অবুঝ ছাত্রী পর্ব-০৬

0
2558

#অবুঝ_ছাত্রী
লেখক:IR Iman Islam
part:6

দেখতেছি রাফিজা তার লিমিট ক্রোস করতেছে এতো বুঝাচ্ছি কিন্তু বুঝতেছে না।তাই রাগ করে ওকে
ঠাস ঠাস ঠাস
আপনি আজও মারলেন আমাকে।(কান্না করতে করতে বলতেছে )
ত কি করবো তুমি তোমার লিমিট ক্রোস করতেছো।আচ্ছা মনে করো আমরা দুইজন দুইজনার সাথে ভালোবাসা সম্পের্কে জরীয়ে গেলাম।তারপর কি হবে জানো সেটা তো একবারো ভাবো নাই।

কি হবে স‍্যার।

তাহলে শুনো তুমি হচ্ছো এক বড় পুলিস অফিসারের মেয়ে।আমি একজন সাধারন পরিবারের ছেলে।মনে করো আমারা দুইজন দুইজনার সাথে প্রেম করতেছি।হঠাৎ আমাদের সম্পের্কে কথা তোমার মা বাবা যেনো গেলো।তখন কি হবে জানো তোমার বাবা হয় আমাকে জেলে দিবো জাবদ জীবন কারাডন্ড আর না হলে আমাকে এই এলাকা ছাড়তে হবে।তখন আমার পড়ালেখার কি হবে,শেষ করতে পারবো না।আমার মা বাবার স্বপ্ন পূরন করতে পারবো না।তখন আমি নির্শ হয়ে যাবো।
এগুলো শুনার পড়েও তো আর তোমাকে টিউশন করাতে দিবে না।আরে তুমি আমার সম্পর্কে কি জানো।আমি যে টিউশন টা করাই।তোমার মা বাবা মাস শেষে যা টাকা দেয় তা দিয়ে কোন মতে আমাদের সংসার চলে।কখনো রাতেও না খেয়ে থাকতে হয়।আর তুমি আমার সাথে প্রেম করতে চাচ্ছো।কি আছে আমার, আমাকে ভালোবেসে কি পাবে তুমি কিছু না।

তোমরা তো বড়লোক মানুষ তোমাদের কোন সমস‍্যা হবে না।শুধু আমরা গরীব রাই সমস‍্যায় পড়বো।তাই এই সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগে শেষ করা দরকার।এখন তুমি কি করবা শেটা তোমার বেপার আর যদি বলো টিউশন তোমাকে না করাতে তাও আমার কোন দুঃখ নাই।কাল থেকে আর আসবো না।চলি কেমন।
তারপর আমি রাফিজাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে ভাবতেছি,,
আমি কি বেশি বলে ফেলেছি নাকি।আমার কথায় কষ্ট পেয়েছে মনে হয়।কান্না করতে করতে চোখগুলো লাল করে ফেলেছে।মনে হয় আজকে থাপ্পর মারাটা ঠিক হয় নাই যদি ওর মা বাবাকে বলে দেয়।এগুলো ভাবতেছি আর রাস্তা দিয়ে হাটতেছি।

স‍্যার আপনি যতই কিছূ বলেন না কেনো আমি তো আপনাকে বিয়ে করবো।যদি আপনাকে না পাই বিষ খেয়ে মারা যাবো।তাও আপনাকে ছাড়ছি না এই জীবনে।কালকে খালি আপনি আসেন না কেনো দেখাবো মজা কাকে বলে।আর খুব শক না আপনার আমাকে টিউশন করাবেন না।এই রাফিজা কি জিনিস তা কালকে হাড়ে হাড়ে টের পাইবেন।
এগুলো ভাবতেছি তাতে কে যেনো কলিং বেল বাজাচ্ছে।তারপর দরজা খুলে তো আমি অবাক কারন দরজার সামনে মা বাবা দারিয়ে আছে।

কি রে রাফিজা এমন করে কী দেখিস।আমাদের কি কখনো দেখিস নাই নাকি।
আরে না মা।তোমরা নাকি রাতে আসবে।
আর বলিস না অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছিলো তাই আর না গিয়ে ঘুরে আসলাম।
ও।
তো তোর চোখ লাল হয়েছে কেনো রে।কান্না করছিস নাকি মা।
আরে না কান্না করবো কেনো।কি যেনো চোখে পরছে মা।
তোমরা মা বেচি কি আমাকে দরজার সামনে দার করে রেখে খালি কথায় বলবে।আমাকে কি ভিতরে যাইতে দিবে না।(বাবা বলতেছে)
আসো বাবা ভিতরে।তারপর মা বাবা ভিতরে আসলো।
তোর স‍্যার আসে নাই আজকে পড়াতে।
হুম মা এসেছিলো কি যেনো জরুলী কাজ আছে তাই না পড়ায় চলে গেলো।
ও।
।তারপর তারা তাদের রূমে গেলেন ফ্রেস হতে।ভাবতেছি এর ফাকে স‍্যার এর স‍াথে একটু মজা করি।মেসেজ দিয়ে।
যে ভাবা সেই কাজ
I love you স‍্যার।আমি আপনাকে জীবনের চেয়ে ভালোবাসি।আপনি এখন কই আছে। বাসায় গেছেন নাকি রাস্তায়।
মেসেজের শব্দে ফোনটা টং করে উঠলো।তাই মেসেজ দেখে তো আমি অবাক।এতোক্ষন তাকে আমি তাহলে কি বুঝায় আসলাম বলেন তো।মেসেজে বলেছে আবার
i love you স‍্যার।কি করি এই অবুঝ ছাত্রীকে নিয়ে পাঠক বন্ধুরা বলেন তো।এর জ্বালায় তো আমার ঘুম স্বপ্ন সব হারায় যাবে।কি ফাজিল ছাত্রি আমার।একে যদি বিয়ে করি তাহলে তো আমাকে জ্বালিয়ে মারবে।
ধূর আমি এটা কি বলতেছি।

(পাঠক বন্ধুরা আপনাদের একটা সত‍্যি কথা বলি আমার ছাত্রীকে আবার বলিয়েন না ওকে।আমিও কিন্তু রাফিজাকে ভালোবাসি।কিন্তু ওকে বলতে পারি না।কারন ও বড়লোকের মেয়ে আর আমি কই গরীব ঘরের ছেলে।আর ও যখন আমাকে বললো ভালোবাসি তখন আমার যে কেমন খুশি লাগছিলো তা আপনাদের বলে বুঝাতে পারবো না।কিন্তু পরে ভাবলাম আমি তো গরীব।)
এবার ফোন দিয়েছে মেসেজের উত্তর দেয়নাই দেখে।তারপর ফোনটা রিচিপ করতেই বলতেছে।
আই লাভ ইউ স‍্যার।
ফাজলামি বাদ দিয়ে কি বলবা বলো আর কি জন‍্য ফোন দিয়েছো।
প্রেম করার জন‍্য ফোন দিয়েছি।কি করো বাবু।
এই আমি কারো বাবু না।আর স‍্যার কে কেউ এগুলো বলে নাকি।
কেউ না বললে আমি বলি।
আমি ফোন কেটে দিলাম আর যদি ফাজলামি করো।

ঠিক আছে আর করবো না।এবার বলেন কই আছেন এখন।
আমি এখন রাস্তায় আছি।
কেনো এখনো বাসায় জান নাই।
হুম যাচ্ছি তো।
ওকে জান তারাতারি।আর কালকে আমাকে পড়াতে আসবেন।আর যদি না আসেন তাহলে আপনার বাসায় গিয়ে হামলা করবো।

চলবে,,,,,?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে