছো?”

“হুম”

“এই আমার দিকে তাকাও দেখি।”

“উহু”

“তাকাতে বলছি কিন্তু”

“কি হয়েছে, আমাকে বলো। একটুও মিথ্যে বলার চেষ্টা করবেনা। তোমার মিথ্যে কিন্তু আমি ধরে ফেলতে পারি।”

“তেমন কিছু নাহ”

“বলতে বলছি আমি”

“সত্যি…”

“ওকে, আমি নিজেই ফুফিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করছি। ফুফি…..”

আদিলের ডাক দেওয়া দেখে নূর উঠে এসে আদিলের মুখ চেপে ধরে। অসহায় চোখে তাকায় আদিলের দিকে।

চলবে?
#Fiza_Siddique

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে